পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
বুধবার বিকেলে রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠান ছিল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন। ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সচিব শান্তনু বসু, আলিয়স ফ্রঁসের অধিকর্তা নিকোলাস প্যাসিনো, পরিচালক গৌতম ঘোষ, অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, পাওলি দাম, ঋতাভরী চক্রবর্তী, ইতালির কনসাল জেনারেল রিকার্ডো কোস্তা ও নন্দনের সিইও শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে দিঘা থেকে ফোনে শুভেচ্ছা বার্তা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘দীঘায় থাকার জন্য উপস্থিত থাকতে পারলাম না। ফেস্টিভ্যালের চেয়ারম্যান গৌতম ঘোষ সহ গোটা টিমকে আমার অভিনন্দন।’ পাশাপশি বিদেশি অতিথিদেরও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আরও উন্নত চিন্তাধারায়, নতুনভাবে এখন থেকেই তৈরি হব আমরা।’ এদিন নৃত্য পরিবেশন করেন ডোনা গাঙ্গুলি ও সহযোগীরা।
এরপর পুরস্কার প্রদান। তথ্যচিত্র বিভাগে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছে মালায়ালম ভাষার ‘মেলভিলাসম’। সেরা তথ্যচিত্র দীপাঞ্জন চৌধুরীর ‘ভবতোষের কারখানা’। ছোট ছবি বিভাগে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছে অমৃত সরকারের ‘মোজাট’। এই বিভাগের সেরা ছবি পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কার মূল্যের আরণ মিত্রর ‘গোলার কি ফুল’। এশিয়ান সিলেক্ট নেটপ্যাক সম্মান পেয়েছে রণজিৎ রায়ের ‘পুতুলনামা’। বেঙ্গলি প্যানোরামা বিভাগে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা পুরস্কার মূল্যের সেরা ছবি অভিজিৎ চৌধুরীর ‘ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন’। ভারতীয় ভাষা বিভাগে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছে ‘নুক্কড় নাটক’। ফিল্মের কস্টিউম পরে মঞ্চে উঠেছিলেন এ ছবির কলাকুশলীরা। সেরা পরিচালক হিসেবে ‘হীরালাল সেন মেমোরিয়াল’ পুরস্কার পেয়েছেন আরিয়ান চন্দ্র প্রকাশ। তিনি বলেন, ‘বাজ্জিকা ভাষায় ‘অজুর’ প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি। এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছি না।’ এই বিভাগের সেরা ছবি কন্নড় ভাষার ‘লাচ্ছি’। আন্তর্জাতিক বিভাগে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছে মেক্সিকোর ‘ডেড ম্যান সুইচ’। এ বিভাগের সেরা পরিচালক পানামার আনা এন্ডারা। ২১ লক্ষ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ‘বিলাভড ট্রপিক’ সিনেমাটির জন্য।
সমাপ্তি অনুষ্ঠানের আগে পরিচালক তপন সিনহার ছবির অভিনেতা ও কলাকুশলীদের সংবর্ধনা জানানো হয়। ছিলেন, পরিচালকের পুত্র অনিন্দ্য সিনহা, অভিনেতা মাধবী মুখোপাধ্যায়, দীপঙ্কর দে, দুলাল লাহিড়ী, মুনমুন সেন, অর্জুন চক্রবর্তী, শকুন্তলা বড়ুয়া, কৌশিক সেন, সুমন্ত মুখোপাধ্যায়, লাবণী সরকার, দেবিকা মুখোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, সোনালী গুপ্ত প্রমুখ। কলাকুশলীদের মধ্যে ছিলেন পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়, রূপচাঁদ কুণ্ডু।