কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
হাবড়ার বাণীপুরের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন ধরনের মূর্তি তৈরির কাজ করছেন। শিল্পকলা নিয়ে সেই অর্থে পড়াশোনা করেননি তিনি। সবটাই নিজের ভাবনা থেকে। কখনও মুক্তো দিয়ে মূর্তি, আবার কখনও অব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে প্রতিমা তৈরি করেছেন তিনি। এবার আরও একধাপ উঠে দুর্গা প্রতিমায় অভিনবত্ব এনেছেন ইন্দ্রজিৎ। শুকনো দেশি ও বিদেশি গাছের পাতা, ফুল, ফল সহ অন্যান্য অংশ দিয়ে তৈরি হয়েছে উমা প্রতিমা। তৈরি করতে সময় লেগেছে এক মাসের উপর। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে কাজের তদারকি করলেও প্রতিমা তৈরির মূল দায়িত্বে ছিলেন মহিলারাই। প্রথমে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। তারপর তাতে দেওয়া হয়েছে আখরোট ফুলের পাপড়ি, চিনুক গাছের ফল, থাইল্যান্ডের পাটকাঠি, দুলদুল খোসা, হোগলা পাতা, তুলসী ও বেলের মালা, আমেরিকান কাঠ গোলাপ ও পদ্মের বীজ ধারণকারী অংশ সহ একাধিক গাছের অংশ। একে একে সেগুলিকে প্রয়োজনমতো প্রতিস্থাপন করেছেন ইন্দ্রজিতের ছাত্রীরা। তাঁদের মধ্যে একজন নবনীতা বলেন, পুজোর সময় আমাদের হাতের তৈরি প্রতিমা অন্য মণ্ডপে পূজিত হবে, এটা আমাদের সৌভাগ্য। অন্য ধরনের প্রতিমা তৈরি করতে বেশ ভালোই লাগছে। সেই অর্থে রং ব্যবহার করা হচ্ছে না। গাছের শুকনো অংশকে কাজে লাগিয়েই এই মূর্তি তৈরি হয়েছে। একমাসেরও বেশি সময় ধরে এই কাজ হয়েছে।
শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার বলেন, এই প্রতিমা যাবে আগরপাড়ার একটি পুজো মণ্ডপে। পঞ্চমীর দিন দেবীকে মণ্ডপের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবেন উদ্যোক্তারা। কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলি শেষ হয়ে গেলেই দেবী প্রতিমা মণ্ডপে যাওয়ার জন্য তৈরি। প্রথমে বাঁশ ও মাটি দিয়ে দেবীর একচালার কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। তারপর শুকনো পাতা ফুল ও ফলের একাংশ দিয়ে মূর্তিকে রঙিন করা হয়েছে। দেবীর উচ্চতা সাড়ে আট ফুট ও চওড়া সাড়ে ছ’ফুট। আমার ছাত্রীরা এই কাজ করেছেন মনোযোগ দিয়ে। বাইরে থেকে গাছ-গাছালির অংশ বিশেষ আনতে সময় লেগে গিয়েছে। তিনি বলেন, ওই পুজো কমিটির মণ্ডপও আমি তৈরি করেছি। থিমের নাম ‘আশ্রয়’। একদিকে প্রতিমা ও অন্যদিকে মণ্ডপের থিমের মাধ্যমে এই বার্তা দিতে চেয়েছি—বাবা-মাকে সাজিয়ে রাখলে পরিবারের শোভা বাড়ে। তেমনই গাছের শুকনো ফুল ও ফল সঠিকভাবে ব্যবহার করলে তা থেকেও সুন্দর শোভা মেলে। মূল বার্তা, কোনও কিছুই উচ্ছ্বিষ্ট নয়।