Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। দিল্লি হয়েই তো যেতে হবে। আবার সিমলা কিংবা রাজস্থান? সেক্ষেত্রেও ওই দিল্লি ছুঁয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ থাকে। অর্থাৎ উত্তর ভারত ভ্রমণে দিল্লিকে স্পর্শ করে যাওয়া কিংবা আসা-যাওয়ার পথে এক-দু’দিন দিল্লিতে থেকে গিয়ে ‘লোকাল ট্যুরে’র  প্ল্যান অতি পরিচিত। 
প্রতিটি ক্ষেত্রেই সর্বাগ্রে কী মনে আসে? থাকব কোথায়? আবহমান সময় ধরেই বাঙালি পর্যটকের কাছে দিল্লিতে থাকার জায়গা দু’টিই। দিল্লি কালীবাড়ি কিংবা পাহাড়গঞ্জ। ক্রমেই এসেছে আরও নানাবিধ বিকল্প। একাধিক বাঙালি সংস্থা পরিচালিত কালীবাড়ি। দক্ষিণ দিল্লি, চিত্তরঞ্জন পার্ক, গ্রেটার কৈলাসের দুর্গাবাড়ি, ময়ূর বিহার, মাতৃমন্দির ইত্যাদি। বাঙালি খাওয়া, বাঙালি থাকা ও মন্দির। 
দিল্লি ভ্রমণের খুঁটিনাটি বলার জন্য এই প্রসঙ্গের অবতারণা নাকি? একেবারেই নয়। একটিমাত্র স্থানের মাহাত্ম্য বর্ণনা উদ্দেশ্য। পাহাড়গঞ্জ। শুধু বাঙালি নয়। ভারত হোক অথবা নেদারল্যান্ড। বিশ্বের যেকোনও প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক, পরীক্ষার্থী, ইন্টারভিউ দিতে আসা কর্মপ্রার্থী কিংবা ছোটবড়  ব্যবসায়ী। সকলের কাছে সবথেকে সুবিধাজনক থাকার স্থান হিসেবে জনপ্রিয়তায় এক নম্বর পাহাড়গঞ্জ। আজও সমান জনপ্রিয়। কেন? কারণ দিল্লি স্টেশনের লাগোয়া। অসংখ্য হোটেল। অসংখ্য খাবার দোকান। এবং বাস, ট্রেন, মেট্রো, অটো, ই-রিকশ। সবই একই একটিই স্থানে। 
নয়াদিল্লি স্টেশনের দু’টি প্রবেশ এবং প্রস্থান দিক। একটি ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে। আজমীরি গেট প্রস্থানদ্বার। আর অন্যটি ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিক থেকে প্রবেশ ও প্রস্থান দ্বার। এই ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে দিল্লি শহরে পা রাখলেই ঠিক উল্টোদিকের যে জনপদ তাকেই বলা হয় পাহাড়গঞ্জ। যা হোটেলের স্বর্গরাজ্য। খাদ্যের সুরম্যক্ষেত্র। ট্রেন থেকে নেমেই হোটেল চাই? পাহাড়গঞ্জ। খুব ভোরে ট্রেন ধরতে হবে? পাহাড়গঞ্জ হোটেলই ভরসা। অতএব  হোটেল এবং খাদ্যভাণ্ডারের জন্য তো ব঩টেই, একটি যাতায়াতের পথে অস্থায়ী আস্তানার জন্য পাহাড়গঞ্জ আদর্শ। 
সম্রাট শাহজাহান নির্মাণ করেছিলেন শাহজাহানাবাদ। অর্থাৎ আজকের পুরনো দিল্লি যেখানে। বাজার, তবায়েফ খানা, মীনাবাজার, সরাইখানা, ব্যবসায়ীদের আগমন, ভাগ্য ফেরানো, সঙ্গীত-সাহিত্য চর্চা,  লালকেল্লা, যমুনা, বাদশাহদের মেজাজ মর্জি, চক্রান্ত, সংঘর্ষ, গুপ্তহত্যা, উত্থান-পতন— এই তাবৎ ইতিহাস আবর্তিত হয়েছে ওই চাঁদনি চক, লালকেল্লাকে কেন্দ্র করেই। শাহজাহান থেকে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ। 
কিন্তু ওই আলোকোজ্জ্বল ইতিহাস বই থেকে কিছুটা দূরেই নিজের একক অস্তিত্ব বজায় রেখে যেন প্রতিটি ঘটনাকে নীরবে পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছে একটি বাজার। একটি জনপদ। তার নাম পাহাড়গঞ্জ। যে নিজেও অসংখ্য ঘটনার পটভূমি। অথচ জনমনে সেগুলি সম্পর্কে সম্যক ধারণা কম। 
দিল্লিতে নাদির শাহ ১৭৩৯ সালের ওই গণহত্যা ঘটালেন কেন? কেনই বা দিল্লির মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ শিখাও প্রদীপে পরিণত হয়েছিল? তার কারণও এই পাহাড়গঞ্জ। নাদির শাহের সেনাবাহিনী এই পাহাড়গঞ্জ বাজারে এসেছিল কেনাকাটা করতে। তাদের পণ্য বিক্রি করতে রাজি হয়নি দিল্লিবাসী কিছু ব্যবসায়ী। সেই নিয়ে তর্কবিতর্ক। দিল্লিবাসী কম যায় না। দুর্ধর্ষ নাদির শাহ সেনাবাহিনীর কিছু সেনাকে সংঘর্ষে খতম করে দেওয়া হল। আর সেই রাগেই নাদির শাহের হরিয়ানার কার্নাল থেকে দিল্লি অভিযান। এমনকী সেই অভিযানের সময় হঠাৎ তার উপর ইট পাথর ছোঁড়া হয়েছিল। ব্যস! হুকুম দিলেন কতল এ আম। রক্তে ভেসে গেল দিল্লি। 
সিপাহি বিদ্রোহ চলছে। সিপাহিদের দ্রোহে কাঁপছে দিল্লির ব্রিটিশ বাহিনী। ১৮৫৭ সাল। মিরাটে যার সূত্রপাত। মিরাটের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও ফতেপুরের ডেপুটি কালেক্টর থিও মেটকাফ সিপাহিদের বিদ্রোহের সংবাদ পেয়েই ভাবলেন দিল্লিতে আগে কোম্পানিকে খবর দিতে হবে। নিজেই রওনা হলেন ১১ মে। এসে পৌঁছলেন। বললেন ব্রিটিশ রেসিডেন্টকে যেকোনও মুহূর্তেই আসতে চলেছে সিপাহিরা। সাবধান। 
তাঁকে ফিরতে দেওয়া হল না। বলা হল নজফগড়ের যুদ্ধে যেন তিনি বাহিনীকে নেতৃত্ব দেন। কিন্তু কোনও যুদ্ধেই কিছু লাভ হল না। সিপাহিদের কাছে সব প্রতিরোধ ভেঙে পড়ল। দিল্লি দখল করল সিপাহিরা। আর শুরু হল ব্রিটিশ হত্যা ও বিতাড়ন। আতঙ্কিত ইউরোপিয়ানরা পাগলের মতো দিল্লি থেকে পালাচ্ছে। খোদ মেটকাফের বাড়িও রেহাই পায়নি। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হল। 
প্রাণ বাঁচাতে হবে মেটকাফকে। কোথায় যাবেন? লালকেল্লা, চাঁদনী চক, শাহজানাবাদের ধারেকাছে তাঁকে দেখা গেলে আর রক্ষা নেই। আলো আঁধারি দিল্লির রাস্তায় ঘোড়ায় চেপে জঙ্গলের ভিতর থেকে যমুনার তীর ঘেঁষে প্রাণভয়ে ১৮৫৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পালাচ্ছেন এক ব্রিটিশ ডেপুটি কালেক্টর! সিপাহিদের ভয়ে।
অবশেষে দেখা যাচ্ছে আলো। দূর থেকে। একটি জনপদ। এসে দেখলেন এটাই পাহাড়গঞ্জ। বাজার আছে। বসতি আছে। তবে শাহজানাবাদের মতো উজ্জ্বল নয়। একটু যেন ম্লান। মুঘল আমলের কোতোয়ালিতে গেলে কি রক্ষা পাওয়া যাবে? পথেঘাটে ঘোরার থেকে সেটাই ভালো। অতএব সোজা কোতোয়ালিতে গেলেন। 
পাহাড়গঞ্জ কোতোয়ালির কোতোয়াল সাহেব কে এখন? মুইন উদ দিন হুসেন খান। একজন ডেপুটি কালেক্টর পদের ব্রিটিশ প্রায় হাতে পায়ে ধরে প্রাণভিক্ষা চাইলেন। মুইন উদ দিন হুসেন খান দেখলেন, একজন মানুষ প্রাণের ভিক্ষা চাইছে। তাকে কি সিপাহিদের হাতে তুলে দেওয়া উচিত? আবার এই ব্রিটিশরাই আজ নয় কাল আবার তাঁদের উপর, তাঁদের বাদশাহের উপর দাদাগিরি করবেন হয়তো। তবু প্রাণ রক্ষার্থে এসেছেন যিনি, তাঁকে রক্ষা করাই তো ধর্ম। অতএব মুইন উদ  দিন হুদেন খান থিও মেটকাফকে নিরাপদে দিল্লির বাইরে চলে যেতে সহায়তা করলেন। মেটকাফ চলে গেলেন রাজপুতানায়। কে ছিলেন এই মুইন উদ দিন হুসেন খানের সম্পর্কিত দাদা? মির্জা গালিব!
দিল্লি রাজধানী হয়ে আসার পর নতুন দিল্লি নামক নয়া শহর গড়ে তোলা হবে। ১৯২০ সালে নজর দেওয়া হল পাহাড়গঞ্জে। স্যার এডুইন লুটিয়েন্স সাজাচ্ছেন দিল্লিকে। পাহাড়গঞ্জ হয়ে উঠল বাণিজ্যিক কেন্দ্র। যার কেন্দ্রস্থলে ইম্পিরিয়াল সিনেমা। ১৯৩০ সাল। আশ্চর্য স্থাপত্য। এখানে ঢুকলে 
দেখা যায় মানুষ নড়ছে চড়ছে। অথচ পর্দায়। এর নাম বায়োস্কোপ। তবে কথা বলে 
না কেউ। 
পাহাড়গঞ্জে সাইলেন্ট সিনেমার যাত্রা শুরু হল ইম্পিরিয়াল সিনেমা হলের হাত ধরে। তবে নিয়ম ছিল যতক্ষণ না দর্শকে পূর্ণ হয়ে যাবে সিনেমা হল, ততক্ষণ সিনেমা শুরু হবে না। তাই বলে কি অতক্ষণ ধরে বসে থাকবে দর্শক? তা কেন? যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ হচ্ছে, ততক্ষণ হবে বাইজিদের নৃত্য! অর্থাৎ সিনেমার টিকিটে বাইজিনৃত্য ফ্রি! পাহাড়গঞ্জে ১৯৪৭ সালের পর থেকে হাজার হাজার উদ্বাস্তু এসে দোকান চালু করল। কোনওমতে সংসার চালানোর কিছু ব্যবস্থা করতে হবে তো! অতএব মুঘল আমল থেকে উদ্বাস্তু। পাহাড়গঞ্জ এক চিরন্তন আশ্রয়খানা। দিল্লির একমাত্র স্থান যা জেগে থাকে ২৪ ঘণ্টা। 
মুঘল এল। ব্রিটিশ এল। স্বাধীনতা এল। পাহাড়গঞ্জ চলমান ইতিহাস হয়ে আজও জেগে রয়েছে! 
20th  October, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ইয়াদগার এ জওক
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন লিখলেন, ‘আপ তো ঘাবড়াকে ইয়ে ক্যাহেতে হ্যায় কে মর যায়েঙ্গে/মরকে ভি চ্যায়েন না পায়া তো কিধর যায়েঙ্গে?’ অর্থাৎ আপনি তো ভয় পেয়ে ভাবলেন এর থেকে মৃত্যুই ভালো। কিন্তু মৃত্যুর পরও যদি শান্তি না আসে, তখন কোথায় যাবেন?  বিশদ

27th  October, 2024
অতীতের আয়না: কলকাতার ফানুস উৎসব
অমিতাভ পুরকায়স্থ

দূরে আকাশ শামিয়ানা। তবে তারাদের প্রদীপ জ্বালার বদলে উড়ে যায় ঘড়ি, পুতুল, হাতি কিংবা উড়োজাহাজের আদলে গড়া ফানুস। খুব স্যুরিয়াল লাগছে? আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লাগতেই পারে। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন কালীপুজোর বিকেলে কলকাতার আকাশের সিগনেচার ছিল এমন দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। বিশদ

06th  October, 2024
এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। বিশদ

29th  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দাদি-পোতি মকবরা
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা বেশ মজার তাই না দাদি? আমাদের কেউ চিনবে না! বিশদ

29th  September, 2024
সিমলার ভৌতিক টানেল
সমুদ্র বসু

অন্ধকার একটা টানেল। স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলা ধরা দেওয়াল। টানেলের ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় জল পড়ার আওয়াজ। সঙ্গে কিছু ‘অন্য’ আওয়াজও কানে আসে। না, এটা কোনও ভৌতিক সিনেমার প্লট নয়। খোদ ভারতের বুকেই রয়েছে এমন একটি ‘ভূতুড়ে’ টানেল। বিশদ

29th  September, 2024
নিভাননী দেবী
ঝিমলি নন্দী

হারাধন দাসের বাড়িটা পিছাবনি গ্রামের দক্ষিণদিকের শেষ প্রান্তে জোড়া পুকুরের ধারে। বাড়িটা পাকা বটে তবে না ছিরি না ছাঁদ। যখন যেমন ঘর দরকার হয়েছে,  তেমন করেই বাড়ানো। ভেতর দিকের উঠোনে একটা ঘরে আবার সিমেন্টের খুঁটির ওপর টালির চাল। বিশদ

22nd  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দিওয়ান-ই-খাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ এগিয়ে আসছে। দিওয়ান-ই-আম, দিওয়ান-ই-খাস, রংমহল, খাস মহল, মোতি মহল জেগে উঠছে ক্রমেই। রং করা হচ্ছে দেওয়াল। পাঁচিল।  সামনেই বয়ে যাওয়া যমুনার প্রতিটি নৌকাকেও রং করেছে তাদের মালিকরা। বিশদ

22nd  September, 2024
অতীতের আয়না: সামাজিকতায় ভিজিটিং কার্ড
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

কার্ডটা কীরকম হয়েছে দেখ তো।’ ফেলুদা ওর মানিব্যাগের ভিতর থেকে সড়াৎ করে একটা ভিজিটিং কার্ড বের করে আমাকে দেখতে দিল। দেখি তাতে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে Prodosh C. Mitter, Private Investigator। বিশদ

22nd  September, 2024
একনজরে
মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তদারকি সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বেড়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় আক্রান্তরাও একত্রিত হতে শুরু করেছে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ইসকনের অন্যতম সংগঠক চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি ঘিরে। ...

ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগায় ট্রেন দুর্ঘটনা মামলায় তিন রেলকর্মীকে জামিন দিল ওড়িশা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি আদিত্যকুমার মহাপাত্রের বেঞ্চ। ...

চমকে ভরা আইপিএলের রিটেনশন তালিকা। গত মরশুমের অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে রাখল না দিল্লি ক্যাপিটালস। চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সও ছেড়ে দিল অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকে। আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল, নিলামেই ভাগ্য ঠিক হবে লোকেশ রাহুলের। ...

একদিকে পুজো দেওয়ার, অন্যদিকে পুজো দেখার ভিড়। বৃহস্পতিবার বিকেল গড়াতেই জনকোলাহল আছড়ে পড়ল হুগলির বিভিন্ন জনপদের মন্দিরে, মণ্ডপে। আলোকমালায় সুসজ্জিত রাজপথে ছিল থইথই ভিড়। রাত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ভেগান দিবস
১৫১২: সিস্টিন চ্যাপেল এর ছাদের চিত্রাঙ্কন যা মাইকেলেঞ্জেলো এঁকেছেন, জনগনের জন্য প্রথমবারের মত উম্মুক্ত করে দেয়া হয়
১৬০৪: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর ট্রাজেডী ওথেলো প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৬১১: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রোম্যান্টিক কমেডি টেমপেস্ট প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৮০০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস হলেন দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি দি এক্সিকিউটিভ ম্যানসন এ থাকা শুরু করেন (পরবর্তীকালে যার নাম হয় হোয়াইট হাউস)
১৮৫৮: ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারতের শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে
১৮৬৪: পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রথম মানি অর্ডার পদ্ধতি চালু
১৮৭৩: নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের মৃত্যু
১৮৮০: কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলাচল শুরু
১৯১৫: বাংলা ক্রিকেটের জনক সারদারঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯৫০: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৫০: নোবেল জয়ী পদার্থবিদ রবার্ট লাফলিনের জন্ম
১৯৫৬: বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) এর ফলস্বরূপ মানভূমের একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত হয় পুরুলিয়া জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে
১৯৫৬: ভারতে রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ মোতাবেক মহীশূর রাজ্য বর্তমানে কর্নাটক, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের আত্মপ্রকাশ ও পুনর্গঠন হয়
১৯৭৩: মহীশূর রা্জ্যের নাম বদলে কর্ণাটক হয়
১৯৭৩: অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের জন্ম
১৯৭৪: ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬১ টাকা ৮৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫২ টাকা ১১০.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৯ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা ৩১/২০ রাত্রি ৬/১৭। স্বাতী নক্ষত্র ৫৪/২৫ রাত্রি ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/৪৪/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৭/১৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৭ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা সন্ধ্যা ৫/৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৩/২৬। সূর্যোদয় ৫/৪৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বন্ধ গঙ্গোত্রী মন্দির
শনিবার বন্ধ হল গঙ্গোত্রী ধাম। শীতের মরশুমের আগে মন্দিরের দরজা ...বিশদ

09:32:39 AM

প্রয়াত জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত বল

11:39:32 PM

মুম্বইয়ের গোরেগাঁওতে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন

10:47:00 PM

হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি

10:25:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সাদাতগঞ্জে একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকল

10:08:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের মারগানা জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

09:48:00 PM