কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
পাঁশকুড়ার মেচগ্রাম সমাজশিক্ষা কেন্দ্র এবার থিমের মণ্ডপ বানাতেই খরচ করেছে ৩০লক্ষ টাকা। এখানকার থিম মায়াজাল। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যার হাতের জাদুতে দর্শনার্থীদের মায়াজালে আবদ্ধ করবে এখানকার থিম। গত কয়েক বছর এখানকার মণ্ডপ দেখার জন্য হাজার হাজার দর্শনার্থীর লাইন পড়ে। এবারও তার অন্যথা হবে না। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন। তৃতীয়া থেকেই মণ্ডপ দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। ক্লাব সভাপতি প্রদ্যুৎকুমার সেন বলেন, এবার আমাদের পুজো ৩৪বছরে পড়ল। বাজেট প্রায় ৪০লক্ষ টাকা।
পাঁশকুড়া শহরের প্রতাপপুর সর্বজনীনের এবার থিম ইন্দ্রপুরী। দেবরাজ ইন্দ্রের রাজধানী ও বাসস্থানের দৃশ্য থিমের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। পাঁশকুড়া পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন নন্দকুমার মিশ্র এই পুজোর অন্যতম কর্মকর্তা। এবার এখানকার পুজো ৫৯বছরে পড়ল। বাজেট প্রায় ছ’লক্ষ টাকা। বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার সেভাবে অনুষ্ঠান রাখা হয়নি।
পাঁশকুড়ার চিলড্রেন পার্ক আমরা সবাই ক্লাবের পুজো শহরের আকর্ষণীয় পুজোর মধ্যে অন্যতম। এবার এখানকার থিম ‘মাটির ঘরে উমা’। কাজ প্রায় শেষের মুখে দুর্যোগ হয়। দুর্যোগ মিটতেই মণ্ডপের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। বন্যার কারণে চাঁদা আদায় সেভাবে হয়নি। যেকারণে শেষ মুহূর্তে পুজোর বাজেট কাটছাঁট হয়েছে। পুজো কমিটির সহকারী সম্পাদক প্রফুল্লচন্দ্র পট্টনায়েক বলেন, এবার আমাদের পুজো ৩৩বছরে পড়ল। আমরা সেভাবে অনুষ্ঠান রাখছি না। পাড়ার ছেলেমেয়েদের নিয়ে অনুষ্ঠান হবে। পাঁশকুড়া ক্যানেল বাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো এবার ৮০বছরে পা দিয়েছে। উদ্যোক্তারা থাইল্যান্ডের হোয়াইট টেম্পলের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছে। এই এলাকায় অবশ্য বন্যার প্রভাব ছিল না। কিন্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রস্তুতির কাজ ব্যাহত হয়। এখন পুরোদমে কাজ চলছে। বন্যা দুর্গতদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে উদ্যোক্তারা এবার অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পাঁশকুড়ার নারান্দা ইয়ুথ সোসাইটির এবারের থিম ‘প্রকৃতির বুকে সতীর দেহত্যাগ’। নারী নির্যাতনের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে পোস্টার থাকছে মণ্ডপে। মণ্ডপে নারী সুরক্ষায় শক্তপোক্ত আইন চালুর দাবিও থাকছে। পুরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে এই এলাকা বন্যা থেকে রেহাই পেয়েছে। তা সত্ত্বেও উদ্যোক্তারা জমকালো কোনও অনুষ্ঠান করতে চান না। স্থানীয় ছেলেমেয়েরাই পুজোর সময় অনুষ্ঠান করবে। পুজো কমিটির সাংস্কৃতিক শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সোমনাথ বেরা বলেন, আমাদের পুজো ৪২তম বছরে পড়ল। বাজেট ছ’লক্ষ টাকা।