কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
দুর্গাপুজোর থিম ছদ্মবেশ! ব্যাখ্যা দিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। লোকশিল্পীদের বাড়িতে মা থাকেন ছদ্মবেশে। এবার মণ্ডপে তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছোট মণ্ডপে কেরল থেকে ওড়িশা হয়ে বাংলার লোকসংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। খড়, হোগলাপাতা, ধানশিস, আখ দিয়ে মণ্ডপ গড়ে তোলা হয়েছে। মূলত শিল্পী এখানে মুখোশ শিল্পকে তুলে ধরেছেন। কেরল, পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্যের ছবি স্পষ্ট হয়েছে মণ্ডপে। পুজো উদ্যোক্তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অমিতকুমার সিং বলেন, দেশের নানা লোকশিল্প তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। শিল্পীদের আড়ালে মা থাকেন লুকিয়ে, তা তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের থিম ছদ্মবেশ। মণ্ডপজুড়ে রয়েছে নারকেল। শিল্পী সৌমেন ঘোষ বলেন, নারকেল ছাড়া কেরলকে চিন্তা করা সম্ভব নয়। আমরা নারকেল ব্যবহার করেছি। পাশাপাশি থাকবে কলা, আখ, টাঙ্গানো হয়েছে ভুট্টাও। একেবারে প্রাকৃতিক জিনিস দিয়ে তৈরি মণ্ডপ ইতিমধ্যেই মানুষের নজর টানছে।
বার্নপুরের নওজোয়ান ক্লাবের থিম এবার ‘প্রথা’। সেখানে এক প্রান্তিক গ্রামের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। প্রথা কেন? তাদের দাবি, ধান চাষ থেকে ধান সেদ্ধ করা আমাদের এক প্রাচীন প্রথা। শহুরে আধুনিক মানুষজন যা জানেই না। মানুষের কাছে সেসব প্রথা তুলে ধরতেই আমাদের এই থিম ভাবনা। এখানে মণ্ডপের মাঝে রয়েছে এক বিশাল মড়াই। দূর থেকে মনে হবে মড়াইয়ের ভিতর মা অধিষ্ঠান করছেন। পাশাপাশি ঝুড়ি, কুলোর ব্যবহার রয়েছে। মাঝে থাকবে এক বিশাল হাঁড়ি, যেখানে ধান সেদ্ধ হচ্ছে বলে দেখানো হবে। উদ্যোক্তা উৎপল সিনহা বলেন, থিমের মাধ্যমে আমরা চাষি, অন্নদাতাদের সম্মান জানিয়েছি।