Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ২

আগে যা ঘটেছিল—
পরমেশ্বরের সঙ্গে দারোগা বাড়ির ভূতুড়ে ঠেকে এসেছিল সহজ। হুল্লোড়ের মাঝে সেখানে হঠাৎই হাজির হলেন ক্যাপ্টেন। যিনি নিজেকে পিশাচ সাধু বলেন। তিনি সহজকে দেখে বললেন, তুই এখানে কেন? তারপর...

 পরমেশ্বরকে ক্যাপ্টেন ডাকে পরি। ক্যাপ্টেন বলল, তার আসলি নাম পিশাচ সাধু! সহজ দেখছিল, এই লোকটাকে দেখে এদের এত উচ্ছ্বাস কেন? লোকটার জন্য? নাকি সঙ্গের ওই সুন্দরী নাতনিটিকে দেখে! মেয়েটা চংমং করে চারদিকে দেখছে। যেন সব দেখে নেবে। দু’চোখ এত চঞ্চল! আর ওই বুড়োর বলিহারি আক্কেল— এমন একটা জায়গায় নাতনিকে নিয়ে ঢুকে পড়ল! বুড়ো তো আবার বুড়ো নয়, এরা বলছে ক্যাপ্টেন! নিজে বলছে— পিশাচ সাধু!
সাধু আবার পিশাচ হয় নাকি! এটাও হয়তো পাঁচ পাবলিকের কাজ, যেমনভাবে তার অমন সুন্দর সহজ মিত্র নামটাকে সহজপাঠ করেছে। বাঙালির এই এক দোষ, সুযোগ পেলে সব জায়গায় খুঁটে দেওয়া। একটু খুঁচিয়ে দেওয়া। এমনকী তার গার্লফ্রেন্ড বর্ণিনীও মজা করে তাকে সহজপাঠ বলে ডেকেছে বেশ কয়েকবার। বনির বলার মধ্যে প্রচ্ছন্নভাবে লুকিয়ে ছিল— যেন সে নাদান। তার ম্যাচিউরিটি কম। ইমম্যাচুয়র।
অথচ সেই সহজকে নিয়ে সুজির সন্দেহ আছে। খুব সন্দেহ। ঘোরতর সন্দেহ।
সুজি বুঝতে পারে না, সহজ কেন এখানে আসে? নানা দিক দিয়ে ছানবিন করেও সে বুঝতে পারে না। সহজের আগমনের হেতুটা কী? কেন সে পরমেশ্বরের অফিসের আড্ডায় থাকে? শুধু কি আড্ডা? নাকি এর মধ্যে কোনও গূঢ় অভিসন্ধি আছে?
সুজি একবার পরমেশ্বরকে বলেছিল, ছেলেটাকে নিয়ে আমার সন্দেহ হয়।
—কী সন্দেহ?
—ও স্পাই।
—কাদের?
—সেটাই তো বুঝতে পারছি না।
—তোর কী মনে হয়?
—পুলিসেরও হতে পারে।
—পুলিস কেন?
—ন্যাকামি করিস না। সরকার উল্টালে কমরেড তোমাকেও অন্য পোঁ ধরতে হবে। নইলে—
—নইলে কী?
—কেস দেবে। যা কামিয়েছিস সব উকিল কোর্টে ঢেলে দিতে হবে। জেল খাটতে হবে।
—তুই বলছিস আমি এত অন্যায় করেছি?
—সব নিজের জন্যে করিসনি, অন্যের জন্য করেও শত্রু বাড়িয়েছিস।
—তাতে কী হয়েছে?
—এনিমি বেশি, ইনকাম কম। বুঝবি পরে?
—কী বুঝব?
—মার্ডার হয়ে যাবি। একটানা একুশ দিনের বেশি এলাকায় থাকিস না কেন? কার ভয়ে?
—সবারই কিছু সুপারস্টিশন থাকে, এটা আমার—
—না, তুই কাপ্টেনের কথা মাথায় গেঁথে নিয়েছিস, একুশ দিনের বেশি এলাকায় থাকলে তুই মার্ডার হবি।
—মার্ডার! করলে আমাকে নিজের লোকেরাই করবে?
—সেটাও তোকে ক্যাপ্টেন বলেছে। আর তুই ওকে নিজের লোক বানিয়েছিস। আমি বুঝতে পারি না ও কীসের জন্য আমাদের কাছে আসে? পার্টি করে না, কোনও ধান্দায় থাকছে না, বিজনেস করবে না, চাকরি চায় না, মাতাল নয়, হারামখোরও নয়, তবে? আর একদল আমাদের কাছে আসে কোনও না কোনও কেসে ফেঁসে। ও কিন্তু কোনও কিছুতেও ফেঁসে আসেনি—? তবে? তবে ও আমাদের সঙ্গে কেন মেশে? অবাক লাগে, তবে আজ না হোক কাল ঠিক আসল কারণটা জেনে যাব। আমার বিশ্বাস, ও স্পাই। আমাদের খবর নেওয়ার জন্য ওকে কেউ পাঠিয়েছে।
—তুই ওকে নিয়ে বেশি ভাবছিস।
—আমার কথা মিলিয়ে নিস, একদিন ও আমাদের সবাইকে ভোগাবে।
সুজির এত ভাবনার মধ্যেও সহজ প্রায়দিনই পরমেশ্বরের অফিসের আড্ডায় হাজির হয়। আর সে হাজির থাকলে পরমেশ্বর প্রায় সব জায়গাতে তাকে টেনে নিয়ে যায়। যেমন আজ এখানে নিয়ে এল। এই দারোগার ভূতুড়ে বাড়িতে।
এই বাড়ি নিয়ে এখন দু’পক্ষের কেস চলছে। বড়বউয়ের মেয়ে বন্দনা আর ছোটবউয়ের মেয়ে নন্দনা। দু’পক্ষই বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী! কেস হয়েছে। কেস চলছে। কেস চলবে। যতদিন না কেসের ফয়সলা হচ্ছে ততদিন এ-বাড়ির দখলদার পরমেশ্বর। পরমেশ্বর ব্যানার্জি।
পরমেশ্বর এই এলাকা দেখে। তার সঙ্গে এই বাড়িটিও দেখে। সহজ যা বোঝে, এ বাড়ি পরমেশ্বরের আত্মসাৎ করার কোনও ইচ্ছে নেই। বন্দনা ও নন্দনা দু’পক্ষই তার কাছে এসেছে। পরমেশ্বর দুজনকেই বলেছে, আপনারা দারোগাবাবুর মেয়ে। আইন আদালত আপনাদের সঙ্গে সঙ্গে চলে। আমিও আইনের পক্ষে। আপনারা আদালতে গিয়েছেন, আদালতে নিষ্পত্তি করে আসুন। যার বাড়ি আমরা তার হাতে সমর্পণ করব। এখানকার একটা ইটও কেউ ছোঁবে না। কিন্তু এখন এটা আমাদের জিম্মায় আছে, এলাকার ছেলেপুলেরা একটু আধটু আড্ডা মারে। কেউ দখল করবে না। কোনও ক্লাবঘর বসবে না। বন্দনা আর নন্দনা দোতলা-তিনতলায় তালার ওপর তালা মেরেছে। নীচেও মেরেছিল। এখন নীচের দিকের পাঁচটা ঘরের দরজা নেই। উদোম। দোতলার বারান্দার কোলাপসিবল গেট খুলে বারান্দায় শোয়ানো আছে। মানে বারান্দা পর্যন্ত পাবলিক। তবে দোতলার ঘর, আর তিনতলা পুরো বন্ধ। সে তালায় কেউ কোনওদিন হাত দেয়নি। ছাদে নিজের হাতে তালা দিয়ে দিয়েছে পরমেশ্বর।
এতদিন এমন একটা বাড়ি খোলা পড়ে থাকলে জানলা দরজা ইট কাঠ সব খুলে নিয়ে যেত। এখানে বরং উল্টো। নীচের তলায় দুটো কাঠের বেঞ্চ ঢুকেছে। প্লাস্টিকের চার পিস চেয়ার আছে। কোনও তাস পার্টি কিনেছিল। তারপর পরমেশ্বরের কাছে খবর যায় জুয়ার আসর বসেছে। সে একদিন এসে চড়চাপড়া, লাথি মেরে সব হঠিয়ে দেয়। চিৎকার করে বলে যায়— জুয়া এখানে চলবে না। এসবের জন্য অন্য ঠেক খুঁজে নাও। যারা খোঁজার চেষ্টা করত, তারা তাই খুঁজতে চলে গিয়েছে। দারোগা বাড়ি আগের মতোই পড়ে আছে। সকালে রাজ্যের দালালরা এসে বসে। তারা এ এলাকার সব বাড়ি জমির হিসেব রাখে। ভাগ বাটোয়ার করে। পাশাপাশি বসে মিস্ত্রির দল। রাজমিস্ত্রি থেকে প্লাম্বার। দুপুরের দিকে কাজের মহিলারা এসে গুলতানি করে। টিফিন কৌটো থেকে রুটি বের করে চিবয়। বিকেলবেলা সন্ধেবেলা মাঝে মাঝে লোকাল ছেলেমেয়ে ফুরুতফারুত ঢুকে পড়ে।
পরমেশ্বরকে বড় বন্দনা বলেছিল, ‘আপনি আমাদের পক্ষে থাকুন।’ পরমেশ্বর কারও পক্ষে নেই। ছোট নন্দনা বলেছিল, ‘ঈশ্বরদা, তুমি যদি একবার ওর বিষদাঁত ভেঙে দিতে পারতে—।’ পরমেশ্বর বলেছিল, ‘আমি কারও বিপক্ষে নই।’
সেই থেকে দুই বোন আদালতে পরস্পরের চুল ছিঁড়ছে। বাড়ি আছে পরমেশ্বরের দখলে।
সেই বাড়িতেই আজ সুজিকে প্রথম বাবা হওয়ার সাধ খাওয়ানোর প্রোগ্রাম। অনেক কষ্টে, কাঠখড় পুড়িয়ে বাবা হচ্ছে সুজি। বড় দেরিতে।
সহজকে আসতে বলেনি সুজি। আসাতেও তেমন খুশি হয়নি। পরমেশ্বরের পাশে তাকে দেখেই সুজি বলল, ‘উরেব্বাস তুই আবার বগলে করে সহজপাঠ নিয়ে এসেছিস! এখানে সবাই বড়। অন্তত জীবনস্মৃতি নিয়ে আনতে পারতিস পরম।’
পরমেশ্বর হাসল, বলল, ‘জীবনস্মৃতি কী রে ও একদিন গল্পগুচ্ছ হয়ে যাবে— সেদিন ওকে মাথার নীচে রেখে ছেলের কাছে ওকে নিয়ে ফাটাবি।’
পরমেশ্বর খুব সুন্দর করে সুজিকে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে গেল। সুজি খুব কৃপণ। আজ সন্তানের খাতিরে এতগুলো টাকা খরচ করছে তাই ডায়লগ তো একটু দেবেই। সামনে চারটে চেয়ারই ফাঁকা। পরমেশ্বর আসতেই জনাপনেরো ছেলেই এই ঘরে ঢুকে পড়েছে। আরও কিছু ছেলেপত্তর এ-ঘরে ও-ঘরে থাকলেও তাদের পরে দেখা যাবে। পরমেশ্বরকে খুব কম লোকই পুরো নাম বলে। চামচা, টেনিয়ারা বলে— ঈশ্বরদা। যাদের গ্রেড একটু আপার তারা বলে পরমদা। এলাকার জ্ঞানীগুণী প্রবীণ মানুষজনরা বলেন পরমেশ্বরবাবু।
পরমেশ্বর বলল, ‘দেড়টা বাজে তোদের প্রোগ্রাম এখনও শুরু হয়নি? আরে বাচ্চা তো পেটে লাথি ছুঁড়বে। কই বোতল কই?’
নচে রেডি হয়েই ছিল। সে দ্রুত একটা বোতল জল নিয়ে এসে আসর সাজিয়ে ফেলল। পরমেশ্বর বলল, ‘আমাদের তিনজনকে দিয়ে তোরা অন্য ঘরে চলে যা।’
নচে তিনটে গ্লাস রেডি করে দিয়ে অন্য ঘরে চলে গেল। পরমেশ্বর বলল, ‘বাব্বা, কাচের গ্লাস!’
কৃপণ সুজি এবার বলতে শুরু করল। ‘তুই আসবি বলেছিস তাই ছ’পিস কাচের গ্লাস নিয়ে এসেছি।’
‘কেন রে আমার কি রাবণের মতো দশমুণ্ডু!’
‘এই তো আমরা তিনজন, দেখ আর তিনটে গেলাস ওই ঘরের র‌্যাকে রাখা। কে চলে আসবে।’
‘আর কেউ আসবে?’
‘না, না, আর কাউকে বলিনি। তবে এরা রান্না করেছে প্রচুর। ভাত, পার্শেমাছ ভাজা, চিকেন—।’
‘সসেজ করবি বললি?’
‘ওটা তো স্পেশাল মেনু। পুরো ঘি দিয়ে সসেজ ভাজা হয়েছে। তার সঙ্গে বড় বড় শুকনো লঙ্কা দেওয়া হয়েছে। পেঁয়াজ ভাজা হয়েছে। ভাত-ঘি-শুকনো লঙ্কা-পেঁয়াজ ভাজা। সুপার্ব! কী সহজপাঠ সসেজ খাও তো, পর্ক।’
‘আমি সেটা খাই, কিন্তু এটা খাব না।’
‘কেন খারাপ ছেলে হয়ে যাবে?’ সুজি বলল। ‘তুমি তো প্রায় রাতে কারখানা মাঠেও যাও ভাই!’
‘সেটা রাত, এটা দিন। আর সেটা আমার ইচ্ছায় যাই।’
ওদের কথার মাঝে পরমেশ্বর ঠ্যাং নাড়িয়ে হাসছে।
‘তোমার এসব কথা না আমার সহ্য হয় না। এখানে এসেছ তবে কী করতে?’
‘আমি ওকে আর ভানুদাকে সসেজ খাওয়ার জন্য আসতে বলেছিলাম।’ পরমেশ্বর বলল।
‘সে ঠিক আছে, কিন্তু ও তো খায়, এখানে এসে দেখ কেমন সাধু সাজছে! এক যাত্র্রায় পৃথক ফল হবে কেন?’
পরমেশ্বর হাসল, বলল, ‘এক যাত্রায় পৃথক ফলই হয়। এখানে তোর মতো কে টাকা জমিয়েছে বল!’ সবাই বলে সুজি নাকি বস্তা থেকে ফ্ল্যাট সব জায়গাতেই টাকা কামায়। কোনও প্রজেক্ট হলে সিমেন্টের বস্তাগুলো মিস্ত্রিরা গুছিয়ে রাখে, তারাই বিক্রি করে। কিন্তু পরমেশ্বরের প্রজেক্টে সুজি কোনও মিস্ত্রিকে বস্তায় হাত দিতে দেয় না। নিজেই বিক্রি করে। আর নিজেদের প্রজেক্ট তবু সুজি যদি পার্টি আনে সেই দালালিও কোম্পানি থেকে কেটে নেয়। ওর কীর্তি দেখে পরমেশ্বরও হাসে।
সুজির মতে পরমেশ্বরের অফিসে যারা আসে তারা সবাই হয় ধান্দায় আসে, নয় জ্বালায় আসে। পরমেশ্বরদা তাদের হয় বাজার করে টিকে থাকার ব্যাগ দেয়, নয় বার্নল ঘষে। তারা সবাই বিনে পয়সায় সার্ভিস নিয়ে যায়। সুজি সেই সার্ভিস থেকে ট্যাক্স কাটে। আর কিছু না। যেমন সহজকে দেখলেই বলে, চা খাওয়াও। বলবে চা, কিন্তু সেটার সঙ্গে বিস্কুট থাকবে। শেষে একটা সিগারেটও নেবে। এটা সবার সামনেই করে।
সুজি বলল, ‘সহজ একটা চুমুক মারো। তোমার জন্য ঢেলে দিয়ে গিয়েছে, একটু ঠোঁট ঠেকাও।’
‘তুমি খাও সুজিদা, আজ তোমার দিন।’
সুজি পরমেশ্বরের দিকে তাকাল, বলল, ‘কী রে তুই ওকে বগলদাবা করে নিয়ে এসেছিস— তুই ওকে খেতে বল।’
‘তুই তো জানিস, আমি কাউকে এসব খেতে বলব না। ও বলল সসেজ খাবে, তুই সসেজ নিয়ে আয়।’
সুজি হঠাৎ কঠিন চোখে তাকিয়ে বলল, ‘তুমি কিন্তু ভাই আমাকে ইনসাল্ট করছ, আজ আমার একটা আনন্দের দিন, তোমাকে বড়-মুখ করে বলছি, তুমি রিফিউজ করলে!’
‘ঠিক আছে, খাচ্ছি। দাও।’
সুজি গ্লাস এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘গুড, পাঁচজনের সঙ্গে মিশতে গেলে কিছু জিনিস মেনটেন করতে হয়।’
পার্শেমাছ ভাজা এল, সসেজ এল, নচে এল, আবার জল, বোতল, গ্লাস ভরে গেল। বার বার। সহজ খেতে খেতে বনির কথা ভাবছিল। আসলে এই বাড়ির আসরে সহজ এসেছে শুনলে বর্ণিনী এখুনি হয়তো স্কুটি নিয়ে হাজির হবে। বড় মুখরা মেয়ে বনি। তবে ও মিমির মতো হিসেবি নয়। মিমি চায় পরমেশ্বরদার সঙ্গে তার দাদার ভাব থাকুক। কিন্তু ওই বাড়ির ঠেকে যেন সহজ না যায়। খুব বদনাম এ বাড়ির!
হঠাৎই বাড়ির বাইরে কাউকে দেখে ওপরের বারান্দা থেকে অনেকেই চিৎকার করে উঠল। ওপর থেকে গৌর আর নচে বেরিয়ে গেল। কয়েক মুহূর্ত পরেই নচে আর গৌর গিয়ে দু’জনকে নিয়ে ঘরে ঢুকল। ‘কে এসেছে দেখো?’
তখনই যে মঞ্চে প্রবেশ করলেন— ক্যাপ্টেন! থুড়ি, পিশাচ সাধু! সঙ্গে অল্প বয়সি একটা মেয়ে। আর এসেই মানুষটা তাকিয়ে থাকলেন সহজের দিকে। তাকিয়ে থাকলেন না, গিললেন। তারপর—
আজ এই দুপুরবেলা টইটুম্বুর সহজকে দেখে পরমেশ্বরকে সোজাসুজি বললেন, ‘তুই ভুল করেছিস পরি! এ ছেলে সহজ নয়, এ ছেলে কেন তোর এখানে? বড্ড ভুল করছিস!’
‘কেন, কী ভুল করলাম ক্যাপ্টেন?’
(চলবে)
অঙ্কন : সুব্রত মাজী 
28th  February, 2021
পিশাচ সাধু

 

হঠাৎ বর্ণিনীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়ে যায় সহজের। বনির গন্তব্য বিচিত্রদার বাড়ি। সহজকে সঙ্গী করে বনি। জনগণের স্বার্থে লড়াই করতে গিয়ে বহুবার পেটানি খাওয়া বিচিত্র ঘোষাল বিশ্বাস করে, এ দেশে একদিন বিপ্লব হবেই। কথায় কথায় বিচিত্রদাও সহজকে সাবধান করে দেয়, সে যেন পিশাচ সাধুর পাল্লায় না পড়ে। বিশদ

18th  April, 2021
মিষ্টু
উৎপল দাস

রিমা ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে মরে। এ পৃথিবীতে কেউ নেই যে তার অবস্থা বোঝে। মিষ্টুকে বিদায় না করতে পারলে যেন ওর শান্তি নেই।  বিশদ

11th  April, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৮

সহজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় পরমেশ্বর শান্ত গলায় বলেছিল— বিচিত্রদা সেই বিরল মানুষ যারা এখনও মনে করে বিপ্লব হবে। কখন হবে, কীভাবে হবে কেউ জানে না, শুধুমাত্র একটা স্ফুলিঙ্গ। সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল হয়ে যাবে। বিশদ

11th  April, 2021
বিদিশা কি ভানুমতী?
আশিস ঘোষ

বেশি কথা বা শব্দ, আলো এখন ভালো লাগছে না। বিদিশাকে বলতেই, ও টিউব লাইট নিভিয়ে জিরো পাওয়ারের নীল আলো জ্বালিয়ে দিল। জানলার পর্দা হাওয়ায় উড়ছে। বাইরের রাস্তায় গাড়ির শব্দ। বিদিশা আমার দিকে চেয়ে আছে। কিছুই বলছে না। বিশদ

04th  April, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৭
জয়ন্ত দে

দারোগা বাড়ির নিমন্ত্রণে ক্যাপ্টেন হঠাৎ উদয় হল কেন? এ প্রশ্ন সহজের মনে অবিরাম ঘুরপাক খাচ্ছে। নচের সঙ্গে কথা বলে মনে হল, ক্যাপ্টেনকে সেদিন দারোগা বাড়িতে পাঠিয়েছিল পরমেশ্বরের পার্টনার শঙ্কর। সহজের কাছে আস্তে আস্তে পরিষ্কার হতে থাকে পুরো স্কিমটা। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণীর আতঙ্ক থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারছে না নচে। তারপর... বিশদ

04th  April, 2021
দহ
হামিরউদ্দিন মিদ্যা

ঘুম-জড়ানো চোখেই ধড়ফড় করে উঠে দাঁড়াল নুরু। মাটি থেকে গামছাটা তুলে, ধুলো ঝেড়ে কোমরে বাঁধল। বাঁ-হাতে নিল পাচন লাঠিটা। গোরু-মোষের দলটা সামনেই চড়ছে। মোষগুলোর দিকে চেয়ে দেখল, নিবারণ ঘোষের লেজকাটা মোষটা নেই। বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল নুরুর। পাগলের মতো ছুটতে লাগল দহের দিকে। বিশদ

28th  March, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস  পর্ব   ৬
জয়ন্ত দে

সহজের একটিমাত্র টিউশন টিকে আছে। মনোতোষ স্যারের কোচিং ক্লাস সে ছেড়ে দিয়েছে। সৃজনীকে পড়ানোর সময় মুখ ফস্কে সহজ বলে ফেলে, তার ভাগ্য খুলতে আর ঊনত্রিশ দিন বাকি। অথচ, প্রেমিকা বর্ণিনীকেও সে ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে কিছু বলেনি। এদিকে, সহজকে পরমেশ্বর সাবধান করে, ‘পিশাচের ফাঁদের পড়িসনি।’ তারপর... বিশদ

28th  March, 2021
ভুল ফোন
কৌশানী মিত্র

ছেলেটি নরম। মেয়েটি কঠিন। ছেলেটির চোখে সারাক্ষণ জল টলটল করছে। আসলে জন্মানোর পর শুধু লড়াই করতে করতে দু-দণ্ড বসে কাঁদতে পারেনি কোনওদিন। এখন যেটুকু যা আছে তাইই ইমনের সামনে উপুড় করে দিতে পারলে যেন বেঁচে যায়। বিশদ

21st  March, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৫
জয়ন্ত দে

নচে রেগে গিয়ে ক্যাপ্টেনকে রিকশসুদ্ধু খালে ফেলে দেওয়ার সুপারি দিল নেত্রকে। স্ত্রীকে নিয়ে নেত্রর রিকশয় উঠলেন ক্যাপ্টেন। রিকশ এগতে থাকে আর স্বামীকে একের পর এক অনুযোগ করতে থাকে বঁড়শি। তারপর... বিশদ

21st  March, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পিশাচ সাধু ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন সহজের। নচেও তার ভবিষ্যৎ জানতে চায়। সাধু বলেন, ‘তুই অপঘাতে মরবি।’ শুনে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত নচে। তারপর... বিশদ

14th  March, 2021
তন্ত্রমন্ত্র
সৌমিত্র চৌধুরী

ঠক ঠক ঠক। অন্ধকার ঘর। মিনিট পাঁচেক হল কারেন্ট চলে গিয়েছে। নিজের বিছানায় চাদর মুড়ি দিয়ে বসে আছি। তবুও মশার কামড়। স্বস্তিতে বসতেও পারছি না। তার মধ্যে দরজায় টোকা।  বিশদ

14th  March, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

দারোগাবাড়ির ঠেকে সহজকে দেখে হঠাৎই ক্যাপ্টেন বেমক্কা বলে বসলেন— ‘তুই ভুল করেছিস পরি! এ ছেলে সহজ নয়, এ ছেলে কেন তোর এখানে? বড্ড ভুল করছিস!’ পরমেশ্বর অবাক হয়ে জানতে চাইল, ‘কেন, কী ভুল করলাম ক্যাপ্টেন?’ তারপর... 
বিশদ

07th  March, 2021
দেশি ছেলেপুলে 
চন্দন চক্রবর্তী

ব্যানার্জিবাবু প্রচণ্ড উত্তেজিত! ‘তা বলে আমার ফ্ল্যাটের সামনে?’ আবাসনের পার্কে তখন প্রাতঃভ্রমণকারীরা বসে। কেউ রামদেব, কেউ বা ফড়িং-এর মতো ফড়ফড় করে হাত-পা নাড়ানাড়ি করছেন। ব্যানার্জিবাবু রীতিমতো সুদর্শন। ফর্সা রং, চোখে বিদেশি চশমার ফ্রেমে আঁটা দেশি চশমার লেন্স।  
বিশদ

28th  February, 2021
ভাষা ও ভালোবাসা 
ছন্দা বিশ্বাস

অহর্নিশকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দুপুরে খাওয়ার পর দোতলার ঘরে শুয়েছিল অহর্নিশ। শুয়ে শুয়ে একটা কমিক্সের বইয়ের পাতা ওল্টাচ্ছিল। অবন্তিকা দেখে এসেছে। ভেবেছে গল্প পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়বে। ছেলের মাথার হাত বুলিয়ে বলে এসেছে, ‘তাড়াতাড়ি একটু ঘুমিয়ে নাও, চারটের সময়ে কিন্তু আমাদের বেরতে হবে।  
বিশদ

21st  February, 2021
একনজরে
কাজ পাগল কাজল! শ্যামসুন্দর-নিত্যানন্দের পুণ্যভূমিতে কাজল সিনহাকে চিনতে ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ লাগে না। কর্মেই তিনি বেশি পরিচিত। তাঁর অতিবড় নিন্দুকেরাও নাকি এমন কথা বলে থাকেন!  ...

রবিবার সকাল থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চাকদহ থানার রাউতাড়ী পঞ্চায়েতের উত্তর এনায়েতপুরের মণ্ডলপাড়া। বাড়ির সামনে থেকে দেহ উদ্ধার হয় এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম দিলীপ কীর্তনীয়া (৩১)।   ...

শনিবার বিকেলে রানিগঞ্জ ব্লকের তিরাট পঞ্চায়েতে প্রচার ছিল সায়নী ঘোষের। পূর্ব কর্মসূচি মতোই তিরাট পঞ্চায়েতের সবচেয়ে বড় বাজার চেলোদে এসে তাঁর গাড়ি থামে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ...

বারবার প্রস্তাব ছিল স্বয়ং পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে লড়ার। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মঞ্চে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ দিয়ে চলার কারণে সেই প্রস্তাবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM