উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ
— ওদেরও কামড়ে প্রচুর জোর। প্রায় ৩৭০০ পিএসআই।
বিলু তড়িঘড়ি জানতে চায়, আর বাঘের?
—বলছি, বলছি। অনেক প্রাণীর কামড়ই বাঘ-সিংহের থেকে শক্তিশালী। কুমিরের তো জানলি। এবার জলহস্তীর কথাও ধরতে পারিস। ওরা মূলত তৃণভোজী। জলের গাছপালা খায় ওরা। কিন্তু ওদের কামড়ের জোরও ১৮০০ পিএসআই। বিড়াল গোত্রের প্রাণী জাগুয়ার। দেখতে অনেকটা চিতাবাঘের মতো। এদের কামড়ের জোর প্রায় ১৫০০ পিএসআই। বুল শার্ক, গরিলাদের কামড়ও ১৩০০ পিএসআইয়ের মতো। একটু থেমে মামা বলেন, এবার আসি বাঘ-সিংহের কথায়। আমাদের সুন্দরবনে রয়েছে কেঁদো বাঘ— রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। এদের সঙ্গে দৌড়ে পারবে না সিংহ। নিজের চেয়ে দ্বিগুণ ওজনের প্রাণীকেও ওরা শিকার করতে পারে। এই বাঘ তাদের থাবার জোরেই যেকোনও প্রাণীকে এক নিমেষে মেরে ফেলতে পারে। এদের কামড়ের শক্তি ১০০০ পিএসআই।
বিলু একটু হেসে তিতাসের দিকে চায়। তিতাস বলে, এবার তুমি সিংহেরটা বল। ওর মাথায় হাত বুলিয়ে মামা বলেন, প্রাণীজগতে সবচেয়ে বড় শিকারি বাঘ, চিতা, চিতাবাঘ, জাগুয়ারের মতো বিড়াল গোত্রীয় প্রাণী। তাদের মধ্যে রয়েছে সিংহও। একটা পূর্ণবয়স্ক পুরুষ সিংহের ওজন দেড়শো থেকে আড়াইশো কেজি হতে পারে। এদের পা ভীষণ শক্তিশালী। আর থাবা ও চোয়ালের জোরও প্রচুর। তাই খুব বড় শিকারও এরা সহজেই ধরতে পারে। এদের গর্জনেই আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হয়। গর্জন করেই এরা অন্য প্রাণীকে ভয় দেখায় আর নিজেদের এলাকা চিহ্নিত করে। তা পাঁচ মাইল দূর থেকেও শোনা যেতে পারে। আর বাঘ একা শিকার করে। কিন্তু সিংহ সচরাচর দল বেঁধে শিকার করে। আর তাদের শিকারের দক্ষতা পুরোপুরি শারীরিক শক্তির উপর নির্ভর করে না। এরসঙ্গে রয়েছে বুদ্ধির মিশেলও। এব্যাপারে অবশ্য সিংহীরাই এগিয়ে। এবার আসি সিংহের কামড়ের জোরে। একটা আফ্রিকান সিংহের কামড়ের শক্তি ৬৫০ পিএসআই থেকে ১০০০ পিএসআই পর্যন্ত হতে পারে।