Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মুছে যাওয়া ট্রামলাইন
সোমনাথ বসু

‘ও   বাবা, বাড়ি থেকে আসার সময় জাহাজ দেখাবে বললে যে। কিন্তু এটা কী? ছোট ট্রেন?’
নিশ্চিন্দিপুরের গোলোক কর্মকার এবার বেশ সমস্যায় পড়লেন। ছেলে অলোককে খিদিরপুর ডক দেখাবেন বলে কলকাতায় নিয়ে এসেছেন। ধর্মতলা থেকে ৩৬ নম্বর রুটের ট্রামে বাবা-ছেলের ওঠা। ফার্স্ট ক্লাসেই। ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে ট্রাম ইনসাইড-আউটসাইড ডজ দিতেই ছেলের এই প্রশ্ন। একটু ভেবে তাঁর উত্তর, ‘এটা তো ট্রাম। আমাদের মতো গরিব-গুর্বোদের যান। কেমন লাগছে তোর?’ ফার্স্ট ক্লাসের বাঁ দিকে সিঙ্গল সিটের প্রথমটা দখল করেছে ছেলে। বাবা ঠিক তার পিছনেই। ট্রাম ততক্ষণে রেসকোর্সের কাছে। একটু আগেই সে দেখেছে দূরে একটা সাদা বাড়ির মাথায় কালো পরী ঘুরছে। এই বড় বাড়িটার নাম নাকি ভিক্টোরিয়া। বাবাই বলেছে। শহরের হাওয়া খেতে খেতে এবার সে জানতে চায়, উঁচু উঁচু লোহার পাঁচিলগুলি কেন দেওয়া? রাজু গাইডের মতো বাবা চিনিয়ে দেয়, ‘এটা রেসকোর্স। মানে ঘোড়দৌড়ের মাঠ। এর থেকে বেশি কিছু মনে রাখার দরকার নেই।’
বর্ষার রাত। এসপ্ল্যানেডের এক হোটেলে রঙিন সন্ধ্যা কাটিয়ে ৫ নম্বর রুটের ট্রামে চেপে বসেছেন শ্যামবাজারের ভূপেনবাবু। চুনোট করা ধুতির কোঁচার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে আদ্যির পাঞ্জাবি। কাঁধ থেকে কব্জি পর্যন্ত চামচ দিয়ে গিলে করা। বাঁ হাতে বেলফুলের মালা। মুখে বেনারসি জর্দা পান। নেশায় টগমগ বাবু কালচারের শেষ প্রতিনিধির কণ্ঠে তখন শচীন কত্তার গান, ‘মন দিল না বধূ, মন নিল যে শুধু/আমি কী নিয়ে থাকি...’। কিছুক্ষণের মধ্যেই খাকি পোশাক পরিহিত কন্ডাক্টর তাঁর কাছে এসে টিকিট চাইলেই জড়ানো গলায় ভূপেনের মশকরা, ‘আরে মশায়, কার কাছে টিকিট চাইছেন জানেন? আমার ঠাকুর্দা চাইলে গোটা ট্রাম কোম্পানি কিনে ফেলতে পারতেন। ঠিক আছে, এসেছেন যখন নিয়েই যান।’
গোলোক, অলোক কিংবা ভূপেনের মতো অনেকের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে ট্রাম ভ্রমণের স্মৃতিমেদুরতা। চোখে ভাসে এখনও ক্লড ওয়াডেলের সেই বিখ্যাত পুরনো কলকাতার ছবি... ট্রামের সেকেন্ড ক্লাসের শেষের জানালা দিয়ে কোনওমতে পা গলিয়ে দিয়েছেন অফিসযাত্রী। শরীরটা তখনও বাইরে। আর ওইটুকু বাহনে উপচে পড়ছে ভিড়। কলকাতার ইতিহাসের সঙ্গে মিলেমিশে এক হয়ে যাওয়া এক টুকরো ভালো লাগা। ঐতিহ্যের সেই ফুরফুরে প্রাকৃতিক হাওয়া, নাকি আধুনিকতার এসি মেশিন—এই চাপানউতোরের মধ্যেই অতীত হয়ে যাচ্ছে কল্লোলিনী তিলোত্তমার ট্রাম। থাকবে শুধু বইয়ের পাতায়, ইন্টারনেটে। আর বাঙালির মনে।
ট্রামের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৮৭৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। তবে তা ছিল ঘোড়ায় টানা। শিয়ালদহ থেকে আর্মেনিয়ান ঘাট পর্যন্ত ট্রাম সফর না করতে পারার আপশোস অনেকেই মিটিয়েছিলেন যাত্রাপথের দু’ধারে দাঁড়িয়ে। এই পরিষেবা কিন্তু বন্ধ হয়ে যায় সে বছরেরই ২০ নভেম্বর। ১৮৭৯ সালে ক্যালকাটা ট্রামওয়ে কোম্পানি ও কর্পোরেশনের চুক্তি হয়। আর তার ভিত্তিতে তার পরের বছর কলকাতায় ফের ট্রাম চলে। কিন্তু আবার বিপত্তি। যাত্রাপথে বড় বড় লোহার চৌবাচ্চা থাকলেও অত্যাধিক গরম এবং আর্দ্রতার জন্য অস্ট্রেলিয়ান ঘোড়াগুলি ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই খোঁজা হয় বিকল্প। অমৃতার মুখে এই ইতিহাস প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে শুনত আকাশ। শোনা ছাড়া উপায়ও ছিল না। কারণ, তার বান্ধবী ইতিহাসের ছাত্রী। আর ট্রামের প্রতি প্রেম কখনও-সখনও তাদের সম্পর্কের গভীরতাকেও ছাপিয়ে যেত। বালিগঞ্জ ডিপো থেকে বেরিয়ে ২৪ নম্বর ট্রাম যতক্ষণ না তাদের সামনে দাঁড়াত, বলেই যেত অমৃতা। আকাশও জানত, এই গল্পের মধ্যে দিয়েই যে বান্ধবীকে বেশিক্ষণ কাছে পাওয়া। অমৃতার কাছেই তার জানা... ১৯০২ সালে প্রথমবার চলে ইলেকট্রিক ট্রাম। সেই সময় কলকাতা আর হাওড়ার মধ্যে যাতায়াতের জন্য ভাসমান সেতু ছিল। দিনের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা সেতু খুলে দেওয়া হতো জাহাজ চলাচলের জন্য। কিন্তু এই সেতুর উপর দিয়ে ট্রাম চালানো সম্ভব ছিল না বলে হাওড়া ট্রাম পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল এমনও নয়। ১৯০৫ সালের অক্টোবরে হাওড়া শহরে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়। প্রথম রুট, হাওড়া থেকে শিবপুর। এরপর ১৯০৮ সালের অক্টোবরের কোনও এক সময় আরও দু’টি রুট চালু হয়। অমৃতার কাছে রুট নম্বর নিয়ে জানতে চেয়েছিল আকাশ। নিজে থেকেই। হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো খুশিতে কলকল করে ওঠে বান্ধবী—‘প্রথমদিকে ট্রামের সামনে ঝোলানো থাকত বিশেষ রংয়ের বোর্ড। যাত্রীরা তা দেখেই বুঝে নিতেন তার যাত্রাপথ। রুট নম্বরের প্রচলন হয় ১৯৫৮ সালে।’ 
তার মধ্যে অবশ্য রাজনীতি দাবাখেলায় পা রেখে ফেলেছে ট্রাম। বাম বনাম কংগ্রেস চাপানউতোরের প্রধান চরিত্র যে এই একটি নির্বিবাদী-ধীরস্থির যান হতে পারে, তা দেখিয়েছে বাংলাই। ১৯৫৩ সালে ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের সরকার সিদ্ধান্ত নিল, ১ জুলাই থেকে এক পয়সা বাড়বে সেকেন্ড ক্লাসের ভাড়া। প্রতিবাদে রাজপথে নামে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া। তারাই জনসাধারণের ক্ষোভে ঘৃতাহুতি দিল। প্রথম দু’দিন অর্থাৎ ১ এবং ২ জুলাই যাত্রীদের সঙ্গে কন্ডাক্টরদের অশান্তি ঠেকল চরমে। ৩ জুলাই পুলিস লাঠিচার্জ করতেই যেন বিস্ফোরণ। পোড়ানো হল বেশ কয়েকটি ট্রাম। এই আন্দোলনের জন্যই ভিয়েনায় নিজের চোখের অস্ত্রোপচার বাতিল করে ফিরে এসেছিলেন বিধানচন্দ্র রায়। গণআন্দোলনে শেষমেশ ভাড়া কমাতে হয় সরকারকে। আম জনতার পরিবহণ পরিষেবায় রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটে গিয়েছিল সেদিনই। সেই ধারা চলছে আজও। ধুঁকতে থাকা ট্রাম কোম্পানি, একে একে কমে শূন্যে পৌঁছে যাওয়া রুট এবং রাজপথে পাতা লাইনে দু’চাকার দুর্ঘটনা। ট্রাম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত শোনা মাত্র এখানেও নেমে পড়েছে বিরোধীরা। ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখার দাবিতে পথে নাগরিকরাও। কিন্তু আঁকড়ে থাকার এই আব্দারের মধ্যেই আমরা আবিষ্কার করছি, কখন যেন ট্রাম শুধু আমাদের নস্টালজিয়াতেই স্থান পেয়ে রয়েছে। সেই আকাশ আর অমৃতা এখন স্বামী-স্ত্রী। পুঁচকে একটি মেয়ে রয়েছে। তার স্কুলও দক্ষিণ কলকাতায়। তবে এখন আর ট্রামে চড়া হয় না। অটোরিকশাই ভরসা। কিন্তু রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ও ল্যান্সডাউন রোডের ক্রসিংটা এলেই মাঝেমধ্যে মনটা হু হু করে দম্পতির। এই অনুভূতির সঙ্গেও যে ট্রাম জড়িয়ে। ১৯৫৪’র অক্টোবরে তো এখানেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল জীবনানন্দ দাশের। আটদিন যমে-মানুষে টানাটানির পর শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে নিভে গিয়েছিল বনলতা সেনের স্রষ্টার জীবনদীপ। 
সত্যিই তো আমাদের অনেকের প্রথম অনেক কিছুর সাক্ষী এই ট্রাম। নয়ের দশক পর্যন্ত যা চলেছে রমরমিয়ে। গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে। বাদুড়ঝোলা বাস, ট্যাক্সির আর্থিক বাহুল্য থেকে বাঁচতে ভরসা ছিল ট্রামই। কিন্তু ঐতিহ্যের এই ট্রাম কেন উঠিয়ে দিতে বাধ্য হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার? বিশ্লেষণে উঠে আসছে দু’টি বিপরীত মেরুর মত। গতিশীল শহরে ডেডিকেটেড লাইন না থাকায় দুর্ঘটনার বহর বাড়ছে। এছাড়া অধিকাংশেরই ট্রামে ওঠার মতো সময় হাতে নেই। শুধুই ঐতিহ্যের পিছনে ছোটার জন্য আধুনিকতাকে জলাঞ্জলি দিতে হবে, এমন মাথার দিব্যি কে দিয়েছে? পাশাপাশি রয়েছে উল্টো মতও। বাবা-মা কর্মক্ষমতা হারালে কি তাঁদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো উচিত? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। সবমিলিয়ে বাঙালির চায়ের কাপে তুফান উঠছে রমরমিয়ে। 
পায়ের তলায় রাখা লোহার শলাকায় ভারী বুট পরা ড্রাইভার চাপ দিতেই সেই ঘটাং-ঘটাং শব্দ, দড়ি ধরে মারো টানের সেই টিং টিং, অতি পাতলা টিকিট চার ভাঁজে ঘড়ির রিস্টব্যান্ডে আটকানো কিংবা সরু করে মুড়ে কানে দেওয়ার আরাম বাঙালি আর পাবে না। সামনের সিটে বসে আর দেখা যাবে না, স্টপ ছেড়ে ঘটাং করে রওনা দিতেই খুলে যাওয়া চালকের সঙ্গে সংযোগকারী দরজাটা। ব্রেক কষলেই আবার বন্ধ। আর যদি দরজা না খোলে? একটু ঝুঁকলে দেখা যাবে, ওখানে ডোরস্টপ হিসেবে কাজে নেমে পড়েছে নোনা ধরা একটি ইট। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধুই শুনবে এই যানের কথা। আজকের বাবা-মা’রা হয়তো ট্রামের গুরুত্ব বোঝাতে গুনগুন করে গেয়ে উঠবেন আনন্দ বকশির লেখা সেই বিখ্যাত গানের কলি, ‘জিন্দগিকে সফর মে গুজর যাতে হ্যায় যো মকাম, ও ফির নেহি আতে, ও ফির নেহি আতে...’।
01st  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
করুণা নয়, অধিকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

খুব দুঃখ হয়েছে মিনতির। ছোট্ট বছর সাতেকের মেয়ে। পুজো এলেই ওর মনে কেমন যেন রেলগাড়ি ছুটতে শুরু করে। পঞ্চমী এলেই ঢাকটাকে কাঁধে ফেলে বেরিয়ে পড়ে বাবা। মুখে একরাশ ভরসার হাসি। ফিরব যখন, নতুন জামা নিয়ে আসব। বিশদ

01st  October, 2024
অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে পড়শিরা বাদ
পি চিদম্বরম

আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলে, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩,৪৮৮ কিমি। তবু কেউ চীনকে আমাদের প্রতিবেশী বলে মনে করে না।
বিশদ

30th  September, 2024
পুজো বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করুন
হিমাংশু সিংহ

ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি, যাই ঘটে যাক মাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজোয় মিটিং মিছিল অবরোধ অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ। এই সময়টা সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতিকদেরও দু’দণ্ড অবকাশের সময়। আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক কূটকচালিরও ছুটি। বিশদ

29th  September, 2024
আর জি কর: বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য
তন্ময় মল্লিক

‘এতদিন ধরে কেন মানুষকে নাকাল করা হল? মানুষকে খেপিয়ে কী লাভ হল? তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। এর জবাব জুনিয়র ডাক্তারদের দিতেই হবে।’ এই বক্তব্যটা রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতার নয়, প্রবীণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। বিশদ

28th  September, 2024
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাঠামো বদল দরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

 

অপরাধীদের কাছে একসময় আতঙ্কের নাম ছিল সিবিআই। শুনলেই ভয় ভয় লাগত তাদের। আর এখন সারাক্ষণ সিবিআই ভয়ে ভয়ে থাকে কোনও রাজ্যে অপরাধ ঘটেছে শুনলেই। ভয়ে ভয়ে থাকার কারণ হল, এখনই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠবে। বিশদ

27th  September, 2024
সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো! বিশদ

26th  September, 2024
মোদিতন্ত্রের শিকার স্কুলশিক্ষা
হারাধন চৌধুরী

মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে ২০০৫ সাল থেকে পাঁশকুড়ায় আছেন। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের‌ ইংরেজির শিক্ষক। আরও দুই যুবকের সঙ্গে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাঁদের পরনে ট্রাউজারের বদলে গামছা ও জামা, হাতে জুতো এবং পিঠে একটি করে ব্যাগ। বিশদ

25th  September, 2024
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

24th  September, 2024
কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যাত হবে
পি চিদম্বরম

একযোগে নির্বাচনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) থেকেই খোলসা হয়ে গিয়েছে। কমিটিকে প্রথম টিওআর ‘বলেছিল, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার পর সুপারিশ করতে ...।’
বিশদ

23rd  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

22nd  September, 2024
একনজরে
একটানা বেজে চলেছে তীক্ষ্ণ সাইরেন। কাতারে কাতারে জনতা আশ্রয় নিয়েছে বাঙ্কারে। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। বাইরে রাতের আকাশ চিরে ধেয়ে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইরানি ...

রেশনের কেরোসিনের দাম অক্টোবর মাসে লিটারে সাড়ে ৪ টাকার মতো কমছে। এমাসে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি কেরোসিনের যে ইস্যু প্রাইস ঠিক করেছে তার ভিত্তিতেই এই নতুন ...

দিন কয়েক আগে মুরারই ও লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে চলেছে লাগাতার বৃষ্টি। আর তার জেরে ফুলেফেঁপে উঠেছিল ঝাড়খণ্ড থেকে বইয়ে আসা বাঁশলৈ নদী। মঙ্গলবার সেই নদীর জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুকন্যার। ...

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপ। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে ভারতীয় দল। মঙ্গলবার প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১: ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম মাসিক পত্রিকা ‘ক্যালকাটা ম্যাগাজিন অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল মিউজিয়াম’ প্রকাশ শুরু হয়
১৮৭৭: পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল হরেন্দ্রকুমার মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১১: ক্রিকেটার সুঁটে বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২০: বিশিষ্ট ধারাভাষ্যকার অজয় বসুর জন্ম 
১৯২৩: প্রথম মহিলা স্নাতক ও ডাক্তার কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪৫: বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪৯: পরিচালক জে পি দত্তের জন্ম
১৯৭৮: বিশ্বের দ্বিতীয় ও ভারতের প্রথম টেস্ট টিউব শিশুর জন্ম
১৯৮৯: বিশিষ্ট সরোদ শিল্পী ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খান কলকাতায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন
১৯৯০: অক্টোবরে দুই জার্মানি অর্থাৎ পূর্ব জার্মানি এবং পশ্চিম জার্মানি আনুষ্ঠানিকভাবে একত্রিত হবার ঘোষণা করে



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৯ টাকা ৮৪.৭৩ টাকা
পাউন্ড ১১০.৩৮ টাকা ১১০.৩৮ টাকা
ইউরো ৯১.৮১ টাকা ৯৫.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
02nd  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
02nd  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

১৭ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ ৫৩/৩৮ রাত্রি ২/৫৯। হস্তা নক্ষত্র ২৫/০ দিবা ৩/৩২। সূর্যোদয় ৫/৩২/২০, সূর্যাস্ত ৫/১৯/৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৪ গতে ২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৯ গতে ৯/২৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৬ গতে ১২/৫৮ মধ্যে।
১৬ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ রাত্রি ১/১২। হস্তা নক্ষত্র দিবা ৩/১৯। সূর্যোদয় ৫/৩২, সূর্যাস্ত ৫/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ২/২৪ গতে ৫/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
২৯ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: শ্রীলঙ্কাকে ৩১ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল পাকিস্তান

10:57:00 PM

দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে বাংলা ভাষায় নয়া স্বীকৃতি নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

10:16:00 PM

দিল্লিতে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে ফুলের তোড়া কিনলেন জামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস

10:12:00 PM

আর জি কর কাণ্ড: সন্দীপ ঘনিষ্ঠ আশিস পাণ্ডে গ্রেপ্তার
আর জি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক ...বিশদ

10:11:19 PM

মধ্যপ্রদেশের ভোপালে অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে তৈরি হল দুর্গা মণ্ডপ

10:05:00 PM

দিল্লি বিমানবন্দরে দুবাই ফেরত চার যাত্রীর কাছ থেকে ১২টি আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স উদ্ধার করল কাস্টমস

09:43:00 PM