Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

মিষ্টু
উৎপল দাস

শেষ পর্যন্ত মিষ্টুকে বিদায় করতেই হল।
মিষ্টু মানে একটা বেড়ালছানা। কয়েকদিন আগের ঘটনা। প্রতি রোববারের মতো সেদিনও সকালে অবিনাশ বাজারে গিয়েছিল। সে একটু গুছিয়ে বাজার করতে ভালোবাসে। ছুটির দিন বলে ওই দিনটাতে বাজারে নানা ধরনের মাছ আসে। অবিনাশ, রিমা দু’জনেই মাছের ভক্ত। রিন্টু যখন বাড়িতে ছিল তখন মাংস কিনতে হতো। এখন সে ব্যাঙ্গালোরে পড়তে চলে যাওয়ায় মাংসের পাট বাড়ি থেকে প্রায় উঠেই গিয়েছে। তো মাছ ও অন্য তরিতরকারি কিনে অবিনাশ হেঁটেই বাড়ির দিকে আসছিল। দোরগোড়ায় কাছে এসে দেখে নোংরা কাদা জলে ভেজা একরত্তি এক বেড়ালছানা খুব করুণ স্বরে মিউ মিউ করছে। অবিনাশ বুঝতে পারল বেড়াল বাচ্চাটা নর্দমায় পড়ে গিয়েছিল। কোনওভাবে উঠে এসে হয়তো মাকে খুঁজছে।  ডিসেম্বর মাস। ভেজা গায়ে বেড়ালছানা থরথর করে কাঁপছিল। অবিনাশ এদিক ওদিক কোথাও মা বেড়াল কেন কোনও বেড়ালকেই দেখতে পেল না। ওর চিরকালই জীব-জন্তুর ওপর বড় মায়া। সে ছানাটিকে বাড়ির ভেতর নিয়ে এসে সাবান আর ডেটল জলে ভালো করে স্নান করিয়ে হালকা গরম দুধ দিল। ছানাটির দুধ খাওয়া দেখে মনে হচ্ছিল কতকাল খায়নি বেচারা। একটু পরেই বেড়ালছানাটা চনমন করে উঠতেই  এতক্ষণ চেপে রাখা রিমার রাগ অবিনাশের ওপর আছড়ে পড়ল। 
অনেক হয়েছে। এবার এই মুহূর্তে ওটাকে বাইরে বের করে দাও, নইলে—।
অবিনাশ তার বিশ বছরের বিবাহিত জীবনে এরকম ঝড় অনেক দেখেছে। জানে অল্পতেই মাথা গরম হয় রিমার। আবার কিছুক্ষণ পরেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সে রিমাকে থামিয়ে বলে উঠল— 
রিন্টু ব্যাঙ্গালোরে যাওয়ায় বলেছিলে না, ভীষণ একা লাগছে! এবার একে নিয়ে তোমার সময় ভালোই কাটবে।
রিমা এ ব্যাপারে অবিনাশের ঠিক উল্টো। কুকুর, বেড়াল ওর কাছে আপদ। বেড়ালছানাকে নিয়ে অবিনাশের আদিখ্যেতা দেখে সে রাগে গরগর করতে লাগল।
—আমাকে ফ্লাইটের টিকিট কেটে দাও। আমি ব্যাঙ্গালোরে রিন্টুর কাছে গিয়ে থাকব। তুমি এখানে এসব আপদবালাই নিয়ে ঘর করো। 
—আহা অত রাগের কী হল? ক’দিন দেখওই না, দেখবে থাকতে থাকতে তোমার মায়া পড়ে গিয়েছে।
অবিনাশ পরিবেশ লঘু করার চেষ্টা চালাল।
দুপুরে বেড়ালছানা মাছ দিয়ে আয়েশ করে ভাত খেল। বিপত্তি বাধল শোয়ার সময়। ছানা ঠান্ডায় মেঝেতে শোবে না। একেবারে লাফ দিয়ে সোফায় উঠে দিব্যি গুটিসুটি মেরে ঘুমিয়ে পড়ল। এর মধ্যেই রিমার চোখে পড়েছে ব্যাটা কখন বেডরুমের পাপোশ নোংরা করে এসেছে। রিমা চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় করল। এক্ষুনি আপদ বিদায় করতে হবে। নইলে সে নিজেই বাড়ি ছাড়া হবে। ফোনে ছেলের কাছে কান্নাকাটি করে একপ্রস্থ নালিশ হয়ে গেল। ছেলেও সেরকম। মায়ের সমস্যা গায়ে মাখল না। উল্টে মাকে উপদেশ দিল ছানাটাকে যত্ন করে রাখার জন্য। দরকার হলে যেন কোনও ভেটেনারি ডাক্তারের সঙ্গে কনসাল্ট করে নেয়।
রিমার ব্যাঙ্গালোরে কেন, কোথাও যাওয়া হয় না। সেই বেড়ালছানাও অবিনাশের দেওয়া মিষ্টু নাম নিয়ে রিমার প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও ওদের সংসারে জায়গা করে নিল।
দিন যায় আর মিষ্টুর দৌরাত্ম্যে রিমার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। আজ এটা ভাঙছে কাল ওটা ফেলছে। মিষ্টু একটু চোখের আড়াল হলেই রিমার উদ্বেগ বাড়ে। আবার কোথায় কোন অপকর্ম করে বসে! অবিনাশ তো সারাদিন অফিসে থাকে আর এদিকে রিমা স্নান খাওয়া মাথায় তুলে মিষ্টুর পরিচর্যা আর ওর ওপর নজরদারি করতে করতে রাগে ফুঁসতে থাকে। কাজের মাসি মালতীর মা আবার হুমকি দিয়ে গিয়েছে—
‘বউদি, এটা কিন্তু মাদি, বছর ঘুরলেই বিয়োবে। সারা বাড়ি জুড়ে বিড়াল আর বিড়াল। ম্যাগো। তুমি বউদি এখন থেকেই লোক দ্যাকো। আমি বাপু পারবুনি।’
রোজ অবিনাশ অফিস থেকে ফিরলেই রিমা তেড়ে তেড়ে আসে।
আগে এটাকে বাড়ি থেকে বিদায় করো। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। অবিনাশ বোঝাতে গেলেই আরও রেগে যায় রিমা। এর মধ্যে ছেলে ফোনে ফোড়ন কাটে—
‘ভালোই তো সময় কাটছে মা। তখন তো বলতে তুই না থাকলে কী করে সময় কাটাব!’
রিমা ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে মরে। এ পৃথিবীতে কেউ নেই যে তার অবস্থা বোঝে। মিষ্টুকে বিদায় না করতে পারলে যেন ওর শান্তি নেই। 
অবিনাশ একদিন ওর এক বন্ধু সুবীর আর তার বউ পরমাকে বাড়িতে ডাকল। ওরা জন্তু জানোয়ার ভীষণ ভালোবাসে। রাস্তায় একটা আহত কাক দেখলেও তাকে তুলে এনে সেবা শুশ্রূষা করে আকাশে উড়িয়ে দিয়ে শান্তি পায়। বাড়িটাকে মোটামুটি একটা চিড়িয়াখানা বানিয়ে ফেলেছে। তিনটে কুকুর, পাঁচটা বেড়াল তো আছেই। এছাড়া একটা টিয়া, একটা কাঠবেড়ালি আর অজস্র পায়রা। সবাই ছাড়া থাকে কিন্তু কারওর সঙ্গে কারও বিরোধ নেই। রিমা জন্তু জানোয়ার পছন্দ না করলেও সুবীর আর পরমার সাহচর্য খুব পছন্দ করে। কারণ পরমা দারুণ রান্না করে আর রিমার নানারকম রান্না শেখার ভীষণ শখ।
সুবীর আর পরমাও অনেক বোঝাল রিমাকে । 
এরপর কয়েকদিন বেশ কাটল। কোনওদিক থেকে সাপোর্ট না পেয়ে রিমা অনিচ্ছা সত্ত্বেও মিষ্টুর পরিচর্যায় মন দিল। ছানাটাকে সবসময় চোখে চোখে রাখে, ঠিক ঠাক খাওয়ায়। অবিনাশও কাছাকাছি এক ভেটেনারি ডাক্তারের কাছে মিষ্টুকে দেখিয়ে নিয়ে এল। শরীরস্বাস্থ্য ঠিকই আছে শুধু কয়েকটা ভ্যাকসিন দিতে হবে।
কিন্তু কপাল খারাপ হলে কী করা যাবে! শেষরক্ষা হল না। কোথা থেকে একদিন মিষ্টু একটা মড়া টিকটিকি মুখে করে রান্নাঘরে নিয়ে এল। ব্যস! আর যায় কোথায়। সন্ধেবেলা অবিনাশ অফিস থেকে ফিরলে রাগে ফেটে পড়ল রিমা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় আর কি! অবিনাশ অনেক বোঝাল কিন্তু নিজে বুঝল এবার সাধারণ ঝড় নয়, তুফান এসেছে। ব্যাপারটা এমন বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পোঁছল যে, শেষ পর্যন্ত রিমাকে অবিনাশ আশ্বস্ত করল, আগামী কাল মিষ্টুকে কোথাও ছেড়ে দিয়ে আসবে। পরদিন সকালে অফিস যাওয়ার সময় ছলছল চোখে অবিনাশ মিষ্টুকে একটা বাজারের ব্যাগের মধ্যে করে নিয়ে চলে গেল। দূরে কোনও মাছের বাজারে ছেড়ে দেবে, অন্তত না খেয়ে মরবে না। মিষ্টু যেতে রিমা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।
সন্ধেবেলা খালি হাতে অবিনাশকে অফিস থেকে ফিরতে দেখে রিমার আর আনন্দ ধরে না। তাড়াতাড়ি এক কাপ চা আর গরম পকোড়া নিয়ে এসে অবিনাশকে ধরিয়ে দিল আর সেই সঙ্গে জানিয়ে দিতে ভুলল না, রাতে ওর প্রিয় চিংড়ির মালাইকারি আছে। অবিনাশ গম্ভীর মুখে শুধু চা খেল, পকোড়া ছুঁয়েও দেখল না। কৌতূহল চাপতে না পেরে রিমা জিজ্ঞাসা করে বসল ওটাকে কোথায় ছেড়ে এলে?
‘বাজারে।’ ব্যাজার মুখে অবিনাশের সংক্ষিপ্ত উত্তর।
 —মালতীর মা বলছিল ওরা নাকি ঠিক পথ চিনে চিনে আবার ফিরে আসে। মিষ্টু  ফিরে আসবে না তো?
এবার আর উত্তর না দিয়ে বিরক্ত অবিনাশ বাথরুমে ঢুকে গেল।
রাতে খেতে বসে অবিনাশ চিংড়ির মালাইকারি মুখে দিয়েই প্রচণ্ড রেগে গেল ।
—কেন এত তেল মশলা দিয়েছ? জানো না আমার ট্রাইগ্লিসারিড হাই?
কোনওমতে একটু খেয়ে উঠে পড়ে সে। সামান্য কারণে অবিনাশকে রাগতে দেখে রিমা বুঝতে পারল মিষ্টুর বাড়ি থেকে চলে যাওয়াই এর কারণ। ছেলেও মায়ের ওপর একচোট নিল— 
‘মা, মিষ্টুকে বের করে দিলে? তুমি এত নির্দয়!’
রিমার দু’চোখ ভরে জল। এরা কেউ তার পক্ষে নেই, বাপ-বেটা দু’জনের কাছেই মিষ্টু আগে ।
পরের দিন একই রকম গম্ভীর মুখে অবিনাশ অফিস চলে গেল। মালতীর মা এসেই খোঁজ নিল,
—মিষ্টু ফিরে এসেছে বউদি? 
রিমা মাথা নাড়াতেই বলে উঠল—
‘বাড়ি থেকে একেবারে বের না করে দিলেই ভালো ছিল গো। কী মায়া মাখানো মুখটা। তার ওপর মা ষষ্ঠীর বাহন।’
বলেই ডান হাতটা মাথায় ঠেকিয়ে নিল। রিমার বুকটা কেঁপে উঠল। ওরও হাত কপাল ছুঁল। হে মা ষষ্ঠী, রিন্টুর যেন কোনও ক্ষতি কোরো না।
মালতীর মা চলে যাওয়ার পর ফাঁকা বাড়িতে হাউমাউ করে খানিক কাঁদল সে। হঠাৎ মিউ বলে মিষ্টু যেন ডেকে উঠল। রিমা চমকে এদিক ওদিক দেখল। সদর দরজা খুলে বাইরে দেখল কেউ কোথাও নেই, পুরোটাই মনের ভুল। 
কাজ করতে ইচ্ছে করছে না রিমার। ক’দিনের জন্য এসে মিষ্টু ওর জীবনের সুর তাল সব কেটে দিয়ে গিয়েছে। সবাই মিষ্টুর কথা ভাবছে, ওর কষ্টটা কেউ বুঝতে চাইছে না। হঠাৎ করে যেন বড় একা হয়ে গেল রিমা। 
মিষ্টুহীন তিনদিন কেটে গেল। অবিনাশ প্রয়োজন ছাড়া রিমার সঙ্গে প্রায় কথা বলা ছেড়ে দিয়েছে। রিন্টু বারবার ফোনে খবর নেয় মিষ্টু ফিরে এসেছে কি না। মালতীর মা বলে, ‘কাজটা বোধহয় ঠিক হল না বউদি। কেমন তোমার পিছু পিছু ঘুরত বাচ্চাটা। আহা রে! কে ওকে খেতে দেবে? না খেতে পেয়ে মরেই গিয়েছে হয়তো।’ 
রিমার ভেতরটা হাহাকার করে ওঠে। ও এতটা ভাবেনি। মিষ্টু মরে যাক সেটা ও চায়নি। সত্যি তো, মিষ্টুর জন্য ওরও মনটা খারাপ লাগছে! সারাদিন মিউ মিউ করে পায়ে পায়ে ঘুরত। অবলা প্রাণী, তার ওপর বাচ্চা। উল্টোপাল্টা না হয় কিছু করত। সে তো রিন্টুও ছেলেবেলায় কত দুষ্টুমি করত, কই তখন তো কোনওদিন ছেলের সঙ্গে নিষ্ঠুর ব্যবহার করেনি সে।
একটা অপরাধবোধ তাড়া করে ফেরে রিমাকে। সারাদিন ফাঁকা বাড়িতে সময় কাটতে চায় না। সব সময় মনে হয় সুখ শান্তি যেন জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে। 
সেদিন অবিনাশ অফিস থেকে ফিরতে রিমা কথায় কথায় বলে,
‘মালতীর মা যে বলেছিল বেড়ালরা ঠিক পথ চিনে ফিরে আসে। কই মিষ্টু তো ফিরে এল না?’
‘আমার অফিসের কলিগরাও একই কথা বলছিল। কিন্তু ফিরে এলেই বা কী? তুমি তো ওকে ঢুকতে দেবে না।’
একটু থেমে অবিনাশ বলল, ‘তোমায় কখনও কঠিন কথা আমি বলি না। কিন্তু আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, তুমিও ছোটবেলায় তোমার মাকে হারিয়েছ, বাবার কাছে মানুষ হয়েছ।’
এবার রিমা নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না। হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলল।
‘আমি বড় ভুল করে ফেলেছি গো।’ 
 অবিনাশ রেগে যায়। 
‘এখন আর কেঁদে কী হবে?’
রিমা কাঁদতে কাঁদতে বলে, ‘বিশ্বাস করো মিষ্টু যদি ফিরে আসে, আমি ওকে নিয়ে আর আপত্তি করব না। তুমি কাল একবার যেখানে ছেড়ে এসেছিলে, সেখানে গিয়ে দেখো। যদি পাওয়া যায়।’
পরদিন সকালে সম্ভাব্য জায়গাগুলোয় খুঁজে কোথাও মিষ্টুকে পাওয়া গেল না। রিমা আরও মুষড়ে পড়ল । 
যাক যা হওয়ার ছিল হয়ে গিয়েছে, বলে অবিনাশ চলে গেল অফিসে।
সন্ধেবেলা টিভির সামনে বসেছিল রিমা। টিভিতে চোখ, কিন্তু মনের মধ্যে হাহাকার। মিষ্টুকে বের করে দিয়ে কী ভুলই না করে ফেলেছে। আঁচলের খোঁটা দিয়ে চোখ মুছতে যাবে, এমন সময় মিউ ডাক শুনে চমকে উঠল। এ তো মিষ্টুর আওয়াজ। ভুল শোনেনি তো? টিভি মিউট করে দিয়ে কান পাতল। আবার ‘মিউ’। এবার রিমা একদৌড়ে গিয়ে দরজা খোলে। দেখে, দোরগোড়ায় বসে আছে মিষ্টু।
পাগলের মতো কোলে তুলে নেয় ওকে। আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে দিতে রান্নাঘরের দিকে এগয়। ওকে যে এখনই গরম দুধ খাওয়াবে!
একটু পরেই অবিনাশ ফেরে। মিষ্টুকে দেখে চমকে ওঠে ও।
সেকি মিষ্টু! কোথা থেকে এল?
রিমা খুশিতে ডগমগ।
মালতীর মার কথাই সত্যি হল গো, মিষ্টু ঠিক রাস্তা চিনে চলে এসেছে। 
অবিনাশের চোখে বিস্ময়ের ঘোর। রিমা মিষ্টুকে ওর হাতে ধরিয়ে দিয়ে চা তৈরি করতে চলে গেল ।
অবিনাশ মিষ্টুকে বুকে জড়িয়ে ধরে সোফায় বসে গা এলিয়ে দিল। মুখে এক চিলতে হাসি।
ভাগ্যিস সুবীর আর পরমা কয়েক দিনের জন্য মিষ্টুকে ওদের বাড়িতে রেখে দিয়েছিল!     
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
11th  April, 2021
পিশাচ সাধু

 

হঠাৎ বর্ণিনীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়ে যায় সহজের। বনির গন্তব্য বিচিত্রদার বাড়ি। সহজকে সঙ্গী করে বনি। জনগণের স্বার্থে লড়াই করতে গিয়ে বহুবার পেটানি খাওয়া বিচিত্র ঘোষাল বিশ্বাস করে, এ দেশে একদিন বিপ্লব হবেই। কথায় কথায় বিচিত্রদাও সহজকে সাবধান করে দেয়, সে যেন পিশাচ সাধুর পাল্লায় না পড়ে। বিশদ

18th  April, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৮

সহজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় পরমেশ্বর শান্ত গলায় বলেছিল— বিচিত্রদা সেই বিরল মানুষ যারা এখনও মনে করে বিপ্লব হবে। কখন হবে, কীভাবে হবে কেউ জানে না, শুধুমাত্র একটা স্ফুলিঙ্গ। সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল হয়ে যাবে। বিশদ

11th  April, 2021
বিদিশা কি ভানুমতী?
আশিস ঘোষ

বেশি কথা বা শব্দ, আলো এখন ভালো লাগছে না। বিদিশাকে বলতেই, ও টিউব লাইট নিভিয়ে জিরো পাওয়ারের নীল আলো জ্বালিয়ে দিল। জানলার পর্দা হাওয়ায় উড়ছে। বাইরের রাস্তায় গাড়ির শব্দ। বিদিশা আমার দিকে চেয়ে আছে। কিছুই বলছে না। বিশদ

04th  April, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৭
জয়ন্ত দে

দারোগা বাড়ির নিমন্ত্রণে ক্যাপ্টেন হঠাৎ উদয় হল কেন? এ প্রশ্ন সহজের মনে অবিরাম ঘুরপাক খাচ্ছে। নচের সঙ্গে কথা বলে মনে হল, ক্যাপ্টেনকে সেদিন দারোগা বাড়িতে পাঠিয়েছিল পরমেশ্বরের পার্টনার শঙ্কর। সহজের কাছে আস্তে আস্তে পরিষ্কার হতে থাকে পুরো স্কিমটা। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণীর আতঙ্ক থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারছে না নচে। তারপর... বিশদ

04th  April, 2021
দহ
হামিরউদ্দিন মিদ্যা

ঘুম-জড়ানো চোখেই ধড়ফড় করে উঠে দাঁড়াল নুরু। মাটি থেকে গামছাটা তুলে, ধুলো ঝেড়ে কোমরে বাঁধল। বাঁ-হাতে নিল পাচন লাঠিটা। গোরু-মোষের দলটা সামনেই চড়ছে। মোষগুলোর দিকে চেয়ে দেখল, নিবারণ ঘোষের লেজকাটা মোষটা নেই। বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল নুরুর। পাগলের মতো ছুটতে লাগল দহের দিকে। বিশদ

28th  March, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস  পর্ব   ৬
জয়ন্ত দে

সহজের একটিমাত্র টিউশন টিকে আছে। মনোতোষ স্যারের কোচিং ক্লাস সে ছেড়ে দিয়েছে। সৃজনীকে পড়ানোর সময় মুখ ফস্কে সহজ বলে ফেলে, তার ভাগ্য খুলতে আর ঊনত্রিশ দিন বাকি। অথচ, প্রেমিকা বর্ণিনীকেও সে ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে কিছু বলেনি। এদিকে, সহজকে পরমেশ্বর সাবধান করে, ‘পিশাচের ফাঁদের পড়িসনি।’ তারপর... বিশদ

28th  March, 2021
ভুল ফোন
কৌশানী মিত্র

ছেলেটি নরম। মেয়েটি কঠিন। ছেলেটির চোখে সারাক্ষণ জল টলটল করছে। আসলে জন্মানোর পর শুধু লড়াই করতে করতে দু-দণ্ড বসে কাঁদতে পারেনি কোনওদিন। এখন যেটুকু যা আছে তাইই ইমনের সামনে উপুড় করে দিতে পারলে যেন বেঁচে যায়। বিশদ

21st  March, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৫
জয়ন্ত দে

নচে রেগে গিয়ে ক্যাপ্টেনকে রিকশসুদ্ধু খালে ফেলে দেওয়ার সুপারি দিল নেত্রকে। স্ত্রীকে নিয়ে নেত্রর রিকশয় উঠলেন ক্যাপ্টেন। রিকশ এগতে থাকে আর স্বামীকে একের পর এক অনুযোগ করতে থাকে বঁড়শি। তারপর... বিশদ

21st  March, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পিশাচ সাধু ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন সহজের। নচেও তার ভবিষ্যৎ জানতে চায়। সাধু বলেন, ‘তুই অপঘাতে মরবি।’ শুনে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত নচে। তারপর... বিশদ

14th  March, 2021
তন্ত্রমন্ত্র
সৌমিত্র চৌধুরী

ঠক ঠক ঠক। অন্ধকার ঘর। মিনিট পাঁচেক হল কারেন্ট চলে গিয়েছে। নিজের বিছানায় চাদর মুড়ি দিয়ে বসে আছি। তবুও মশার কামড়। স্বস্তিতে বসতেও পারছি না। তার মধ্যে দরজায় টোকা।  বিশদ

14th  March, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

দারোগাবাড়ির ঠেকে সহজকে দেখে হঠাৎই ক্যাপ্টেন বেমক্কা বলে বসলেন— ‘তুই ভুল করেছিস পরি! এ ছেলে সহজ নয়, এ ছেলে কেন তোর এখানে? বড্ড ভুল করছিস!’ পরমেশ্বর অবাক হয়ে জানতে চাইল, ‘কেন, কী ভুল করলাম ক্যাপ্টেন?’ তারপর... 
বিশদ

07th  March, 2021
পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

পরমেশ্বরের সঙ্গে দারোগা বাড়ির ভূতুড়ে ঠেকে এসেছিল সহজ। হুল্লোড়ের মাঝে সেখানে হঠাৎই হাজির হলেন ক্যাপ্টেন। যিনি নিজেকে পিশাচ সাধু বলেন। তিনি সহজকে দেখে বললেন, তুই এখানে কেন? তারপর... 
বিশদ

28th  February, 2021
দেশি ছেলেপুলে 
চন্দন চক্রবর্তী

ব্যানার্জিবাবু প্রচণ্ড উত্তেজিত! ‘তা বলে আমার ফ্ল্যাটের সামনে?’ আবাসনের পার্কে তখন প্রাতঃভ্রমণকারীরা বসে। কেউ রামদেব, কেউ বা ফড়িং-এর মতো ফড়ফড় করে হাত-পা নাড়ানাড়ি করছেন। ব্যানার্জিবাবু রীতিমতো সুদর্শন। ফর্সা রং, চোখে বিদেশি চশমার ফ্রেমে আঁটা দেশি চশমার লেন্স।  
বিশদ

28th  February, 2021
ভাষা ও ভালোবাসা 
ছন্দা বিশ্বাস

অহর্নিশকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দুপুরে খাওয়ার পর দোতলার ঘরে শুয়েছিল অহর্নিশ। শুয়ে শুয়ে একটা কমিক্সের বইয়ের পাতা ওল্টাচ্ছিল। অবন্তিকা দেখে এসেছে। ভেবেছে গল্প পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়বে। ছেলের মাথার হাত বুলিয়ে বলে এসেছে, ‘তাড়াতাড়ি একটু ঘুমিয়ে নাও, চারটের সময়ে কিন্তু আমাদের বেরতে হবে।  
বিশদ

21st  February, 2021
একনজরে
শনিবার বিকেলে রানিগঞ্জ ব্লকের তিরাট পঞ্চায়েতে প্রচার ছিল সায়নী ঘোষের। পূর্ব কর্মসূচি মতোই তিরাট পঞ্চায়েতের সবচেয়ে বড় বাজার চেলোদে এসে তাঁর গাড়ি থামে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ...

রবিবার সকাল থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চাকদহ থানার রাউতাড়ী পঞ্চায়েতের উত্তর এনায়েতপুরের মণ্ডলপাড়া। বাড়ির সামনে থেকে দেহ উদ্ধার হয় এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম দিলীপ কীর্তনীয়া (৩১)।   ...

কাজ পাগল কাজল! শ্যামসুন্দর-নিত্যানন্দের পুণ্যভূমিতে কাজল সিনহাকে চিনতে ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ লাগে না। কর্মেই তিনি বেশি পরিচিত। তাঁর অতিবড় নিন্দুকেরাও নাকি এমন কথা বলে থাকেন!  ...

সেঞ্চুরি পাননি ঠিকই। তবে শিখর ধাওয়ানের আক্রমণাত্মক ইনিংসই পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জেতাল দিল্লি  ক্যাপিটালসকে। রবিবার জয়ের লক্ষ্যে ১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে ১০ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM