শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ
কোচবিহার রামভোলা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তপনকুমার দাস বলেন, যে সময় বেসরকারি বিদ্যালয়ের রমরমা চলছে সেই সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের স্কুলের ছাত্র সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বর্তমানে ছাত্র সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। ছাত্রদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলো সহ সার্বিক বিকাশের সুযোগ যাতে তারা পায় তার সব ব্যবস্থাই এখানে রয়েছে। যারাই এখানে আসে তারা যাতে প্রকৃত মানুষ হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তবে স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম রয়েছে।
স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি রাহুল রায় বলেন, শুধুমাত্র পড়াশোনা একটা বিদ্যালয়ের একমাত্র কাজ হতে পারে না। সাংস্কৃতিক চর্চা, ক্রীড়া, শৃঙ্খলাবোধ, শিষ্টাচার, অনুশাসন সমস্ত আঙ্গিক মিলিয়ে সবদিক দিয়ে ছাত্রদের সুনাগরিক হওয়া প্রয়োজন। আমরা সমান গুরুত্ব দিয়ে ছাত্রদের সেই সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করি। স্কুলের সপ্তম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি এবং অষ্টম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে প্রথম স্থান পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে যথাক্রমে প্রতুলকুমার দেবনাথ ও সিঞ্চন দেব। তারা দু’জন এখনই জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেলেছে। দু’জনেই বিজ্ঞানী হতে চায়। ক্লাসে প্রথম হয়ে পঞ্চম শ্রেণি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে কোরক মজুমদার।
এখন থেকেই স্কুলের শিক্ষকরা ভবিষ্যতের এই কৃতী ছাত্রদের যত্ন নিয়ে তৈরি করছেন। যাতে আগামী দিনে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তারা ভালো ফল করতে পারে।
২০২৪ সালে রামভোলা হাইস্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম হয়েছিল। সব বিষয়ে তার পারদর্শিতা সেই সময়েই সকলের নজরে এসেছিল। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও সে এই স্কুলেই পড়াশোনা করছে। ২০২৩ সালে এই স্কুল থেকেই মাধ্যমিকে রাজ্যে সপ্তম ও নবম স্থান অধিকার করেছিল দুই ছাত্র। উচ্চ মাধ্যমিকে কৌশিক দাস রাজ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছিল। এই স্কুলের ছাত্র পুষ্পমপ্রিয়ম দাস বছর কয়েক আগে মেডিক্যালের জয়েন্ট এন্ট্রাসে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল।
এই স্কুলের কৃতী প্রাক্তনীদের তালিকাও বেশ দীর্ঘ। প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কোচবিহার পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এই স্কুলেরই ছাত্র ছিলেন। বর্তমানে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অভিজিৎ দে ভৌমিক এই স্কুলের ছাত্র। কৃতী ছাত্র সর্বজিৎ রক্ষিত বিজ্ঞানী হিসেবে কলম্বোতে কর্মরত। পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবল, বাস্কেটবল, ক্রিকেট, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন প্রভৃতি ইন্ডোর, আউটডোর সমস্ত রকম খেলাধুলোর ব্যবস্থাই স্কুলে রয়েছে। স্কুল ভবনের সামনে রয়েছে বিরাট মাঠ। সেখানেই পড়ুয়ারা খেলাধুলো করে। বিরাট ও বেশ উন্নতমানের ল্যাবরেটরি, বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সরস্বতী পুজো প্রভৃতি হয়। নিউট্রেশন, এডুকেশন, পরিবেশবিদ্যার মতো বিষয় এখানে রয়েছে। জেলা শিল্পকলা উৎসবে নৃত্যে প্রথম হয়ে রাজ্যস্তরে যাওয়ার পাশাপাশি, যুব কল্যাণ দপ্তর আয়োজিত ইয়ুথ সায়েন্সের জুনিয়র স্তরে দু’জন স্কুল ছাত্র জেলায় প্রথম হয়ে রাজ্যস্তরে অংশগ্রহণ করেছিল।