কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৮৪০ সালে বাংলাদেশের পাবনা জেলায় জামিতা গ্রামে প্রথম এই পুজো শুরু করেন জমিদার পরিবারের বনমালী সাহা রায়। ব্যবসার সূত্রে পরে এপারের বালুরঘাটে চলে আসে সেই পরিবার। একবার প্রতিমা শিল্পী খড়ের মূর্তি বানিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। পরের দিন সকালে দেখা যায়, কার্তিক ও গণেশের স্থান পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। মৃৎশিল্পী নিজের ভুল ভেবে ফের কার্তিক ও গণেশের জায়গা পরিবর্তন করে দেন। কিন্তু পরের সকালে ফের দুর্গার ডানদিকে কার্তিক এবং বাঁ দিকে গণেশকে দেখা গিয়েছিল। এরপর সেভাবেই পুজো করার স্বপ্নাদেশ পান বনমালী। তখন থেকে দুর্গাপুজোয় চলে আসছে এই রীতি। বনমালী সাহার নাতি কালীকৃষ্ণ সাহা রায় বর্তমানে পুজোর আয়োজন করছেন। এবিষয়ে তাঁর মন্তব্য, আমাদের বাড়ির পুজোয় অন্নভোগ হয় না। দশমীর সকালে ভ্যাটের খই, শাপলা ফুল ও টকদইয়ের বিশেষ ভোগ দেওয়া হয়। এবারও নানা আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে,দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাচীন বনেদিবাড়ির পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম বালুরঘাটের কংগ্রেস পাড়ার পালবাড়ির দুর্গাপুজো। আনুমানিক ৪০০ বছর আগে আত্রেয়ী নদীর পাশে নিজের বাড়িতে এই পুজো শুরু করেছিলেন গৌরী পাল। তাঁর অবর্তমানে প্রায় বছর ১১০ বছর আগে পালবাড়ির দুর্গাপুজো পরিচালনার দায়িত্ব নেন প্রতিবেশীরা। তখন থেকেই বারোয়ারি রূপ নিয়েছে এই পুজো। বিশেষত্ব হিসেবে রয়েছে নবমী ও দশমীতে দেবীকে পান্তাভাত, বোয়াল ও আত্রেয়ী নদীর রাইখর মাছের ভোগ দেওয়া। দশমীতে পান্তা ভোগ গ্রহণ করতে প্রতিবার প্রচুর মানুষ আসেন এখানে। পালবাড়ির পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য মাধব সরকার বলেন, বহু আগে যেভাবে পুজো হত, সেটাই মেনে চলা হয়। এলাকার প্রায় সব বাড়িতে দূরদূরান্ত থেকে আত্মীয়, পরিজনরা আসছেন। সবাই মিলে পুজোয় শামিল হব।