উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ
বাবা তো রেগে আগুন: সন্দীপ রায়
সোনার কেল্লার রাজস্থানের শ্যুটিং পর্বটা ছিল একটা আস্ত অ্যাডভেঞ্চার। সেটার অভিজ্ঞতা নিয়েই একটা পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি বানানো যায়। শিল্পী, কলাকুশলী মিলিয়ে আমরা প্রায় পঁয়ত্রিশজন একটা গোটা বগিকে ঘর-বাড়ি বানিয়ে রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর ঘোরাঘুরি করে কুড়ি-বাইশ দিন ধরে শ্যুটিং করেছিলাম। ওই বগিটা বিভিন্ন ট্রেনে জুড়ে দেওয়া হতো। সে এক দুর্দান্ত মজার সফর। সিনেমায় গল্প যেভাবে এগিয়েছে ঠিক সেই রুট ধরেই শ্যুটিং হয়েছিল। আমরা শুরু করেছিলাম দিল্লি থেকে। লালকেল্লার সামনে শ্যুটিং সেরে গেলাম জয়পুরে। সেখানে নাহারগড় কেল্লায় আসল ডঃ হাজরাকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার দৃশ্যটা তোলা হয়েছিল। তারপরে আমরা গেলাম যোধপুর। সেখান থেকে জয়সলমির। ওখান থেকে বিকানির। তারপর আবার জয়সলমির ফিরে এসে শ্যুটিং শেষ করে যোধপুরে ফিরে এলাম। ওখান থেকে দিল্লির ট্রেন ধরা হল। সেখান থেকে কলকাতা। বাবা খুব সুন্দর পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। ফলে আমরা নির্ধারিত দিনের মধ্যেই শ্যুটিং শেষ করতে পেরেছিলাম। এই ব্যাপারে আরও একজনকে কৃতিত্ব দিতেই হবে, তিনি আমাদের প্রোডাকশন কন্ট্রোলার অনিল চৌধুরী। আমরা যেখানে শ্যুটিং করব, উনি তার আগের দিন সেখানে পৌঁছে গিয়ে সমস্ত কিছু রেডি করে রাখতেন। উট জোগাড় করতে সমস্যা হয়নি। সমস্যা হয়েছিল ফেলুদা, তোপসে ও জটায়ুকে উঠের পিঠে চড়িয়ে শ্যুটিং করার সময়। ওই ট্রেনকে ধাওয়া করার দৃশ্যটা তোলা খুব ঝামেলার ব্যাপার ছিল। এমন একটা লোকেশন খুঁজে বের করতে হয়েছিল, যাতে একটা ফ্রেমেই ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটে আসছে গোটা ট্রেন, সেই ট্রেনকে ধরার জন্য সওয়ারি নিয়ে বালির উপর দিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে চারটে উট দৌড়চ্ছে— সব একসঙ্গে ঠিকঠাক ধরা যায়। আবার পাশে পিচের রাস্তাও থাকতে হবে। যাতে শটটা তোলার সময় ক্যামেরা না নড়ে। অনেকটা জায়গা জুড়ে লম্বা শট। অত বড় তো ট্রলি পাতা মুশকিল। অনেক ভেবেচিন্তে বুদ্ধি করে একটা জিপ গাড়িতে ক্যামেরা বসানো হল। ঠিক হল ক্যামেরা সহ চার-পাঁচজন জিপে থাকবেন। আর সেটাকে আর কয়েকজন ঠেলবে। কারণ না হলে ট্রেন, উট এদের গতির সঙ্গে জিপ গাড়ির গতি মিলবে না। সব রেডি। এদিকে ট্রেন আর আসে না। বেলা পড়ে যাচ্ছে। তখন তো এখনকার মতো যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। ধু ধু মরুভূমির মধ্যে কোথায় ফোন, কোথায় দৌড়ে গিয়ে খোঁজ নেবার উপায়। যাইহোক, সেই ট্রেন তো অবশেষে এল। কিন্তু ট্রেনের কর্মীরা শ্যুটিং দেখতে এতই ব্যস্ত যে, ইঞ্জিনে কয়লা ভরতেই ভুলে গেলেন। বাবা তো রেগে আগুন। ধোঁয়া না বেরলে শটটাই তো জমবে না। এদিকে আলো পড়ে আসছে। ফের ট্রেনটাকে ব্যাক করানো হল, কয়লা ভরা হল, ধোঁয়া ওড়ানো হল, তারপর সেই ঐতিহাসিক শটটা তোলা হল। একটা বাঁচোয়া, দৃশ্যটা এক শটেই ওকে হয়ে গিয়েছিল। আর একটা কঠিন দৃশ্য তোলা হয়েছিল মন্দার বোসের চলন্ত ট্রেনের রড ধরে এক কামরা থেকে আর এক কামরায় পালিয়ে যাওয়ার সময়। বাবা সোনার কেল্লায় দুটো অ্যারিফ্লেক্স ক্যামেরা ব্যবহার করেছিল। এক কামরা থেকে আর এক কামরায় যাওয়ার দৃশ্যটা তোলা হয়েছিল রামদেওরার কাছে লাঠি স্টেশনে। কারণ ওখানে মাল্টিপল লাইনস ছিল। একটা লাইনে ইনস্পেকশন ট্রলির উপর ক্যামেরা বসানো হল। আর একটা ক্যামেরা চলন্ত ট্রেনের ছাদে হাতে ধরে মুখটা নিচু করে রাখা হল। কামুকাকু (মুখোপাধ্যায়) ট্রেনটা দাঁড়ানো অবস্থায় একবার রিহার্সাল দিয়ে নিয়েছিলেন। রাত। ভয়ঙ্কর ঠান্ডা। শৈত্যপ্রবাহ চলছে। কামুকাকু ট্রেনের রড ধরতে গিয়ে কারেন্ট খাবার মতো ছিটকে উঠলেন। তবুও এই শটটাও একবারে উতরে গিয়েছিল। তার পেছনে ছিল কামুকাকুর সাহস আর জেদ। সব মিলিয়ে সোনার কেল্লার রাজস্থানের শ্যুটিং পর্ব আজীবন মনে রাখার মতো ও শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা ছিল। পঞ্চাশ বছর পরেও ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয়।
মুকুলকে নিয়ে ছবি করব: কুশল চক্রবর্তী
এখন তোমরা ছোটরা আমাদের ছোটবেলার চেয়ে অনেক স্মার্ট। তোমরা যতটা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে জানো, সত্যি বলছি আমি অতটা জানি না। ১৯৭৪ সালে, আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে আমার বয়স ছিল সাত। তখন আমাদের হাতের কাছে দু-একটা বই ছাড়া কিছুই ছিল না। আর এত ঢাকঢোল পিটিয়ে বিজ্ঞাপন বা প্রচারের প্রচলন ছিল না। তাই কে সত্যজিৎ রায়, তিনি কত বড় মাপের ব্যক্তিত্ব, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ই বা কত জনপ্রিয় নায়ক, সেই সম্বন্ধে আমার কোনও ধারণাই ছিল না। স্কুলেই ভর্তি হইনি তখন। এইটুকু মনে আছে সবাই মিলে দলবল বেঁধে রাজস্থানে যাওয়া হচ্ছে সিনেমার শ্যুটিং করতে। সঙ্গে বাবা গিয়েছিলেন। খুব ঠান্ডা তখন। আগে থেকে কোনও ওয়ার্কশপ বা রিহার্সাল কিচ্ছু হয়নি। শ্যুটিং স্পটে মানিকজেঠু (সত্যজিৎ রায়) যেমন যেমন বলতেন, ‘এদিকে তাকাও, ওদিকে দেখ, এই কথাটা এইভাবে বল,’ আমি ক্যামেরার সামনে তেমন তেমন করে যেতাম। উনি আমাকে দিয়ে কাজটা করিয়ে নিতেন আর কী। একটা জিনিস মনে আছে, মানিকজেঠু সবাইকে খুব এনকারেজ করতেন। কখনও কাউকে বকাঝকা করতেন না। আর খেয়াল রাখতেন কামুজেঠু। মানে মন্দার বোস। আমার ব্রেকফাস্টের ব্যবস্থা উনিই করতেন। আর খুব মজা করতেন। এমন অঙ্গভঙ্গি করতেন যে, না হেসে উপায় থাকত না। কামুজেঠু বিশেষ করে আমার আর তোপসেদা মানে সিদ্ধার্থদার খেয়াল রাখতেন। আগেই বলেছি, তখন আমার মাত্র সাত বছর বয়স। পঞ্চাশ বছর পর সেই দিনগুলোর ছবি অনেকটাই ঝাপসা হয়ে গিয়েছে। আমার একটাই আক্ষেপ— বড় হয়ে আর মানিকজেঠুর কোনও ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পাইনি। পারলে মানুষটাকে কাছ থেকে খানিকটা বোঝার সুযোগ পেতাম। ওই বয়সে উনি আমাকে কী বানিয়ে দিয়েছিলেন সেটা টের পেলাম ২০১৬ সালে সোনার কেল্লায় ‘ফেলুদা চল্লিশ’ করতে গিয়ে। কেল্লার বাসিন্দারা আমাকে নিয়ে কী করবে ভেবে উঠতে পারছেন না। আমাকে পাগড়ি পরিয়ে, মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দিলেন। যেন মুকুল বড় হয়ে ফিরে এসেছে তার নিজের জায়গায়।
এইরকম ভাবনা নিয়ে পরিচালক সায়ন্তন ঘোষালের ‘সোনার কেল্লায় যকের ধন’ ছবিতে আমাকে মুকুলের চরিত্রে অভিনয় করতে বলা হয়েছিল। আমি রাজি হইনি। কারণ, আমার স্বপ্ন, মুকুলকে নিয়ে আমি নিজে ছবি করব।
কাঁকড়াবিছেটা পায়ের পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে: সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়
সোনার কেল্লায় তোপসে সেজেছিলাম চোদ্দো বছর বয়সে। বাবা-মাকে ছেড়ে প্রথম একা রাজস্থানের মতো সুদূর এক জায়গায় সবাই দল বেঁধে শ্যুটিং করতে যাচ্ছি। অথচ শ্যুটিং কী জিনিস তখনও ভালো করে জানিই না। বড়দের সঙ্গে কলকাতার বাইরে ঘুরতে যাচ্ছি, ব্যাপারটা আমার কাছে দারুণ মজার ছিল। নিজেকে খুব স্বাধীন স্বাধীন মনে হচ্ছিল। প্রত্যাশার চাপ নেই। তাই গোটা শ্যুটিং পর্বটাই ছিল আমার কাছে খুব রোমাঞ্চকর। জীবনে প্রথম কেল্লা দেখেছি। মনে হতো যেন সবাই মিলে দূরে কোথাও পিকনিক করতে গিয়েছি।
কাঁকড়াবিছে
তখনকার দিনে শহিদ মিনারের লাগোয়া ময়দানে একটা মেলা বসত। সেখানে বিভিন্ন মানুষ নানা রকমের অদ্ভুত জিনিস বিক্রি করত। কেউ জ্যান্ত টিকটিকি, কেউ গিরগিটি, আরশোলা এইসব। একজন কাঁকড়াবিছেওয়ালার কাছে দুটো জ্যান্ত কাঁকড়াবিছে কেনা হয়েছিল। ওই দুটোকে রাজস্থানেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যে দৃশ্যটায় ফেলুদার বিছানায় কাঁকড়াবিছে দেখে আমি ‘ফেলুদা’ বলে চিৎকার করে উঠছি, সেটা টেক করা হয়েছিল ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে। তখন এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। কাঁকড়াবিছে ছাড়া অবস্থায় ফেলুদা বিছানায় শুলো। হঠাৎ লোডশেডিং। তখন শহরে যখন তখন লোডশেডিং হতো। ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে এমার্জেন্সি জেনারেটরেরও ব্যবস্থা ছিল না। গোটা ফ্লোর ঘুটঘুটে অন্ধকার। সৌমিত্রজেঠু তো এক লাফে ফ্লোরে বাইরে বেরিয়ে জ্যাকেট-ট্যাকেট ঝাড়াঝাড়ি শুরু করে দিয়েছেন। কিছুক্ষণ বাদে আলো আসার পর আর কাঁকড়াবিছেটাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাতে অনেকের সন্দেহ হল কাঁকড়াবিছেটা নির্ঘাত ফেলুদার জামাকাপড়ের মধ্যেই কোথাও লুকিয়ে আছে। জ্যাকেট, জামা সব খুলে সৌমিত্রজেঠু তিড়িংবিড়িং করে কিছুক্ষণ লাফালেন। হুলস্থুল কাণ্ড। শেষে কাঁকড়াবিছেটাকে পাওয়া গেল বিছানায় তোশকের তলায়। এইবার কে সেটাকে ধরবে? এখানেও উদ্ধারকর্তা কামুকাকু। হাত দিয়ে, হ্যাঁ স্রেফ খালি হাতে কাঁকড়াবিছেটাকে ধরে সেটাকে জায়গা মতো রেখে দিলেন। তারপর ফের শ্যুটিং চালু হল। এমন দুঃসাহস, ভাবা যায় না! আমি তো ভয়ে ঘামছি। কারণ, তারপরের শটেই কাঁকড়াবিছেটাকে আমায় পা দিয়ে পিষে মারতে হবে। কিন্তু শটে সেটা দেখানো হয়নি। অথচ আমি অভিনয় করে দেখাচ্ছি যে সেটাকে পা দিয়ে মারছি। আসল ঘটনা হল, কাঁকড়াবিছেটা তখনও আমার পায়ের পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তোমাদের গল্পের মতো করে বলছি, আর সেদিনের সেই শ্যুটিংয়ের ঘটনাটা ছবির মতো চোখের সামনে ভাসছে। পঞ্চাশ বছর পরেও সারা শরীরটা শিরশির করে উঠছে।
উট
উট অবশ্যই জটায়ুর ভাষায় একটা ‘ভয়ঙ্কর জানোয়ার’। অথচ ভয় পেয়েছি কিছুতেই বোঝানো যাবে না। কারণ, ক্যামেরার সামনে দেখাতে হবে আমি খুব সাহসী ও স্মার্ট। উল্টে উটের পিঠে লালমোহনবাবুকে ভয় পেতে দেখে সাহস বাড়ানোর জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। সত্যি কথা বলতে কী, ভয় আমারও করছিল। মাটি থেকে অত উঁচুতে চড়ে বসা। শরীরটাকে আগুপিছু করে উটের চলার সঙ্গে তাল মেলানো। সেইসঙ্গে সংলাপ বলা। পুরো ব্যাপারটাই ছিল ভয়ানক। প্রথম প্রথম আমারও গলা শুকিয়ে আসছিল। বুক ঢিপ ঢিপ করছিল। উটের পিঠে চড়তে হবে, মরুভূমির মধ্যে দিয়ে আমাদের পিঠে নিয়ে উট দৌড়বে, এসব জানা ছিল। কিন্তু সত্যি সত্যিই উটের পিঠে চড়লে কী হয়, সেটা তো জানা ছিল না। তবে ওই মানসিক প্রস্তুতিটা ছিল বলেই হয়তো কিছুক্ষণ যাওয়ার পর ভয়টা কেটে গেল।
মন্দার বোসের ডিম
মন্দার বোস মানে কামু মুখোপাধ্যায় গল্পে ভিলেন হলে কী হবে, এমনিতে দারুণ মজার মানুষ ছিলেন। আমার আর মুকুলের খুব খেয়াল রাখতেন। আর যত বিপজ্জনক কাজ, অবলীলায় করে দিতেন। শ্যুটিংয়ে উনি করতেন কী, মাঝপথে মরুভূমি বা ধু ধু রাস্তাঘাটে যদি খিদে পায়, সেই আশঙ্কায় ব্রেকফাস্টের সময়ই হোটেল থেকে জ্যাকেটের পকেটে বেশ কয়েকটা সেদ্ধ ডিম ভরে নিতেন। একটা, দুটো নয় বেশ কয়েকটা। নাহারগড় কেল্লায় একটা দৃশ্য ছিল, মন্দার বোস মুকুলকে বলছে, উট যদি তাদের ল্যাগব্যাগে ঠ্যাং দিয়ে পেটে মারে বলে যেই দু’পাশে পা ছুড়ে মারার ভঙ্গিটা দেখাচ্ছেন, তখন সিদ্ধ ডিমগুলো চেপটে থেঁতলে জ্যাকেট থেকে বেরিয়ে পড়ল অন ক্যামেরা। দেখে কামুকাকুকে মানিকজেঠুর এক ধমক, ‘তোমার পেটের ভেতর থেকে ওটা কী বেরচ্ছে কামু?’ কামুকাকু বেজায় অপ্রস্তুত। কাঁচুমাচু মুখে মাথা চুলকিয়ে বললেন, ‘না... মানে... মানিকদা...কয়েকটা ডিম সেদ্ধ নিয়ে এসেছিলাম।’ মানিকজেঠু বললেন, ‘এনেছ বেশ করেছ। তা জায়গা পেলে না রাখবার!’ আমি দেখছি আর হো হো করে হাসছি। গল্পের দুষ্টু লোক। মাথায় চকচকে টাক। বয়স্ক লোক বাচ্চাদের মতো জ্যাকেটে ডিম লুকিয়ে রাখার জন্য ডিরেক্টরের কাছে বকা খাচ্ছে, লজ্জা লজ্জা মুখে জ্যাকেট ফাঁকা করছে আর বিভিন্ন পকেট থেকে একটার পর একটা ডিম বেরিয়েই যাচ্ছে। সেই দেখে মানিকজেঠু থেকে শুরু করে সবাই হাসছেন।