নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিকেল হতেই কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের প্রাণকেন্দ্র নন্দন চত্বরে উপচে পড়া ভিড়। রঙিন আলো আর নানা ধরনের ইনস্টলেশনকে ব্যাকড্রপে রেখে চলল সেলফি আর ছবি তোলা। এরই মাঝে শনিবারের সন্ধ্যার আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ‘এই রাত তোমার আমার’। পর্দায় অঞ্জন দত্ত ও অপর্ণা সেনের জুটি দেখার সুযোগ কোনওভাবেই ছাড়েনি বাঙালি। ভিড়ের চাপে রীতিমতো ঠেলাঠেলি শুরু হয় একটা সময়। রবীন্দ্র সদনের নীচের দরজা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয় উদ্যোক্তাদের। রবীন্দ্র সদনে তখন পরমব্রতর ছবি শুরু হয়েছে। আর নন্দন প্রেক্ষাগৃহে দর্শকরা পরিচালক ও উত্সব কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘পরিক্রমা’ ছবি দেখতে ভিড় জমিয়েছেন। শনিবারের সন্ধ্যা হয়ে উঠেছিল এরকমই জমজমাট। দুই হলে যখন ছবি দেখা চলছে, সেই সময় একতারা মঞ্চে বসেছে চাঁদের হাট। এদিনের সিনে আড্ডার বিষয় ‘জুটি না গল্প?’ সঞ্চালক ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন জুন মালিয়া, পাওলি দাম, বনি সেনগুপ্ত, হরনাথ চক্রবর্তী, অঙ্কুশ হাজরা ও সোহম চক্রবর্তী। জুটি আগে না গল্প? এই বিতর্কে বাংলা ছবির নায়ক চিরঞ্জিত্ চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘আসলে জুটি আর গল্প মিলেই একটা জুটি তৈরি হয়। তার জন্যই সিনেমা হয়ে ওঠে অসাধারণ।’
এর পাশাপাশি শনিবার বিকেলে শিশির মঞ্চে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। বিষয় ছিল অসহিষ্ণুতা, বিশ্ব বিচার ব্যবস্থা ও সংবাদ মাধ্যম। এই সেমিনারে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্বখ্যাত চিন্তক, অধ্যাপক সেবাস্তিয়ান মাফেত্তোনে। এছাড়াও অংশ নিয়েছিলেন সুপ্রিয়া চৌধুরী ও মানস ঘোষ। সেমিনারের সঞ্চালনা করেন অশোক বিশ্বনাথন। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন মেক্সিকোর পরিচালক আলেজান্দ্রো গেরবার বিচেচি, ‘পুতুলনামা’র পরিচালক রণজিত্ রায়, ‘ন’মাস ন’দিন এবং অন্তহীন’ সিনেমার পরিচালক সৌম্যদীপ ঘোষ চৌধুরী ও ‘সিনেম্যান’ এর পরিচালক উমেশ মোহন বাগড়ে। নন্দন তিন প্রেক্ষাগৃহে অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর ছোট ছবি ‘নিষ্পত্তি’ দেখতেও ভিড় জমিয়েছিলেন দর্শকরা। উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী পায়েল দে, সায়ক চক্রবর্তী প্রমুখ। -নিজস্ব চিত্র