পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
ভিড়ে বড় ভয় দেবেশ রায়চৌধুরির। ‘আর যাই হোক ধাক্কাধাক্কি করে সিনেমা উপভোগ করা যায় না’, শুক্রবার বিকেলে নন্দন চত্বরে চায়ে চুমুক দিয়ে নিজের বিরক্তির কথা বললেন এই বিশিষ্ট মঞ্চাভিনেতা তথা পরিচালক। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ইতিউতি থিকথিকে ভিড়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘এই জন্য আমি শহরের অন্য ভেন্যুতে সিনেমা দেখতে ভালোবাসি।’ নাট্য প্রযোজনা ঘিরে কি এমন দর্শক উত্তেজনা হয় না? ‘না, হয় না। বিদেশের মতো বাংলা নাটক ঘিরে সাধারণের মধ্যে অত উত্তেজনা নেই। হুড়োহুড়িও হয় না। ভিড় তো যা হয়, তা দর্শকাসনে। মঞ্চে আমরা নির্ঝঞ্ঝাট। স্বাধীন।’
তাড়ায় জুন
একতারা মঞ্চ লাগোয়া রাস্তা ধরে ভিড় বাঁচিয়ে এগিয়ে আসছে ‘এমপি’ লেখা একটি বড় গাড়ি। কে হতে পারেন? কৌতূহল অনেকেরই। গাড়িটি সামান্য ডান দিক ঘুরে মিডিয়া সেন্টারের সিঁড়ির সামনে থমকে দাঁড়াল। চালকের পিছন সিটের বাঁদিকের দরজা খুলে নেমেই তরতরিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে লাগলেন জুন মালিয়া। মেদিনীপুর লোকসভার সাংসদ। চাতালে উঠেই হনহন করে হাঁটা লাগালেন জুন। কোনও দিকে না তাকিয়ে। লক্ষ্য করে চাতাল জুড়ে ইতিউতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিকদের প্রায় সমস্বরে রসিকতা, ‘মানে কী! আমরা তো এই দিকে!’ শুনে থমকে দাঁড়ালেন জুন। একগাল হেসে ফিরে তাকালেন দীর্ঘদিনের পরিচিত সাংবাদিকদের দিকে। ‘জানি তো। তাড়ায় আছি বলে প্রায় দৌড়চ্ছি। তোমরা সবাই ভালো আছো তো? কথা হচ্ছে। এখন আসি’, বলে প্রায় দৌড়ে নন্দনের দোতলার দিকে দৌড়লেন জুন মালিয়া।