উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ
প্রথমে এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেয় আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ষষ্ঠ অ্যাপোলো অভিযান থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলিকে একত্রিত করে চাঁদের মানচিত্র তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল। কাজটি ছিল অত্যন্ত দুরুহ ও বিরাট। ম্যাপ তৈরির কাজটি বিশদে করেছিল ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে, নাসা ও লুনার প্লানেটরি ইনস্টিটিউট। চাঁদের এই মানচিত্র ‘ইউনিফায়েড জিওলজিক ম্যাপ অব দ্য মুন’ নামে পরিচিত। বর্তমানে এই ম্যাপটি অনলাইনেও সহজে পাওয়া যায়। এটি থেকে চাঁদের ভূমির বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়, যার অনুপাত হল ১:৫,০০,০০০। দুই মেরু ও চাঁদের বিষুব অঞ্চলের পরিচ্ছন্ন মানচিত্র আঁকা সম্ভব হয়েছে। জাপানের এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি বা ‘জাকসা’ এই কাজটি সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করেছে। সমস্ত তথ্যগুলি হাতে আসতে বিজ্ঞানীদের প্রায় পাঁচ দশক অপেক্ষা করতে হয়েছে। তার ওপর দীর্ঘদিন ধরে দক্ষ বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে তৈরি করেছেন এই মানচিত্র। এই মানচিত্রের দৌলতে আগামী দিনের চন্দ্রাভিযান আরও সহজ হবে।
চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা অতি সম্প্রতি চাঁদের আরও নিখুঁত মানচিত্র প্রকাশ করেছে। এটি প্রকাশ করেছে চায়না অ্যাকাডেমি অব জিও সায়েন্সেস, চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব জিওলজিক্যাল সায়েন্স, সানডং ইউনিভার্সিটি ও জিও কেমিস্ট্রি ইনস্টিটিউ মিলিতভাবে। চীন প্রকাশিত চাঁদের এই মানচিত্রটি এখনও পর্যন্ত সর্বাপেক্ষা নিখুঁত একটি ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র। এই মানচিত্রটি ১:২,৫০০০০ স্কেলে করা হয়েছে। প্রায় এক দশক ধরে ১০০ জন চীনা বিজ্ঞানী গবেষণা করে এই মানচিত্রটি তৈরি করেছেন। ২০২০ সালের ৩০ মে এই মানচিত্রটি সায়েন্স বুলেটিনে প্রকাশিত হয়। মানচিত্রটির নাম রাখা হয় ‘দ্য জিওলজিক আটলাস অব দ্য লুনার গ্লোব’। ইংরেজি ও চীনা ভাষায় এই মানচিত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে। চাঙ্গি-১ চন্দ্রযানটি ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত চাঁদের মাটি পর্যবেক্ষণ করে নানা তথ্য পাঠায় চীনকে। পরবর্তীকালে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চাঁদের মাটি এবং সেখানকার ভূস্তর বিষয়ক অধ্যয়ন করে থাকে চাঙ্গি-৩ ও চাঙ্গি-৪ মহাকাশযান দু’টি। এছাড়াও ভারতের চন্দ্রায়ন-১, নাসার গ্রেইল ও লুনার রেকনিওসস অরবিটর থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলিও এই মানচিত্র নির্মাণে বিশেষ সাহায্য করেছিল। এই মানচিত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, চাঁদের বুকে প্রায় ২ হাজার ৩৪১টি ইম্প্যাক্ট ক্রেটার, ১২ হাজার ৩৪১টি গহ্বর, ১৭ ধরনের পাথর, ৮১টি উপত্যকা বর্তমান। ভবিষ্যতে চন্দ্রাভিযান আরও নিখুঁত করার জন্য এই মানচিত্র বিশেষ কার্যকর হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।