Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অতীতের আয়না: সামাজিকতায় ভিজিটিং কার্ড
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

কার্ডটা কীরকম হয়েছে দেখ তো।’
ফেলুদা ওর মানিব্যাগের ভিতর থেকে সড়াৎ করে একটা ভিজিটিং কার্ড বের করে আমাকে দেখতে দিল। দেখি তাতে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে Prodosh C. Mitter, Private Investigator।
‘কৈলাস চৌধুরীর পাথর’ গল্পে আমাদের প্রথম পরিচয় হল ফেলুদার ভিজিটিং কার্ডের সঙ্গে। প্রদোষ মিত্তিরের মতো বহু পেশাদারের এই ভিটিজিং কার্ডই ছিল ব্রান্ডিং। তাই সাধারণভাবে আমরা ভিজিটিং কার্ড বললেও সেটা আসলে বিজনেস কার্ড। 
ভিজিটিং কার্ডের শুরুটা হয় একটু অন্যভাবে, আঠারো-উনিশ শতকের ইউরোপে। আর সেই প্রথা রীতিমতো জাঁকিয়ে বসেছিল ঔপনিবেশিক ভারতে। কারওর বাড়ির কড়া নেড়ে গৃহকর্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ার কথাও ভাবা যেত না ভিক্টোরিয়ার যুগে। আর তাই নিজের আগমন ঘোষণা করার জন্য কার্ড দেওয়ার বাধ্যতামূলক প্রথা থেকে এই কার্ডকে ‘কলিং কার্ড’-ও বলা হতো।  
কোনও নতুন জায়গা একজন নবাগতকে কতটা গ্রহণ করল, সেটা বোঝা যেত এই কার্ডের দেওয়া নেওয়ার সূক্ষ্ম সামাজিকতায়। ফর্মাল পোশাক পরে একগুচ্ছ ভিজিটিং কার্ড নিয়ে বিভিন্ন বাংলোয় দেখা দিতেন নতুন আগন্তুকরা। বাড়ির মহিলাটি গাড়িতে বসে থাকতেন। আর তাঁর স্বামী স্ত্রীর কার্ড নিয়ে দিয়ে আসতেন। গৃহ সহায়ক খুব গম্ভীরভাবে কার্ডটি গ্রহণ করতেন। বাড়িতে একাধিক মহিলা থাকলে প্রত্যেকের জন্য আলাদা করে কার্ড দেওয়ার প্রথা ছিল। কার্ডটি গৃহকর্ত্রীর কাছে পৌঁছলে তিনি সিদ্ধান্ত নিতেন যে, অতিথিদের সঙ্গে দেখা করবেন কি না। তবে সাধারণ প্রথা ছিল প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া যে, মালকিন বাড়ি নেই— ‘নট অ্যাট হোম’। প্রথম দিকে কার্ড হাতে পাওয়ার পর পরিবর্তে অতিথিদের হাতেও তুলে দেওয়া হতো কার্ড। যার মাধ্যমে ইঙ্গিত দেওয়া যে, এই আলাপ পরিচয়ের পর্ব চালিয়ে যেতে গৃহকর্ত্রীর আপত্তি নেই। তবে সেই রিটার্ন কার্ড না দেওয়া হলে বা খামের মধ্যে দেওয়া হলে খুব সূক্ষ্মভাবে উল্টোটা বোঝানো হতো। পরবর্তী সময়ে রিটার্ন কার্ড দেওয়ার প্রথা উঠে গিয়ে নবাগতদের ডিনার বা চায়ের নিমন্ত্রণ করা হতো।
উনিশ শতকের কার্ড দেওয়া-নেওয়ার মধ্যে খুব কৌতূহলব্যঞ্জক দিক ছিল কার্ডের কোনা ভাঁজ করা। নানা ভাঁজের নানা মানে। উপরের ডান দিকের কোনা ভাঁজ করার অর্থ কার্ডের মালিক স্বয়ং এসেছিলেন। কাউকে অভিনন্দন জানানোর উদ্দেশ্যে এলে কার্ডের উপরের বাঁ-দিকের কোনা আর সমবেদনা জানানোর জন্য এলে নীচের বাঁ-দিকের কোনা ভাঁজ করে দেওয়ার হতো। আবার লম্বা ছুটিতে যাওয়ার আগে বিদায় জানানোর জন্যে দেখা করতে এলে নীচের ডান দিকের কোনা ভাঁজ করে রেখে যেতেন দর্শনার্থী। 
এই দেখা করা ও কার্ড দেওয়ার সহবত বা এটিকেটের কোনও সর্বজনগ্রাহ্য সাধারণ নিয়ম ছিল না। বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির নিয়মের সঙ্গে মাদ্রাজ বা বম্বে প্রেসিডেন্সির নিয়ম মিলত না। ব্যাচেলাররা দেখা করতে এলে, দস্তুর ছিল গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রীর জন্য দু’খানি কার্ড রেখে যাওয়ার। অবশ্য ব্যতিক্রম ছিল নববধূদের ক্ষেত্রে। নিয়মের আরও একটি ব্যতিক্রম ছিল ভারতে অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত  ব্রিটিশ সেনা রেজিমেন্টের অফিসারদের স্ত্রীরা। তাঁরা ভারতীয় রেজিমেন্টের ব্রিটিশ অফিসারদের স্ত্রীদের সঙ্গে প্রথম দেখা করতে যেতেন না। আর এটা নিয়ে দ্বিতীয় পক্ষের গভীর অসন্তোষের কথাও গোপন থাকেনি সেকালের নানা সামাজিক দলিলে।
এই সামাজিক নিয়মের সূক্ষ্ম তারতম্যের ফলে নতুন আগন্তুকটি অনেক সময়েই সামাজিক বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতেন। তেমন ঘটনার সাক্ষী বিশ্বনাথ লাহিড়ী, যিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশের প্রথম ভারতীয় আইজি হয়েছিলেন। ব্রিটিশ আমলে সদ্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর ট্রেনিং হয় মুরাদাবাদে। ট্রেনিং কলেজের প্রিন্সিপাল তাকে সেখানকার বিবাহিত অফিসারদের এক তালিকা দিয়ে তাঁর সুবিধামতো কার্ড রেখে আসতে বলেন। গত শতকের দ্বিতীয় দশকে অভিজাত বাংলোতে শুধু গৃহকর্ত্রীর নাম লেখা ‘নট অ্যাট হোম’ বাক্স টাঙানো থাকত। নবাগত ব্যাচেলারের উচিত ছিল দু’টি কার্ড সেই বাক্সে ফেলে আসা। কিন্তু এক বাড়িতে শুধু একটি কার্ড ফেলে এসে মহা বিড়ম্বনায় পড়েন লাহিড়ী মশাই। অন্য এক বাড়িতে গিয়ে শুনলেন যে সাহেব বাড়ি নেই। সেক্ষেত্রেও দু’টি কার্ড ছেড়ে আসার নিয়ম না মেনে মেমসাহেবের সঙ্গে দেখা করার জন্য বারান্দায় দাঁড়িয়ে রইলেন বিশ্বনাথবাবু। তাই গৃহকর্ত্রী বাধ্য হলেন তাকে ভেতরে ডাকতে। ফলে ভদ্রলোক আবার সমাজে হাসির খোরাক হলেন। দেখা করতে যাওয়া ও ভিজিটিং কার্ড দেওয়ার সামাজিক প্রথাকে মানুষ ঠিক কতটা গুরুত্ব দিতেন, সেটা বোঝা যায় ইউরোপ ও আমেরিকায় প্রকাশিত সামাজিক শিষ্টাচার বা এটিকেট-এর বিভিন্ন গাইড বইতে ভিজিটিং কার্ড দেওয়া-নেওয়া মান্য প্রথা থেকে শুরু করে তার নকশা ও বিষয়বস্তু নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা। ১৯৩৩-এ প্রকাশিত এটিকেটের বইতে লিলিয়ান আইকলার লিখছেন,  কার্ড সব সময় সরল টাইপফেস ব্যবহার করে সাদার উপর কালো দিয়ে ছাপা উচিত। রংচঙে ও জমকালো কার্ড তার মালিকের সন্দেহজনক রুচির পরিচয় বহন করে। পরবর্তী সময়ে দুনিয়া কাঁপানো সঙ্গীত দল ‘বিটলস্‌’ যখন বিখ্যাত হয়নি, সে সময়ে তাদের কার্ড দেখে সেই রুচির কথাটাই মনে হয়। 
১৯২৮ সালের কলকাতার সাহেব এলাকাগুলিতেও এই সামাজিক প্রথা চালু থাকার কথা জানা যায়। ব্রিটিশ আমলের শেষদিকে শৈশব কাটানো মানুষদের স্মৃতিকথা নিয়ে লরেন্স ফ্লেমিং সংকলনে জনৈক অ্যান বার্কিনশ’ বলছেন যে, বালিগঞ্জের সানি পার্ক ছেড়ে তাঁরা আলিপুরে যে বাড়িতে উঠলেন, সেখানে কলিং কার্ডের জন্য আলাদা বাক্স ছিল। নতুন বাড়িতে এসে তিনিও তাঁর মায়ের সঙ্গে অন্য বাড়িতে কলিং কার্ড ছাড়তে যেতেন।   
কার্ড রাখার কেস যেমন কাগজের মণ্ড, কাঠ বা কচ্ছপের খোলের মতো সহজলভ্য জিনিস দিয়ে তৈরি হতো, তেমনই সোনা, রুপো বা হাতির দাঁতের কেস ব্যবহার করতেন অভিজাতরা। দক্ষিণ ভারত, কচ্ছ, কাশ্মীর, লখনউ, কলকাতা— সব জায়গার কারিগররা নিজেদের শিল্পের বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তুলতেন এই কাজে। কলকাতায় এই কাজে কুক অ্যান্ড কেলভি অথবা হ্যামিল্টনের অ্যান্ড কোং-এর মতো সাহেব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিতেন এই শহরের বাঙালি সংস্থা, যেমন দাস অ্যান্ড দত্ত, গিরীশচন্দ্র দত্ত বা গোপীনাথ দত্ত। এই প্রতিষ্ঠানগুলির বিশেষত্ব ছিল স্থানীয় গ্রামীণ বা সামাজিক দৃশ্যকে রুপোর বিভিন্ন পাত্রে ফুটিয়ে তোলা। কলকাতার কারিগরদের হাতের কার্ড কেস ঔপনিবেশিক শিল্পসামগ্রীর নিদর্শন হিসেবে বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে।  
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ভিজিটিং বা কলিং কার্ড দেওয়া-নেওয়ার প্রথা ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে গিয়ে কার্ড বলতে একমাত্র চালু থাকে বিজনেস কার্ড। ঠিক যেমন অপ্সরা থিয়েটার মামলায় ‘লালমোহন গাঙ্গুলী, রাইটার’ লেখা কার্ড ছাপিয়েছিলেন জটায়ু। 
22nd  September, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ইয়াদগার এ জওক
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন লিখলেন, ‘আপ তো ঘাবড়াকে ইয়ে ক্যাহেতে হ্যায় কে মর যায়েঙ্গে/মরকে ভি চ্যায়েন না পায়া তো কিধর যায়েঙ্গে?’ অর্থাৎ আপনি তো ভয় পেয়ে ভাবলেন এর থেকে মৃত্যুই ভালো। কিন্তু মৃত্যুর পরও যদি শান্তি না আসে, তখন কোথায় যাবেন?  বিশদ

27th  October, 2024
অতীতের আয়না: কলকাতার ফানুস উৎসব
অমিতাভ পুরকায়স্থ

দূরে আকাশ শামিয়ানা। তবে তারাদের প্রদীপ জ্বালার বদলে উড়ে যায় ঘড়ি, পুতুল, হাতি কিংবা উড়োজাহাজের আদলে গড়া ফানুস। খুব স্যুরিয়াল লাগছে? আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লাগতেই পারে। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন কালীপুজোর বিকেলে কলকাতার আকাশের সিগনেচার ছিল এমন দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। বিশদ

06th  October, 2024
এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। বিশদ

29th  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দাদি-পোতি মকবরা
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা বেশ মজার তাই না দাদি? আমাদের কেউ চিনবে না! বিশদ

29th  September, 2024
সিমলার ভৌতিক টানেল
সমুদ্র বসু

অন্ধকার একটা টানেল। স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলা ধরা দেওয়াল। টানেলের ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় জল পড়ার আওয়াজ। সঙ্গে কিছু ‘অন্য’ আওয়াজও কানে আসে। না, এটা কোনও ভৌতিক সিনেমার প্লট নয়। খোদ ভারতের বুকেই রয়েছে এমন একটি ‘ভূতুড়ে’ টানেল। বিশদ

29th  September, 2024
নিভাননী দেবী
ঝিমলি নন্দী

হারাধন দাসের বাড়িটা পিছাবনি গ্রামের দক্ষিণদিকের শেষ প্রান্তে জোড়া পুকুরের ধারে। বাড়িটা পাকা বটে তবে না ছিরি না ছাঁদ। যখন যেমন ঘর দরকার হয়েছে,  তেমন করেই বাড়ানো। ভেতর দিকের উঠোনে একটা ঘরে আবার সিমেন্টের খুঁটির ওপর টালির চাল। বিশদ

22nd  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দিওয়ান-ই-খাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ এগিয়ে আসছে। দিওয়ান-ই-আম, দিওয়ান-ই-খাস, রংমহল, খাস মহল, মোতি মহল জেগে উঠছে ক্রমেই। রং করা হচ্ছে দেওয়াল। পাঁচিল।  সামনেই বয়ে যাওয়া যমুনার প্রতিটি নৌকাকেও রং করেছে তাদের মালিকরা। বিশদ

22nd  September, 2024
একনজরে
সোনার দাম একলাফে অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু সোনা কেনার প্রতি আগ্রহ একেবারেই কমেনি। ধনতেরসে মালদহ জেলার সবস্তরের মানুষ সাধ্যমতো সোনা কিনেছেন। ধনতেরস উপলক্ষ্যে মালদহ জেলাজুড়ে ২০০ ...

ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগায় ট্রেন দুর্ঘটনা মামলায় তিন রেলকর্মীকে জামিন দিল ওড়িশা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি আদিত্যকুমার মহাপাত্রের বেঞ্চ। ...

একদিকে পুজো দেওয়ার, অন্যদিকে পুজো দেখার ভিড়। বৃহস্পতিবার বিকেল গড়াতেই জনকোলাহল আছড়ে পড়ল হুগলির বিভিন্ন জনপদের মন্দিরে, মণ্ডপে। আলোকমালায় সুসজ্জিত রাজপথে ছিল থইথই ভিড়। রাত ...

মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তদারকি সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বেড়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় আক্রান্তরাও একত্রিত হতে শুরু করেছে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ইসকনের অন্যতম সংগঠক চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি ঘিরে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ভেগান দিবস
১৫১২: সিস্টিন চ্যাপেল এর ছাদের চিত্রাঙ্কন যা মাইকেলেঞ্জেলো এঁকেছেন, জনগনের জন্য প্রথমবারের মত উম্মুক্ত করে দেয়া হয়
১৬০৪: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর ট্রাজেডী ওথেলো প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৬১১: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রোম্যান্টিক কমেডি টেমপেস্ট প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৮০০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস হলেন দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি দি এক্সিকিউটিভ ম্যানসন এ থাকা শুরু করেন (পরবর্তীকালে যার নাম হয় হোয়াইট হাউস)
১৮৫৮: ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারতের শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে
১৮৬৪: পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রথম মানি অর্ডার পদ্ধতি চালু
১৮৭৩: নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের মৃত্যু
১৮৮০: কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলাচল শুরু
১৯১৫: বাংলা ক্রিকেটের জনক সারদারঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯৫০: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৫০: নোবেল জয়ী পদার্থবিদ রবার্ট লাফলিনের জন্ম
১৯৫৬: বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) এর ফলস্বরূপ মানভূমের একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত হয় পুরুলিয়া জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে
১৯৫৬: ভারতে রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ মোতাবেক মহীশূর রাজ্য বর্তমানে কর্নাটক, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের আত্মপ্রকাশ ও পুনর্গঠন হয়
১৯৭৩: মহীশূর রা্জ্যের নাম বদলে কর্ণাটক হয়
১৯৭৩: অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের জন্ম
১৯৭৪: ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬১ টাকা ৮৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫২ টাকা ১১০.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৯ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা ৩১/২০ রাত্রি ৬/১৭। স্বাতী নক্ষত্র ৫৪/২৫ রাত্রি ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/৪৪/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৭/১৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৭ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা সন্ধ্যা ৫/৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৩/২৬। সূর্যোদয় ৫/৪৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বন্ধ গঙ্গোত্রী মন্দির
শনিবার বন্ধ হল গঙ্গোত্রী ধাম। শীতের মরশুমের আগে মন্দিরের দরজা ...বিশদ

09:32:39 AM

প্রয়াত জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত বল

11:39:32 PM

মুম্বইয়ের গোরেগাঁওতে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন

10:47:00 PM

হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি

10:25:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সাদাতগঞ্জে একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকল

10:08:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের মারগানা জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

09:48:00 PM