Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অন্নদাতাদের
দ্রোহকাল
মৃণালকান্তি দাস

মধ্যরাতের কথা বললেই নেহরুর সেই স্বাধীনতার ভাষণ অবধারিতভাবে মনে পড়বেই! বিশ্ব যখন নিদ্রামগ্ন, তখন রাবীন্দ্রিক অনুষঙ্গ যেন মিশেছিল সেই ভাষণে। পৃথিবী ঘুমিয়ে থাকার ভিতরেও যে কাব্য লুকিয়ে, প্রথম প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বাধীনতার প্রতি তাঁর কথা নিবেদন করেছিলেন সেই কাব্যের মার্গ ধরে। তাই স্বাধীনতায় জেগে ওঠার জাতীয়তাবাদী রোমান্টিকতার হাতছানি দেয় আজও। কিন্তু কোন ভারতে সেই হাতছানি এসেছিল? বিভক্ত ভারত। ক্ষতবিক্ষত ভারত। তেভাগার ভারত। তেলেঙ্গানার ভারত। আর ছিল অন্নদাতাদের জানকবুল লড়াই। সেই লড়াইয়ের ইতিহাস আগলে পথ এগিয়েছে স্বাধীন ভারত।
বাংলায় সেই দ্রোহকাল তিন বছরের। লড়াই শুরু ১৯৪৬-এ। এর মধ্যে দেশটা ভাগ হয়ে গিয়েছে। শাসন পাল্টে গিয়েছে। চলে গিয়েছে ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭। তার মধ্যেই কিছু বদ্ধপাগল মানুষ আর প্রগতি শিবিরের টানে আসা কিছু লেখক, ছবি আঁকিয়ে, গায়ক, সঙ্গীতকার বেমালুম নিজেদের স্বপ্নগুলোর সঙ্গে চাষিদের লড়াইয়ে একটা গিঁট বেঁধে ফেলেছিলেন।
এই সময়ই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার রাজপুর-সোনারপুর-বারুইপুর অঞ্চলের খেপুদা (খগেন রায়চৌধুরী) আবিষ্কার করেছিলেন সলিল চৌধুরীর সাংস্কৃতিক দক্ষতা। দুর্ভিক্ষে মৃতপ্রায় বাংলা খুঁজে পেয়েছিল বেঁচে ওঠার গণসঙ্গীত। ‘হেই সামালো হেই সামালো/ হেই সামালো ধান হো, কাস্তেটা দাও শান হো..।’ এ দেশের কৃষিজীবী মানুষের নিজের জমি আর ফসলের উপর যে অধিকার রয়েছে তার দৃঢ়তার পিছনে এক ঋজু স্তম্ভ ছিল তেভাগা আন্দোলন।
আসলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসিত ভারতে এক নতুন ধরনের জমিদারশ্রেণির পত্তন হয়েছিল। ১৯২০ সাল থেকে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকরা কর-মকুব, কর-ছাড়ের আন্দোলন করতে থাকেন। পাঞ্জাবে গদর পার্টির নেতৃত্বে, গুজরাতে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে কর-মকুব করার দাবি নিয়ে কৃষকরা সংগঠিত হতে থাকেন। দাবি উঠতে থাকে ফসলের এক-তৃতীয়াংশের বেশি খাজনা না দেওয়ার।
১৯৪৬-এর ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়। লক্ষ লক্ষ বর্গাদার (আধিয়ার) ফসল তোলেন নিজেদের খামারে। হাজার হাজার কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। যে আন্দোলন ছিল আধিয়ারদের, তা অচিরেই হয়ে ওঠে ভূমিহীন খেতমজুরদেরও আন্দোলন। কৃষক নেতা অবনী লাহিড়ীর কথায়, ‘যখন তেভাগা আরম্ভ হয়, ভূমিহীনরা ও দিনমজুররা ব্যাপকভাবে যোগ দিয়েছিলেন। অথচ, এই শ্রেণিটির রাজনৈতিক দাবি আমাদের প্রত্যক্ষ কর্মসূচিতে বিশেষ কিছু ছিল না। আমরা, এমনকী আধিয়াররাও ভাবতে পারেনি দিনমজুররা এভাবে জঙ্গি মনোভাব নেবেন।’ ১৯৪৭ সালের ৪ জানুয়ারি দিনাজপুরের চিরির বন্দরের তালপুকুর গ্রামে পুলিসের গুলিতে শহিদ হন সমিরুদ্দিন আর শিবরাম। তেভাগা বিদ্রোহের প্রথম শহিদ তাঁরাই। সমিরুদ্দিন ছিলেন খেতমজুর আর শিবরাম ছিলেন সাঁওতাল আধিয়ার।
সালটা ১৯৪৭। তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি। আধা নয়, তে-ভাগ চাই। জান দেব, তবু ধান দেব না— কৃষকদের স্লোগানে বালুরঘাটের খাঁপুর গ্রামের মাটি সেদিন কেঁপে উঠেছিল। জমিদার এবং ব্রিটিশ পুলিসের সামনে মাদলের তালে বুক চিতিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন যশোদারানি সরকার, কৌশল্যা কামারনি, চিয়ারসাই শেখ, গুরুচরণ বর্মন, মাঝি সরেন, হোপনা মার্ডিরা। তাঁদের পিছনে শতাধিক চাষি। পাঁজরের হাড় বের হওয়া খালি গা। পরনে বস্ত্র বলতে হাঁটু পর্যন্ত এক টুকরো মলিন ধুতি। ডুগডুগি বাজিয়ে দীর্ঘ বঞ্চনার প্রতিবাদ ও ধানের অধিকারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে দলটি এগিয়ে যেতেই পুলিস এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিতে ২২ জন নিহত কৃষকের রক্তে লাল হয়ে ওঠে খাঁপুরের মাটি। ৫০ জনের বেশি কৃষক পুলিসের গুলিতে জখম। নিরস্ত্র চাষিদের উপর ব্রিটিশ পুলিসের ১৩১ রাউন্ড গুলি চালানোর ঘটনা প্রকাশ হতেই শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। সাক্ষী আত্রেয়ী নদী...
ততদিনে কৃষক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল অবিভক্ত বাংলার ১৯টি জেলায়। নবজাগরণের তূর্যবাদন। উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর, রংপুর, জলপাইগুড়ি তখন তেভাগার প্রধান লড়াই কেন্দ্র। এছাড়া চব্বিশ পরগনা, মালদা, যশোর, খুলনা, বগুড়া, ঢাকা, ফরিদপুর, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম, পাবনা, মেদিনীপুর, নদীয়া, হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া, বীরভূমেও ছড়িয়ে পড়েছিল তেভাগার স্ফুলিঙ্গ। অজিত বসু, বিষ্ণু চট্টোপাধ্যায়, ইলা মিত্র, কংসারী হালদার, সুশীল সেন, নুর জালাল, কৃষ্ণবিনোদ রায়, ভূপাল পাণ্ডাদের নেতৃত্বে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছিল কৃষক সভার আওয়াজ: আধি নাই, তেভাগা চাই। বিনা রসিদে ভাগ নাই। পাঁচ সেরের বেশি সুদ নাই। কর্জ ধানে সুদ নাই। বাজে কোনও আদায় নাই। জমি থেকে উচ্ছেদ নাই। জান দেব তবু ধান দেব না। নিজ খোলানে ধান তোল। লাঙল যার জমি তার...
বিদ্রোহী কৃষকরা চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন তাঁদের মূল শত্রুকে। প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ মধ্যবিত্ত পরিবারের হাতে প্রায় বিশ লক্ষ আবাদি জমি থাকলেও, অল্প সংখ্যক জোতদার-জমিদারের অধীনে ছিল প্রায় এক কোটি একর আবাদি জমি। প্রকৃত শত্রু বড় জমিদার-জোতদার, আমলাতন্ত্র। চব্বিশ পরগনার সংগ্রামী কৃষক নেতা হেমন্ত ঘোষাল লিখেছেন, ‘গ্রামে গ্রামে প্রচারাভিযান সংগঠিত হল। বলা হল, তেভাগার লড়াইয়ে নামতে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে। পরিবারপিছু একজন যুবক, একটি টাকা ও একটি লাঠি দিতে হবে। অদ্ভুত সাড়া পাওয়া গেল। ২০ দিনের মধ্যে ১ হাজার ২০০ জোয়ান ছেলে, ১ হাজার ২০০ টাকা ও ১ হাজার ২০০টি লাঠি সংগৃহীত হল।... পরিবারের শক্ত-সমর্থ পুরুষটিকে লড়াইয়ে পাঠিয়েই তারা ক্ষান্ত হল না, ঘাঁটি আগলানোর জন্য ২০ দিনের মধ্যেই ১ হাজার ৫০০ জনের সংগঠিত নারী প্রতিরোধবাহিনী গড়ে তুলল।’ বাংলাদেশের নড়াইলে কৃষকনেত্রী সরলা সিংয়ের নেতৃত্বে তিনশো নারীর সংগ্রামী বাহিনী লড়াইয়ের ময়দানে।
মেদিনীপুরে মহিলা নেত্রী বিমলা মাজীকে পাঠানো হল মেয়েদের সংগঠিত করার জন্য। চোদ্দো বছরে বিধবা হওয়া ইস্তক থান পরতে হতো মেদিনীপুরের মেয়েটিকে। সাল ১৯৪৩। পাড়হীন শাড়িতে বিষণ্ণ, মাইতি-বাড়ির মেয়েটির জীবন একদিন আমূল বদলে যায়। রঙিন শাড়ি পরিয়ে তাঁকে কর্মযজ্ঞে টেনে আনেন বাম আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী মণিকুন্তলা সেন। সেই বিমলাই হয়ে ওঠেন মেদিনীপুরের তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী। তেভাগার তিন বছর অনেকগুলো ভাগাভাগি মুছে দিতে পেরেছিল। না খেতে পাওয়া মুসলিম কৃষকের সঙ্গে না খেতে পাওয়া হিন্দু চাষার ভাগাভাগি দূর হটেছিল। তাদের মরদ, ব্যাটা-র জান-ধান বাঁচাতে গিয়ে মেয়েদের কাজ ছেলেদের কাজের ভাগাভাগিও গিয়েছিল কমে। তিন বছরে কমপক্ষে ২৭ জন কৃষক রমণীকে হত্যা করে একথার স্বীকৃতি দিয়েছিল রাষ্ট্র।
২৪ পরগনার দক্ষিণে তখন জ্বলছে আগুন। লালগঞ্জ, চন্দনপিঁড়ি— কাকদ্বীপের আশপাশের অঞ্চলগুলিতে বেজে উঠেছিল যুদ্ধের দামামা। ৬ নভেম্বর ১৯৪৮। চন্দনপিঁড়িতে হাজার হাজার কৃষক আগুন জ্বালিয়ে আন্দোলন শুরু করল। মহিলারা আসছে, শিশুরা আসছে, আর তাদের নেতৃত্বে অহল্যা। হঠাৎ পুলিসের গুলি। রক্তে ভিজে উঠল মাটি। গর্ভবতী মা অহল্যা গড়িয়ে পড়লেন মাটির রাস্তায়। কী ভয়ঙ্কর সে আগুন। সেদিন প্রাণ হারিয়েছিলেন অহল্যা, উত্তমী, বাতাসী, সরোজিনী, অশ্বিনী, গজেন্দ্র ও দেবেন্দ্র। সেই মৃত্যুর শোকে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল সলিল চৌধুরীর ‘শপথ’। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমরা তো অনেক রঙিন বিপ্লবের কবিতা লিখেছি। কিন্তু শপথ লিখে সলিল বুঝিয়ে দিয়েছে ও কত বড় মাপের কবি।’
১৯৪৯-এ তেভাগার লড়াই শুরু হয় হাওড়া-হুগলিতে। ৯ সেপ্টেম্বর সাঁকরাইলের হাটাল গ্রামে ভরদুপুরে পুলিস প্রহরায় জমিদারের বাহিনী ধান কেটে নিয়ে গেলে মেয়েরা শাঁখ বাজাতে থাকেন। শুরু হয় পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ। পুলিস এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। বীরাঙ্গনার মতো লড়ে গুলিবিদ্ধ হন চোদ্দো বছরের কিশোরী-বধূ মনোরমা। নিহত হন সাধুবালা, যশোদাময়ী ও আরও ছ’জন মহিলা। ১৯ ফেব্রুয়ারি। হুগলি জেলার ডুবির ভেরিতে সন্ধ্যাবেলায় পুলিসের হামলা। মেয়েরা বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে সেই হামলাকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। শহিদ হন সাত মহিলা। যাঁদের অনেকেরই নাম নেই বইয়ের পাতায়, পরিচয় লেখা আছে কারও মা হিসেবে।
তখন সাঁওতাল পরগনার এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে পরিচয় গোপন করে ছুটে বেড়াচ্ছেন সাঁওতালদের ‘রানি মা’ ইলা মিত্র। কিন্তু খুব বেশি দিন প্রশাসনের নজর এড়াতে পারেননি। ১৯৫০ সালের ৫ জানুয়ারি। নাচোল রেলস্টেশনে ধরা পড়ে গেলেন ইলা মিত্র। শুরু হল অকথ্য অত্যাচার। এই স্বাধীন ভারতে লক-আপের মধ্যে কখনও রাইফেলের বাট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে তাঁর হাত, কখনও আবার পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তাঁর পায়ের গোড়ালিতে। তবে এতকিছুর পরেও তাঁর মুখ থেকে বিন্দুমাত্র তথ্য বার করতে পারেনি পুলিস প্রশাসন।
তখন এধার-ওধার সশস্ত্র বিপ্লবের লাইন হাতড়ে বেড়ানো চলছে পুরোদমে। ১৯৪৮-এর কমিউনিস্ট পার্টি সম্মেলনে পুরণচাঁদ যোশিকে সরিয়ে পার্টি সম্পাদক হন রণদিভে। আর তার ঠিক পরেই বে-আইনি ঘোষিত হয় কমিউনিস্ট পার্টি। উত্তরে নিভে আসা তেভাগার আগুন জ্বলে ওঠে দক্ষিণ প্রান্তে। তেলেঙ্গানার গণ-সংগ্রাম। কৃষক বিদ্রোহের অন্যতম সেনাপতি পি সুন্দরাইয়া। অবিভক্ত ভারত থেকে বিভক্ত ভারতে সর্ববৃহৎ কৃষক সংগ্রাম। ১৯৪৬-’৫১ সাল। ৪ হাজার সংগ্রামী নিহত। সংগ্রামটা ছিল জমির অধিকারের সংগ্রাম। প্রায় ১৬ হাজার বর্গমাইল এলাকায় প্রায় ৩ হাজার গ্রামের আনুমানিক ৩০ লক্ষ অধিবাসী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিত্তিতে গ্রাম-রাজ স্থাপনে সফল হয়েছিলেন। সলিল চৌধুরী লিখলেন, ‘কাকদ্বীপে মরে আমরা আবার তেলেঙ্গানায় বাঁচি।’
আজও গোলা ভরা ধান কিনতে আসে মহাজন, নগদ টাকা দিয়ে ধানের বস্তা নিয়ে যায়, চাষির চোখ ভিজে যায়, যেন মেয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়ি চলে গেল। তাঁর জীবন ঘিরে জমি। তাগিদ আছে ফসল ফলানোর, স্বপ্ন আছে— সোনালি ধানের স্বপ্ন। তাঁর জেদ, তাঁর লড়াইয়ের ক্ষমতার আন্দাজ পায়নি বহু শাসক। সেই ১৯১৭, সারা ভারত দেখেছিল, এক নতুন লড়াই— চম্পারণে কৃষকদের সত্যাগ্রহ, গান্ধীজির নেতৃত্ব আর ব্রিটিশদের মাথা নোয়ানো। ১৯২১, কেরলে মপালা কৃষক বিদ্রোহ। জমিদাররা হেরেছিল। ‘আমরা ২৩৫’, অহঙ্কারী উচ্চারণের মুখোমুখি বাংলার লড়াই। ৩৪ বছরের সিপিএম শাসনের অবসান। তাও ছিল কৃষক আন্দোলন। আর দীর্ঘ এক বছর ধরে চলতে থাকা আন্দোলনে জলকামান চালিয়ে, কাঁটাতার আর পেরেকের গজাল দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে, মিথ্যে মামলা দিয়ে, আন্দোলনজীবী বলে ব্যঙ্গ করেও শেষ পর্যন্ত কৃষি বিল প্রত্যাহার করতে হয়েছে মোদি সরকারকে। প্রধানমন্ত্রী হয়ে যে মহাত্মাকে আঁকড়ে নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়তে চেয়েছেন, সেই গান্ধীই বলেছিলেন, ‘ইন্ডিয়া লিভস ইন ইটস ভিলেজেস’!
গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
সহযোগিতায় : বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী
12th  December, 2021
  ১০০
শান্তনু দত্তগুপ্ত

লোকে বলে ননসেন্স স্টোরি। সন্দেশ ভরানোর জন্য এমন গল্পই লিখতেন সুকুমার রায়। কিন্তু এর অন্দরমহলে প্রবেশ করলেই বেরিয়ে আসে সমাজের ছবি। ছোটদের আনন্দ দিতে লিখেছিলেন তিনি ‘হযবরল’। সেটা ছিল ১৯২১ সাল। ফিরে গিয়েছিলেন ছেলেবেলায়। ছোট্ট তাতা হয়ে লিখে ফেলেছিলেন এই যুগান্তকারী গদ্য। কিন্তু তার ছত্রে ছত্রে লুকিয়ে ছিল সমাজ ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি শ্লেষ। শতবর্ষ পার করল হযবরল। সেই উপলক্ষেই শ্রদ্ধার্ঘ্য সুকুমার রায়কে।
বিশদ

16th  January, 2022
...গঙ্গাসাগর একবার
মৃন্ময় চন্দ

আক্ষরিক অর্থেই সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার! একদিকে গঙ্গার নয়নাভিরাম সাগরসঙ্গতি ও নারায়ণাবতার মহাজ্ঞানী কপিলমুনির রাজযোটক সহাবস্থান, অন্যদিকে সগররাজ-অংশুমান-দিলীপ-ভগীরথের অতুলনীয় আত্মত্যাগ, তিতিক্ষায় অনন্য গঙ্গাসাগর।
বিশদ

09th  January, 2022
 সুন্দরবনের বাঘের রাজা
 

সুন্দরবনে জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ। একসময় এই অঞ্চলে ব্যাঘ্র আতঙ্ক থেকে মুক্তির ভরসাস্থল ছিলেন বাবা দক্ষিণরায়। যাঁর মন্দির আজও আছে ধপধপিতে। সেই সঙ্গে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য কিংবদন্তি।
বিশদ

02nd  January, 2022
কল্পতরু দিবস:
সংহতির আবাহন
তড়িৎকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

১ জানুয়ারি ‘কল্পতরু দিবস’ হিসেবে পরিচিত। ১৮৮৬ সালের এই দিনেই ঠাকুরের ত্যাগী ও গৃহী সন্তানদের মধ্যে রচিত হয়েছিল এক অপূর্ব সংহতি, যা শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবান্দোলনকে করেছে আরও শক্তিশালী। বিশদ

26th  December, 2021
বাংলার প্রাচীনতম
গির্জাকথা
রজত চক্রবর্তী

খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটির পরিচয় দ্য ব্যাসিলিকা অব দ্য হোলি রোজারি। তবে, সকলে চেনেন ব্যান্ডেল চার্চ নামে। চারশো বছরেরও বেশি পুরনো এই গির্জার নানা অজানা কাহিনি উঠে এল বড়দিনের প্রাক্কালে।
বিশদ

19th  December, 2021
পিঠে-পিকনিকে
বাঙালির শীত

কথায় বলে, বর্ষার ছাতা আর শীতের কাঁথা সামলে রাখতে হয়। বাঙালির শীত মানেই লেপ-কাঁথার সঙ্গে সোয়েটার, মাফলার আর বাঁদর টুপি। সেই সঙ্গে পিঠেপুলি, খেজুর গুড়, পাটালি, পিকনিক তো আছেই। শব্দ দিয়ে শীতপ্রিয় বাঙালির ছবি আঁকলেন সোমনাথ বসু।
বিশদ

05th  December, 2021
ব্রিটিশ গরাদে
বন্দি কারাসাহিত্য

সুখেন বিশ্বাস

সময়টা ছিল ১৯৩১-এর ৩০ জুন। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি রয়েছেন দীনেশ গুপ্ত। ফাঁসির কয়েক দিন আগে মাকে লিখছেন, ‘মা, যদিও ভাবিতেছি, কাল ভোরে তুমি আসিবে, তবুও তোমার কাছে না লিখিয়া পারিলাম না। তুমি হয়তো ভাবিতেছ, ভগবানের কাছে এত কাতর প্রার্থনা করিলাম, তবুও তিনি শুনিলেন না। বিশদ

28th  November, 2021
গ্লাসগোয় পৌষমাস
ঘোড়ামারায় সর্বনাশ
মৃন্ময় চন্দ

হাট বসেছে, সোমবারে। চাঁদের হাট। ক্লাইডের পারে, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে। ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর। উপলক্ষ? জলবায়ু সম্মেলন। ‘সিওপি’ বা কপ ২৬’। কপ অর্থে ‘কনফারেন্স অব দি পার্টিস’। বিশদ

21st  November, 2021
ডায়াবেটিসে মালপোয়া!
শ্যামল চক্রবর্তী

বাড়ি থেকে আনা খাবার চেক করছি রোজ দু’বেলা। তবু সুগার আর কমে না। আমরা টেনশনে জেরবার। রেসকোর্সের মাঠের উল্টোদিকের গেট দিয়ে ঢুকে স্যারের কোয়ার্টার দোতলায়। রোজকার মতো সেদিনও সকাল আটটায় পৌঁছে গিয়েছি। স্যার ব্রিফকেসটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছেন প্রায় দৌড়ে। বিশদ

14th  November, 2021
আইএসএল
কতটা প্রস্তুত কলকাতার দুই প্রধান?

আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ঢাকে কাঠি পড়বে। প্রথম কয়েকটি বছর এই প্রতিযোগিতাটিকে নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল। একাধিক তারকা ফুটবলার থেকে শুরু করে জিকোর মতো কিংবদন্তি ফুটবল ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি আইএসএলকে অন্য পর্যায়ে পৌঁছে দেয়। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লিগের মানও পড়তে শুরু করে।
বিশদ

07th  November, 2021
সংগ্রাম
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আরও এক ৩১ অক্টোবর। ৩৭ বছর আগে ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধীর সংগ্রাম শেষ হয়েছিল ঠিক এই দিনটায়... তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে। ব্যক্তি হয়েও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে উঠেছিলেন তিনি। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস মুছে গিয়েছিল তাঁর রাজনৈতিক গ্ল্যামারে। অস্তিত্ব সঙ্কটে ভোগা দলকে আরও একবার শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন ইন্দিরা। আরও একবার সঙ্কটে কংগ্রেস... অস্তিত্ব রক্ষাই যে আজ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের মুখে আরও এক গান্ধী... সোনিয়া। সংগ্রামী জীবন যে তাঁরও... ঘরে-বাইরে। রাজনীতিতে।​​​
বিশদ

31st  October, 2021
স্যোশাল মিডিয়ার ফাঁদে

২০১৮। ব্রাজিল ও মার্কিন মুলুকে সাধারণ নির্বাচন। ফেসবুক নিজেই খুলে ফেলল ১ কোটি ৫ লক্ষ ফেক অ্যাকাউন্ট। ২০২০-এর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। অভিযোগ, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলটিকে জেতাতে ১ হাজার অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে অসংখ্য ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে নাকি নির্লজ্জ প্রচার চালানো হয়। বলিভিয়া-ইকুয়েডর-আজারবাইজান-ইউক্রেন-স্পেন সর্বত্র ‘অর্থের বিনিময়ে’ ভুয়ো খবরের অভিযোগ। ক’জন জানেন, ৬৪ শতাংশ উগ্রপন্থী সংগঠনের আঁতুড়ঘর ফেসবুক। এই সব হাড় হিম করা তথ্যকে লাশকাটা ঘরে পাঠাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় মার্কিন ‘আধিপত্যবাদের’ চতুর এই তল্পিবাহক। নামটা পাল্টে তাহলে ‘ফেকবুক’ রাখাই কি সমীচীন নয়? প্রশ্ন তুললেন  মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

24th  October, 2021
নানা রূপে দুর্গা
তরুণ চক্রবর্তী

সাধক গাইলেন, ‘ত্রিনয়নী দুর্গা, মা তোর রূপের সীমা পাই না খুঁজে।’ সত্যিই মায়ের রূপের যেন সীমা নেই। আর এমনটি হওয়াই স্বাভাবিক। শ্রীশ্রী চণ্ডীতে দেবী দুর্গার মাহাত্ম্য বর্ণনায় আছে,—‘নিঃশেষ দেবগণশক্তি সমূহ মূর্ত্যাঃ’, অর্থাৎ সব দেবতার সমস্ত শক্তির সম্মিলিত প্রতিমূর্তিই দেবী দুর্গা। বিশদ

10th  October, 2021
গান্ধীজির কলকাতা
রজত চক্রবর্তী

কলকাতা জুড়ে মিছিল শুরু হয়েছে— হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই। গান্ধীজি সন্ধ্যায় ফলের রস খেয়ে অনশন ভাঙলেন। গান্ধীজি আর সুরাবর্দি হায়দরি মঞ্জিলের সামনে তৈরি মঞ্চে উঠলেন। সাধারণ মানুষ আজ ভিড় করেছে প্রচুর। তারা শুনতে চায় শান্তির ক‍থা। বিশদ

03rd  October, 2021
একনজরে
এসসি ইস্ট বেঙ্গলের নতুন গোলরক্ষক কোচ মিহির সাওয়ান্ত। তিনি এর আগে কেরল ব্লাস্টার্স, চার্চিল ব্রাদার্স ও মহমেডান স্পোর্টিংয়ে কাজ করেছেন। ...

বিহারের নালন্দায় বিষ মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও সাতজনের। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১। রাজ্যে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ থাকা  সত্ত্বেও কীভাবে বারে বারে বিষ ...

ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে নারীপাচার রুখতে কড়া ভূমিকা নিয়েছে বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার। ...

হুগলির পর বোলপুরের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগের জন্য আয়োজিত সিনার্জিও পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪১ - বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের নাম মাউন্ট এভারেস্ট রাখা হয়
১৯৪২: মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মহম্মদ আলির জন্ম
১৯৪৫: গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের জন্ম
২০১০: কমিউনিস্ট নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মৃত্যু 
২০১১ - অভিনেত্রী গীতা দের মৃত্যু
২০১৪ - অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  January, 2022
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  January, 2022

দিন পঞ্জিকা

৩ মাঘ, ১৪২৮, সোমবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২২। পূর্ণিমা ৫৭/১৮ শেষ রাত্রি ৫/১৮। পুনর্ব্বসু নক্ষত্র ৫৫/৩৫ রাত্রি ৪/৩৭। সূর্যোদয় ৬/২৩/৬, সূর্যাস্ত ৫/১০/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/১৯ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ২/২৭ গতে ৩/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৭ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। 
৩ মাঘ, ১৪২৮, সোমবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২২। পূর্ণিমা শেষরাত্রি ৪/৪৮। পুনর্ব্বসু নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৪১। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ১১/২৪ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ২/২৮ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৮ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। 
১৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
একধাক্কায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় একধাক্কায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। রাজ্যে গত ...বিশদ

08:14:13 PM

মন্ত্রী গৌতম দেব করোনা পজিটিভ

06:59:00 PM

আবুধাবিতে বিস্ফোরণ, মৃত ২ ভারতীয়
আজ, সোমবার আবুধাবিতে একটি তেলের ডিপোয় ড্রোন হামলা। এই ঘটনায় ...বিশদ

05:06:00 PM

কোচবিহারে মহিলাকে হেনস্থা, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিস-জনতা খণ্ডযুদ্ধ
কোচবিহারের ঘুঘুমারিতে মহিলাকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তেজনা। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তা ...বিশদ

03:39:53 PM

২০ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাব বিধানসভার ভোট
পিছিয়ে গেল পাঞ্জাব বিধানসভার নির্বাচন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ২০ ...বিশদ

02:41:00 PM

মাথাভাঙায় বোমা উদ্ধার, চাঞ্চল্য
মাথাভাঙা শহর সংলগ্ন ঠাকুরপাড়া এলাকায় ঝোপের মধ্যে বস্তাবন্দি বোমা উদ্ধারকে ...বিশদ

02:21:00 PM