কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
লড়াইটা এতদিন ছিল ইজরায়েল বনাম ইরানের মদতপুষ্ট হামাস ও হিজবুল্লার মতো সংগঠনের। সেটাই এখন পুরোদস্তুর ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের রূপ নিচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে সরাসরি তেল আভিভকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। সক্রিয় ছিল ইজরায়েলের বিখ্যাত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ‘আয়রন ডোম’। তেল আভিভ দাবি করে, ইরানের বহু ক্ষেপণাস্ত্রকেই মাঝ আকাশে প্রতিহত করা গিয়েছে। যদিও দেশের মধ্য ও দক্ষিণাংশে বেশ কিছু ইরানি মিসাইল আছড়ে পড়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড অবশ্য পাল্টা জানিয়েছে, ‘আয়রন ডোম’কে বোকা বানিয়ে ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।
‘বন্ধুরাষ্ট্রে’র বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। মার্কিন সেনাকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশ, তেল আভিভের দিকে ধেয়ে আসা ইরানের প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে হবে। তারপরই সক্রিয় হয়েছে মার্কিন নৌসেনার ডেস্ট্রয়ার। ইরানের আগ্রাসী মিসাইল হানার পিছনে রাশিয়ার প্রত্যক্ষ মদত দেখছে তারা।
আক্রান্ত হওয়ার পর বেশি রাতে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বৈঠক শেষে তাঁর হুমকি, ‘ইরান বড় ভুল করল। ফল ভুগতে হবে।’ পাল্টা বুধবারই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানি সংসদের স্পিকার, ‘এরপর এমন এক ফরম্যাটে আক্রমণ হবে, যা ইজরায়েল ভাবতে পারছে না।’ ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকাকে তুলোধোনা করেছে রাশিয়া। রুশ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘পশ্চিম এশিয়ায় বাইডেন প্রশাসনের নীতি ব্যর্থ। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের অপদার্থতার কারণে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।’