Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

মায়া
ধ্রুব মুখোপাধ্যায়

ভেবেছিল, সবকিছুই হয়তো বদলে যাবে। চিনতে পারবে না কিছু। অথর্ব নিজেও তো কম বদলায়নি। গ্রাম ছাড়ার পর বিগত পঁচিশ বছরে চুলে পাক ধরেছে, চোখে চশমা উঠেছে। এমনকী...। যাইহোক, তবে গ্রামটা সেভাবে বদলায়নি। চিনতে অসুবিধা হল না। গাছে ঘেরা আঁকাবাঁকা রাস্তা, দু’পাশের বসতি, আর সবশেষে বুড়ো বটের সামনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা প্রকাণ্ড ইশকুল। গ্রামের পাহারাদার। ব্যস এইটুকুই। গ্রামটাকে এইভাবে কোনওদিনও দেখেনি অথর্ব। দেখতে চায়ওনি। তবে আজকে দেখল। কে যেন বলল, ‘আয়। কতদিন বাদে এলি। দু’দণ্ড বোস।’ কিন্তু বসার সময় কই! আসলে কাজটা ভীষণ জরুরি। ব্যস্ততার সঙ্গে এগিয়ে গেল নিজেদের বাড়ির দিকে। সামনে দাঁড়িয়ে মন দিয়ে দেখল। একই আছে। ঠিক যেন ওর চাকচিক্যে ভরা জীবনের তলায় লুকিয়ে রাখা একখণ্ড অতীত। ইটের গাঁথনির মাথায় টিনের চাল। জং ধরেছে টিনে। ভিতরে জলও পড়ে হয়তো। আলকাতরা মাখানো সদর দরজা। অবস্থা তথৈবচ। ভিতরটা ছ্যাঁত করে উঠতেই চাবি খুঁজল। কিন্তু সে কি আর আছে! দরজার উপরে শিকলে আটকানো তালা। জং ধরে যাচ্ছেতাই অবস্থা। হালকা হ্যাঁচকাতেই শেষ। কিন্তু ভাঙল না। পিছন থেকে তখনই হারুকাকার ডাক, ‘হ্যাঁ রে, কবে এলি? বলছি ক’দিন থাকবি তো?’ অথর্ব ভেবেছিল এই সুযোগ। কেউ তো ওকে চিনতে পেরেছে। কাজের কথাটা বলেই ফেলবে। কিন্তু হারুকাকা ততক্ষণে বলে ফেলেছে এখানে খাবি আজ। পুকুরে মাছ ধরেছে। অথর্ব চেয়েও বলতে পারল না। হারুকাকার হাসি মাখা মুখটা থামিয়ে দিল। চুপচাপ ‘হ্যাঁ’ বলে এগিয়ে গেল গ্রামের সেই পাহারাদারের দিকে। রাস্তাতে চোখে পড়ল নিতাই মাঝি, নাপিত জ্যাঠা এমনকী ইশকুলের অনেক বন্ধুও। সকলেরই মুখে সেই একই উচ্ছ্বাস। অথর্ব যেন কাজের নয়, কাছের লোক। গ্রামের ছেলে। কাজের কথাটা বলে মুখগুলোকে আর বিকৃত করল না। যদিও এই মানুষগুলোকেই দূরছাই করত একদিন। জনসমক্ষে পরিচয় দিতে লজ্জা পেত। অতীতের এই অধ্যায়টাকে ধুয়েমুছে সাফ করে ফেলতে চেয়েছিল। পারেনি যদিও। তবে লুকিয়ে রেখেছিল বেশ। ‘কোথা থেকে এসেছ?’ প্রশ্নটার উত্তরে নাম নিত কাছাকাছি একটা মফস্‌সলের। ‘বাঁশঝাড়’ নামটা যেন লজ্জার। ভাবতে ভাবতেই চোখের সামনে পাহারাদার। দু’চক্ষের বিষ এই ইশকুল। বাঁশঝাড় মোহনবিলাসী বিদ্যালয়কে আড়াল করতে বলত, ‘বিএম স্কুল’। তবে এখন যেন প্রাণ খুলে নামটা বলতে ইচ্ছে হচ্ছিল। বললও। কিন্তু কেউ শুনল না। ইশকুলের জানলায় মুখ রাখলে দূরদূরান্ত থেকে ভেসে আসত ধানজমির বুকে আগলে রাখা জোলো হাওয়া। ঠান্ডা করে দিত সব। অথর্ব অবশ্য সেসবের ধার ধারেনি কখনও। কিন্তু আজকে ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছিল। যদি জ্বালাটা একটু কমে। ফাঁকা ইশকুল। ছুটি হয়তো। চারপাশটা ঘুরে জোলো হাওয়া চোখেমুখে লাগাতেই পশ্চিমের আকাশটাকে কে যেন রং করে দিল। সেদিকেই চোখ রেখে পা বাড়াল ফিরতি পথে। বড় রাস্তা পার করে গ্রামের মুখোমুখি একটা জঙ্গল। এই জঙ্গলেই গাছে ঘেরা মাঠে খেলতে যেত ওরা। ইশকুল থেকে ফিরে মুখে কিছু গুঁজেই দৌড়। সেদিকেই পা চালাল। কিন্তু খেলে খেলে বানানো মাঠের যে পিচে এককালে প্লাস্টিকের বলও ড্রপ খেয়ে উঠে যেত কাঁধে সেই পিচটাতেই এখন ঘাস আর চোরকাঁটার রাজত্ব। দু’চারটে ছেলে তন্ময় হয়ে মোবাইল ঘাঁটছিল। মুখই তুলল না। সন্ধে নামছিল। টুকটুক করে তারার মতো ফুটে উঠছিল জোনাকি। ঠিক সেই সময়েই চোখে পড়ল মানুষটা। জঙ্গলের রাস্তা ধরে লাঠি হাতে গ্রামের দিকে যাওয়া একটা মানুষ। সাদা ধুতি, খদ্দরের পাঞ্জাবি, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা আর মুখে একরাশ প্রসন্নতা। যেন গলা ফাটিয়ে বলতে চাইছে, ‘সব ঠিকই হয়েছে, নিয়ম মেনেই হয়েছে।’ চিনতে অসুবিধা হয়নি অথর্বর। তারিণী স্যর। ইতিহাসের মাস্টারমশাই। ক্লাস সিক্সের ইতিহাসের প্রথম ক্লাস সেদিন। ‘অতীত মানেই সত্য, স্থির। বদলানোর উপায় নেই। ভবিষ্যতের কোনও স্থিরতা আছে নাকি! ও তো সম্ভাবনার একটা ধোঁয়াশা। সবকিছুই হতে পারে।’ তারিণী স্যর বললে অথর্ব আপন খেয়ালেই বলেছিল, ‘কেন স্যর? সূর্য কি কাল পশ্চিমে উঠবে? পূর্ব দিকেই তো উঠবে।’ স্যর তখন চোখ দুটো জ্বলজ্বলে করে বলেছিলেন, ‘নাই উঠতে পারে। যদি পৃথিবী উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করে, কিংবা অন্য কিছু এসে যদি পৃথিবী আর সূর্যের টানটাকে ছিঁড়ে দেয়। কে বলতে পারে?’ অথর্ব অনেক কিছুই ভেবেছিল। কিন্তু গুছিয়ে বলতে পারেনি। তারিণী স্যরকে দেখতেই কথাগুলো হোঁচট খেল মনে। আর তখনই, ‘অথর্ব নাকি রে!’ বলেই ধড়ফড় করে এগিয়ে এলেন স্যর। বললেন, ‘কবে এলি? কতদিন বাদে! কেমন আছিস? এরকম মোটা হয়ে গেলি! এই বয়সেই চুলে পাক ধরিয়ে ফেললি!’ অথর্বকে উত্তরও দিতে দিলেন না। বিদেশের কেউ যেখানে ওর অস্তিত্বই বুঝতে পারেনি, সেখানে এঁরা ওকে বুঝছে কীভাবে! যদিও সংশয়টা মিটিয়ে দিলেন তারিণী স্যর নিজেই। ‘মায়া, বুঝলি। সব মায়া। ইশকুলের পাট চুকিয়ে দিলেও ছেলেপুলে সব মায়ায় বেঁধে রেখেছে। দিনরাত তোদের কথাই ভাবি। তোকে নিয়ে আমার বড্ড দুশ্চিন্তা। হ্যাঁ রে, ভালো আছিস তো?’ আশি ছুঁইছুঁই মানুষটাকে আর কষ্ট দিতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। তবুও মাস্টারমশাই তো। তাই বলেই ফেলল, ‘না স্যর। আমি ভালো নেই।’ অন্ধকারটা ততক্ষণে জাপটে ধরেছে। ঝিঁঝিঁর সুরে মায়াজাল বুনছে জোনাকিরা। স্যর বললেন, ‘কী হয়েছে?’ অথর্বও আর ভাবেনি, বলল, ‘শহরে তখন আমি একাই। বাবা চলে গেলে মাকে আমি অনেকবার যেতে বলেছিলাম। কিন্তু শুনলই না। তারপর মাও চলে গেল। আমি আর মায়া করিনি। এদেশের চাকরি ছেড়ে সোজা বিদেশে। টাকা-পদ-বিলাসিতা কোনওকিছুর অভাব ছিল না। দিনরাত কাজ করতাম। এতটুকু ফাঁকি দিইনি। কিন্তু কোপটা পড়ল আমারই ঘাড়ে। মন্দার অজুহাতে মোটা বেতনের কর্মচারী বলে একেবারে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে...। আর বের করতেই সব যেন বদলে গেল। আশেপাশের কেউ যেন চেনেই না। কাজের কী কোনও দাম নেই স্যর?’ গ্রামের সবকিছুই সত্যিকারের। অন্ধকারও। ‘কাজের আবার দাম!’ বলতে বলতেই বললেন, ‘জীবনেরই কোনও নিশ্চয়তা নেই, সেখানে চাকরি। যাকগে মুখচোখ তো শুকিয়ে গিয়েছে। ঘরে চ। খেয়েদেয়ে কথা হবে।’ তবে অথর্ব রাজি হল না। বলল, ‘আমার খিদে নেই স্যর। আমি একটা কাজে এসেছি।’ কিন্তু স্যর গুরুত্বই দিলেন না। বাপমায়ের মতো স্যরদের কাছেও ছাত্রদের বয়স বাড়ে না। শাসিয়েই বললেন, ‘মশকরা হচ্ছে! খিদে নেই মানে! আমি দেখছি চোখমুখ শুকনো।’ পা বাড়াতে একপ্রকার বাধ্যই হল। ‘গ্রাম নিয়ে এককালে আমি লজ্জা পেতাম স্যর। ভাবতাম গ্রাম, ইশকুল আমার নামযশ কমিয়ে দেবে।’ অথর্বর কথাটাতে স্যর বেশ অবাক হলেন। তবে কিছু বললেন না। অথর্বই বলল, ‘কিন্তু অস্তিত্ব হারানোর পরে দেখলাম অতীতটাই সত্য। কেবল মাত্র একটা কাজের জন্য গত তিনদিন ধরে বিদেশের কত পরিচিতর কাছে ছুটেছি। কেউ বুঝতেই পারেনি আমাকে। তবে গ্রামে...।’ তারিণী স্যর এবারে থামালেন। বললেন, ‘অস্তিত্ব আবার হারিয়েছিস কীরে! এই গ্রামের রসদেই তো তোর সব। এই তোর অস্তিত্ব। আর শোন, ঘরের খেয়ে বিদেশের মোষ অনেক তাড়িয়েছিস। এবারে এখানকার গাধাগুলোকে পিটিয়ে ঘোড়া কর। দু’বেলা দুটো করে ব্যাচ পড়া।’ কাজের কথাটা এইবারে বলে ফেলতেই চেয়েছিল অথর্ব। কিন্তু স্যরের ওই সহজ-সরল জীবনটা লোভ দেখিয়ে দিল। ‘যাইহোক কী কাজের কথা বলছিস তখন থেকে? কী এমন কাজ?‘ স্যর জিজ্ঞেস করলেও অথর্ব চুপ। স্যরের বাড়ি পৌঁছতে দেরি হল না। দরজা ধাক্কা দিয়ে তারিণী স্যর যখন বলছেন, ‘কই রে কে আছিস। দরজাটা খোল। দেখ কাকে এনেছি।’ অথর্ব তখনও চুপ। চুপচাপ চলে এসেছিল নিজের সেই জং ধরা তালার ঘরে। ভেবে রাখলেও বলতেই পারেনি, ‘যেদিন আমার চাকরিটা গেল সেই রাতে আমার শরীরটা ভীষণ খারাপ লাগছিল স্যর। পাশে কাউকে পাইনি। গ্রামে ফিরতে ইচ্ছে হচ্ছিল। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু কেমন যেন অবশ হয়ে গেল। কাউকে ডাকতেও পারলাম না। লন্ডনের বাইরন অ্যাভেনিউয়ের ঘরটাতে আমার দেহটা বিগত তিনদিন ধরে পড়ে রয়েছে। আমি সৎকারের জন্য ওদেশের অনেককেই বলতে চেয়েছি। কিন্তু কেউ দেখতেই পেল না। আপনি একটু ব্যবস্থা করে দেবেন? যদি 
মুক্তি পাই!’ 
‘কাকে এনেছ? কাউকে তো দেখছি না।’ স্যরের স্ত্রী বললেও শুনতে পায়নি অথর্ব। তবে গ্রামের লোকে পেয়েছিল। তারপর থেকে রাত হলেই অথর্বদের ঘর থেকে অদ্ভুত সব আওয়াজ আসে। আজও আসে। যদিও কেউ কিচ্ছুটি বলে না। কিছু করেও না। সবাই জানে অথর্ব এই গ্রামেরই ছেলে। গ্রামের প্রতি ওর বড্ড মায়া। মায়াটা কাটাতে পারেনি।
19th  May, 2024
রবীন্দ্রনাথের  পরিবেশ ভাবনা

জীবনশিল্পী রবীন্দ্রনাথ। যা কবির চোখে দেখেছেন, অনুভব করেছেন, ব্যবহারিক জীবনে মানুষের মাঝে তার বিকাশ দেখতে চেয়েছেন বারবার। তাতেই তাঁর আনন্দ, তাতেই তৃপ্তি। তা না হলে বর্ষামঙ্গল, হলকর্ষণ সবেতেই বৃক্ষরোপণকে উৎসবে আয়োজনে ভরিয়ে তোলার প্রয়োজনও বোধহয় ছিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
চাঁদ কি ছোট হচ্ছে!

মামার বাড়ি মানেই দেদার খেলাধুলো। মায়ের চোখরাঙানি থেকে একটু নিস্তার। তিতাস দু’দিন হল মামাবাড়ি এসেছে। পরীক্ষা শেষের পর। সকালে পাশের মাঠে একটু ফুটবল খেলে বাড়ি ঢুকতেই দিদা বলল, এই রোদে কেউ খেলে? আঁচল দিয়ে মুখটা মুছিয়ে বলল, দেখ তো, চাঁদপানা মুখটা রোদে কেমন ছোট হয়ে গিয়েছে।
বিশদ

02nd  June, 2024
ঠিকানা চাও, বলছি শোন...

কবি সুকুমার রায়ের ‘ঠিকানা’ কবিতা তোমরা নিশ্চয়ই পড়েছ। আদ্যানাথের মেসোকে খুঁজতে গিয়ে কতই না চক্কর কাটতে হয়েছিল জগমোহনকে! তবে শুধু কবিতা বা সাহিত্যে নয়, যুগ যুগ ধরে কারও বাড়ি, দপ্তর, দোকানের হদিশ পেতে এমনভাবেই নাকানি-চোবানি খেতে হয়েছে সকলকে।
বিশদ

02nd  June, 2024
দুঃসাহসী কলম্বাস
অনির্বাণ রক্ষিত

আমেরিকা মহাদেশের আবিষ্কর্তার নামটি শুনলেই চোখের সামনে ফুটে ওঠে ভ্রমণপিপাসু সাহসী এক নাবিকের ছবি। যিনি চেয়েছিলেন সমুদ্রপথে পাড়ি দিয়ে নতুন নতুন দেশের খোঁজ করতে। আর সেই নেশাই তাঁকে প্রেরণা জুগিয়েছিল এক নতুন মহাদেশ আবিষ্কার করার। বিশদ

26th  May, 2024
আশ্চর্য গাছ
সায়নদীপ ঘোষ

দেখলে মনে হবে নীচের অংশ আকাশের দিকে। আর উপরের অংশ রয়েছে মাটির তলায়। মস্ত বড় কাণ্ড নিয়ে দিব্যি দাঁড়িয়ে রয়েছে গাছটি। ডালপালা, পাতা নেই বললেই চলে। ঠিক যেন মরা গাছ। তোমরা হয়তো ভাবছ, এটা নিশ্চয়ই কোনও অলৌকিক সৃষ্টি। বিশদ

26th  May, 2024
ঝুলন্ত টব

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

26th  May, 2024
আজও জীবিত প্রাচীন ভাষা

কত ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ বেশ কয়েকটি সুপ্রাচীন ভাষা আজও বহাল তবিয়তে বেঁচে রয়েছে। এই ভাষাগুলিতে এখন লক্ষ লক্ষ মানুষ কথা বলেন। তারই খোঁজ নিলেন সোমা চক্রবর্তী বিশদ

26th  May, 2024
রহস্যে ঘেরা গ্রহাণু বলয়
স্বরূপ কুলভী

খোলো খোলো, হে আকাশ, স্তব্ধ তব নীল যবনিকা—’।  মহাবিশ্বে কত যে রহস্য লুকিয়ে আছে, তার কতটুকুই বা জানি আমরা। সেখানে পরতে পরতে বিস্ময়। এমনই একটা বিস্ময় হল গ্রহাণু। এগুলিকে কিন্তু পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখতে পাওয়া যায় না।  এখন প্রশ্ন হল, এই গ্রহাণু আসলে কী? কোথায় বা সেগুলি থাকে?  বিশদ

19th  May, 2024
এস্কিমো লোককথা
দ্যুতিমান ভট্টাচার্য

রাতের আকাশকে সাজিয়ে রাখে হাজার হাজার তারা। কিছু তারাকে কাল্পনিকভাবে যোগ করলে তৈরি হয় নক্ষত্রমণ্ডলী। উত্তর মেরুতে বসবাসকারী এস্কিমোদের লোককথায় রয়েছে তারা তৈরির নানান কাহিনি।  বিশদ

19th  May, 2024
মহাকাশ স্টেশনে গাছপালা!

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনগুলিতে গাছ লাগানো হচ্ছে। অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত রাখাই এর আসল উদ্দেশ্য। পৃথিবী থেকে মহাশূন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ক্লোরেলা নামক একপ্রকার শৈবাল। কতটা সফল মহাকাশযাত্রীদের এই উদ্যোগ জানালেন উৎপল অধিকারী। বিশদ

12th  May, 2024
ছুটির মজা

এবছর অনেকটা আগেই পড়ে গিয়েছে গরমের ছুটি। তীব্র দাবদাহ কমে কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। কীভাবে কাটছে ছুটি? আগেভাগেই জানিয়েছিল মালদহের শুক্রবারি আবুল কাশেম হাই মাদ্রাসার পড়ুয়ারা। বিশদ

12th  May, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ প্লেট পেইন্ট

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

12th  May, 2024
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কিছুক্ষণ

আগামী বুধবার পঁচিশে বৈশাখ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনের আগে জোড়াসাঁকোর ‘মহর্ষি ভবনে’র মিউজিয়াম ঘুরে এসে লিখলেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। বিশদ

05th  May, 2024
মৌমাছি মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি

মৌমাছি, মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি,  দাঁড়াও না একবার ভাই। ওই ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে, দাঁড়াবার সময় তো নাই।’ ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের এই কবিতাটি পড়েছ।  সত্যি সত্যি মৌমাছিরা খুবই ব্যস্তসমস্ত আর কর্মঠ পতঙ্গ। বিশদ

05th  May, 2024
একনজরে
ফরাসি ওপেন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ। ডান হাঁটুতে চোটের এমআরআই স্ক্যান হওয়ার পর রিপোর্ট দেখে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন সার্বিয়ান মহারথী। ...

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরই বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য লড়াই ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল। পুরনো বিজেপি নেতারা মঙ্গলবার থেকেই সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বঙ্গ নেতাদের অপসারণ চেয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। ...

মেদিনীপুরে নিজের হাতে কার্যত ‘পদ্মবাগান’ তৈরি করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই সাজানো বাগান তৃণমূল তছনছ করে দিয়েছে। ...

প্রথমবার মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াতের অভাবনীয় জয়কে এভাবেই ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM