Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

গুপ্ত রাজধানী: দাদি-পোতি মকবরা
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা বেশ মজার তাই না দাদি? আমাদের কেউ চিনবে না!
হ্যাঁ। এই শহর ইতিহাসের শহর। এখানে প্রতিটি পদক্ষেপে একটি করে ইতিহাসের যুগ মিশে রয়েছে। কিছু পথ হেঁটে যাবে মানুষ সুলতানি আমলকে সঙ্গে নিয়ে। আবার যদি সে সড়ক বদল করে, কখন যেন নিজের অজান্তে ঢুকে পড়বে লোদি সাম্রাজ্যে। হাঁটতে হাঁটতে কোন সময় সে যে মুঘল আমলে পা ফেলবে বিন্দুমাত্র বুঝতেই পারবে না। আবার মাঝপথে তুঘলকি শাসনের রহস্যময় পরিত্যক্ত কেল্লা থেকে আসবে অলৌকিক বাতাস। আর এসব চেনা কাহিনি, জানা চরিত্র আর রুদ্ধশ্বাস কিস্‌সার মধ্যে আমরা রয়ে যাব অচেনা হয়ে। অজানা রহস্য হিসেবে। কেউ জানবে না আমরা কে!  ঠিকই বলেছিস, এটা খুব মজার। 
কিন্তু আমরা কি কোথাও কোনও সূত্র রেখে যাব না? ইতিহাসের অন্তহীন পৃষ্ঠায় একটি বিন্দুর মতোও স্থান হবে না? 
কী দরকার? এটাই তো বেশ ভালো! অন্যরকম ভাবে থেকে যাওয়া। আমার মনে হয় এই আশ্চর্য নগরীতে বহু স্থাপত্য থেকে যাবে চেনা গল্প হয়ে। আর ঠিক একইভাবে বহু কাহিনির সন্ধান পাবে না ভবিষ্যতের মানুষ। তাই আমরা সেই দলে নাম লেখাতে চাই। দেখবি, একদিন সময় আসবে, যেদিন আমাদের মতো এই অজানা অচেনা আর অলিখিতদের নিয়েই এই শহরের মানুষ বেশি বেশি আকৃষ্ট হবে।
মানুষ কি নিজেকে চেনে? নিজেও কি অনেকটা 
অজানা নয়?
ঠিক বলেছিস! এই তো দেখছি তোরও বেশ বুদ্ধি খুলেছে। ওটাই সঠিক। বাইরের অজানাকে খোঁজার আড়ালে, আসলে মানুষ নিজের অন্দরের অজানাকেই হয়তো সন্ধান করে। আজীবন ঘুরে বেড়ায়। আজীবন খুঁজে বেড়ায়। আমাদেরও খুঁজে 
বেড়াবে মানুষ। 
এই কথোপকথন সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কিন্তু বেহেস্ত, জন্নত, অথবা জাহান্নাম। এরকম কোনও স্থান যদি থেকেই থাকে, তাহলে হয়তো বহুকাল ধরে এরকমই একটি কথোপকথন চলছে দুই চরিত্রের মধ্যে। কারা তারা? কারা সেটাই তো এক রহস্য। জানা যায়নি। আর যায়নি ব঩লেই বহু কাল ধরে তাদের নিয়ে চলছে জল্পনা। হচ্ছে গল্প বোনা। 
দিল্লির নগরী কোনওদিন থিতু হয়নি। সে শুধুই  চলমান। বহমান। আজকের দক্ষিণ দিল্লির যেখানে মেহরৌলি, সেখান থেকেই বলা যেতে পারে আধুনিক দিল্লি নগরীর উৎপত্তি। অর্থাৎ সেই মহাভারতের আমলের কিছু রেফারেন্স ছাড়া। নতুন এই আধুনিক কালের দিল্লি ছড়ানো ছিল ইতিহাসের হরিয়াঙ্কা পর্যন্ত। অর্থাৎ হরিয়ানা। পৃথ্বীরাজ চৌহান, অনঙ্গপাল তোমর, দাস বংশ সকলেই এই দক্ষিণ দিল্লি থেকে ধিল্লিকানগরীর ক্রমবিবর্তন শুরু করেছিলেন। এরপর আরও একটু এগিয়ে এল দিল্লি। তুঘলকেরা নিজেদের রাজধানী অথবা কেল্লা নির্মাণ করল আজকের যে অঞ্চলকে তুঘলকাবাদ বলে সেখানে। যার একদিকে সাকেত। অন্যদিকে বদরপুর। মাঝখানে অলকানন্দা। কিন্তু খিলজিরা বেছে নিল অন্য এলাকা। আজকের হৌস খাস। 
হৌস খাস একদিকে। অন্যপ্রান্তে গ্রিন পার্ক। মাঝখান থেকে দুই অঞ্চলকে চিরে গিয়েছে 
অরবিন্দ মার্গ। 
এহেন গ্রিন পার্কে প্রবেশ করলে লক্ষ করা যায় ইতিহাসের স্থাপত্য ছড়িয়ে আছে এদিকে ওদিকে। কিন্তু সেটা তো দিল্লির সর্বত্রই। তার মধ্যে বৈশিষ্ট্য কী আছে? বিশেষ চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য হল, গ্রিন পার্কে একঝাঁক ক্ষুদ্র অথবা মাঝারি সমাধি, স্তম্ভ, মকবরা, বিজয়মিনার রয়েছে, যেগুলির সঙ্গে যুক্ত ইতিহাস আজও অজানা। ভারতের পুরাতাত্ত্বিক বিভাগ এগুলির চমৎকারভাবে দেখভাল করছে। রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস? ইতিহাস নীরব। এমনকী এগুলির প্রবেশদ্বারে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার যে পরিচয়জ্ঞাপক বোর্ড, সেখানেও বারংবার ব্যবহার করা হয়েছে ‘সম্ভবত’ কথাটি। ‘শায়দ’। ‘মে বি’। 
গ্রিন পার্কে ঠিক এরকমই একটি রহস্যময় প্রশস্ত প্রাঙ্গণ হল ‘দাদি-পোতি কি মকবরা।’ অর্থাৎ ‘ঠাকুমা-নাতনির সমাধিস্থল’। তোমর নয়, সুলতানি নয়, তুঘলক নয়, লোদি নয় কিংবা মুঘল শাসনকালের কোনও রাজপুরুষ অথবা  রাজা-রানি, বাদশাহ-বেগমের কাহিনিও জড়িত নেই এই সমাধিস্থলের সঙ্গে। অথচ সুচারুভাবে নির্মিত। স্থাপত্যে মিশে রয়েছে অনুপম ভাস্কর্যের ছাপ। প্রবেশ পথ মোরাম বিছানো। দু’দিকে সবুজ গালিচার মতো ঘাস। আর গাছের সারি। ইতস্তত ঘুরছে কাঠবেড়ালি। আকাশে উড়ছে চিল এবং পায়রা।
 দাদি-পোতি কেন? কারণ একটি নয়। এখানে পাশাপাশি দু’টি সমাধি স্থাপত্য গড়ে তোলা হয়েছিল। একটি আকারে অনেকটা বড়। আর ঠিক পাশেরটি আকারে ছোট। তাই জনশ্রুতি হিসেবে এই দুই সমাধিকে নাম দেওয়া হয়েছে দাদি-পোতি। যে সমাধির আকার বড়, তাকে বলা হয় দাদি অর্থাৎ ঠাকুমা। আর যেটি ক্ষুদ্রাকার, তাকে বলা হয় পোতি অর্থাৎ নাতনি। অবশ্য এমনও বলা হয়ে থাকে যে, বহু-বান্দি মকবরা। অর্থাৎ বধূ-দাসী। যদিও দাদি-পোতি মকবরা পরিচয়টি বেশি জনপ্রিয়। 
রহস্যময় কেন? প্রথমত হঠাৎ সম্পূর্ণ অজানা অচেনা এবং সাধারণ মানুষের দু’টি মকবরা এরকম একটি হাই প্রোফাইল স্থানে গড়ে উঠবে কেন? কারা তৈরি করল? তারা কি সত্যিই ঠাকুমা ও নাতনিই ছিল? এমনকী এই সমাধি স্থাপত্য যে দুই নারীরই সেটাই বা কীভাবে জানা গেল? অথচ একটি দু’টি তো নয়। বৃহৎ সমাধির অন্দরে একে একে সাতটি সমাধিস্থল। সেগুলি কাদের? সম সময়ের? নাকি পরবর্তীকালে তৈরি হয়েছে? 
সবথেকে বড় ধোঁয়াশা হল, পুরাতাত্ত্বিক গবেষণায় অনুমান করা হচ্ছে আদৌ একই সঙ্গে এবং একই কালে তৈরি হয়নি। একটি তুঘলক আমলে। যা ১৩২০ থেকে ১৪১৩ সাল পর্যন্ত সময়সীমায় বিস্তৃত। আর অন্যটি লোদি শাসনকালে। লোদিরা ১৪৫১ থেকে ১৫২৬ সাল পর্যন্ত শাসন করেছে দিল্লি। অর্থাৎ প্রায় একশো-দেড়শো বছরের ফারাক রয়ে঩ছে দুই শাসনকালের। একটি গড়ে উঠল তুঘলক আমলে। তারপর প্রায় দেড়শো বছর পার্শ্ববর্তী স্থানটি শূন্যই রইল। তারপর একটি ক্ষুদ্রাকৃতি মকবরা গড়ে তোলা হয় সেখানেই! 
বড় মকবরায় প্রবেশ করলে দেখা যাচ্ছে সিলিং ও দেওয়ালে আবছা কোরানের আয়াত লিখিত হয়েছে। কিন্তু ক্ষুদ্রাকার সমাধির গম্বুজের মাথায় ওরকম একটি স্থাপত্য কেন? ঠিক যেন কোনও রাজপুতানার কেল্লায় বসানো ছত্রী! রাজপুত স্টাইল! এর অর্থ কী? রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে! 
অনুমান করা হয় বৃহৎ এই সমাধি ছিল কোনও সামন্ত অথবা ওমরাহের বেগমের। যাদের মধ্যে ছিল রুচির ছাপ। কারণ দেওয়াল ও বহিরঙ্গে পারস্যের শিল্পকর্মের ছায়া। 
পর্যটক নেই। অজানা অচেনা ধোঁয়াশা পূর্ণ দুর্গ কিংবা সমাধিস্থলের যেমন দৃশ্য হওয়া উচিত, তেমনই এখানেও। কখনও সখনও কোনও পথশ্রান্ত পথিক ঢুকে পড়েন। দূর দেশ থেকে আসা এক বিদেশিনী ক্যামেরা নিয়ে হাঁটুমুড়ে বসেছেন অচেনা ভারতের স্মৃতি দেশে নিয়ে যেতে। ঘুরছে ঘুঘু পাখির ঝাঁক। বাতাসে মিশছে দাদি-পোতির দীর্ঘশ্বাস! 
29th  September, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ইয়াদগার এ জওক
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন লিখলেন, ‘আপ তো ঘাবড়াকে ইয়ে ক্যাহেতে হ্যায় কে মর যায়েঙ্গে/মরকে ভি চ্যায়েন না পায়া তো কিধর যায়েঙ্গে?’ অর্থাৎ আপনি তো ভয় পেয়ে ভাবলেন এর থেকে মৃত্যুই ভালো। কিন্তু মৃত্যুর পরও যদি শান্তি না আসে, তখন কোথায় যাবেন?  বিশদ

27th  October, 2024
অতীতের আয়না: কলকাতার ফানুস উৎসব
অমিতাভ পুরকায়স্থ

দূরে আকাশ শামিয়ানা। তবে তারাদের প্রদীপ জ্বালার বদলে উড়ে যায় ঘড়ি, পুতুল, হাতি কিংবা উড়োজাহাজের আদলে গড়া ফানুস। খুব স্যুরিয়াল লাগছে? আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লাগতেই পারে। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন কালীপুজোর বিকেলে কলকাতার আকাশের সিগনেচার ছিল এমন দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। বিশদ

06th  October, 2024
এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। বিশদ

29th  September, 2024
সিমলার ভৌতিক টানেল
সমুদ্র বসু

অন্ধকার একটা টানেল। স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলা ধরা দেওয়াল। টানেলের ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় জল পড়ার আওয়াজ। সঙ্গে কিছু ‘অন্য’ আওয়াজও কানে আসে। না, এটা কোনও ভৌতিক সিনেমার প্লট নয়। খোদ ভারতের বুকেই রয়েছে এমন একটি ‘ভূতুড়ে’ টানেল। বিশদ

29th  September, 2024
নিভাননী দেবী
ঝিমলি নন্দী

হারাধন দাসের বাড়িটা পিছাবনি গ্রামের দক্ষিণদিকের শেষ প্রান্তে জোড়া পুকুরের ধারে। বাড়িটা পাকা বটে তবে না ছিরি না ছাঁদ। যখন যেমন ঘর দরকার হয়েছে,  তেমন করেই বাড়ানো। ভেতর দিকের উঠোনে একটা ঘরে আবার সিমেন্টের খুঁটির ওপর টালির চাল। বিশদ

22nd  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দিওয়ান-ই-খাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ এগিয়ে আসছে। দিওয়ান-ই-আম, দিওয়ান-ই-খাস, রংমহল, খাস মহল, মোতি মহল জেগে উঠছে ক্রমেই। রং করা হচ্ছে দেওয়াল। পাঁচিল।  সামনেই বয়ে যাওয়া যমুনার প্রতিটি নৌকাকেও রং করেছে তাদের মালিকরা। বিশদ

22nd  September, 2024
অতীতের আয়না: সামাজিকতায় ভিজিটিং কার্ড
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

কার্ডটা কীরকম হয়েছে দেখ তো।’ ফেলুদা ওর মানিব্যাগের ভিতর থেকে সড়াৎ করে একটা ভিজিটিং কার্ড বের করে আমাকে দেখতে দিল। দেখি তাতে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে Prodosh C. Mitter, Private Investigator। বিশদ

22nd  September, 2024
একনজরে
ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগায় ট্রেন দুর্ঘটনা মামলায় তিন রেলকর্মীকে জামিন দিল ওড়িশা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি আদিত্যকুমার মহাপাত্রের বেঞ্চ। ...

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কোচিং সেন্টারের অঙ্কের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিস। ধৃতের নাম শুভব্রত দত্ত। বীরভূমের সাঁইথিয়া থানা এলাকায় তার আদি বাড়ি। বর্তমানে সে বর্ধমান শহরের শাঁখারিপুকুর এলাকায় বরফকলের কাছে থাকে। ...

একদিকে পুজো দেওয়ার, অন্যদিকে পুজো দেখার ভিড়। বৃহস্পতিবার বিকেল গড়াতেই জনকোলাহল আছড়ে পড়ল হুগলির বিভিন্ন জনপদের মন্দিরে, মণ্ডপে। আলোকমালায় সুসজ্জিত রাজপথে ছিল থইথই ভিড়। রাত ...

সংবিধানের ৭৫ বছর উদযাপনে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ জোরালো করবে তৃণমূল। বিজেপির শাসনকালে সংবিধানের উপর বারবার আঘাত আসছে, এই অভিযোগ তুলে বিজেপিকে নিশানা করবেন তৃণমূলের নেতারা। এমনই খবর মিলেছে জোড়াফুল শিবির থেকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ভেগান দিবস
১৫১২: সিস্টিন চ্যাপেল এর ছাদের চিত্রাঙ্কন যা মাইকেলেঞ্জেলো এঁকেছেন, জনগনের জন্য প্রথমবারের মত উম্মুক্ত করে দেয়া হয়
১৬০৪: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর ট্রাজেডী ওথেলো প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৬১১: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রোম্যান্টিক কমেডি টেমপেস্ট প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৮০০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস হলেন দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি দি এক্সিকিউটিভ ম্যানসন এ থাকা শুরু করেন (পরবর্তীকালে যার নাম হয় হোয়াইট হাউস)
১৮৫৮: ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারতের শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে
১৮৬৪: পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রথম মানি অর্ডার পদ্ধতি চালু
১৮৭৩: নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের মৃত্যু
১৮৮০: কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলাচল শুরু
১৯১৫: বাংলা ক্রিকেটের জনক সারদারঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯৫০: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৫০: নোবেল জয়ী পদার্থবিদ রবার্ট লাফলিনের জন্ম
১৯৫৬: বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) এর ফলস্বরূপ মানভূমের একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত হয় পুরুলিয়া জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে
১৯৫৬: ভারতে রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ মোতাবেক মহীশূর রাজ্য বর্তমানে কর্নাটক, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের আত্মপ্রকাশ ও পুনর্গঠন হয়
১৯৭৩: মহীশূর রা্জ্যের নাম বদলে কর্ণাটক হয়
১৯৭৩: অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের জন্ম
১৯৭৪: ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬১ টাকা ৮৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫২ টাকা ১১০.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৯ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা ৩১/২০ রাত্রি ৬/১৭। স্বাতী নক্ষত্র ৫৪/২৫ রাত্রি ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/৪৪/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৭/১৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৭ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা সন্ধ্যা ৫/৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৩/২৬। সূর্যোদয় ৫/৪৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বন্ধ গঙ্গোত্রী মন্দির
শনিবার বন্ধ হল গঙ্গোত্রী ধাম। শীতের মরশুমের আগে মন্দিরের দরজা ...বিশদ

09:32:39 AM

প্রয়াত জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত বল

11:39:32 PM

মুম্বইয়ের গোরেগাঁওতে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন

10:47:00 PM

হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি

10:25:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সাদাতগঞ্জে একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকল

10:08:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের মারগানা জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

09:48:00 PM