উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
‘বুমেরাং’ কতটা বাংলার ছবি?
ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালিত নাটক ‘পুনরায় রুবি রায়’ থেকে এই ছবিটা তৈরি। বাংলার নাটক। তা থেকে যখন ছবিটা হল, বাঙালিয়ানা তো নিশ্চয়ই থাকবে। কিন্তু তার সঙ্গে সায়েন্স ফিকশনকে কীভাবে মেলানো হয়েছে, সেটা দেখতে হবে। এটুকু বলতে পারি, এই ছবির সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকে খুব উত্তেজিত। নতুন অনেক কিছু রয়েছে ছবিটার মধ্যে।
নাটকটা দেখেছেন?
না। নাটকটা দেখার সুযোগ আমার হয়নি। আমি চিত্রনাট্য অনুযায়ী
কাজ করেছি।
চরিত্রায়ণ বা ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি কি অনেকটাই পরীক্ষামূলক?
ভাবনাটার মধ্যে ‘ফিউচারিস্টিক’ ব্যাপার আছে। গল্প লেখার মধ্যেও সেটা রয়েছে। আমরা শৌভিককে (কুণ্ডু, পরিচালক) বলেছিলাম, একটা কমেডি ছবি করার ইচ্ছে আছে। তখন ও এই নাটকটার কথা বলে। সেখান থেকে শুরু। তারপর লেখকের সঙ্গে কথা বলে স্বত্ব নেওয়া হয়। চিত্রনাট্য, সংলাপ লেখা হয়। এই ধরনের কাজ পরীক্ষামূলক বলুন বা যাই বলুন, দর্শকের ভালো লাগছে। অন্তত মুক্তির আগে তেমন প্রতিক্রিয়াই পাচ্ছি।
ব্যক্তি জীবনে বুমেরাং হয়েছেন কখনও?
জীবনের প্রতিটা দিনই তো বুমেরাং। ফলে এই ধরনের অভিজ্ঞতা প্রত্যেকেরই হয়। জীবনের মজাই হচ্ছে, পরের মুহূর্তে কী হবে আমরা জানি না। কিছু ভালো খবর আসে, আবার কখনও মাঝে মাঝে বুমেরাং হতে হয়।
এত কম ছবি করে কাকে বঞ্চিত করেন, নিজেকে নাকি দর্শকদের?
আমার নিজেরও বেশি ছবি করতে ইচ্ছে করে। আমরা তো দর্শকের ভালো লাগার জন্যই কাজ করি। এই ছবিটার ক্ষেত্রে সময় লাগল। কারণ ভিএফএক্সের অনেক কাজ ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি কম অ্যাক্টিভ কেন? এতে কোনও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়?
সোশ্যাল মিডিয়ায় মূলত আমার কাজের খবর থাকে। তবে আমার জীবনে কাজের জায়গাটা পরে। কাজের বাইরেও জীবনে অনেক কিছু থাকে। ফলে অনিশ্চয়তা থাকে না। বাদবাকি যেটুকু শেয়ার করার মতো মনে হয়, শেয়ার করি। কিছুদিন আগে দ্বিতীয়বার বাবা হলাম, সে খবরও সোশ্যাল মিডিয়াতেই জানিয়েছিলাম। বাকি প্রত্যেকদিন কীভাবে ঘুম থেকে উঠি, আর কীভাবে ঘুমাতে যাই সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওগুলো না শেয়ার করলেও চলে।
জিৎ বা দেবের পরে টলিউডে আর সেই অর্থে কমার্শিয়াল স্টার তৈরি হল না কেন?
এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। অঙ্কুশ (হাজরা), যশ (দাশগুপ্ত) নিজের মতো করে চেষ্টা করছে। সকলেরই নিজস্ব জায়গা রয়েছে। আবীর (চট্টোপাধ্যায়), যিশু (সেনগুপ্ত), অনির্বাণ (ভট্টাচার্য)— প্রত্যেকের নিজস্ব জায়গা রয়েছে।
এখন ছবির ওটিটি স্বত্ব বিক্রি হয়ে গেলেই কি ‘হিট’ বলা হয়?
পৃথিবীর সব ছবিতেই ব্যবসার যে পথগুলো রয়েছে, তার থেকে কিছু কিছু পরিমাণ অর্থ উপার্জন হয়। বক্স অফিস থেকে তার কিছুটা আসে। ব্রডকাস্টিং থেকে কিছুটা আসে। বাকি আরও কিছু মাধ্যম আছে। শুধু বাংলা নয়, সব ভাষাতেই ব্যবসার মডেল এরকমই। সব ছবিই বক্স অফিস থেকে দারুণ ব্যবসা করবে, তা নয়। কিন্তু অন্য পথগুলো থেকে উপার্জন হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ‘টুয়েলভথ ফেল’ বক্স অফিসে তেমন কিছু উপার্জন করেনি। কিন্তু ওটিটিতে আসার পর ব্লকবাস্টার। ‘লাপাতা লেডিজ’ও তাই।
আপনার কন্যা ও পুত্র এখনও খুবই ছোট। ভবিষ্যতে তারা অভিনয় করতে চাইলে আপনি রাজি হবেন?
জীবনটা ওদের। ওরা যেখানে যেতে চাইবে, যাবে। ওরা যখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পরিণত হবে, সিদ্ধান্ত ওরাই নেবে। আমি পাশে থাকব।