Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

মেট্রোর দুপুর

অভিজিৎ তরফদার: সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
মাটির তলায় অনেক সময় কানেকটিভিটি থাকে না। ট্রেন থেকে নেমেই ফোন দেখেছিল। ফোনের স্ক্রিন শ্মশানের মতো শব্দহীন। মেসেজ-টেসেজও ছিল না। তবু নিজেকে আশা জোগানোর চেষ্টা করেছিল, ভূগর্ভে যা না, মাটির উপরে উঠলে তা হ্যাঁ হতে কতক্ষণ। প্রায় ছুটতে ছুটতে সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠে আর একবার ফোনের পাতা তন্নতন্ন করে খুঁজল দীপন। না, বিতস্তা কোনও ফোন করেনি। পাঠায়নি একটা মেসেজও। 
অবশ্য এর কোনওটাই অভাবিত ছিল না। আশঙ্কার পরিধির মধ্যেই ঘোরাফেরা করছিল এই সম্ভাবনা। তবু দীপন জানিয়েছিল কখন তার ইন্টারভিউ শেষ হবে। কোথায় গিয়ে দীপন অপেক্ষা করবে তাও, বিতস্তা যে তার মেসেজ পড়েছে বুঝতে পেরেছিল দীপন। আসেনি, কেন আসেনি, ভবিষ্যতে আসবে কি না, সে সম্পর্কে একটা শব্দও খরচ করেনি। দীপন বুকের ভেতর জমে থাকা দীর্ঘশ্বাসটা গোপনে, যেন কাকপক্ষীতেও টের না পায় এইভাবে, দুপুরের কলকাতার বাতাসে মিশিয়ে দিল। 
এখন কী করবে দীপন? মেট্রো স্টেশনের সিঁড়িতে বসে থাকার মানে হয় না। উঠতে-নামতে লোকজন বিরক্ত হচ্ছে। সামনে দুপুরের কলকাতা জ্বলছে। পা রাখতেও ভয় করছে। আবার নেমে যাবে? আর একটা ট্রেন ধরবে? 
কিন্তু কোথা থেকে এই যাত্রার সূচনা? পার্ক স্ট্রিটের কাছাকাছি একটি বহুতলের ফোর্থ ফ্লোর, যেখানে তার মতো আরও জনা পঞ্চাশ উপার্জনহীন যুবক-যুবতী মুখ শুকনো করে অপেক্ষা করছিল কখন ডাক পড়ে সেই আশায়। এইসব ইন্টারভিউতে দুটো জিনিস বিনামূল্যে পাওয়া যায়— এক, এসির ঠান্ডা আর দুই, বোতাম টেপা জল। যতক্ষণে হাওয়া আর জল দুটোতেই সম্পত্তির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে তখনই ডাক পড়েছিল দীপনের। অভ্যস্ত পায়ে ভেতরে ঢুকেছিল সেই পুরনো অভিজ্ঞতা। গুডমর্নিং স্যর, বসতে বলা, একটা দুটো মামুলি প্রশ্ন, বাবার নাম, স্কুল-কলেজ, যার সবগুলোই দরখাস্তে লেখা আছে। কেন এই চাকরি করতে চায়, লেখাপড়া চালিয়ে না যাওয়ার কারণ, ইন্টারভিউ নিতে নিতেই ঘড়ি দেখা, সেলফোনে দৃষ্টি সঞ্চালন। কিছুক্ষণ পর থ্যাংক ইউ। বেরিয়ে অপেক্ষমাণ জনতার মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবা, তার তো এটা তেইশ নম্বর, এদের কি অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার এখনও ভরে ওঠেনি? 
বেরিয়ে দুটো ফোন করেছিল দীপন। প্রথমটা মাকে। মা, যে কি না বেরনোর সময় মাথায় প্রসাদি ফুল ঠেকিয়ে ফিসফিস করে বলেছিল, দেখিস এবারে ঠিক চাকরিটা হয়ে যাবে। মা’র ফোনে উচ্ছ্বসিত দীপন। দারুণ ইন্টারভিউ দিয়েছি মা, দুর্দান্ত। সবাই ধন্য ধন্য করেছে। মনে হয় মাসখানেকের মধ্যেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পাব। দ্বিতীয় ফোনটায় ও পক্ষ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে মেসেজে সত্যি কথাই লিখেছিল দীপন। তেইশ নম্বরের অভিজ্ঞতা অন্যগুলোর থেকে আলাদা কিছু নয়। এখানেও কাকে নেওয়া হবে আগে থেকেই ঠিক করা আছে। 
উঠে দাঁড়াল দীপন। এত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। সামনে চমৎকার ঘাসের বিছানা। কলকাতা ছাড়িয়ে যেখানে যেখানে পা ফেলেছে মেট্রো সেখানেই স্টেশন সংলগ্ন এক চিলতে ঘাস কিংবা একটা মর্মর মূর্তি মেট্রোকে সঙ্গ দিয়েছে। এই স্টেশনটাও ব্যতিক্রম নয়। ঘাসের উপর ছায়া বিস্তার করে আছে একটা গাছ। যার নাম দীপনের জানা নেই। ছায়াটার অর্ধেক পড়েছে ঘাসে, বাকি অর্ধেক একটা সিমেন্টের বেঞ্চের উপর। বেঞ্চটার অর্ধেক দখল করে আছে একটা মেয়ে। বাকি অর্ধেক এখনও ছায়ার জন্য গাছের দিকে তাকিয়ে প্রতীক্ষায়। 
ঘাসের উপরই বসল দীপন। তারপর শেষবারের মতো ফোনের স্ক্রিন-এ চোখ রাখল। না নেই। একটা মেসেজ অবধি নেই। নিরুত্তর সাদা দেওয়ালে অবশ্য প্রশ্ন নয়, দীপনের জন্য একটা উত্তরই লেখা আছে। যে উত্তর পড়তে দীপন কেন কারওই অসুবিধা হবার কথা নয়। বিতস্তা নিজেকে এই সম্পর্ক থেকে পার্মানেন্টলি সরিয়ে নিল। 
ছায়া সরে যাচ্ছে। রোদ এসে পড়ছে দীপনের গায়ে। দীপন সামনে তাকাল। বেঞ্চ দখল করে এখন ছায়া, যার আধখানার মালিক মেয়েটা। বাকি অর্ধেকের মালিকানা কারও ওপর বর্তায়নি। মেয়েটাকে ভালো করে দেখল দীপন। বয়স কত হবে? তেইশ-চব্বিশ নিশ্চয়। পঁচিশ কখনওই নয়। পঁচিশে মেয়েদের মধ্যে একটা ভারিক্কি ভাব আসে। এর মধ্যে সেটা দেখা যাচ্ছে না। রং ফর্সার দিকে, কিন্তু যতখানি ফর্সা হলে দ্বিতীয়বার ফিরে দেখতে ইচ্ছা করে, না তাও নয়। রোদ্দুরের আভায় গাল দুটো লাল। কপালে ঘামের বিন্দু। সেখানে আলগোছে আটকে আছে ঝুলন্ত দুখানা চুলের গুচ্ছ। সালোয়ার কামিজ, নেলপলিশ না লাগানো নখ, হালকা লিপস্টিকের আভাস। দীপন দেখল মেয়েটাও তারই মতো একটু পরপর পাশে রাখা সেলফোন তুলে কী যেন দেখছে, মেট্রো স্টেশনের সিঁড়ির দিকে তাকাচ্ছে আর যা দেখতে চাইছে দেখতে না পেয়ে ফোনটা বেঞ্চ-এর উপর রেখে বড় রাস্তায় ছুটন্ত গাড়িগুলোর দিকে তাকিয়ে কী যেন ভাবছে। 
উঠে পড়ল দীপন। কে যেন দীপনকে ঠেলছিল। পায়ে পায়ে বেঞ্চ-এর কাছে গিয়ে দাঁড়াল। তারপর কাশির আওয়াজ করল। মেয়েটা চমকে ঘুরে তাকাল। পাশের ফাঁকা জায়গাটা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘এখানে কি কেউ আছেন, বসতে পারি?’ সরে গিয়ে জায়গা করে দিল মেয়েটি, ‘— বসুন।’ 
এখন বেঞ্চের পুরোটাই ছায়ার আশ্রয়ে। গাছের ডালে পাখি, পশ্চিম আকাশে একখণ্ড মেঘ, সূর্য তার আড়ালে লুকিয়ে পড়ার জন্য হাঁটতে শুরু করেছে সেই দিকে। কিছুক্ষণ হল পেটের মধ্যে খিদের নড়াচড়া টের পাচ্ছিল। কাঁধের ঝোলার মধ্যে একখানা টিফিনকৌটো আছে। টিফিনকৌটোয় গুড়ের পুর দেওয়া রুটির রোল, বেরবার সময় মা দিয়ে দিয়েছিল। ঝোলা থেকে টিফিনকৌটো বের করল দীপন, জলের বোতল। কৌটো খুলে দেখল দু’খানা রুটি দিয়েছে মা। হাত বাড়াতে গিয়ে মেয়েটার দিকে চোখ গেল। 
উৎকণ্ঠা সরে গিয়ে দৃষ্টিতে এখন ক্লান্তি। ঠোঁট শুকনো। গাল বসে গিয়েছে। দীপনের মনে হল, তার মতো মেয়েটিরও খিদে পেয়েছে। 
কৌটোর ঢাকনা সরিয়ে বাড়িয়ে দিল মেয়েটির দিকে। চমকে তাকাল সে। 
—খান। 
—না, না। আপনি খান। আমার খিদে পায়নি। 
—কে বলল খিদে পায়নি? দেখছি, আপনার খিদে পেয়েছে। 
হেসে ফেলল মেয়েটি। 
—আপনি কি জ্যোতিষী? 
—আমার ঠাকুরদার মেসোমশাই জ্যোতিষী ছিলেন। তাই মুখ দেখলেই আমি বুঝতে পারি। খান, আমার মা বানিয়ে দিয়েছে। খেলে শরীর খারাপ হবে না। 
মেয়েটি তাও ইতস্তত করছে দেখে দীপন বলল, ‘ভয় নেই, খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যাবেন না। এই দেখুন, আমিও খাচ্ছি। বেশ, দুটোর মধ্যে কোনটা আমি খাব ঠিক করে দিন। অন্যটা আপনি নিন।’ 
হেসে ফেলল মেয়েটি। হাসলে তার চোখে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে, দেখল দীপন। কৌটো থেকে একটা রুটির রোল নিয়ে কামড় বসাল। জলের বোতল এগিয়ে দিল দীপন। ঘাড় নেড়ে নিজের বোতল বের করে গলায় ঢালল। 
খেতে খেতে দীপন বলল, ‘আমি দীপন, রেজিস্টার্ড বেকার।’ 
বিষম খেয়ে মেয়েটি বলল, ‘বেকার আবার রেজিস্টার্ড-নন রেজিস্টার্ড হয় নাকি?’ 
—হয় বইকি, যাদের বেকারত্ব সারা জীবনেও ঘোচবার নয়, তাদের একটা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেয় সরকার, সেখানে নম্বর পড়ে। 
—আমি মিঠিয়া। আপনি এদিকে মানে কোনও দরকারে এসেছিলেন? 
—হ্যাঁ। ইন্টারভিউ। চাকরির। 
—কেমন হল ইন্টারভিউ? 
—সবার যেমন হয়। 
—বুঝলাম না। 
—ডাক হল। দু’-চারটে মামুলি প্রশ্ন। হ্যান্ডশেক, তারপর বিদায়। 
—হবে চাকরি? 
—পাগল? এই নিয়ে তেইশ নম্বর। ইন্টারভিউতে ডক্টরেট থাকলে এতদিনে গোটা পাঁচেক ডক্টরেট জুটে যেত। 
—তেইশ নম্বর! বলেন কী? 
—আমি তো মোটে তেইশ। আমার মাথার ওপরে অনেকে আছে। কারও কারও সেঞ্চুরি পার। ...ছাড়ুন আমার কথা। আপনি কী করেন, চাকরি না পড়াশোনা? 
—দুটোই। 
—বলেন কী, আপনি তো সব্যসাচী। 
—সব্যসাচী কে? 
—সে ছিল একজন না জানলেও চলবে। কী চাকরি করেন? 
—ফোন করার চাকরি। 
—ফোন করারও চাকরি হয়? 
—কেন হবে না? কয়েকটা নম্বর দিয়ে আমাদের বলা হয় ফোন করতে। যারা ভুল করে ফোন ধরে তাদের খেলিয়ে জালে ফেলাই আমাদের কাজ। 
—জালে মানে? সত্যি সত্যি বিপদে পড়ে সেইসব মানুষ? 
—কারওকে বলা হয় ইনভেস্ট করতে। কারওকে বা নতুন গাড়ি কেনার টোপ ফেলা হয়। 
—টোপ গেলে মানুষ? 
—গেলে বলেই তো আমরা করে খাচ্ছি। যত বেশি মানুষ টোপ গিলবে তত আমাদের ইনসেনটিভ। 
—মজার কাজ তো। 
—মজার! সবসময় নয় কিন্তু। কেউ কেউ সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দেন, কেউ ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে পরে কথা বলতে বলেন, অশ্লীল ইঙ্গিত করেন এমন মানুষও আছেন। 
—কখনও ইন্টারেস্টিং অভিজ্ঞতা হয়নি? 
—হয়েছে। একবার ফোন করেছি, ওপারের ভদ্রলোক জানতে চাইলেন কী ব্যাপার। আমাদের যেমন নিয়ম, অসময়ে বিরক্ত করবার জন্য মার্জনা চেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার কি লোনের দরকার? ভদ্রলোক যেন লাফিয়ে উঠলেন। ফোনের মধ্যেও তাঁর গলার উত্তেজনা টের পাচ্ছিলাম। বললেন, দরকার মানে ভীষণ দরকার। এক্ষুনি দরকার। 
—দেওয়া হল লোন? 
—শুনুন না শেষ পর্যন্ত। ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন, কত লোন পাওয়া যাবে? বললাম, যত আপনার প্রয়োজন। ভদ্রলোক জবাব দিলেন, প্রয়োজন তো অনেক, আপনাদের 
সিলিং কত? বললাম, তিরিশ লাখ। উনি বললেন, এখনি টাকা পাঠিয়ে দিন। জবাবে বললাম, কিছু ফরম্যালিটি লাগবে, তারপরেই টাকা ডিসবার্স করা হবে। উনি তখন বললেন, ওঁরও কিছু শর্ত আছে। 
—ওঁরও শর্ত? সেটা কি ইন্টরেস্ট যাতে কম হয়? 
—না। উনি যে শর্ত বললেন শুনে তো আমার মাথায় হাত। এমন শর্তের কথা জীবনে শুনিনি। 
—কী সেই শর্ত? 
—শর্ত হল, উনি লোন নেবেন, কিন্তু লোন শোধ দেবেন না। 
—মানে? লোন নিয়ে টাকা ফেরত দেবেন না? হয় নাকি? 
—আমি সেটাই বললাম। লোন মানে তো ধার। ধার শোধ দিতে হয়। উইথ ইন্টারেস্ট। উনি জবাবে দু’ তিনটে নাম বললেন, তারপর বললেন, এঁরা তো সবাই ধার নিয়েছেন। কোটি কোটি টাকা। ধার নিয়ে বিদেশে চলে গেছেন। কেউ শোধ দিয়েছেন টাকা? 
—দারুণ তো? কী নাম ওঁর? কী করেন? 
—জানি না। আমাদের জানার নিয়ম নেই। 
দীপন দেখছিল ফোনটা কোলের ওপর আনমনে পড়ে আছে। মনে হয় সাইলেন্স মোডে। একটু আগে অবধি স্ক্রিন-এর দিকে ঘন ঘন তাকাচ্ছিল মেয়েটা। কিছুক্ষণ হল তাকানো বন্ধ করে দিয়েছে। মেট্রোর সিঁড়ির দিকে চমকে চমকে তাকানো, সেটাও বন্ধ। 
দীপন গলা নামিয়ে বলল, একটা রিকোয়েস্ট করব? 
—বলে ফেলুন। 
—কাছেই একটা ভালো চাটের দোকান আছে। যাবেন? 
—সে কী? এই তো খেলেন। 
—ওইটাই আমার বদভ্যাস। ঘন ঘন খিদে পায়। 
—আপনি কি খেতে ভালোবাসেন? 
—ঠিক বলেছেন। আমি খাবার জন্যই বাঁচি। কলকাতার কোথায় ভালো ভালো খাবার জিনিস পাওয়া যায়, জিজ্ঞেস করুন। সব আমার মুখস্থ। 
—এই যে বললেন বেকার। ভালো ভালো খাবার কিনতে তো পয়সা লাগে। যত ভালো খাবার, তত তার দাম। 
—কিনতে পয়সা লাগে, দেখতে তো লাগে না। 
—বুঝতে পারলাম না। 
—নামকরা খাবার দোকান, পার্ক স্ট্রিট-গড়িয়াহাট-ধর্মতলা, সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াই। খাবারের গন্ধ ভেসে আসে— শুঁকি, স্পেশাল মেনুর লিস্ট টাঙানো থাকে শো-কেসে দেখি, খাবার প্যাক করে যারা বেরিয়ে আসে তাদের পাশে পাশে হাঁটি, আমার মন ভরে যায়। 
—আচ্ছা পাগল তো! ঠিক আছে, খাওয়া ছাড়া আর কী কী ভালো লাগে? 
—আর কী কী...? 
—একলা অচেনা কোনও মেয়ে বসে থাকলে তার সঙ্গে আলাপ করতে ভালো লাগে না? 
—বিশ্বাস করুন। মা কালীর দিব্যি, কখনও আর কারও সঙ্গে যেচে এইভাবে আলাপ করিনি। 
—তার মানে আপনার কোনও গার্ল-ফ্রেন্ড নেই? 
—ছিল, আজ সকাল পর্যন্ত। এখন আর নেই। কেটে গেছে। 
—সে কী? কেন? 
—বেকার ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা ক’টা মেয়ের পছন্দ বলুন? 
—আপনি সব মেয়ের পছন্দ-অপছন্দের খবর রাখেন? চাটের দোকানের কথা বলছিলেন না? কোথায় চাটের দোকান? চলুন। 
পাশাপাশি হাঁটছিল দু’জন, বিকেলের হাওয়ায় মিঠিয়ার ওড়না উড়ছিল। ওড়নার ঝাপটায় উড়ে আসছিল একটা গন্ধ। দীপন সেই গন্ধের আবেশে ডুবে যাচ্ছিল। 
মিঠিয়া বলছিল, ‘চাটেরও যে দোকান হয় তা আমার জানা ছিল না।’
দীপন বলছিল, আরও কত কিছুই যে হয় তার কতটুকু তুমি জানো মিঠিয়া? একদিন সব তোমাকে দেখাব। 
কথাগুলো অবশ্য বলছিল মনে মনে, মিঠিয়ার কান অবধি যাতে না পৌঁছয়। 
দোকানে ঢুকে কী একটা চাটের অর্ডার দিল মিঠিয়া। দীপন জীবনে নাম শোনেনি। এল যখন, জিভে ঠেকিয়ে ব্রহ্মতালু অবধি চিড়বিড় করে উঠল। মারাত্মক ঝাল। 
আড়চোখে মিঠিয়াকে দেখল। চেটেপুটে খাচ্ছে, এদিকে দীপনের চোখে জল এসে যাচ্ছে। জল আড়াল করতে অন্যদিকে চোখ ফেরাল সে। সবে পরিচয়, প্রথম দিন, চোখের জল দেখানো কি ভালো? কী মনে করবে মেয়েটা? 
হঠাৎ দীপন দেখল মিঠিয়ার সেলফোনের আলো জ্বলছে নিভছে। সাইলেন্স-এ আছে, দেখতে পাচ্ছে না মিঠিয়া। 
দীপন উঠে দাঁড়াল। 
—আপনার ফোন আসছে। ধরুন। আমি বাইরে যাচ্ছি। 
স্ক্রিনে একবার তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিল মিঠিয়া। ফোনটা উল্টে রাখল। হাত ধরে বসাল দীপনকে। হাসল মিষ্টি করে।  
21st  April, 2024
আজও রহস্য আকাশবাণীর অশরীরী
সমুদ্র বসু

রহস্য, ভৌতিক-অলৌকিক চিরকালই মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বাস-অবিশ্বাস, সত্যি-মিথ্যার দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও এর কৌতূহল অনস্বীকার্য। আজকে আমরা জানব খাস কলকাতায় অবস্থিত তেমনই এক জায়গার কথা, অতীত  হয়েও যা বর্তমান। বিশদ

12th  May, 2024
অসমাপ্ত
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

মাতৃসঙ্ঘ ক্লাবের সামনে পৌঁছে মার্জিত ও অভ্যস্ত কণ্ঠে ক্যাব ড্রাইভার বলল, ‘লোকেশন এসে গিয়েছে ম্যাডাম।’  বিশদ

12th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী রহস্যময় লৌহস্তম্ভ
সমৃদ্ধ দত্ত

একটি লৌহস্তম্ভ কতটা পথ অতিক্রম করেছে? একটি লৌহস্তম্ভ কীভাবে একটি শহরের জন্মবৃত্তান্তকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? একটি লৌহস্তম্ভ মরচে লেগে কেন পুরনো হয় না? একটি লৌহস্তম্ভ কবে প্রথম প্রোথিত হল? কোথায় তার জন্মস্থান? বিশদ

12th  May, 2024
জীবন যখন অনলাইন
অনিন্দিতা বসু সান্যাল

বেণী-সমেত লম্বা চুলের ডগাটা কাটতে কাটতেই ফোনটা এল। সকাল সাতটা। খবরের কাগজ অনেকক্ষণ আগেই ফেলে গিয়েছে চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার সামনে। ভোরেই ওঠার অভ্যেস মন্দিরার। বিশদ

28th  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
একনজরে
মথুয়ার কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ঈদগাহ মামলায় নয়া মোড়। হিন্দুপক্ষের দাবি, বিতর্কিত সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত কোন নথি মসজিদ কমিটি কিংবা ওয়াকফ বোর্ড জমা দেয়নি। বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে ...

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পড়ল ব্যানারা। উলুবেড়িয়ায় ভোট গ্রহণের তিনদিন আগে টাঙানো এই ব্যানার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ফুলেশ্বরের মনসাতলায়। ...

গঙ্গার নীচ দিয়ে কীভাবে চলছে মেট্রো? বালিগঞ্জের বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনলোজিক্যাল মিউজিয়ামে (বিআইটিএম) গেলে তা দেখা যাবে। শনিবার বিশ্ব সংরক্ষণশালা দিবস। এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে ...

বরকত গনিখান চৌধুরীর আমলে রেল মানচিত্রে মালদহের উল্লেখযোগ্য স্থান ছিল। বর্তমানে বহু মেল, এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট ট্রেন মালদহের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
১০৪৮: কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের জন্ম
১৭৯৮: লর্ড ওয়েলেসলি গভর্নর জেনারেল হয়ে কলকাতায় আসেন
১৮০৪: ফ্রান্সের সংসদ সিনেটে এক আইন পাশের মধ্য দিয়ে নেপোলিয়ান বেনাপার্ট সেদেশের সম্রাট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন
১৮৬০: আব্রাহাম লিংকন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন
১৮৭২: ইংরেজ শিক্ষাবিদ,দার্শনিক ও লেখক বারট্রান্ড রাসেলের জন্ম
১৮৮৬: লেখক অক্ষয়কুমার দত্তের মৃত্যু
১৯১২: প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র দাদাসাহেব নির্মিত শ্রী পুন্ডলিক মুক্তি পেল তৎকালিন বম্বেতে
১৯৩৩: ভারতের একাদশ প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার জন্ম
১৯৩৪: চারণ কবি মুকুন্দ দাসের মৃত্যু
১৯৪৩: বিশিষ্ট বাঙালি চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ নীলরতন সরকারের মৃত্যু
১৯৭৪: রাজস্থানের পোখরানের ভূগর্ভে সফলভাবে পরমাণু বিস্ফোরণ (‘স্মাইলিং বুদ্ধ’) ঘটিয়ে ভারত হল পরমাণু শক্তিধর দেশ 
১৯৯৯: বাংলা ছড়ার গানের জনপ্রিয় গায়িকা জপমালা ঘোষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৩ টাকা ১০৭.৫০ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী ১৬/০ দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র ৪৮/৩১ রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৬, সূর্যাস্ত ৬/৭/৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫১ গতে ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫১ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। 
৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৩১। সূর্যোাদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/৯। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৬/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/০ গতে ৭/৪২ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৮ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৪/৩০ গতে ৬/৯। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। 
৯ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ২৭ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল বেঙ্গালুরু

12:16:29 AM

আইপিএল: ২৫ রানে আউট ধোনি, চেন্নাই ১৯০/৭ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২১৯

12:00:57 AM

আইপিএল: ৩ রানে আউট মিচেল, চেন্নাই ১২৯/৬ (১৫ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:57 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট দুবে, চেন্নাই ১১৯/৫ (১৩.৪ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:53 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট র‌্যাচিন রবীন্দ্র, চেন্নাই ১১৫/৪ (১৩ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:29:14 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯১/৩ (১১ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:19:52 PM