Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

নিভাননী দেবী
ঝিমলি নন্দী

হারাধন দাসের বাড়িটা পিছাবনি গ্রামের দক্ষিণদিকের শেষ প্রান্তে জোড়া পুকুরের ধারে। বাড়িটা পাকা বটে তবে না ছিরি না ছাঁদ। যখন যেমন ঘর দরকার হয়েছে,  তেমন করেই বাড়ানো। ভেতর দিকের উঠোনে একটা ঘরে আবার সিমেন্টের খুঁটির ওপর টালির চাল। ঘরটা ভিত কেটে তোলা হয়নি। সুতরাং ও ঘরের ছাদ ঢালাই করা যায়নি। হারাধনের ঠাকুরদার আমলে ওদিকটায় গোয়ালঘর ছিল। পরে গোরুর সংখ্যা বাড়লে গোয়াল সরানো হয়। হারাধনরা জাতে জেলে। তবু গাঁ-ঘরে হাতে একটু পয়সা এলেই লোকে দু’-পাঁচ কাঠা ধানজমি কেনে। দু-চারটে গোরু। নিদেনপক্ষে দুটো হেলে আর একটা গাই। সে আমলে গোরু দিয়েই চাষ হতো। হারাধনের ঠাকুরদার তাই গোয়াল ছিল। হারাধনের বাবা বৃন্দাবন দ্বিতীয়বার বিবাহ করে হারাধনের মাকে ঘরে তুললে বড়মা স্বেচ্ছায় ওই পুরনো গোয়াল পরিষ্কার করে, সেখানে নিজেকে নির্বাসিত করেছিলেন। হারাধন কোঠা তুললেও বড়মা পাকা ঘরে উঠলেন না। হারাধন জেদ করে তাঁর ঘরটির দেওয়াল এবং মেঝে পাকা করে ইলেকট্রিক বসাল। হারাধনের বাপ-মা দু’জনেই গত হয়েছিল তার শিশুকালে। খেয়ে না-খেয়ে বড়মাই তাকে মানুষ করে তোলে। বড়মার পরামর্শ ছাড়া বৃন্দাবন এক পাও বাড়াত না। ব্যাপারটা নীলুর মা মোটেই ভালো চোখে দেখত না। কিন্তু ঝগড়া করেও লাভ হতো না। চোখের জলেও হারাধনকে ভেজানো যেত না। 
  দুই
 গাড়ির ছাদে ক্যামেরার স্ট্যান্ড বেঁধে টেলিভিশনের বড় গাড়িটা সিধুর তেলেভাজার দোকানের সামনে থামতেই নড়বড়ে বেঞ্চে বসা ছেলে-ছোকরার দল হুমড়ি খেয়ে পড়ল। সাদা ফুলহাতা জামা আর ডেনিমের প্যান্ট পরা একটা লোক জানলার কাচ নামিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘নিভাননী দেবীর বাড়িটা কোন দিকে বলতে পারেন নাকি?’ সুকুমার, শ্যামল, রাজু সব হাঁ করে চেয়ে রইল। নামটার গায়ে বড় পুরনো গন্ধ। ওই নামে কাউকে তারা চট করে মনে করতে পারল না। বেবি, পিঙ্কি কি সুমনা বললে তাদের এতটুকুও ভাবতে হতো না। বস্তুত গ্রামে মেয়েদের নাম চললেও বউয়েদের নাম তেমন চলে না। গুরুপদর বউ নয়তো সুকুমারের মা, কি রাজুর ঠাকুমা অথবা নন্দীবাড়ির মেজোগিন্নি এমনটাই হয়ে যায় তাদের পরিচয়। সুতরাং নিভাননী কে সে কথা তাদের ভাবতে হচ্ছিল। উত্তেজনার বশে বেগুনির মতো লম্বা গরম হিঞ্চের বড়াটায় কামড় বসিয়ে ফেলেছিল নীলু। তার জিভ জ্বলে গেল। আর এই আকস্মিক আঘাতে মাথাটা ঝাঁ করে খুলে গেল। লোকটা কাচ তুলতেই নীলু দৌড়ে গেল। ড্রাইভার ততক্ষণে স্টার্ট দিয়েছে। নীলু মুখের বড়ার টুকরোটা কোঁত করে গিলে ফেলে জানলায় টকটক করতে করতে চেঁচাল, ‘শুনছেন?’
লোকটা ফের কাচ নামিয়ে মুখ বাড়াল।
নীলু হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, ‘নিভাননী দাসী আমার ঠাকুমা!’
লোকটা ঘাড় ঝাঁকাল, ‘রিয়েলি? আমি বলতে চাইছি বিপ্লবী নিভাননী দেবী যিনি ভারত ছাড় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন!’
‘আজ্ঞে হ্যাঁ, আমি ওঁর কথাই বলছি।’ নীলু ভদ্রলোককে আশ্বস্ত করল।
ভদ্রলোক হাসলেন, ‘তাহলে নিভাননী দাসী কেন, দেবী বলুন!’
নীলু মাথা চুলকে বললে, ‘আজ্ঞে, তাই হবে বোধহয়, তবে আধার কার্ডে ওই দাসীই ছিল কি না।’
লোকটি ঈষৎ ধমকের সুরে বলল, ‘থাকলেও!’ 
নীলু আর কথা বাড়াল না। সাইকেলে উঠতে উঠতে বলল, ‘আমি সাইকেলে আগাইছি আপনারা আমার পিছনে আসুন আজ্ঞে।’ 
নীলু তিরবেগে সাইকেল ছোটাল। গাড়িটা তাকে অনুসরণ করতে লাগল।
 তিন 
 নীলুর উত্তেজনা ছিল সবচেয়ে বেশি কারণ যেকোনও উপায়ে টিভি কি সিনেমায় নামার জন্য সে মরিয়া আজ অনেকদিন! চোখ দুটো ছোট হলেও নীলকণ্ঠ দেখতে মন্দ নয়। তার গায়ের রং ফর্সা। উচ্চতা পাঁচ ফুট নয় ইঞ্চি। নাকটা বাঁশির মতো না হলেও তার বাবার মতো ধ্যাবড়া নয়। ছিপছিপে চেহারা। মাথায় ঘন চুল। নীলু অনেকটা তার মায়ের ধারা পেয়েছে। তার মা নীলিমা সুন্দরী। বাড়িতে একমাত্র মায়ের কাছেই নীলু প্রশ্রয় পায়। নীলুর কানে দুল, গলায় হার, হাতে বালা। তার জামা-কাপড়ের বাহার আছে। সে শহরের সেলুনে নতুন নতুন কেতায় চুল কেটে আসে। এসব পয়সা তাকে মা জোগায়। কখনও লুকিয়ে কখনও প্রকাশ্যে। বাবার পাল্লায় পড়লে এত দিনে জলে নেমে নেমে হাতে পায়ে হাজা ধরে যেত। নিজেদের অত বড় পুকুর। তার ওপর ন’খানা লিজ নেওয়া আছে। পঞ্চাশ বছর বয়সেও তেজি ঘোড়ার মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হারাধন। শীত-গ্রীষ্ম কিছুই ডরায় না। নাহোক আট-দশটা ছেলে বাবার কাছে কাজ করে। তাদের নিয়ে হারাধন শীতকালের ঝুঁঝকো আঁধারেও একগলা জলে নেমে জাল টানে। যৌবন বয়স থেকে হাতে কড়া। আঙুলে হাজা। খালি মোষের মতো খাটতে পারে দেখে দাদু অমন সুন্দরী মেয়েকে গছিয়ে দিয়েছিল। তবে পয়সা লাগেনি। হ্যাঁ, বিয়েতে হারাধন এক পয়সাও পণ নেয়নি। নেবে কী করে! বাড়িতে তখন বড় ঠাকুমার বোলবোলাও। তিনি পণ নেওয়ার ঘোর বিরোধী ছিলেন। হ্যাঁ, নীলুর সেই প্রবল দাপুটে বড় ঠাকুমাই নিভাননী দাসী! তা সে নাম ধরে ওঁকে আর কে কবে ডাকে যে চট করে সে নামটা নীলুর মনে পড়বে! তাছাড়া এখন সে রামও নেই, অযোধ্যাও নেই। অনেকদিন হল নিভাননী রাজত্ব হারিয়েছেন। এখন সংসার নীলিমার কথাতেই চলে। সপ্তাহখানেক হল নিভাননীর শ্রাদ্ধশান্তিও মিটেছে। সত্যিকথা বলতে কি বুড়ি না মরলে তার নামটা নীলু ভুলেই মেরে দিত। হাসপাতালে মরেনি বুড়ি যে ডাক্তার ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেবে। তিনমাস বিছানায় পড়ে থেকে নিভাননী বাড়িতেই গত হয়েছেন। গ্রামের কোয়াক ডাক্তার যে কাগজখানা লিখে দিয়েছিল সেইটে নিয়ে অঞ্চল অফিসে দৌড়েছিল নীলু। সেখানে পাশ দেওয়া ডাক্তার সেই কাগজ দেখে সন্তুষ্ট হলে তবে গিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট। তো সেখানেই  নিভাননীর নামটা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি হল দীর্ঘকাল পরে। তা নাহলে নীলু জিভে ছ্যাঁকা খেলেও ও নাম মনে করতে পারত না। তবে বড়ঠাকুমা যে গোরা পুলিসদের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল সে গল্প হারাধন তাদের কাছে ছোটবেলায় অনেক করেছে। তাতে ছেলেবেলায় খানিকটা ভক্তি শ্রদ্ধা এলেও বড় হতে হতে তাঁর কড়া শাসনে সেসব বেমালুম গায়েব হয়ে গিয়েছিল। নীলুর মা বলত, ‘হুজুগে গাঁ শুদ্ধু ছুটল, উনিও ছুটলেন। ছ্যা-ছ্যা-ছ্যা পোয়াতি মেয়েছেলে- ঘরের বউ না ধিঙ্গি? বলি সাহস দেখিয়ে লাভ হল কিছু? সাহেবরা মেরে মাজা ভেঙে দিল! পেটেরটাও গেল ওদিকে সোয়ামিও বংশরক্ষা করতে একটা সতীন এনে হাজির হল! নিকুচি করেছে দেশোদ্ধারের!’ নীলুর মতোই তার মায়ের সঙ্গে বড়ঠাকুমার একেবারেই পটত না। মা ভেবেছিল শাশুড়ি-শ্বশুর নেই সংসারে ঢুকেই চাবিকাঠিটা আঁচলে বাঁধবে। সৎশাশুড়ি আবার শাশুড়ি! সে তো আশ্রিতা! বিধবা বুড়ি! তাকে দু’বেলা দুটো খেতে পরতে দিয়ে দাসীবাঁদির মতো খাটাবে। কিন্তু নীলিমা এসে দেখল এ সংসারের চাকা উল্টো বাগে ঘোরে। তার স্বামীই তেনার বশ। উঠতে বললে ওঠে আর বসতে বললে বসে। কে বলে নিজের মা নয় সৎমা! নীলিমা বুদ্ধিমতী। সে মনে মনে বললে, আচ্ছা, এক মাঘে শীত যায় না! তবু কম দিন নয়। বুড়ির যেন অক্ষয় পরমায়ু। নব্বই বছর বয়সেও ঘরে পাঠশালা বসিয়েছে। বিউলির ডাল ফেটিয়ে গয়না বড়ি দিয়েছে। বরাবর নিজের কাপড় নিজে কাচত। সেলাই করত। নিজের ঘর নিজে পরিষ্কার করত। যেদিন মাথা ঘুরে পড়ল, আর উঠল না। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দিনকতক পরে ডাক্তার ফিরিয়ে দিল। আর নাকি কিছু করবার নেই। এবার ঘরেই ভালো। টালির ঘরটায় একটা ছোট চৌকির ওপর খাওয়া শোওয়া সব। চাষাভুষো জেলে মালোর ঘরে ঝি-চাকরের পাট নেই। ঘরের কাজ করতে ঘরে বউ আনা হয়। নার্স কি আয়ার কথা ভাবেও না কেউ। নীলুর মা সে ঘরের কাছাকাছি হলেও নাকে আঁচল চাপা দিত।  নীলুও মাড়াত না। বুড়ির শরীরে সাড় ছিল না। দৈবাৎ কখনও হ্যাঁ-হুঁ  করে। অধিকাংশ সময় লোক চিনতে পারে না। বিড়বিড় করে ভুল বকে। তবু  ভাগ্য ভালো। হারাধন আর তার কলেজে পড়া মেয়ে রুক্মিণী, নিভাননীর সব করত। 
চার
 টেলিভিশন থেকে লোক নিভাননীর খোঁজ করতে এসেছে শুনে হারাধনের চোখদুটো উজ্জ্বল হল। একদিন তার বড়মায়ের কথা গ্রাম জানত, এবার দেশ জানবে। নীলিমা শুনে ঠোঁট উল্টোল। তারপর হারাধনের কানের কাছে মুখ এনে, বলল, ‘ পেনশনের কথাটা তুলতে ভুল না!’ পেনশনের কথা তুলে নীলিমা আগেও অনেক খোঁটা দিয়েছে, ‘তোমার বড়মা যদি তেমন কেউকেটা হতো, তবে সরকার টাকা দিত। বইয়ে নাম লেখা থাকত! হুঁহ গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল!’ হারাধন নিঃশ্বাস ফেলে নীলিমাকে বললে, ‘আমার ভুল হলেও তোমার তো ভুল হবে না!’ নীলু মাকে তাড়া দিল, ‘ও মা, তুমি ওঁদের জন্য তাড়াতাড়ি চা বসাও। আমি শ্যামলকে শিঙাড়া-মিষ্টি আনতে বলে এসেছি।’ নীলু ততক্ষণে জামা পাল্টে কমলা রঙের ক্যাঁটক্যাটে পাঞ্জাবিটা গলিয়ে চুলে রোলার চালাচ্ছে। ছেলেটার দিকে তাকিয়ে নীলিমার পিত্তি জ্বলে গেল। মাথাটা এত নিরেট যে যারা নিভাননীর খোঁজে এসেছে তারা যে এসব ধর্তব্যে ধরবে না, সে বুদ্ধিটুকু পর্যন্ত মগজে সেঁধোয়নি। টিভির লোক এসেছে শুনে গ্রামের লোক ঝেঁটিয়ে এল। তাদের ঠেলেঠুলে বাড়িতে ঢুকল রুক্মিণী। সেও খবরটা শুনেছে। হারাধন তখন ওঁদের ঘর দেখাচ্ছে। ছবি উঠছে। নীলু বারবার সামনে চলে গিয়ে ধমক খেয়ে পিছিয়ে আসছে। 
পাঁচ
নিভাননীর ঘরেই ওঁরা বসলেন। নীলিমা চা-জলখাবার দিয়েছিল। রুক্মিণী বলছিল, ‘বড়ঠাকুমার বাপেরবাড়ি ছিল হোগলা গ্রামে। মাতঙ্গিনী হাজরা ওই গ্রামের মেয়ে। ঠাকুমা তাঁর আদর্শে উদ্বুদ্ধ। স্বদেশি তখন মেদিনীপুরের ঘরে ঘরে। ঠাকুমার মেজোকাকা কংগ্রেস করতেন। মাতঙ্গিনীর সঙ্গে লবণ আইন অমান্য করে জেল খেটেছেন ১৯৩২ সালে। সেই কাকার থেকে স্বদেশি আন্দোলনের গল্প শুনতেন ঠাকুমা। বিয়ের পরেও কাকার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ ছিল। কাকার থেকে তিনি চরকা কাটা শিখেছিলেন।’ তাকের ওপর তোলা চরকাটার দিকে আঙুল তুলে রুক্মিণী বলল, ‘দীর্ঘদিন ঠাকুমা ওই চরকা কাটতেন। একবার তিনি কাকাকে এই গোয়ালে লুকিয়ে রেখে পুলিসকে ধোঁকা দিয়েছিলেন।’  
টেলিভিশনের লোক রুক্মিনীকে থামাল। ‘সেটা কীরকম?’
রুক্মিণী হাসল। ‘তখন তমলুক জুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের জোয়ার। ঠাকুমার কাকা আন্ডারগ্রাউন্ডে কাজ করতেন। পেছনে চর লেগেছে বুঝতে পেরে তিনি সন্ধের মুখে ভাইঝির বাড়িতে আশ্রয় নিলেন। মুড়ি খেতে বসেছেন, পুলিস এল। ঠাকুমা তাড়াতাড়ি তাঁকে গোয়ালঘরে চালান করে দিলেন, খড়ের গাদার পেছনে। পুলিস হুড়মুড় করে ঢুকে ঘর কে ঘর তছনছ করে গোয়ালের দিকে এগল। ঠাকুমা তখন খড় জ্বালিয়ে গোয়ালে ধোঁয়া দিয়েছেন। মশার জন্য প্রতিদিনই গোয়ালে অমন ধোঁয়া দেওয়া হয়। এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। ধোঁয়ায় চোখ জ্বালা করে। কিছু দেখা যায় না। তবুও একজন কনস্টেবল ঢুকতে গিয়ে গোবরে আছাড় খেল। এরপর তারা আর দাঁড়ায়নি।’ রুক্মিণীর সঙ্গে এবার টিভির লোকেরাও হেসে উঠল। একজন বললেন, ‘এটাও নিশ্চয়ই নিভাননী দেবীর কারসাজি?’ 
‘অবশ্যই।’ রুক্মিণী সায় দিল।  ‘১৯৪২ সালে ভারত ছাড় আন্দোলনে মাতঙ্গিনী হাজরা শহিদ হন ২৯ সেপ্টেম্বর। বুকে গুলি লেগেছিল তাঁর। তবু হাতে ধরা ছিল ত্রিবর্ণ পতাকা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘ব্রিটিশরাজ মুর্দাবাদ! বন্দেমাতরম!’ সরকার চেষ্টা করেছিল খবরটা চেপে দেওয়ার। পারেনি। দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। পরের দিন ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনি দিতে দিতে আমাদের গ্রামের পাঁচশো মানুষ ছুটে যায় তমলুক থানার দিকে। পুলিস পথ আটকে ফিরে যেতে বলে। তারা সমস্বরে বলে ওঠে, ‘পিছাবনি!’ কলকাতার ভাষায় যার মানে পিছিয়ে যাব না। পুলিস গুলি ছোঁড়ে। শহিদ হন গোবিন্দ দাস ও বিপিন মুখার্জি। লাঠি চালাতে থাকে পুলিস। লাঠির ঘায়ে জখম হন ঠাকুমা। তিনি তখন অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর গর্ভপাত হয়।’
ছয়
 অর্থনীতির চাবুকে আজকের পৃথিবী- আত্মকেন্দ্রিক। তরুণ প্রজন্ম কালের ঘোড়া। নীলুরা বিভ্রান্ত!। তবু রুক্মিণী তার সমস্ত হৃদয় দিয়ে নিভাননীকে এমন জীবন্ত করে তোলে গোটা ঘর নিস্তব্ধ হয়ে যায়। যাবার আগে ওঁদের একজন উঠে নিভাননীর ছবিতে রজনীগন্ধার মালা পরিয়ে দেন। মরণোত্তর সম্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওঁরা চলে গেলে কে জানে কেন নীলিমারও আজ চোখে জল আসে! এমনকী নীলুরও গলাটা ব্যথা করে! 
অঙ্কন: সুব্রত মাজী
22nd  September, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ইয়াদগার এ জওক
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন লিখলেন, ‘আপ তো ঘাবড়াকে ইয়ে ক্যাহেতে হ্যায় কে মর যায়েঙ্গে/মরকে ভি চ্যায়েন না পায়া তো কিধর যায়েঙ্গে?’ অর্থাৎ আপনি তো ভয় পেয়ে ভাবলেন এর থেকে মৃত্যুই ভালো। কিন্তু মৃত্যুর পরও যদি শান্তি না আসে, তখন কোথায় যাবেন?  বিশদ

27th  October, 2024
অতীতের আয়না: কলকাতার ফানুস উৎসব
অমিতাভ পুরকায়স্থ

দূরে আকাশ শামিয়ানা। তবে তারাদের প্রদীপ জ্বালার বদলে উড়ে যায় ঘড়ি, পুতুল, হাতি কিংবা উড়োজাহাজের আদলে গড়া ফানুস। খুব স্যুরিয়াল লাগছে? আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লাগতেই পারে। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন কালীপুজোর বিকেলে কলকাতার আকাশের সিগনেচার ছিল এমন দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। বিশদ

06th  October, 2024
এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। বিশদ

29th  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দাদি-পোতি মকবরা
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা বেশ মজার তাই না দাদি? আমাদের কেউ চিনবে না! বিশদ

29th  September, 2024
সিমলার ভৌতিক টানেল
সমুদ্র বসু

অন্ধকার একটা টানেল। স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলা ধরা দেওয়াল। টানেলের ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় জল পড়ার আওয়াজ। সঙ্গে কিছু ‘অন্য’ আওয়াজও কানে আসে। না, এটা কোনও ভৌতিক সিনেমার প্লট নয়। খোদ ভারতের বুকেই রয়েছে এমন একটি ‘ভূতুড়ে’ টানেল। বিশদ

29th  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দিওয়ান-ই-খাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ এগিয়ে আসছে। দিওয়ান-ই-আম, দিওয়ান-ই-খাস, রংমহল, খাস মহল, মোতি মহল জেগে উঠছে ক্রমেই। রং করা হচ্ছে দেওয়াল। পাঁচিল।  সামনেই বয়ে যাওয়া যমুনার প্রতিটি নৌকাকেও রং করেছে তাদের মালিকরা। বিশদ

22nd  September, 2024
অতীতের আয়না: সামাজিকতায় ভিজিটিং কার্ড
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

কার্ডটা কীরকম হয়েছে দেখ তো।’ ফেলুদা ওর মানিব্যাগের ভিতর থেকে সড়াৎ করে একটা ভিজিটিং কার্ড বের করে আমাকে দেখতে দিল। দেখি তাতে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে Prodosh C. Mitter, Private Investigator। বিশদ

22nd  September, 2024
একনজরে
মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তদারকি সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বেড়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় আক্রান্তরাও একত্রিত হতে শুরু করেছে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ইসকনের অন্যতম সংগঠক চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি ঘিরে। ...

সংবিধানের ৭৫ বছর উদযাপনে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ জোরালো করবে তৃণমূল। বিজেপির শাসনকালে সংবিধানের উপর বারবার আঘাত আসছে, এই অভিযোগ তুলে বিজেপিকে নিশানা করবেন তৃণমূলের নেতারা। এমনই খবর মিলেছে জোড়াফুল শিবির থেকে। ...

একদিকে পুজো দেওয়ার, অন্যদিকে পুজো দেখার ভিড়। বৃহস্পতিবার বিকেল গড়াতেই জনকোলাহল আছড়ে পড়ল হুগলির বিভিন্ন জনপদের মন্দিরে, মণ্ডপে। আলোকমালায় সুসজ্জিত রাজপথে ছিল থইথই ভিড়। রাত ...

সোনার দাম একলাফে অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু সোনা কেনার প্রতি আগ্রহ একেবারেই কমেনি। ধনতেরসে মালদহ জেলার সবস্তরের মানুষ সাধ্যমতো সোনা কিনেছেন। ধনতেরস উপলক্ষ্যে মালদহ জেলাজুড়ে ২০০ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ভেগান দিবস
১৫১২: সিস্টিন চ্যাপেল এর ছাদের চিত্রাঙ্কন যা মাইকেলেঞ্জেলো এঁকেছেন, জনগনের জন্য প্রথমবারের মত উম্মুক্ত করে দেয়া হয়
১৬০৪: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর ট্রাজেডী ওথেলো প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৬১১: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রোম্যান্টিক কমেডি টেমপেস্ট প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৮০০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস হলেন দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি দি এক্সিকিউটিভ ম্যানসন এ থাকা শুরু করেন (পরবর্তীকালে যার নাম হয় হোয়াইট হাউস)
১৮৫৮: ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারতের শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে
১৮৬৪: পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রথম মানি অর্ডার পদ্ধতি চালু
১৮৭৩: নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের মৃত্যু
১৮৮০: কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলাচল শুরু
১৯১৫: বাংলা ক্রিকেটের জনক সারদারঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯৫০: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৫০: নোবেল জয়ী পদার্থবিদ রবার্ট লাফলিনের জন্ম
১৯৫৬: বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) এর ফলস্বরূপ মানভূমের একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত হয় পুরুলিয়া জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে
১৯৫৬: ভারতে রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ মোতাবেক মহীশূর রাজ্য বর্তমানে কর্নাটক, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের আত্মপ্রকাশ ও পুনর্গঠন হয়
১৯৭৩: মহীশূর রা্জ্যের নাম বদলে কর্ণাটক হয়
১৯৭৩: অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের জন্ম
১৯৭৪: ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬১ টাকা ৮৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫২ টাকা ১১০.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৯ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা ৩১/২০ রাত্রি ৬/১৭। স্বাতী নক্ষত্র ৫৪/২৫ রাত্রি ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/৪৪/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৭/১৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৭ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা সন্ধ্যা ৫/৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৩/২৬। সূর্যোদয় ৫/৪৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রয়াত জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত বল

11:39:32 PM

মুম্বইয়ের গোরেগাঁওতে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন

10:47:00 PM

হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি

10:25:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সাদাতগঞ্জে একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকল

10:08:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের মারগানা জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

09:48:00 PM

দিল্লির রঘুবারপুরায় একটি আবাসনে আগুন, অকুস্থলে দমকল

09:32:00 PM