কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
ভাগীরথী তীরবর্তী নবদ্বীপ পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রীচৈতন্য কলোনি রাজবংশী পাড়ার মমতাময়ী স্পোর্টিং ক্লাব রয়েছে। তাদের সহযোগিতায় মহিলা দুর্গোৎসব কমিটির শতাধিক গৃহবধূ এবারই প্রথম দুর্গাপুজোর আয়োজন করছেন। জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের ভাগীরথী তীরবর্তী ওই এলাকায় হাতেগোনা দু-একটি দুর্গাপুজো হয়। সেই পুজোতে গিয়ে এতদিন ঠিকমতো আনন্দ করতে পারতেন না এলাকার মহিলা থেকে ছোটরা। পুজোর দিনগুলিতে এলাকা প্রায় অন্ধকারেই ডুবে থাকত। দুর্গাপুজো করতে না পারায় দীর্ঘদিনের একটা আক্ষেপ ছিল এলাকার বাসিন্দাদের। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এই এলাকায় পুজো করার ভাবনাটা ছিল একটা স্বপ্ন। এবার পুরসভা থেকে পুজো করার অনুমতি মিলতেই এলাকার মহিলারা একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিয়ে তাঁরা দুর্গাপুজো শুরু করবেন।
পুজোর আগে মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি রয়েছে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরেই তাঁরা জোর কদমে পুজোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন। পিছিয়ে পড়া এই এলাকায় মৎস্যজীবী, তাঁত শ্রমিক থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষের বসবাস বেশি। আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। রাজবংশীপাড়ার বধূ যমুনা সেন বলেন, ইচ্ছে তো অনেক দিনের ছিল। সেই সুযোগ-সুবিধাটা হয়ে ওঠেনি। আমাদের দিদি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছেন, তার থেকে এক মাসের টাকা প্রায় ৬০ জন মহিলা মায়ের পুজোর জন্য দিচ্ছি। পুজো কমিটির আর এক সদস্যা দেবী রাজবংশী বলেন, মমতাময়ী স্পোর্টিং ক্লাবের নিজস্ব জায়গায় পুজো হবে। আমাদের এই স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অর্থেই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আগামী বছর থেকে পুজোর অনুদানের টাকা যাতে আমরা পাই, সেই ব্যবস্থা যেন করা হয়।
স্কুল পড়ুয়া রিয়া রাজবংশী বলে, আমি নাচ করি। কিন্তু, পুজোর সময় মন খারাপ লাগত। অন্য পুজো প্যান্ডেলে গিয়ে অনুষ্ঠান করতাম। এবার নিজেদের পাড়ার মণ্ডপে অনুষ্ঠান করতে পারব।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা কাউন্সিলার সুকুমার রাজবংশী বলেন, এলাকার মহিলাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এলাকায় দুর্গাপুজো করার। কিন্তু, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এলাকার বাসিন্দাদের এতদিন সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। দিদির লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং পুরসভার অনুমোদনের পর মহিলারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পুজো করার উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। পুজোর আয়োজনে আমরা স্থানীয় বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা এবং পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহার কাছ থেকেও যথেষ্ট সাহায্য পেয়েছি।