Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অতীতের আয়না: কলকাতার ফানুস উৎসব
অমিতাভ পুরকায়স্থ

দূরে আকাশ শামিয়ানা। তবে তারাদের প্রদীপ জ্বালার বদলে উড়ে যায় ঘড়ি, পুতুল, হাতি কিংবা উড়োজাহাজের আদলে গড়া ফানুস। খুব স্যুরিয়াল লাগছে? আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লাগতেই পারে। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন কালীপুজোর বিকেলে কলকাতার আকাশের সিগনেচার ছিল এমন দৃশ্য। আজ অত্যন্ত বিরল হয়ে পড়লেও ফানুস ওড়ানোর এই শখে এককালে মজে ছিল শহর কলকাতা। পুরো একশো বছর ধরে এই ঐতিহ্য নিরবচ্ছিন্নভাবে ধরে রেখেছে শহরের একটি পরিবার। 
সে কথায় পরে আসছি। তার আগে ফানুস নিয়ে কিছু কথা বলা যাক। খুব প্রচলিত যে আকারের ফানুস দেখা যায়, সেটার গড়ন অনেকটা লম্বাটে লাউয়ের মতো। পাতলা কাগজ কেটে  নানা আকারের ফানুস তৈরি করা যায়। ফানুসের মূল আকার যাই হোক তার নীচের দিকে ঠিক জায়গা বুঝে ফাঁক রাখা হয়। সেই ফাঁকে কায়দা করে বেঁধে দেওয়া হয় কেরোসিন ভেজানো বল বা ‘নুটি’। সেই বলে আগুন ধরিয়ে দিলেই ফানুসের ভেতরটা গরম হাওয়ায় ভরে যায়। তারপর ‘হট এয়ার বেলুন’-এর নীতি মেনে ফানুস উঠে যায় আকাশে।
তবে ফানুসের এই স্বাধীন চলন অনেকটা পরের দিকের উদ্ভাবন। আগে ফানুসের সঙ্গে একটি সুতো বেঁধে তার নিয়ন্ত্রণ মানুষ নিজের হাতে রাখত। তবে তখন তার প্রচলিত নাম ছিল ‘রৌশন পুতলা’ বা আলোকোজ্জ্বল পুতুল।  এমন নামকরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফানুসের উৎস ও বিবর্তনের গল্প।     
মেটিয়াবুরুজে ছোটা লখনউ স্থাপিত হওয়ার পরেই ফানুস ওড়ানোর শখ জাঁকিয়ে বসে শহরে। আবদুল হালিম লিখেছেন যে, এই ‘রইসি’ শখের উৎপত্তি দিল্লিতে। তিনি আন্দাজ করেছেন যে, এর উৎস হয়তো কার্তিক মাসে হিন্দুদের আকাশপ্রদীপ জ্বালার প্রাচীন প্রথার সঙ্গে যুক্ত। রাতের বেলা গোলাকার ফানুসের ভেতরে বেঁধে দেওয়া তেলে চোবানো কাপড়ের গোলা জ্বেলে দিলেই সেগুলি উড়ত আকাশে। আর শক্ত সুতো বেঁধে সেগুলি ওড়ানোর ফলে, ইচ্ছেমতো নামিয়ে নেওয়া যেত। একসময় প্রচলিত আকারের বাইরে খানিকটা বৈচিত্র্য নিয়ে আসার লক্ষ্যে কেউ কেউ  কাগজের মানুষ-পুতুল বানিয়ে ওড়াতে লাগলেন। অন্ধকার রাতের আকাশে উড়তে থাকা উজ্জ্বল পুতুলকে তারা বলতেন ‘রৌশন-পুতলা’। 
আজকাল দেওয়ালির আগে-পরে বাজারে যে সব চাইনিজ ‘স্কাই ল্যান্টার্ন’ পাওয়া যায়, তার সঙ্গে মিল আছে  হালিম বর্ণিত ফানুস ও রৌশন পুতলার। দু’টিই ওড়ানো হয় বা হতো রাতের বেলা। তাই নির্মাণে বৈচি঩ত্র্যে থাকত না। কিন্তু কলকাতার ফানুস ওড়ানো হয় দিনের আলো থাকতে। আর সেই জন্যই নানা রং ও বিচিত্র আকারের ফানুস তৈরি করা হয়। এই নির্মাণের মধ্যে সৃষ্টিশীল মানুষ রেখে যেতে পারেন শৈল্পিক ছোঁয়া। 
উনিশ শতকের স্বর্ণযুগ পার করেও কলকাতায় মানুষ শখ-শৌখিনতার পেছনে সময় ও অর্থ ব্যয় করার মতো মানসিকতা রাখতেন। আশাপূর্ণা দেবীর বাবা হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত ছিলেন গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজের প্রথম বছরের ছাত্র। পেশায় ছিলেন কমার্শিয়াল আর্টিস্ট। তার নানা রকমের শখের মধ্যে ছিল কালীপুজোর আগে বাজি ও ফানুস বানানো। বাড়ির গিন্নি সহ গোটা পরিবার ফানুস বানানোয় মেতে উঠতেন।  ফানুস তৈরির নানা কাজে সকলে হাত লাগালেও ফানুসের নীচে যে নুটিতে আগুন ধরানো হয়, সেটি তৈরি ও জায়গা মতো স্থাপন করার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি নিজের হাতেই করতেন হরেন্দ্রনাথ।  আশাপূর্ণা দেবী নিজের স্মৃতিকথায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কাছাকাছি সময়ের কলকাতার এই নিটোল পারিবারিক ছবি এঁকে গিয়েছেন। এমন পারিবারিক ইতিহাস হয়তো বহু বাড়িতেই খোঁজ করলে পাওয়া যাবে। 
আসলে সময়টাই এমন ছিল। তখনও বাজার থেকে নগদের বিনিময়ে কেনার থেকে নিজের হাতে গড়া জিনিসের বেশি মূল্য দিত মানুষ। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কালীপুজোর প্রচলন না থাকলেও রীতিমতো বাজি আর ফানুস বানানো হতো। ফানুস তৈরির ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা যেত অবনীন্দ্রনাথের দৌহিত্র মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি ঘড়ি, হাতি, মানুষ, জেপলিন (এক ধরনের উড়োজাহাজ) ইত্যাদি নানা আকারের ফানুস বানাতেন।
জোড়াসাঁকোর ৫ নম্বর বাড়ি ছেড়ে অবনীন্দ্রনাথ সপরিবারে বরানগর গুপ্তনিবাসে উঠে আসার পরও বাড়ির দক্ষিণের বাগানের মাঝের শান বাঁধানো উঠোন থেকে প্রতি বছর ফানুস ওড়ানোর রীতি বজায় রেখেছিলেন মোহনলাল। ঘড়ি ফানুস তৈরি করলে তার কাঁটা দেখাত ঠিক চারটে। বাড়ির পুরনো ম্যাকাবি ঘড়িতে চারটে বাজার সংকেত কানে এলেই মোহনলাল গ্যাসে ঠাসা ফানুসটা দু’হাতে আসতে আসতে আকাশের দিকে তুলে নিয়ে টুক করে ছেড়ে দিতেন। ঘড়ি ফানুস এত নিখুঁত আর নিটোল হতো যে তর তর করে আকাশে উঠে যেত এবং উত্তরের বাতাসে ভর করে সামনের রেললাইন পেরিয়ে দক্ষিণেশ্বরের দিকে হারিয়ে যেত 
দৃষ্টি সীমানার বাইরে। মোহনলালের পর বাড়ির ছোটদের আনন্দ দেওয়ার 
জন্য ফানুস তৈরির সেই ঐতিহ্য বজায় রেখেছিলেন অবনীন্দ্রনাথের পৌত্র সুমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর স্মৃতিকথায় খুব যত্ন করে লিখে গিয়েছেন ঠাকুরবাড়ির ফানুস চর্চার কথা।
অতি বিরল হলেও পারিবারিক ঐতিহ্য হিসাবে ফানুস বানানোর উত্তরাধিকার যত্ন করে বাঁচিয়ে রেখেছে উত্তর কলকাতার একটি প্রাচীন পরিবার। বিডন স্ট্রিটের ভোলানাথ ধামের কথা তাদের দুর্গাপুজোর সূত্রে অনেকেই জানেন। ১৯১৫ সালের স্ট্রিট ডিরেকটারির নতুন সংস্করণের তথ্য অনুযায়ী এই বাড়িটির আদি মালিক ছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের বাবা ভূপতিনাথ বিশ্বাস। আর্থিক কারণে ভূপতিবাবু বাড়িটি বিক্রি করে দেন সে সময়ের সফল কাগজ ব্যবসায়ী ভোলানাথ দত্তকে। এই বাড়ি থেকে ফানুস ওড়ানো শুরু হয় ১৯২৫ সালে। তারপর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এতগুলো বছর ধরে এই শহরে কালীপুজোর বিকেলগুলো রঙিন করার দায়িত্ব পালন করে এসেছেন ভোলানাথ ধামের দত্ত পরিবার। সেই হিসাবে এবছর তারা পালন করছেন তাঁদের এই পারিবারিক উৎসবের শতবর্ষ। এখন ফানুস তৈরির কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন অজয় দত্ত। প্রতি বছর দুর্গাপুজোর শেষেই তিনি ফানুস তৈরির কাজ শুরু করেন। সঙ্গে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। বাইরে থেকে কয়েকজন শিক্ষানবিশও যোগ দেন। প্রচলিত আকার ছাড়াও গোল, চৌকো, পুতুল সহ নানা আকারের ফানুস তৈরি হয়।  
প্রতি বছর কালীপুজোর দুপুর থেকেই উৎসাহীরা ভিড় করতে থাকেন ভোলানাথ ধামের উঠোনে। এবছরও তার অন্যথা হবে না। বরং শতবর্ষ বলে একটু বেশিই হবে মানুষের আনাগোনা। আর একের পর এক ফানুস উড়তে থাকবে আকাশে। মানিকতলা বাজারের সদ্য সংস্কার করা ঘড়ি গম্বুজের উপর দিয়ে ভাসতে থাকা ফানুসের ছবি নতুন প্রজন্মের কাছে হবে ঐতিহ্যের এক 
উজ্জ্বল উদ্ধার। 
27th  October, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ইয়াদগার এ জওক
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন লিখলেন, ‘আপ তো ঘাবড়াকে ইয়ে ক্যাহেতে হ্যায় কে মর যায়েঙ্গে/মরকে ভি চ্যায়েন না পায়া তো কিধর যায়েঙ্গে?’ অর্থাৎ আপনি তো ভয় পেয়ে ভাবলেন এর থেকে মৃত্যুই ভালো। কিন্তু মৃত্যুর পরও যদি শান্তি না আসে, তখন কোথায় যাবেন?  বিশদ

27th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। বিশদ

06th  October, 2024
এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। বিশদ

29th  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দাদি-পোতি মকবরা
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা বেশ মজার তাই না দাদি? আমাদের কেউ চিনবে না! বিশদ

29th  September, 2024
সিমলার ভৌতিক টানেল
সমুদ্র বসু

অন্ধকার একটা টানেল। স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলা ধরা দেওয়াল। টানেলের ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় জল পড়ার আওয়াজ। সঙ্গে কিছু ‘অন্য’ আওয়াজও কানে আসে। না, এটা কোনও ভৌতিক সিনেমার প্লট নয়। খোদ ভারতের বুকেই রয়েছে এমন একটি ‘ভূতুড়ে’ টানেল। বিশদ

29th  September, 2024
নিভাননী দেবী
ঝিমলি নন্দী

হারাধন দাসের বাড়িটা পিছাবনি গ্রামের দক্ষিণদিকের শেষ প্রান্তে জোড়া পুকুরের ধারে। বাড়িটা পাকা বটে তবে না ছিরি না ছাঁদ। যখন যেমন ঘর দরকার হয়েছে,  তেমন করেই বাড়ানো। ভেতর দিকের উঠোনে একটা ঘরে আবার সিমেন্টের খুঁটির ওপর টালির চাল। বিশদ

22nd  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দিওয়ান-ই-খাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ এগিয়ে আসছে। দিওয়ান-ই-আম, দিওয়ান-ই-খাস, রংমহল, খাস মহল, মোতি মহল জেগে উঠছে ক্রমেই। রং করা হচ্ছে দেওয়াল। পাঁচিল।  সামনেই বয়ে যাওয়া যমুনার প্রতিটি নৌকাকেও রং করেছে তাদের মালিকরা। বিশদ

22nd  September, 2024
অতীতের আয়না: সামাজিকতায় ভিজিটিং কার্ড
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

কার্ডটা কীরকম হয়েছে দেখ তো।’ ফেলুদা ওর মানিব্যাগের ভিতর থেকে সড়াৎ করে একটা ভিজিটিং কার্ড বের করে আমাকে দেখতে দিল। দেখি তাতে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে Prodosh C. Mitter, Private Investigator। বিশদ

22nd  September, 2024
একনজরে
ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগায় ট্রেন দুর্ঘটনা মামলায় তিন রেলকর্মীকে জামিন দিল ওড়িশা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি আদিত্যকুমার মহাপাত্রের বেঞ্চ। ...

চমকে ভরা আইপিএলের রিটেনশন তালিকা। গত মরশুমের অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে রাখল না দিল্লি ক্যাপিটালস। চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সও ছেড়ে দিল অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকে। আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল, নিলামেই ভাগ্য ঠিক হবে লোকেশ রাহুলের। ...

একদিকে পুজো দেওয়ার, অন্যদিকে পুজো দেখার ভিড়। বৃহস্পতিবার বিকেল গড়াতেই জনকোলাহল আছড়ে পড়ল হুগলির বিভিন্ন জনপদের মন্দিরে, মণ্ডপে। আলোকমালায় সুসজ্জিত রাজপথে ছিল থইথই ভিড়। রাত ...

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কোচিং সেন্টারের অঙ্কের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিস। ধৃতের নাম শুভব্রত দত্ত। বীরভূমের সাঁইথিয়া থানা এলাকায় তার আদি বাড়ি। বর্তমানে সে বর্ধমান শহরের শাঁখারিপুকুর এলাকায় বরফকলের কাছে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ভেগান দিবস
১৫১২: সিস্টিন চ্যাপেল এর ছাদের চিত্রাঙ্কন যা মাইকেলেঞ্জেলো এঁকেছেন, জনগনের জন্য প্রথমবারের মত উম্মুক্ত করে দেয়া হয়
১৬০৪: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর ট্রাজেডী ওথেলো প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৬১১: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রোম্যান্টিক কমেডি টেমপেস্ট প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৮০০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস হলেন দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি দি এক্সিকিউটিভ ম্যানসন এ থাকা শুরু করেন (পরবর্তীকালে যার নাম হয় হোয়াইট হাউস)
১৮৫৮: ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারতের শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে
১৮৬৪: পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রথম মানি অর্ডার পদ্ধতি চালু
১৮৭৩: নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের মৃত্যু
১৮৮০: কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলাচল শুরু
১৯১৫: বাংলা ক্রিকেটের জনক সারদারঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯৫০: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৫০: নোবেল জয়ী পদার্থবিদ রবার্ট লাফলিনের জন্ম
১৯৫৬: বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) এর ফলস্বরূপ মানভূমের একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত হয় পুরুলিয়া জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে
১৯৫৬: ভারতে রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ মোতাবেক মহীশূর রাজ্য বর্তমানে কর্নাটক, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের আত্মপ্রকাশ ও পুনর্গঠন হয়
১৯৭৩: মহীশূর রা্জ্যের নাম বদলে কর্ণাটক হয়
১৯৭৩: অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের জন্ম
১৯৭৪: ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬১ টাকা ৮৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫২ টাকা ১১০.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৯ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা ৩১/২০ রাত্রি ৬/১৭। স্বাতী নক্ষত্র ৫৪/২৫ রাত্রি ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/৪৪/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৭/১৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৭ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা সন্ধ্যা ৫/৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৩/২৬। সূর্যোদয় ৫/৪৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রয়াত জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত বল

11:39:32 PM

মুম্বইয়ের গোরেগাঁওতে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন

10:47:00 PM

হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি

10:25:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সাদাতগঞ্জে একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকল

10:08:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের মারগানা জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

09:48:00 PM

দিল্লির রঘুবারপুরায় একটি আবাসনে আগুন, অকুস্থলে দমকল

09:32:00 PM