Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

জুতোর ওপর ভরসা নেই
সঞ্জীবকুমার দে

এটা কেমন বিজ্ঞপ্তি! কাচের পাল্লা ঠেলে ভেতরে প্রবেশের মুখে বড় বড় অক্ষরে লেখা স্টিকার দেখে মনে একটা বড় রকমের ধাক্কা খেলেন বটুবাবু। এত হাইফাই চোখের ক্লিনিক! মস্ত এলাকা ঘিরে বাগ-বাগিচা নিয়ে মাঝখানে এমন ঝা-চকচকে বিল্ডিং! অথচ বিল্ডিংয়ের ভেতরে জুতো রাখার বন্দোবস্ত নেই?
দেখলেন, কয়েক ধাপ সিঁড়ি, তার আগে মোটা কুশনের মস্ত এক পাপোশ। সিঁড়ির ধাপে, পাপোশের এপাশে ওপাশে অজস্র জুতো-চপ্পল রাখা। বাধ্য হয়ে চপ্পল খুলে সিঁড়িতে পা রেখেছেন কি রাখেননি, দরজা ঠেলে বাইরে বেরিয়েই হাঁ হাঁ করে উঠলেন এক ভদ্রলোক— ‘আরে দাদা, করেন কী! করেন কী!’
বটুবাবু থমকালেন। লোকটি সম্ভবত তাঁরই মতো, চোখ দেখাতে এসেছিলেন মনে হয়। কাজ হয়ে গেছে, বেরিয়ে আসছেন। 
নিজের জুতোয় পা গলাতে গলাতে বলেন ভদ্রলোক— ‘এখানে মোটেই দু-পায়ের জুতো খুলে রাখবেন না দাদা! প্রচুর জুতো চুরি হয়। সাধ করে কি ওই নোটিস ঝুলিয়েছে?’
বটুবাব অস্ফুটে প্রশ্ন করলেন- ‘তবে?’
‘আসুন আমার সঙ্গে—।’ বলেই খপ্ করে তাঁর হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে চললেন ভদ্রলোক, যেদিক দিয়ে বটুবাবু ভেতরে প্রবেশ করেছেন সেই দিকে। যেতে যেতে বটুবাবু লক্ষ করলেন ভদ্রলোকের এক পায়ে জুতো, এক পা খালি।
নুড়ি বিছানো পথ, ধারে রেলিং ঘেরা কেয়ারি করা বাগান। কিছুটা গিয়ে রেলিংয়ের ফাঁকে হাত গলিয়ে একটা গাছের আড়াল থেকে আরেক পাটি জুতো বের করলেন ভদ্রলোক। আকর্ণ হেসে জানতে চাইলেন— ‘কী, কেমন বুদ্ধির  কাজ করেছি? জুতো রাখবেন এভাবে। একপাটি উধার। একপাটি ইধার। নিন, একপাটি রাখুন এখানে।’
যন্ত্রচালিতের মতো বটুবাবু একপাটি গাছের আড়ালে সেঁধিয়ে দিলেন। 
বেরিয়ে যাচ্ছিল লোকটা। বটুবাবু থামালেন— ‘তা দাদা, এরা চোখ কেমন দেখে? মানে আপনার অভিজ্ঞতা কী?’
‘ভালো! বেশ ভালো। আমি তো পাওয়ার চেক করালাম। ফিস মাত্র একশো টাকা নিল। কিন্তু দেখলাম, চশমা করাতে গেলে চার্জ অনেক বেশি।’
‘আমিও পাওয়ারটাই দেখাব বলে এসেছি। অনেকেই বলছে খুব ভালো চেক করে।’
‘আসলে এটা তো আই হসপিটাল! অপারেশন-টপারেশন সবই হয়। একটা বড় হাসপাতালের শাখা বলতে পারেন। কিন্তু ওই, জুতো ভিতরে রাখতে দেবে না! আর তাই বড় জুতো চুরি হয় মশাই!’
লোকটির বোধহয় তাড়া ছিল। ছটফটিয়ে চলে গেলেন। যাইহোক, মনে ভরসা নিয়ে দরজার বাইরে আরও একপাটি চপ্পল খুলে বটুবাবু ভিতরে প্রবেশ করলেন।
চোখ দেখিয়ে, চশমার বিভাগে কথা বলে সন্তুষ্ট হয়ে চশমার অর্ডার দিয়ে খুশি মনে বটুবাবু বাইরে এলেন। অনেক জুতোর ভিড়ে তাঁর একপাটি চপ্পল খোঁজ করতে গিয়ে গলদঘর্ম হয়ে গেলেন। পাচ্ছেন না! ধাঁধা লেগে যাচ্ছে। মিনিট পাঁচেক চেষ্টার পর মনে হল আরেক পাটি যেখানে রেখে এসেছেন সেটা পরে এসে খুঁজলে মিলিয়ে পাওয়া সহজ হবে! সেদিকে হাঁটা দিলেন।
সেই গোপন স্থানে হাত গলিয়ে ভীষণ চমক খেলেন বটুবাবু। এটা কীভাবে সম্ভব? একটা নয়, এখানে রয়েছে দু’পাটিই! তাজ্জব!
বাইরে বের করে এনে ভালো করে মেলালেন বটুবাবু। নাহ, কোনও ভুল নেই। পায়ে গলালেন। অনুভবে নিশ্চিত হলেন, তাঁর জুতো জোড়াই! 
বাগান পেরিয়ে গেটের বাইরে বেরতে যাচ্ছেন, দাঁত বের করে মুখোমুখি দাঁড়াল এক চোয়াড়ে মতো ছোকড়া, ‘আপনার চটি দুটো পেয়েছেন তো জেঠু? আমি গুছিয়ে রেখেছিলাম।’
বটুবাবু থতমত। কী বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না। আমতা আমতা করে শুধালেন— ‘তুমি কে বাবা?’
‘আমি মুস্কান। জুতো চোর।’
হাঁ হয়ে যান বটুবাবু। বলে কী! অবলীলায় একটা ছেলে দাঁড়িয়ে বলছে সে জুতো চোর?
‘অবাক হচ্ছেন তো জেঠু? অবাক হওয়ার কিছু নেই। কত লোক কত কিছু চুরি করে। আমি জুতো চুরি করি। এটা আমার ব্যবসা! এই ক্লিনিকে আমি পষ্ট বলে দিয়েছি, যদি জুতো চুরিতে বাধা দেবে তো অন্য কিছু চুরি করব। ব্যস, ভড়কে গেছে! রাস্তা সাফ।’
‘কিন্তু এতে তো ক্লিনিকের বদনাম হবে বাবা!’ এবার বটুবাবুর কথা ফোটে।
‘তা কেন? আমি কি আর সব জুতো চুরি করে নিচ্ছি? সব জুতো কি চুরি করার মতো? এই যে, যে লোকটা আপনাকে নিয়ে গিয়ে জুতো রাখাল, ওর জুতো চুরি করে পোষালে কি আমি ছেড়ে দিতাম? হাঁ, জুতা হল আপনারটা! ভালো কোম্পানির জুতো, ভালো দোকানের জুতো!’
বটুবাবু একবার নিজের পায়ের দিকে তাকালেন। ‘আমারটা তবে ছেড়ে দিলে কেন বাবা?’
আপনি তো টর্পেডোদা’-বুলেটদা’-রকেটদা’র বাবা! আমি আপনাকে চিনি। খুব ভালো লোক। সাদাসিধে মানুষ। আপনার নানারকমের ঘটনা নিয়ে একটা বইও আছে। আমার পরিবারের সবাই পড়েছে। আপনার জুতা চুরি করব? তাই করলাম না।’
‘তুমি আমার ছেলেদের চেনো?’
‘চিনি, কিন্তু কথা হয় না। ওনারা আমাকে চেনেন না।’ 
এবার ক্রমে ক্রমে বটুবাবু ধাতস্থ হচ্ছেন। জিজ্ঞাসা করে বসলেন— ‘আচ্ছা, আমি তো তোমাকে ত্রিসীমানায় কোথাও দেখিনি। তুমি কী করে এতসব লক্ষ করলে? কখন করলে?’
এই বাগ-বাগিচা ঘিরে আমার নজরদারি চলে জেঠু। ওদের যেমন ক্যামেরা আছে, আমারও তো কিছু আছে, নাকি?’ বলেই প্রসঙ্গ পরিবর্তন করলো মুস্কান নামের চোয়াড়ে- ‘তা, চোখের কী সমস্যা হল জেঠু? চোখ দেখালেন?’
‘ওই পাওয়ারের রুটিন চেক আপ আর কি! পাওয়ার বেড়েছে। চশমাও করতে দিলাম। বুধবার আসতে বলল।’ 
‘বেশ, আবার আসবেন। দেখা হবে জেঠু।’ ছেলেটি চলে যেতে উদ্যত।
পিছু ডেকে দাঁড় করালেন বটুবাবু- ‘একটা কথা ছিল বাবা!’
‘কী কথা, বলুন জেঠু—’
‘তুমি যদি আমার সব কথা জানো তো এটাও তো জানো বাবা, আমার নানারকম ভালোমানুষি নিয়ে সবাই হাসাহাসি করে। খুব বেশি করে তোমার জেঠিমা। আমাকে খুব ঠোকা দিয়ে কথা বলে। এই যে, ধর এই আজকের কথা, বাড়িতে বলব, তো কেউ বিশ্বাসই করবে না!’
‘একথা বাড়িতে বলবেন জেঠু?’
‘কী বল, বলব না! এই যে তোমার কত দক্ষতা, আবার আমার প্রতি এই যে মায়া! বলার কথা নয়?’
ছেলেটি একটু চুপ করে থাকে। তারপর জানতে চায়, ‘আমাকে কী করতে হবে জেঠু?’
‘আমি যেদিন চশমা নিতে আসবো, তোমার জেঠিমাকে নিয়ে আসব চোখ দেখাতে। সেদিন ওর জুতো জোড়া গায়েব করে দিতে হবে বাবা! ওকে আমি খালি পায়ে হাঁটিয়ে বাড়ি নিয়ে যাব।’
হেসে ফেলল চোয়াড়ে। জিভ কেটে বলল- ‘এ কী বলছেন জেঠু! জেঠিমার জুতো চুরি করব?’
‘হ্যাঁ বাবা, করতে হবে। তবেই তো পালটা কথা শোনাতে পারব আমি। ঠোকা দিয়ে ঠোকা দেওয়া বন্ধ করতে পারব।’
হাসতে হাসতে বলল চোয়াড়ে- ‘বেশ, তাই হবে। তবে ওনাকে হাঁটিয়ে নিয়ে যাবেন না কিন্তু। রিকশয় নিয়ে যাবেন।’
‘রিকশ ওকে নেয় না রে বাবা, এত মোটা মানুষ, তায় সঙ্গে আমি! দু’জন! টোটোয় চাপিয়ে নিয়ে যাব। আর বাড়ি নয়, জুতোর দোকান। জুতো কিনে তারপর ঢুকব। আগের জুতো তুমি নিও। তবু ওকে জব্দ করা চাই।’
‘বেশ।’ রাজি হল মুস্কান, ‘তবে বুধবার বললেন তো!’
‘হ্যাঁ,  আগামী পরশু বুধবার।’ বটুবাবু উৎসাহিত। ফুটছেন।
বুধবার, ক্লিনিক থেকে বেরিয়ে দারুণ খুশি বটুবাবু। কথা রেখেছে মুস্কান। বিন্দুবাসিনীর চপ্পল গায়েব! তবুও দু-চার মিনিট খোঁজাখুঁজির একটা নিপাট অভিনয় করলেন। 
পাওয়া গেল না দেখে ঝাঁঝিয়ে উঠলেন বিন্দুবাসিনী- ‘তোমার চটি নেয়নি মুখপোড়া চোরেরা, আমারটাই পছন্দ হল?’
পালটা দিলেন বটুবাবু, ‘হবে না? সাফসুতরো ঝকঝকে তকতকে দেখেছে, নিয়ে গেছে! তিন বছর আগে কেনা! চপ্পল পায়ে দাও তুমি? দিলে ড্যামেজ হতো, চোখও পড়ত না।’
‘আমি কোথায় বেরই যে চপ্পল ড্যামেজ হবে? এই তো কতমাস পর বাড়ির বাইরে পা দিলাম। প্রয়োজন পড়ে না, বেরই না। তোমার মতো? রিটায়ার্ড লাইফ! আরাম কর, তা না শুধু টো টো করে ঘোর!’
‘আমি প্রয়োজন ছাড়া ঘুরি না।’
‘এই তো আমাকে খামোখা এখানে টেনে আনলে! আমার চোখের পাওয়ার আন-চেঞ্জ! চশমাও বদলাতে হল না! তোমার দরকার তুমি বেরোও। মাঝখান থেকে চপ্পল জোড়া গেল!’
‘আরে বাবা, চেক না করালে বোঝা যেত তোমার পাওয়ার আন-চেঞ্জ? মাঝে মাঝে তো দেখে নেওয়া দরকার!’
‘আমার তো কোনও অসুবিধা ছিল না!’ বলতে বলতে নুড়ি পাথর বিছানো পথে পা রাখলেন বিন্দুবাসিনী। এক পা দু-পা করে হাঁটতে থাকলেন। অস্ফুটে মুখ থেকে বেরিয়ে এল- ‘আঃ কী আরাম!’
বটুবাবু বেকুব। তবে কি তাঁর পরিকল্পনা মাঠে মারা গেল!
বিন্দুবাসিনী প্রসন্ন— ‘এমন পথে হেঁটেও সুখ! এমন রাস্তা পেলে আমি রোজ হাঁটতাম। চটি চুরি না হলে কি এই সুখ বুঝতে পারতাম? যে চটি চুরি করেছিস, বেশ করেছিস বাবা! বেঁচে থাক!’ 
বটুবাবু এদিক ওদিক দেখছেন। মুস্কান কি দেখছে? না দেখুক, শুনছে কি এসব?
সবেরই তো শেষ আছে। বিন্দুবাসিনীর হাঁটা পর্বও শেষ হল একসময়। বটুবাবু টোটো ডাকলেন। হুকুম করলেন- ‘হরগঞ্জ বাজার।’ ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও নামল এইসময়।
অরবিন্দ রোডে প্রিন্স নামের দোকানের সামনে টোটো থামাতে বললেন। নিজে নেমে, বিন্দুবাসিনীকে নামাতে নামাতে বেশ ভিজে গেলেন দু’জন। এরপর রেলিং ঘেরা ফুটপাতের খোলা অংশ খুঁজে দোকানে পৌঁছতে ভিজে গেলেন আরও কিছুটা। ভিজল বটুবাবুর চপ্পলও। তাই দোকানে ঢুকতে যেতেই ‘জুতো খুলে, জুতো খুলে’ বলে দৌড়ে এল এক ছোকরা সেলসম্যান।
বটুবাবু সংকুচিত। একজনের পায়ে জুতো, অন্যজনের পা নিরাভরণ। যার পা নিরাভরণ, তিনি নিঃসঙ্কোচে পাপোশে পা মুছে দোকানে ঢুকে গেলেন। বটুবাবুও স্ত্রীকে অনুসরণ করলেন। 
পছন্দের ব্যাপারে বিন্দুবাসিনী বরাবরই উদাসীন। যা হোক কিছু হলেই হল। তিনি সাদামাটা চপ্পলই চাইছিলেন। বটুবাবু বললেন- ‘তুমি তো নতুন চশমা নিতে চাইলে না। শ’ছয়েক টাকা বরাদ্দ ছিল। তবে দামি চপ্পল নিতে আপত্তি কী?’ বলে নতুন চশমা চোখে এঁটে গিন্নির হাল ফ্যাশনের একজোড়া চপ্পল পছন্দ করে কিনে দিলেন।
চপ্পল সরাসরি বটুগিন্নির পায়ে। বটুবাবু বললেন, ‘বাক্সের দরকার নেই।’ 
এখানেও মতের অমিল। বিন্দুবাসিনী বললেন, ‘দরকার আছে। ফাঁকা বাক্সই হাতে নাও।’
দরজা ঠেলে দোকানের বাইরে এলেন দু’জনে। বৃষ্টি থেমেছে। কিন্তু বটুবাবুর ছেড়ে রাখা চপ্পলকে ঝুপ্পুস ভিজিয়ে দিয়ে গেছে। চপ্পলে পা গলাতে যাচ্ছেন, হাঁ হাঁ করে উঠলেন বিন্দুবাসিনী- ‘চামড়ার জুতো! অ্যাত্তো ভিজেছে এখন পড়ে হাঁটলেই সল্যুশন খুলে যাবে।’
বটুবাবু থমকালেন।
পিছনে দাঁড়ানো সেলসম্যান ছোকরাকে হুকুম করলেন বটুগিন্নি- ‘অ্যাই খোকা, তোমার জন্যই তো এই দশা হল! দাও, চপ্পল জোড়া এই বাক্সে ভরে দাও।’
ভেজা চপ্পল ভরা বাক্স বয়ে ফুটপাথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে বটুবাবু ভাবতে থাকেন— তাঁর কপালটাই এমন! বিড়ম্বনা কখনও তাঁর পিছু ছাড়ে না। কাকে খালি পায়ে হাঁটিয়ে বাড়িতে ঢোকাবেন ভেবেছিলেন, আর এখন কে ঢুকবে!
03rd  November, 2024
কম্পিউটারের ঊষাকাল

আগামী কাল অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর বিশ্ব কম্পিউটার সাক্ষরতা দিবস। কম্পিউটার ছাড়া এখন গোটা বিশ্ব অচল। চার্লস ব্যাবেজের হাত ধরে কীভাবে এল এই বিস্ময়কর যন্ত্র, জানালেন মৃণালকান্তি দাস।
বিশদ

01st  December, 2024
অঙ্ক কষে বলে দাও বন্ধুর বয়স 
স্বরূপ কুলভী

অঙ্ক মানে সংখ্যার খেলা। যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগের মধ্যে হাজার মজা লুকিয়ে রয়েছে। শুধু শিখে নিতে হয়। খুঁজে নিতে হয়। আর এই মজার মধ্যেই রয়েছে অঙ্কের ম্যাজিক। আজ এমনই একটা ম্যাজিক শিখে নেব। আর এটা একেবারেই যোগ, গুণ, বিয়োগ। বিশদ

01st  December, 2024
পরীক্ষা প্রস্তুতি

সামনেই বার্ষিক পরীক্ষা। এখন শেষ মুহূর্তের পড়া ঝালিয়ে নেওয়ার সময়। কেমন চলছে পরীক্ষার প্রস্তুতি, জানাল কলকাতার ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনের ছাত্রীরা। বিশদ

24th  November, 2024
অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারক

ছোট্ট ছেলেটা মুদির দোকানে কাজ করে। কয়েক বছর আগে বাবাকে চিরতরে হারিয়েছে সে। ‌বাড়িতে রোজগেরে বলতে তেমন কেউই নেই। অভাব নিত্য সঙ্গী। অগত্যা নিয়তির পরিহাসেই স্কুলের গণ্ডিটা আর পেরনো হল না। বিশদ

24th  November, 2024
ডাবের খোলায় ফুলের টব

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

24th  November, 2024
মাকড়সার জাল

মাকড়সার জাল কে না দেখেছে। বাড়ির আনাচে-কানাচে, বাগানে সর্বত্রই এই জাল আমরা দেখতে পাই। খুব ভালো করে লক্ষ্য করলে এর নিখুঁত বুনোট আমাদের তাক লাগিয়ে দেয়। প্রাণীজগতের অতি আশ্চর্য শিল্পকর্ম হল এই মাকড়সার জাল।
বিশদ

17th  November, 2024
রহস্যঘেরা দ্বীপ

আন্দামানের নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপে আজও পৌঁছয়নি সভ্যতার আলো। রহস্যঘেরা সেই দ্বীপের কথা লিখেছেন অনির্বাণ রক্ষিত।
বিশদ

17th  November, 2024
চাঁদের মাটি  ফিরবে ভারতে

চন্দ্রযান-৩-এর অভাবনীয় সাফল্যের পর এবার ভারতের পাখির চোখ চন্দ্রযান-৪। এই মিশনের অন্যতম লক্ষ্য চাঁদের মাটিতে জল আছে কি না জানা। ভারতের চতুর্থ চন্দ্র অভিযানের খুঁটিনাটি জানালেন কল্যাণকুমার দে।
বিশদ

17th  November, 2024
শিশুদের জন্য চাচা নেহরুর চার মন্ত্র

আগামী বৃহস্পতিবার শিশু দিবস। জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে পালিত হয় এই দিনটি। শিশুদের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা তুলে ধরলেন সন্দীপন বিশ্বাস বিশদ

10th  November, 2024
গ্ল্যাডিয়েটরদের লড়াইয়ের কথা

রোমান সভ্যতায় দেখা মেলে বহু বিখ্যাত যোদ্ধার। তেমনই একজন ছিলেন স্পার্টাকাস। সেইসব সাহসী যোদ্ধাদের লড়াইয়ের গল্প বললেন কালীপদ চক্রবর্তী বিশদ

10th  November, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মহামঞ্চ

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। এবারের বিষয় তুলসীর মহামঞ্চ। এমন সব হাতের কাজ শেখানো হচ্ছে, যা কিশোর-কিশোরীরা অনায়াসেই বাড়িতে বসে তৈরি করতে পারবে। বিশদ

10th  November, 2024
ঘূর্ণিঝড় কীভাবে তৈরি হয়?
স্বরূপ কুলভী

এই তো কয়েকদিন আগেই সবার মুখে ছিল একটাই কথা। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। শেষ পর্যন্ত ও঩ড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ডানা।
বিশদ

03rd  November, 2024
আশ্চর্য দুই ডাকঘর
শান্তনু দত্ত

ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই ডাকঘরে গিয়েছ। দূরে কোথাও চিঠি অথবা জিনিস পাঠানো কিংবা টাকা জমা দেওয়া বা তোলা—  কতরকম কাজ হয় সেখানে।
বিশদ

03rd  November, 2024
দীপাবলির আনন্দ

আগামী বৃহস্পতিবার কালীপুজো। দীপাবলি মানেই আলো আর বাজির রোশনাই। কেমনভাবে কাটবে কালীপুজো, জানাল পুরুলিয়ার খুদিবাঁধ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বিশদ

27th  October, 2024
একনজরে
শীতেও মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গুর চোখরাঙানি অব্যাহত। রাজ্যের মধ্যে আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে এই জেলা। এখনও দৈনিক কুড়িজনের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন করে ২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। ...

মাসকয়েক আগেই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‌্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের (এনআইআরএফ) তালিকায় দেশের প্রথম ২০টি মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে বাংলার কোনও মডার্ন মেডিসিনের মেডিক্যাল কলেজের নাম ছিল না। ...

‘ব্রেইন রট’। এই শব্দ বন্ধনীই জিতে নিল অক্সফোর্ডের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার ২০২৪’-এর শিরোপা। কিন্তু, কী এর অর্থ? কেনই বা এই শিরোপা পেল ১৮৫৪ সালে প্রথম রেকর্ড করা এই শব্দ? ...

বিদেশে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে সাইবার প্রতারণা। কম্পিউটার হ্যাক করে বদলে দেওয়া হচ্ছে ই-প্রেসক্রিপশনের ওষুধ। এর জেরে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। সুতরাং হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ১৭/৪৮ দিবা ১২/৫০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ২৮/২০ সন্ধ্যা ৫/২৭। সূর্যোদয় ৬/৬/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ১/১৪ গতে ২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১/৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১১/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/১৩। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/২৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/৯ মধ্যে। কালবেলা ২/৮ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৮ গতে ১/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
থানের আনন্দ দিঘে মঠ দর্শন করলেন মহারাষ্ট্রের নতুন উপ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে

10:34:00 PM

শান্তিপুরে ফেরিঘাটে দুর্ঘটনা: ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশির সময় নৃসিংহপুর ঘাটের পাশে ডুবন্ত লরির নীচ থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ

10:19:00 PM

ভুবনেশ্বরে জুডিশিয়াল কোর্ট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

10:10:00 PM

হায়দরাবাদে আটক হওয়া বিআরএস নেতা হরিশ রাওকে মুক্তি দিল গাচিবোলি থানার পুলিস

10:04:00 PM

আটক বিধায়ক কৌশিক রেড্ডি, তেলেঙ্গানার বাঞ্জারা হিলস পুলিস স্টেশনে গেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা

09:53:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, ৯০ মিনিট শেষে ওড়িশা ০-মুম্বই সিটি ০

09:36:00 PM