পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
লাল পাড় শাড়ি। মাথায় শোলার মুকুট। হালকা গয়না। হাতে শাঁখা-পলা। লাল শাল জড়ানো। ঠিক যেন বিয়ের কনে। কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব চলাকালীন নন্দন চত্বরে সিনেপ্রেমীদের মাঝে দেখা গেল তাঁকেও। নরম রোদের দুপুরে ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছিলেন তিনি। ব্যাকগ্রাউন্ডে চিরচেনা নন্দনের ক্যালিগ্রাফি। অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন ক্যামেরাপার্সনের নির্দেশ। মাঝে খানিক জলও খেয়ে নিলেন। তারপর ফের ক্যামেরার সামনে। সামনেই তাঁর বিয়ে, এমন নয়। বরং বিয়ের মরশুমে এমন ফটোশ্যুট করতেই সোদপুর থেকে নন্দনে এসেছিলেন সহেলি চট্টোপাধ্যায়। বলছিলেন, ‘এখন প্রাক-বিবাহ সাজ নিয়ে অনেকেই শ্যুট করেন। ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল শ্যুটে অন্য স্বাদ যোগ করবে’, বলছিলেন সহেলি। তবে নন্দনের সামনে ফটোশ্যুটের অনুমতি পাননি তাঁরা। কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, নন্দনের সামনে এমন শ্যুট করা নিষেধ। সে জন্য ছবিগুলি ডিলিটও করতে হয় তাঁদের। বিষন্ন মুখে ফিরে যাওয়ার আগে নন্দনের বাইরে কয়েকটি ছবি তুললেন। পিছনে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের ব্যানার। তারপর হাসি মুখে সঙ্গীদের সঙ্গে এগিয়ে গেলেন ছবি তোলার অন্য গন্তব্যে।
গল্প লেখার পালা
সকাল ১১টা। নন্দন চত্বরে সদ্য ভিড় জমাতে শুরু করেছেন সিনেপ্রেমীরা। আচমকা দেখা গেল, রবীন্দ্রসদনের সামনে একমনে বসে কিছু লিখছেন বছর ২২-এর এক যুবক। রিভিউ লিখছেন কি না জানতে চাওয়ায় হেসে জবাব এল, ‘না, না।’ তাহলে? ‘গল্প লিখছিলাম।’ উত্তর দিয়েই আবার ডায়েরির পাতায় মনোনিবেশ। কথা বলে জানা গেল, রবীন্দ্র সদনে সিনেমা দেখতে এসেছিলেন দমদমের সৌর পাল। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র সৌর স্নাতক হয়েছেন। ইচ্ছা সিনেমা বানাবেন। ফিল্ম স্টাডিজ নিয়ে পড়তেও চান তিনি। সে জন্যই প্রতি বছর ছুটে আসেন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। চোখ রাখেন দেশ-বিদেশের নানা অজানা ছবিতে। যেগুলি সারা বছর হাতের মুঠোয় পাওয়া সম্ভব হয় না। ‘মানুষের ভিড়েই তো অনেক গল্প লুকিয়ে থাকে। ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উপর একটা প্লট মাথায় এল, তাই নোট করে রাখছিলাম’, বলছিল সৌর। ছোট থেকেই সিনেমার প্রত্যেক ফ্রেম অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে দেখেন তিনি। ভালোবাসেন থ্রিলার। এসব বলতেই বলতে সিনেমা শুরুর সময়। ছুটে ঢুকে পড়লেন রবীন্দ্রসদনে। • শান্তনু দত্ত