কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
চক্রবর্তী পরিবারের প্রবীণ সদস্য সুনীল চক্রবর্তী বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষের আদি নিবাস ছিল বর্ধমানে। পদবি ছিল বন্দ্যোপাধ্যায়। রঘুনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় পূজার্চনা করতেন। সেই সূত্রে তিনি বিষ্ণুপুরে আসেন। এখন যেখানে বাইপাস, সেখানকার একটি মন্দিরে তিনি সাধনা করতেন। বৈষ্ণব সাধক শ্রীনিবাস আচার্য তাঁকে মল্লরাজের সভায় নিয়ে যান। মল্লরাজা তাঁকে রাজপুরোহিতের স্বীকৃতি দিয়ে চক্রবর্তী উপাধি দেন।
এই পরিবারের অপর সদস্য স্বপন চক্রবর্তী বলেন, মল্লরাজা বিষ্ণুপুর থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তরে চক্রদহ এলাকায় রাজপুরোহিতকে জমি দিয়ে বসবাসের সুযোগ করে দেন। তার কয়েকবছর পর চক্রবর্তীবাড়িতে পুজো আরম্ভ হয়। একসময়ের চক্রদহের নাম মানুষের মুখে মুখে পরিবর্তিত হয়ে চাকদহ হয়ে গিয়েছে।
এই পরিবারের শুভাশিস চক্রবর্তী জানালেন, আগে তালপাতার ছাউনি দেওয়া মাটির মন্দিরে পুজো হতো। পরবর্তীকালে স্থায়ী পাকা মন্দির তৈরি করা হয়। একচালার সাবেকি প্রতিমা হয়। নবমীর দিন পঞ্চকুমারীর আরাধনা করা হয়। ব্রাহ্মণ পরিবারের নয় বছরের কমবয়সি পাঁচজন কুমারীকে পুজো করা হয়। তা দেখতে মণ্ডপে ভিড় জমে। আমাদের গ্রামে এই একটিই মাত্র দুর্গাপুজো হয়। স্থানীয় বিড়াই নদীতে নবপত্রিকার ঘট ডোবানো হয়। দশমীতে ওই নদীতেই প্রতিমা বিসর্জন হয়।
পরিবারের অপর প্রবীণ সদস্য প্রণব চক্রবর্তী বলেন, প্রাচীন রীতিনীতি মেনে, নিষ্ঠার সঙ্গে আমাদের পুজো হয়। পুজোর প্রতিষ্ঠাতা নিজে মল্লরাজসভার পুরোহিত ছিলেন। তাই বরাবর আমাদের বংশেরই কেউ না কেউ দুর্গাপুজো করেন। এবার বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী পুজো করবেন। সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, আমাদের পুজোয় বলিপ্রথা নেই। দেবীকে নৈবেদ্য নিবেদন করা হয়। মল্লরাজাদের তোপধ্বনি শুনে সন্ধিপূজা হয়।
চক্রবর্তীবাড়ির বধূ পদ্মাবতী চক্রবর্তী, মিনতি চক্রবর্তী, কবিতা চক্রবতী বলেন, আমরা বাড়ির পুজোর জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। পুজোর কয়েকদিন উপবাসে থেকে যাবতীয় সরঞ্জাম জোগাড় করতে হয়। বাড়ির ছোটবড় সবাই অঞ্জলি দেয়।