Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আজও তারা জ্বলে
পর্ব-২২ 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- একাদশ কিস্তি।

‘নিশিপদ্ম’ ছবির সেই ফুচকা খাওয়ার দৃশ্যের মতো জহর রায়ের ইম্প্রোভাইজেশন নিয়ে আরও নানারকম মিথ রয়েছে। সিনেমার মতোই নাটক ও যাত্রাপালাতেও প্রবল প্রতিপত্তি ছিল জহর রায়ের। ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’ নাটকের একটি ঘটনা। সেই নাটক বহু রজনী অতিক্রান্ত হয়েছিল রংমহলে। হাজারি ঠাকুরের ভূমিকায় অভিনয় করতেন সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জহর রায় করতেন মতি চাকরের চরিত্রটি।
এমনিতে নাটকটিতে সেরকম কোনও কমেডি দৃশ্য ছিল না। কিন্তু মঞ্চে জহর থাকবেন, আর কমেডি তৈরি হবে না, সে কী হয়! শিশির ভাদুড়ি, অহীন্দ্র চৌধুরীর পরবর্তী যুগে বাংলা বাণিজ্যিক থিয়েটারে যোগ্য উত্তরসূরী ছিলেন সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। সিরিয়াস চরিত্রই হোক বা কমেডি, বাংলা থিয়েটারের দর্শককে মন্ত্রবৎ বশ করে রাখতে পারতেন তিনি। দুরন্ত অভিনয় করলেও তাঁর একটা দুর্বলতা ছিল। হাসির দৃশ্যে তিনি হাসি চেপে রাখতে পারতেন না। ফলে রংমহলের মঞ্চে জহর রায়ের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির কারণে তাঁকে চূড়ান্ত অপ্রস্তুতে পড়তে হতো। কোনওমতে হাসি চেপে দৃশ্যগুলো উতরে দিতেন।
‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’ নাটকটির একটি দৃশ্য ছিল, হাজারি ঠাকুর ‘মতি, মতি’ বলে তাঁর চাকরকে ডাকবেন। মতিও সব কাজ ফেলে স্টেজে ঢুকে বলবে, ‘কেন ডাকতিছ গো ঠাকুর?’ সেদিনও সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মমাফিক হাঁক পেড়েছেন। কিন্তু জহর আর স্টেজে আসেন না। চিন্তিত সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবলেন, কী হল! জহর তো এবার সিন ফেল করবে! তাই বেশ জোরে ডেকে উঠলেন, ‘অ্যাই মতি।’
প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সারা গায়ে ময়দা মাখা অবস্থায় হুড়মুড়িয়ে মঞ্চে প্রবেশ করলেন জহর। মাথা থেকে পা পর্যন্ত ময়দা মাখা শুধু চোখ দুটো বেরিয়ে আছে। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ও জহরের ওই মূর্তি দেখে হকচকিয়ে গিয়েছেন। একে তো এভাবে ডাকার কথা নয়, তার উপর এই রকম গোরু চোরের মতো জুল জুল চোখে তাকাচ্ছেন জহর! দেখেই তাঁর ভীষণ হাসি পেয়ে গেল। কোনও রকমে সামাল দেওয়ার চেষ্টাও করলেন, ‘এ কী রে মতি! এ কী চেহারা হয়েছে তোর?’ জহর বললেন, ‘কী করব বলো, সবে ময়দা মাখব বলে গামলায় ময়দা ঢেলেছি, অমনি তুমি মতি বলে এমন জোরে ডাকলে, আমি ওই গামলা ভর্তি ময়দার মধ্যে মুখ থুবড়ে পইরে গেলুম।’
নাটকে ময়দা মাখা চেহারা বা এই ধরনের কোনও সংলাপ ছিল না। সত্যবাবু প্রমাদ গুনলেন। জহরকে দেখে তাঁর হাসি আরও প্রবল বেগে আসতে লাগল। পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য বললেন, ‘হতভাগা! দূর হ। মুখ হাত পরিষ্কার করে আয় যা।’ ওদিকে জহর রায় তো বুঝে গিয়েছেন সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনের অবস্থা। তিনি যে হাসি চাপতে পারছেন না বলেই জহরকে ভাগিয়ে দিতে চাইছেন। তাই জহর পাল্টা বললেন, ‘তুমি মিছিমিছি রাগ কইরতেছ। ইচ্ছে করে কি আমি ময়দার উপর পইরেছি। কেন হাঁক দিলে আগে বলো দিকি।’
হাসির উদ্রেকে তখন সত্যবাবুর কথা বলার মতো অবস্থা নেই। প্রেস্টিজ বাঁচাতে জহরকে একপ্রকার ধাক্কা দিতে দিতে স্টেজ থেকে বের করে বললেন, ‘তুই আগে পরিষ্কার হয়ে আয় তার পর বলছি।’ তাঁকে মঞ্চ থেকে বের করে খানিক নিশ্চিন্ত হয়ে সবে কাঁধের গামছা দিয়ে ঘাম মুছছেন সত্যবাবু। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে জহর রায়ের পুনঃপ্রবেশ।
—ও ঠাকুর, তুমি কেন ডাইকতেছিলে বলো না। তোমার কথাটা শুনে তারপর হাত-মুখ সাফ করব।
সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় আর সামলাতে না পেরে জহরের দিকে ‘তবে রে’ বলে তেড়ে গেলেন। জহরও বুঝলেন আর বাড়াবাড়ি করা ঠিক হবে না। তাই দৌড়ে পালিয়ে গেলেন স্টেজ থেকে। কিন্তু যাওয়ার আগে দর্শকদের একটা ফিচেল হাসি উপহার দিয়ে গেলেন। প্রেক্ষাগৃহে হাসির রোল উঠল।
মঞ্চের আরও দুটো কাহিনী শোনালেন অভিনেতার ছোট মেয়ে কল্যাণী রায়। একটা সিরিয়াস আর একটা মজার। সরস চরিত্রে অভিনয় করলেও শিল্পীর অসম্মান যে সহ্য করতে পারতেন না জহর, তার প্রমাণ প্রথম ঘটনা। কল্যাণীর কথায়, ‘বাবার এক বন্ধু ছিলেন, নাম ধীমান। পদবিটা এখন মনে পড়ছে না। আমরা ধীমানকাকু বলে ডাকতাম। কী একটা নাটকে বাবার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ধীমানকাকু। ওঁর পায়ে একটু বড় বড় লোম ছিল। দৃশ্যটাতে হাফপ্যান্ট পরে বাবার কোলে চেপে মঞ্চে ঢুকতেন ধীমানকাকু। সেদিনও একইভাবে ঢুকেছেন। দর্শকাসন থেকে কেউ তখনই বলে ওঠে, ‘এ বাবা এটা ভাল্লুকের বাচ্চা নাকি!’ সংলাপ থামিয়ে বাবা বলেছিলেন, ‘অ্যাই যা তোর বাবা এসে গিয়েছে।’ ধীমানকাকুর চোখে সেদিন জল এসে গিয়েছিল। এ রকমই আর একটা নাটকের ঘটনা। সম্ভবত নাটকটির নাম ছিল ‘নন্দা’। নাটকে একটা বিয়ের দৃশ্য ছিল। জহর রায় টোপর পরে শোলার বল দুটো নাড়তে নাড়তে দর্শকদের মধ্যে থেকে মঞ্চে প্রবেশ করতেন। এই নাটকটিই একবার দেখতে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী কমলাদেবী। বসেছেন একদম সামনের সারিতে। জহর টিকিট কাউন্টারে আগেই বলে রেখেছিলেন, কমলাদেবীর পাশের সিটের টিকিটটা যেন কাউকে না দেওয়া হয়। নাটক শুরু হয়, সেই দৃশ্যটাও আসে যথাসময়ে। জহর একইরকম ভাবে এসে সেদিন স্টেজে না উঠে স্ত্রীয়ের পাশে বসে পড়েন। দর্শকরা তো হকচকিয়ে যান। কমলাদেবী তো লজ্জা পেয়ে তাঁকে এক ধাক্কায় সরিয়ে দেন। হলে তখন হইহই কাণ্ড।
জহর রায়ের এই শিশুসুলভ মনটাই আকৃষ্ট করেছিল সুচিত্রা সেনকে। জহর তাঁকে ডাকতেন ‘দিদিভাই’ বলে। আর সুচিত্রার কাছে তিনি ছিলেন ‘ভাইয়া’। তবে মাঝে মাঝে তাঁকে চার্লি বলেও ডাকতেন। প্রত্যেক বছর দিদিভাই সুচিত্রার কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিতেন জহর। আর বিজয়া দশমীর দিন বাড়ির প্রত্যেকের ফোন করে সুচিত্রা সেনকে প্রণাম ও শুভেচ্ছা জানানো ছিল মাস্ট।
জহর রায় যখন প্রবল অসুস্থ, তখন সুচিত্রা অনেকবার কমলাদেবীকে ফোন করে তাঁকে দেখতে আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। কমলাদেবী রাজি হননি। কারণ, সুচিত্রা সেন বাড়িতে এলে তো ভিড় সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই শুনে সুচিত্রা বলেছিলেন, ‘কী হয়েছে। আমি বোরখা পরে যাব।’ কমলাদেবীর সঙ্গে সুচিত্রার সম্পর্ক ছিল দারুণ। তিনি পাবনার মেয়ে। খাস বাঙাল। মাঝে মধ্যেই তাঁর শুঁটকি মাছ খাওয়ার সাধ হতো। কমলা ছিলেন চট্টগ্রামের মানুষ। সুচিত্রা একেক দিন গাড়ি পাঠিয়ে দিতেন। তাঁর জন্য সেই গাড়িতে করে রান্না করা শুঁটকি মাছ নিয়ে যেতেন কমলাদেবী।
(ক্রমশ)
সুচিত্রা সেন ও অন্যান্যদের সঙ্গে জহর রায়।
অলঙ্করণ: বিশ্বনাথ ঘোষ
03rd  May, 2020
ভৈরবী মা
সঙ্গীতা দাশগুপ্ত রায়

 ‘নিজে রান্নাবান্না পারেন?’ ‘নাহ, একদম আনাড়ি,’ অর্জুন হাসে। ‘তবে তো এ ব্যবস্থাই বেশ। ওনার ফেরার কোনও ঠিক থাকে না। আপনাকে ন’টায় খেতে দেব তো? আর হ্যাঁ, কোনও অসুবিধা হলে বউদি বলে ডাক দেবেন ভাই।’ একটু আন্তরিকতা ছুঁইয়ে দিয়ে যান মহিলা। বিশদ

24th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে
তুলসী চক্রবর্তী

‘ওরে, আমি হলাম গিয়ে হেঁশেলবাড়ির হলুদ। ঝালে-ঝোলে-অম্বলে সবেতেই আছি। হাসতে বললে হাসব, কাঁদতে বললে কাঁদব, নাচতে বললে নাচব, দু’কলি গান গেয়ে দিতে বললে তাও পারব। হলুদ যেমন সব ব্যঞ্জনেই লাগে তেমনই আর কী! কিন্তু হলুদের কি নিজস্ব কোনও স্বাদ আছে? তাই আমার এই অভিনয়কে আমি অভিনয় বলি না গো!
বিশদ

24th  May, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব ২৫

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

24th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- শেষ কিস্তি। 
বিশদ

17th  May, 2020
অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

17th  May, 2020
ঠুলি 

শুচিস্মিতা দেব: বসন্তের সকাল। আলো-ছায়া মাখা গাছেদের কচি পাতায় সবুজাভা। দোতলার বারান্দা থেকে পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা অবশিষ্ট দু’চার পিস করবীফুল, ডাল টেনে টেনে সফলভাবে পেড়ে ফেলে নিজের কৃতিত্বে বেশ ডগমগ হয়ে উঠলেন নীপা।  
বিশদ

17th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে 
পর্ব-২৩

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- দ্বাদশ কিস্তি। 
বিশদ

10th  May, 2020
অথৈ সাগর 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

10th  May, 2020
সুখ চাই 
চিরঞ্জয় চক্রবর্তী 

সুমন আর ভারতীর বিয়ের আজ সাতান্ন বছর পূর্তি। যখন বিয়ে হয়েছিল সুমনের বয়স সাতাশ, ভারতী তেইশ। দেখতে দেখতে ভারতীর আশি, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দীর্ঘদিন সরকারি ভাষায় বরিষ্ঠ নাগরিক।  
বিশদ

10th  May, 2020
জিরাফের গলা 

রজত ঘোষ: দু’দিন হল পঞ্চায়েত ভোটের রেজাল্ট বেরিয়েছে। আজ একটু পরে তাই বিজয় মিছিল বের করবে বিজয়ী দল। টেবিলের মাঝখানে দিস্তাখানেক লিফলেট। তার ওপর একটা পেপার ওয়েট। রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে গণেশ এতক্ষণ আঙুলের কায়দায় পেপারওয়েটটাকে ঘোরাচ্ছিল।  
বিশদ

03rd  May, 2020
অথৈ সাগর 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

03rd  May, 2020
মাছভাজা
শ্যামলী আচার্য

হিতেন্দ্রনাথ সান্যালের কথা শেষ হল না। হয় না। ওঁর সাতচল্লিশ বছরের প্রাচীন জীবনসঙ্গিনী আজ অবধি কোনও বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়া ব্যবহার করতে দেননি। একজন সিনিয়র সিটিজেনের বুকে ব্যথার সামান্য আভাসও তাঁকে বিচলিত করল বলে মনে হল না।
বিশদ

26th  April, 2020
 অথৈ সাগর
পর্ব ২১

 চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

26th  April, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-২১

জহর রায়ের কৌতুক নকশার রেকর্ড করত মূলত মেগাফোন কোম্পানি। পরে পলিডোর কোম্পানি কিছু নকশা রেকর্ড করেছিল। ওদের কোম্পানি থেকে ১৯৭২ সালে বেরয় ‘ফাংশন থেকে শ্মশান’। পরের বছর কেতকী দত্তের সঙ্গে ‘সধবার একাদশী’।
বিশদ

26th  April, 2020
একনজরে
  নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সরকারি হিসেবে সুন্দরবনের ৩ হাজার ৯৯১ কিলোমিটার জঙ্গল কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৪৫ শতাংশ বাদাবন ধ্বংস করে ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্র সহ পাঁচ রাজ্য থেকে ২০ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার ফিরল ১৬টি স্পেশাল ট্রেন। এর মধ্যে ন’টি ট্রেনে চেপে ১০ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ফিরলেন মহারাষ্ট্র ...

  নয়াদিল্লি, ২৮ মে: কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ায় তামিলনাড়ুতে উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ করল মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা নোকিয়া। তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরের ওই প্ল্যান্টে গত সপ্তাহ থেকেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ...

অলকাভ নিয়োগী, বর্ধমান: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে যখন গোটা রাজ্য আতঙ্কিত, তখন ‘মড়ার উপর খাড়ার ঘা’য়ের মতো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে দিয়ে গিয়েছে সুপার সাইক্লোন উম-পুন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬৫—প্রবাসী, মডার্ন রিভিউয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম।
১৯৫৩—প্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করলেন তেনজিং নোরগে এবং এডমন্ড হিলারি
১৯৫৪—অভিনেতা পঙ্কজ কাপুরের জন্ম।
১৯৭২—অভিনেতা পৃথ্বীরাজ কাপুরের মৃত্যু।
১৯৭৭—ভাষাবিদ সুনীতি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু।
১৯৮৭—ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি চরণ সিংয়ের মৃত্যু।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.০১ টাকা ৭৬.৭৩ টাকা
পাউন্ড ৯১.৩২ টাকা ৯৪.৫৭ টাকা
ইউরো ৮১.৯৯ টাকা ৮৫.০৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৯ মে ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী ৪২/২৯ রাত্রি ৯/৫৬। অশ্লেষানক্ষত্র ৫/৫ দিবা ৬/৫৮। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৬, সূর্যাস্ত ৬/১১/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ১২/০ গতে ২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ১২/৩৮ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৩০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/১৫ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫২ গতে ১০/১৩ মধ্যে।
১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৯ মে ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী রাত্রি ৭/৩। মঘানক্ষত্র রাত্রি ৩/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৪। অমৃতযোগ দিবা ১২/৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৭ মধ্যে ও ১২/৪০ গতে ২/৪৮ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৫ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৪ গতে ১০/১৪ মধ্যে।
৫ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৬৫—প্রবাসী, মডার্ন রিভিউয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম।১৯৫৩—প্রথম এভারেস্ট ...বিশদ

07:03:20 PM

১৬ জুন খুলছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির 

09:55:50 PM

নিয়ামতপুরে অস্ত্র কারখানার হদিশ 
লকডাউন এর মধ্যেই কুলটি থানার নিয়ামতপুরে অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল ...বিশদ

09:38:00 PM

১ জুন খুলছে না বেলুড় মঠ 
করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় ১ জুন থেকে খুলছে না ...বিশদ

09:23:02 PM

দিল্লিতে ভূমিকম্প অনুভূত, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৪.৬

09:16:00 PM

রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যসচিবের 
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি, উম-পুন পরবর্তী অবস্থা ও পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যু ...বিশদ

08:55:00 PM