পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
গল্প অনুযায়ী মণিরুদ্দিন সংসার জীবন ত্যাগ করে মনের মুক্তি খুঁজে পেয়েছে লালন সাঁইয়ের আখড়ায় এসে। সংসারের বাঁধন তার মনকে তৃপ্তি দিতে পারে না। মুক্তির খোঁজে অস্থির মণিরুদ্দিন সংসার ছেড়ে হাজির হয় লালনের আখড়ায়। জীবনের বাকি দিনগুলো সেখানেই সঙ্গীতে নিমজ্জিত হয়ে মুক্তি পেতে চায় সে। এদিকে মণিরুদ্দিনকে সংসারে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে তার স্ত্রী। গল্পের পরতে পরতে খুলে যায় সমাজের স্বার্থান্বেষী মানুষদের মুখোশ।
মণিরুদ্দিনের চরিত্রে শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনয় উল্লেখ্য। চরিত্রের উদাসীনতা তাঁর অভিনয়ের মধ্যে সুন্দর ধরা পড়েছে। এছাড়া নীলাচল বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপেন ভট্টাচার্য, সোহিনী চক্রবর্তী বেশ ভালো অভিনয় করেছেন। বলরামের চরিত্রে পরিচালক তথা অভিনেতা দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ও ছিল আকর্ষণীয়। কাঙাল হরিনাথের চরিত্রে অশোক দাসের অভিনয় সাবলীল। যোগ্য সহযোগিতা করেছে বাবলু নস্করের মঞ্চ ভাবনা। আবহ প্রক্ষেপণে ছিলেন ধ্রুব দাস। সৈকত মান্নার আলোক ভাবনা নাটককে আকর্ষণীয় রূপ দেয়।
মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করে জাতের স্বার্থ রক্ষা হয় না। এই নাটক সেই সত্যকেই ফের প্রতিষ্ঠিত করে জীবনদর্শনের গানের মধ্যে দিয়ে।