বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাজ্য থেকে এই টাস্কফোর্স গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবারই ব্লক ও জেলা স্তরের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এমনকী, বুধবার বিকেলে জেলাস্তরের টাস্কফোর্সের একটি বৈঠকও করা হয়েছে। এই টাস্কফোর্সের প্রথম উদ্দেশ্য হল, একেবারে এলাকা ভিত্তিক করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করা। কারণ, এখন প্রতিদিন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক এবং অন্যান্যরা ভিন রাজ্য থেকে এই জেলায় ফিরছেন। তাঁদের স্টেশন থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া একটি বড় কাজ। এছাড়াও যাঁদের সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হবে, তাঁদের কোথায়, কোন স্কুলে বা কলেজে কোয়ারেন্টাইন করা হবে, সেখানে কী কী ব্যবস্থা করতে হবে এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে ব্লকস্তরের টাস্কফোর্স। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার নিয়ে কোথাও কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, কোথাও কোনও ঘাটতি রয়েছে কি না, সেই ঘাটতি বা সমস্যা কীভাবে মেটানো যাবে এই সমস্ত বিষয়গুলিও টাস্কফোর্স খতিয়ে দেখবে।
এছাড়া, যাঁদের সরকারি কোয়ারেন্টাইনে না পাঠিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের সঠিকভাবে নজরদারি হচ্ছে কিনা, হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে কেউ বাইরে পালিয়ে যাচ্ছেন কি না, প্রত্যেকে যাতে ১৪ দিন সময়সীমা শেষ করেন, এই বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখবে টাস্কফোর্স। কোনও সমস্যা থাকলে ব্লকস্তরের টাস্কফোর্স জেলাকে জানাবে। জেলার টাস্কফোর্স পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। জেলাস্তর থেকে রাজ্যতেও রিপোর্ট পাঠানো হবে। কারও করোনা ধরা পড়লে তাঁদের কোভিড হাসপাতালে পাঠানো, এলাকা সঠিকভাবে সিল হচ্ছে কি না, এলাকার মানুষ সামাজিক দূরত্ব মানছে কি না ইত্যাদি বিষয়গুলিও দেখা হবে।
দ্বিতীয়ত, উম-পুনে জেলায় কৃষি, বাড়ি, সম্পত্তি নষ্ট সহ কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সামনেই বর্ষা আসছে। তাই যাঁদের বাড়ি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাঁদের মাথার উপর আচ্ছাদন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন রাজ্য সরকার। ব্লকের এই টাস্কফোর্স এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। যাঁদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের তালিকা তৈরি করে অনুদানের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। বাড়ি ছাড়াও কোথায় কী ক্ষতি হয়েছে, কীভাবে তা মেরামত বা সংস্কার করা সম্ভব, সরকারি সম্পত্তি কী কী নষ্ট হয়েছে, এই সমস্ত কিছুও খতিয়ে দেখবে ব্লকের টাস্কফোর্স কমিটি।
তৃতীয়ত, করোনা ও উম-পুনের মধ্যেও সরকারি প্রকল্পের কাজ চলছে। করোনার জেরে সেই কাজগুলিও অনেকটা থমকে গিয়েছে। কিন্তু, সাধারণ মানুষের স্বার্থে সেই কাজগুলিও সঠিকভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতি ব্লকে। তাই সরকারি প্রকল্পগুলিরও যাতে সঠিকভাবে অগ্রগতি হয় তা খতিয়ে দেখবে ব্লকস্তরের টাস্কফোর্স। এই প্রকল্প করতে গিয়েও যদি কোনও সমস্যা হয়, তার সমাধান কী হতে পারে, কোথায় সমস্যা হচ্ছে, কী জন্য সমস্যা হচ্ছে এই সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়ও তারা আলোচনা করবে। তারপর জেলাকে জানাবে। যাতে সহজেই এই সমস্ত কাজগুলি গতি পায়। কারণ, এলাকা ভিত্তিক আলোচনা করলে সহজেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাই এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, রাজ্য থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরই আমরা ২৩টি ব্লকেই এই টাস্কফোর্স গঠন করেছি। জেলাতেও একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এখন বিভিন্ন ব্লকে করোনা ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার নিয়ে নানা সমস্যা হচ্ছে। তাই এই টাস্কফোর্স একেবারে এলাকা থেকে করোনা মোকাবিলা, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সমস্যা সমাধানের কাজগুলি করবে। এলাকা ভিত্তিক আলোচনা করলে সমাধান করতেও সহজ হবে। এছাড়াও উম-পুন বিপর্যয় মোকাবিলা এবং সরকারি প্রকল্পের কাজগুলি যাতে সম্পন্ন হয় সেগুলিও দেখবে।