যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখা উপন্যাস থেকে নাট্যরূপ দিয়েছেন মৈনাক সেনগুপ্ত। বাঁশদ্রোনী কথামৃত প্রযোজিত এই নাটকে বর্তমান সময়ের এক সাধারণ সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে। চার দেওয়ালের অন্তরালে যে যন্ত্রণার আগুনে পুড়ছে কোনও না কোনও মানুষ। চৈতি তার মেয়ে বুম্বাকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকে। স্বামী সুমনের সঙ্গে সংসারের আয়ু বছর দু’য়েক। সন্তানসম্ভবা চৈতি তার নিজের বাড়িতে আসার পরে আর ফিরে যায়নি সুমনের কাছে। কীসের সমস্যা? সুমনের অর্থ, প্রতিপত্তির তো অভাব নেই। কিন্তু সুখ? সেটাই তো আসল প্রশ্ন। চারিত্রিক ভাবে দু’জন আলাদা। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রয়োজনীয় আপসটুকু কেউ করতে পারল না!
নাটকে বহু চরিত্রের আগমন ঘটেছে। টুকরো টুকরো ঘটনায় আসলে বর্তমান সময়ের ঘটনাপ্রবাহকেই ধরেছেন পরিচালক। চৈতির চরিত্রে বিন্দিয়া ঘোষ ও সুমনের চরিত্রে শক্তি দে অনবদ্য অভিনয় করেছেন। চৈতির বাবা সুধাংশুর চরিত্রে অশোক মুখোপাধ্যায়, ভাই লাল্টুর চরিত্রে কৌশিক দাসের অভিনয় বেশ ভালো। এছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে মৌসুমি চক্রবর্তী, শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য, বর্ণালী নাথ, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, জয়ন্ত ভট্টাচার্য যথাযথ। বুম্বার চরিত্রে ছোট্ট ধানসিঁড়ি ভট্টাচার্যকে পরিচালক সুন্দর ব্যবহার করেছেন। বিশ্বজিৎ দাসের আবহ ও মনোজ প্রসাদের আলোয় নাটকের সুর এক তারে বাঁধা হয়েছে দারুণ ভাবে। এই নাটক সম্পর্কের সমীকরণকে আবার নতুন করে ভাবতে শেখায়।