কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
১০০ বছরে পা দিল মধ্য হাওড়ার শিবপুরের মন্দিরতলা সাধারণ দুর্গোৎসবের পুজো। এবার থিম, ‘খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার’। মণ্ডপ হচ্ছে পুরনো এক জমিদারবাড়ির আদলে। সে বাড়িতে বাহিরমহল, অন্দরমহল, নাটমন্দির, দুর্গাদালান, কড়ি বরগার ছাদ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ বছরের বাজেট প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। ক্লাব কমিটির সম্পাদক শোভনলাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখন পুরনো জমিদার পরিবারগুলির সদস্যরা সারাবছর কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। পুজোর চারদিন সবাই এসে মিলিত হন নিজের বাড়িতে। গ্রামের জমিদার বাড়ির সেই ছবিটাই এবার আমরা একশো বছরের পুজো উপলক্ষ্যে তুলে ধরছি।’ ১৯২৫ সালে বিজয়কৃষ্ণ ভট্টাচার্যের হাত ধরে শুরু হয়েছিল মন্দিরতলা সাধারণ দুর্গোৎসব। এখন আধুনিকতা এসেছে বটে তবে পুরনো নিয়ম মেনে প্রতিমা হয় একচালার। ডাকের সাজের।
মধ্য হাওড়ার কাসুন্দিয়া শিবতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোর এবার ১৫১তম বর্ষ। বাজেট প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। মণ্ডপে ফুটে উঠছে এক টুকরো শৈশব। থিম, ‘শৈশবের খোঁজে’। মণ্ডপের অন্দরমহল সাজিয়ে তোলা হচ্ছে স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ দিয়ে। শিশুর জীবনে বর্ণ পরিচয়ের তাৎপর্য তুলে ধরছে শিবতলা। পুজো কমিটির সম্পাদক গোরা কোলে বলেন, ‘সম্প্রতি ক্লাবের দুই কর্মকর্তা মারা গিয়েছেন। তাই এ বছর অনাড়ম্বর পুজো করছি আমরা। তবে মণ্ডপ ছোটদের খুবই পছন্দ হবে।’ দক্ষিণ হাওড়ার লক্ষ্মীনারায়ণতলার মাঝেরহাট সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো এ বছর ১১৯ বছরে পদার্পণ করেছে। এবার তাদের থিম ‘মানত’। পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের কথায়, সাংসারিক জীবনে নানা বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হলে সুরাহার জন্য অনেকে বট গাছে ঢিল বেঁধে কিংবা মন্দিরে সুতো বেঁধে মানত করেন। সেরকমই ছবি ফুটে উঠবে মণ্ডপ সজ্জায়। এ বছরের বাজেট সাড়ে সাত লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির সেক্রেটারি সজল পাল বলেন, ‘বঙ্গভঙ্গের আন্দোলনের অশান্ত সময় শুরু হয়েছিল এই ক্লাবের পুজো। রামকুমার চট্টোপাধ্যায়, পূর্ণদাস বাউল, নির্মলা মিশ্র থেকে বহু গুণী শিল্পী এই পুজোর পা রেখেছেন। থিমের ছোঁয়া থাকলেও দেবী এখানে একচালায় বাংলা সাজে আসেন।’