শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ
প্রথমেই আপনার কান্না নিয়ে প্রশ্ন।
(হাসি) ট্রেলার লঞ্চের দিন তো?
হ্যাঁ, কেঁদে ফেলেছিলেন কেন?
সত্যি বলব নাকি মিথ্যে?
অবশ্যই সত্যি বলবেন।
আসলে সেই মুহূর্তে শুধু নিজের কথা মনে পড়ছিল। ওই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমি গত পাঁচ বছরে নিজের জার্নিটা দেখছিলাম। মনে পড়ছিল লুকিয়ে কত্থক শিখছি, পোস্টার শ্যুট করছি, একা ঘরে কাঁদছি। মা এলে চোখ মুছে নিচ্ছি। কাউকে কিছু বলছি না। ওই মুহূর্তটা বিনোদিনী আর রুক্মিণীর ছিল। ওঁর ১৪১ বছরের অপেক্ষার অবসানে স্টার থিয়েটার বিনোদিনী থিয়েটার হয়ে উঠল। আমার লড়াই মাত্র পাঁচ বছরের। সেদিন ট্রেলার দেখার পর বাকিদের রিঅ্যাকশন দেখে নিজেকে বলেছিলাম, রুক্মিণী তুমি সৎ ভাবে চেষ্টা করেছ।
লুকিয়ে কত্থক শিখতে হয়েছিল কেন?
আমি মাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম। আমার কেরিয়ারে গাইড যদি কেউ থাকে, সে হল দেব। ওকেও এই ছবিটা নিয়ে প্রথমে কিছু বলিনি। ভেবেছিলাম পোস্টার শ্যুট করে ওদের দেখাব। ওদের বলতাম সালসা শিখছি। সেটা বলে কত্থক শিখতে যেতাম। বিনোদিনী বেশে ফটো শ্যুট করেছিলাম। কিন্তু পরিচালক চৈতন্য মহাপ্রভুর লুকে দেখতে চেয়েছিলেন। এখানে একটা বৃত্ত পূরণের গল্প আছে।
সেটা কেমন?
অনেকে জানেন না, জানার কথাও নয়, আমি ছোট থেকে শ্রীকৃষ্ণর ভক্ত। আমার পুরো পরিবার ইস্কনের সদস্য। ওখানেই আমার বড় হয়ে ওঠা। ছোটবেলায় আমার সমবয়সি বাচ্চা মেয়েরা গোপীদের মতো পোশাক পরত। আমি কেন জানি না, সাধুদের মতো গেরুয়া পোশাক পরে সকলের মাঝখানে গিয়ে দু’হাত তুলে লাফাতাম আর হরি নাম করতাম। যখন আমি চৈতন্য মহাপ্রভুর বেশে নিজেকে প্রথম দেখি, আমি যেন চার বছর বয়সের রুক্মিণী হয়ে গিয়েছিলাম। ‘বলো শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য...’ (গেয়ে শোনালেন) ওই মুহূর্তটা মাথায় ঘুরছিল।
প্রস্তুতি কেমন ছিল?
বিনোদিনী হয়ে ওঠা খুব কঠিন ছিল। আমার কাছে উনি শক্তি এবং স্পর্ধার প্রতীক। নারী হিসেবে শক্তি তো আমাদের সঙ্গে আছেই। কিন্তু সহ্যশক্তি বুঝতে লম্বা সময় লেগেছিল। বাংলার প্রথম সুপারস্টার হিরোইন কিন্তু বিনোদিনী। আমার একটা সাইকোলজিক্যাল প্রসেস প্রথম থেকেই ছিল। অভিনয়ের ওয়ার্কশপও করেছি।
হিরোকেন্দ্রিক ছবির বাজেটে তৈরি হয়েছে এই ছবি, এমনটা বাংলায় তো হয় না?
শুধু বাংলা কেন, মুম্বইতেও হয় না। আমরা পর্দায় বিনোদিনীর জীবন সেলিব্রেট করেছি। আজকে দেব, জিৎ, প্রসেনজিতের ছবির বাজেট যখন হয়, সেই তুলনায় ঋতুদির (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত) ছবিরও বাজেট হয় না। মুম্বইতেও শাহরুখ খানের ছবি, আর ঐশ্বর্য (রাই বচ্চন) বা দীপিকার (পাড়ুকোন) সবথেকে বড় ছবির বাজেটও এক নয়। অল্লুর বাজেটে সামান্থার ছবি হয় না। বাংলায় এই প্রথমবার একজন হিরোইনের ছবি একই বাজেটে হচ্ছে। বাঙালিরা তো সব সময়ই পথপ্রদর্শক হয়েছে। এবারও হবে না কেন?
বক্স অফিসে ভালো রেজাল্ট তাহলে খুবই জরুরি তো?
দেখুন, সব ভালো ছবি হিট করে না। সব হিট ছবি ভালো ছবি হয় না।
এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির বড় সত্যি। ছবি দিনের শেষে দর্শকের জন্য তৈরি হয়। বক্স অফিস নম্বর দরকার। অ্যাওয়ার্ডও দরকার। ‘খাদান’ও যেমন দরকার, ইন্ডাস্ট্রির জন্য ‘বিনোদিনী’ও দরকার।
দেব দেখেছেন ছবিটা?
দেবই দেখেছে (হাসি)
কী বললেন?
ও আমার প্রথম সমালোচক। খুব সৎ সমালোচক। ‘বিনোদিনী’ দেখার পর প্রচুর অ্যাওয়ার্ড নিয়ে কথা বলেছে। কিন্তু ওর বক্তব্য দর্শকের সিনেমাহলে আসা দরকার।