কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
রানাঘাট স্টেশন থেকে হেঁটে পাঁচ মিনিটে পৌঁছনো যায় ব্রতী সঙ্ঘের মণ্ডপ। আসা যায় রথতলা অথবা চাবি রেলগেট পার হয়েও। পাইকপাড়া এলাকায় রানাঘাট ব্রতী সঙ্ঘের পুজো এবার ৭৯তম বর্ষে পড়ল। থিমের লড়াইয়ে তারা এখনও তরুণ হলেও প্রতিবার ভাবনায় মেলে গভীর পরিণতির ছাপ। এবার তাদের থিমে তুলে ধরা হচ্ছে ফেলে আসা দিন অথবা আপনার শৈশবকাল। সেই সঙ্গে থাকছে অধুনাকালের মেলবন্ধনও। থিমের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিবর্তন’। অতীত এবং বর্তমানের ‘টাইমলাইন’কে নিজের ভাবনায় ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পী বিপ্লব পাল।
কেমন হচ্ছে অন্দরমহল? উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা মিলেছে, হারিয়ে যেতে বসা জিনিসপত্রের। সেকালের দম দেওয়া হ্যারিকেন, টায়ার, আর হাতপাখা দিয়ে সেজেছে প্রবেশপথের ঠিক উপরের অংশ। মণ্ডপের দেওয়ালজুড়ে স্থান পেয়েছে হাজার হাজার কাগজের নৌকা এবং উড়োজাহাজ। একসময় এগুলিই ছিল খেলার সঙ্গী। ব্রতী সঙ্ঘের পুজোয় শৈশবের স্মৃতি হুড়মুড়িয়ে ভিড় করবে তো বটেই, ফেলে আসা দিনের কথা ভেবে ভারী হতে পারে মনও। কারণ, লাট্টু থেকে ডুগডুগি, হ্যারিকেন থেকে হওয়াই মিঠাই, কী নেই শৈশবকে মনে করানোর জন্য! তবে এসব ছাড়াও থাকছে ভাবনাকে সুস্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য বেশকিছু মূর্তি এবং স্থাপত্যও।
শিল্পী বিপ্লববাবু বলেন, মণ্ডপে দু’টি কিশোরের মূর্তি থাকছে। যারা একে অপরের সঙ্গে পিঠে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছে। কিন্তু তারা নিজ নিজ মোবাইলে মগ্ন। ঠিক তাদের পিছন থেকেই ছায়ার মতো উঠে আসা দু’জনের আত্মা একে অপরের সঙ্গে মিলতে চাইছে। কিন্তু পারছে না। এই ভাবনার পাশপাশি আরও বেশকিছু আকর্ষণ থাকছে। তবে সবটা জানতে গেলে অবশ্যই পুজো মণ্ডপে আসতে হবে।
বিবর্তনের রূপ যত স্পষ্ট হচ্ছে, ততই উৎফুল্লতা বাড়ছে পুজো উদ্যোক্তাদেরও। কারণ এবার তাদের থিম শুধু থিমের ভাবনা হিসেবেই নয়, এক ঝলকে ফেলে আসা দিনগুলিও দেখিয়ে দিতে সক্ষম দর্শনার্থীদের কাছে। এই বিষয়ে ক্লাবের এক সদস্য শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, থিম ছাড়াও মণ্ডপে একটি দুর্গামূর্তি থাকছে। যেটা তৈরি হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার পেন দিয়ে। ফলে থিম তো বটেই, ফেলে দেওয়া হাজার হাজার পেনে কীভাবে দেবীর প্রকাশ ঘটাচ্ছে তা কিন্তু দেখার মতোই।