শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
দেবের কেরিয়ারে ‘বাঘা যতীন’ আজীবন স্পেশাল হয়ে থাকবে। ছবিটি মুক্তির পর দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছিল। এবার স্টার জলসায় হবে এই ছবি ওয়ার্ল্ড টিভি প্রিমিয়ার। সেই উপলক্ষ্যে প্রযোজক তথা অভিনেতা দেব সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার এক অভিযাত ক্লাবে হাজির হয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচন পর্ব মিটে যাওয়ার পর এই প্রথম সিনেমা নিয়ে কথা বলতে মুখোমুখি তিনি। দেবের অনুরোধ, ‘আপাতত রাজনীতি আর নয়, সিনেমা নিয়েই আলোচনা হোক।’ কিন্তু কার্যত রাজনীতি রেহাই দিল না ‘চ্যাম্প’কে। পরপর তিনবারের সাংসদ একসময় বলেই ফেললেন, ‘এইবার মনে হয় মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন দেব একজন রাজনীতিবিদ।’ তাহলে প্রযোজক দেবের কি এখনও পরীক্ষা দেওয়া বাকি রয়েছে? উত্তরে উঠে এল চমকপ্রদ উদাহরণ। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীকে নিয়ে প্রশ্ন এসেছিল। দেব বললেন, ‘কাকতালীয় কি না জানি না, আমি ছবিতে যে ঐতিহাসিক অথচ বিস্মৃতপ্রায় চরিত্রগুলোতে অভিনয় করছি, সেই চরিত্রদের নিয়ে মাধ্যমিকের মতো বড় পরীক্ষায় প্রশ্ন আসছে। তাই আমার মনে হয় রাজনীতিবিদ হিসাবে হোক, বা প্রযোজক হিসেবে একটা নতুন সফর শুরু করলাম। এখনও অনেকটা পথ হাঁটার বাকি আছে।’
সম্মান রক্ষার লড়াই
ইতিহাসের কোনও পটভূমিই রাজনীতিকে অস্বীকার করে তৈরি হয় না। বাঘা যতীন মানেই উত্তাল অগ্নিযুগের প্রেক্ষাপট। তারমধ্যে নরমপন্থী ও চরমপন্থী আন্দোলনের গান্ধীবাদ ও সুভাষবাদের রাজনৈতিক টানাপোড়েন। সেদিনকার সেই রাজনীতির সঙ্গে আজকের রাজনীতির পার্থক্য কোথায়? উত্তরে দেবের সাবধানী কণ্ঠস্বর, ‘ওঁদের লড়াইটা ছিল স্বাধীনতার। আর আজকে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার লড়াই। প্রত্যেক স্বাধীনতা সংগ্রামীর একটা নির্দিষ্ট স্বপ্ন ও লক্ষ্য ছিল। আমার মনে হয় আজকের রাজনীতিতে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকাটাই বিরাট চ্যালেঞ্জ। এটাই সবচেয়ে বড় পার্থক্য।’ সম্প্রতি দলীয় এক বিধায়ক তথা স্টুডিও পাড়ার সহকর্মীর অসহিষ্ণুতার দিকেই কি আঙুল তুললেন সাংসদ দেব? স্বীকার, অস্বীকার কোনটাই না করে দেব বললেন, ‘জনপ্রতিনিধি হয়ে আমি এমন কোনও আচরণ করব না, যাতে আমার, দলের ও আমার রাজনৈতিক আদর্শের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।’
টলিউড মাস্টারপ্ল্যান
লোকসভা ভোট পর্ব মিটতেই ইতিমধ্যেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে একপ্রস্থ দলীয় বৈঠক সেরে ফেলেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র দীপক অধিকারী। বাংলা ফিল্ম ও টেলিভিশন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে সুপারস্টার দেবের মাস্টারপ্ল্যান কি তৈরি? অভিনেতার জবাব, ‘ইন্ডাস্ট্রির মাস্টারপ্ল্যান আমার একার দ্বারা হবে না। সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। প্রায় সব বাংলা ছবিই এখন ভালো চলছে। একটা গতির মধ্যে রয়েছে। আমার বিশ্বাস, এই গতিটা আরও বাড়বে। ইন্ডাস্ট্রির জন্য এই বছরটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি, যা হবে ভালোই হবে।’
আগামীর কাজ
‘খাদান’-এর শ্যুটিং শুরু হচ্ছে আগামী জুলাই থেকে। হাতে যা কাজ, তাতে আগামী দু’বছর কোনও সময় নেই নায়কের। পাশাপাশি প্রযোজক দেব আরও ঐতিহাসিক চরিত্রের সন্ধানে রয়েছেন। স্পষ্ট বললেন, ‘বাঘা যতীনের পর যাঁকে নিয়ে আমরা আসতে চলেছি, চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলতে পারি, গোটা ভারতে এখন ওই মানুষটা সম্পর্কে কেউ জানেন না। অথচ পুরো ঘটনাটা এতটাই জনপ্রিয়, যার মাধ্যমে গোটা দেশে তিনি বিপ্লব এনেছিলেন। সেই মানুষটিকে নিয়ে আমাদের গবেষণার কাজ চলছে। শ্যুটিং শুরু করব সামনের বছর। পরিচালনা করবেন অরুণ রায়।’ ব্যোমকেশের পর কি ফেলুদার চরিত্রে অভিনয়ের পরিকল্পনা রয়েছে? জল্পনাকে উস্কে দিয়ে দেবের রহস্যময় জবাব, ‘ইচ্ছে তো অবশ্যই আছে। একজন অভিনেতা হিসেবে সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা উচিত। ব্যোমকেশ তো করলাম। দেখা যাক কী হয়।’
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়