কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
জুন মাস। সারারাত ঝুপঝুপ বৃষ্টি। ভাগীরথী নদী গত কয়েকদিন ধরেই গুমরে আছে। ঘোলাটে তার জল। তার রং বদলায় আকাশের রঙের তালে তালে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। আজ ভোরে সূর্য মেঘের আড়ালে। আর এই ভোরে ধীরে ধীরে আবছা আবহাওয়ায় একের পর এক বড় বড় রণতরী হুগলির তীরে দূরে দূরে এসে দাঁড়াল। পর্তুগিজ দুর্গে সতর্ক ঘণ্টা বেজে উঠল দ্রুত। শুরু হল গোলা বর্ষণ। দেড় লক্ষ সৈন্য নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল মুঘলরা। খড়কুটোর মতো ভেসে গেল পর্তুগিজ প্রতিরোধ। চৌষট্টিটা পর্তুগিজ রণতরী ধ্বংস করল মুঘল সৈন্য। ভাগীরথী নদীর রং আগুন-লাল হয়ে উঠল। রক্তে রঙিন হয়ে উঠল জল। মুঘল সৈন্য ঘিরে ফেলেছে পর্তুগিজ দুর্গ, কুঠি, গির্জা, বসতস্থল সহ হুগলির পর্তুগিজ বন্দর। তিন মাস অবরুদ্ধ করে রেখেছিল পর্তুগিজ বন্দর মুঘল সৈন্যরা। হত্যালীলা চলেছে হুগলির নদী তীরবর্তী অঞ্চল জুড়ে। মানুষের আর্ত চিৎকারে আর রক্তস্রোতে বিহ্বল ভাষাহীন নীরব ভাগীরথী। পর্তুগিজ দুর্গের সমস্ত প্রতিরোধ ভেঙে পড়ল। দুর্গের মাটির নীচে সুড়ঙ্গ পথ বারুদে ভর্তি করে বিস্ফোরণ ঘটাল মুঘল সৈন্য। ধ্বংস হল দুর্গ। দশ হাজার পর্তুগিজ হত্যা দেখল নীরব নদী, গাছ, আর প্রিয় নদীর পাড়। সবুজ ঘাস ভিজে লাল। একসময় মৃতের শহর হয়ে মূক ও বধির শুয়ে রইল হুগলি। চারপাশে আগুনের লেলিহান শিখা। উল্লাসে মুঘল রণতরী আবার ভাসল। রণতরী পূর্ণ চার হাজার বন্দি নিয়ে আবার ভাসল গঙ্গায়। আগ্রার দিকে যাত্রা করলেন বাদশা শাহজাহানের বিশ্বস্ত সেনাপ্রধান কাশিম খাঁ, তাঁর ছেলে এনায়েত উল্লাহ, আর সেনানায়ক ইয়ার খাঁ, মাসুম খাঁ, খাজা সেরা ও বাহাদুর কুম্বু। চুয়াল্লিশ জন খ্রিস্টান ছিলেন ওই বন্দি নারী-পুরুষের মধ্যে। ২৪ জুন ১৬৩২, হুগলির ইতিহাসে এক রক্তাক্ত দিন। সমস্ত ধ্বংসের ভিতরে নিহিত থাকে নতুন কিছু গড়ে ওঠার বীজ বপনের গল্পকথা।
শাহজাহানের নির্দেশে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল পর্তুগিজ বন্দর শহর ‘গোলি’, ‘গোলিম’, ‘উ-গোলিম’, ‘ওয়েগলি’, ‘ঔ গোলি’ বিভিন্ন নামে উচ্চারিত হতে হতে আজকের ‘হুগলি’। ঠিক সাড়ে তিনমাস পর ১০ সেপ্টেম্বর ১৬৩২ সালে সেই বাদশা শাহজাহানের নির্দেশে পর্তুগিজরা পেল গির্জা ও শহর পুনর্নির্মাণের জন্য ৭৭৭ একর নিষ্কর জমি হুগলিতেই। শুধু নিষ্কর নয় এই ভূখণ্ডের কোনও বিষয়ে মুঘল আইন কার্যকর হবে না। সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন পর্তুগিজদের। শাহজাহানের এই উদারতার পশ্চাৎপট হিসাবে একটি গল্পের বহতা আছে। এইসব বহমান গল্পকথাই একটা শহর গড়ে ওঠার প্রাণবায়ু, যা নদী ও বাতাস যুগে যুগে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে দেয়।
পর্তুগিজদের ভারতে আসার গপ্পোটি আন্তর্জাতিক। সেখানে গিয়ে কাজ নেই। ভাস্কো-ডা-গামা ১৪৯৮ সালের মে মাসের গরমে ঘেমে-নেয়ে উপস্থিত হল দক্ষিণ ভারতের কালিকটে। শুরু হল বিদেশি বণিকদের ভারতে আগমন। হুগলিতে পর্তুগিজদের পৌঁছতে সময় লেগে গেল আরও ৩৯ বছর। ১৫৩৭ সালে পাঠান অধিপতি শেরশাহ গৌড় রাজধানী আক্রমণের সময় গৌড়ের রাজা মাহমুদ শাহ পর্তুগিজ যোদ্ধাদের সাহায্য নেয়। পর্তুগিজরা বিনিময়ে ‘চাটগাঁ’ তথা চট্টগ্রামে বাণিজ্যকেন্দ্র খুলে ফেলল। সঙ্গে সঙ্গে পর্তুগিজ নাবিক স্যাম্প্রায়ো ন’টা জাহাজ নিয়ে গঙ্গার উপর সপ্তগ্রামের একটু দক্ষিণে হোগলার জঙ্গলে ঢাকা হুগলিতে বন্দর স্থাপন করলেন। ১৫৩৭ সাল হুগলিতে পর্তুগিজদের পদার্পণ বছর। ১৫৮০ সালে সম্রাট আকবরের কাছ থেকে উপনিবেশ স্থাপনের ফরমান আদায় করে নিল পর্তুগিজরা। ব্যস, হুগলিতে লোকবসতি বাড়তে থাকে। অর্থনীতি নিয়ে আসে সমৃদ্ধি। তখনও কলকাতা আর চন্দননগর জলা-জঙ্গলময় অবস্থায় আঁধারে পড়ে আছে। দখল, অর্থ ও উন্নতির পিছন পিছন আসে ধর্ম ও তার প্রচারকেন্দ্র তথা উপাসনালয়। তৈরি হল ব্যান্ডেল চার্চ ১৫৯৯ সালে। কাঠের চার্চ। সুন্দর একটি মূর্তি মাতা মেরির উপাসনাকক্ষের শোভা বর্ধন করছে।
আকবরের রাজত্ব শেষ হল ১৬০৫ সালে। পর্তুগিজদের বাণিজ্য লোভ তখন গগনচুম্বী। হুগলি জুড়ে তাদের দাপট। শুরু করেছে দাস-ব্যবসা। স্থানীয় গ্রামবাসীদের ধরে ধরে এনে জাহাজ বোঝাই করে বিক্রি করে দিচ্ছে। আর চলছে স্থানীয়দের ধর্মান্তকরণ। অত্যাচারে অতিষ্ট মানুষ। পর্তুগিজ জলদস্যুদের হাত থেকে মুঘল বাণিজ্যতরীও রক্ষা পাচ্ছে না। উপরন্তু গঙ্গার এই অঞ্চল দিয়ে যে কোনও জলযান গেলেই নজরানা দিতে হতো পর্তুগিজদের। আকবরের মৃত্যুর পর মসনদে জাহাঙ্গির। মদ-মদিরায় আর হাঁপানিতে জবুথবু শিল্পরসিক সম্রাট। বিদ্রোহ করেন শাহজাহান। পর্তুগিজ গভর্নর মাইকেল রডরিকের সাহায্য চান দিল্লির মসনদ দখলের জন্য। পর্তুগিজরা সাহায্য করে না। কারণ তাদের কাছে নেশাগ্রস্ত বেখেয়ালি সম্রাটই বেশি ভালো। ততদিনে ইংরেজ, ফরাসি, দিনেমার, ডাচ— সব একে একে এসে হাজির ভারতে। শাহজাহান গেলেন রেগে পর্তুগিজদের উপর। ১৬২৭ সালে জাহাঙ্গিরের মৃত্যুর পর শাহজাহান হলেন সম্রাট। কানে আসছে পর্তুগিজ জলদস্যুদের কথা, কানে আসছে দাস ব্যবসা, অত্যাচারের নানা কথা। এমনিতেই ওদের উপর রাগ ছিল। ১৬৩২ সালের ২৪ জুন রক্তের বন্যা বইয়ে দিল তাঁর সেনাবাহিনী হুগলির বন্দর এলাকায়। হত্যালীলার পর বন্দিদের আনা হয়েছে আগ্রার দুর্গে।
সামনে মল্লভূমি। চারিদিকে উল্লসিত দর্শক। সম্রাট বসে আছেন সুউচ্চ আসনে তাঁর পাত্র-মিত্র নিয়ে। মল্লভূমির একদিকের লোহার খাঁচার গেট খুলে দেওয়া হল। হুঙ্কার দিয়ে মল্লভূমিতে ধেয়ে এল মত্ত হস্তী। চিৎকার করে উঠছে দর্শক। বৃংহণে কেঁপে উঠছে চারপাশ। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতি। উল্টো দিকে লোহার গরাদে বন্দিরা ভীত। এক-একজন বন্দিকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে হাতির সামনে। ছুটে পালাতে যাচ্ছে প্রাণভয়ে। চারদিকে উঁচু খাড়াই পাঁচিল। হাতি কাউকে শুঁড়ে তুলে আছড়ে মারছে। কাউকে পায়ে পিষে মারছে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এক বীভৎস হত্যা-খেলা। সম্রাট উল্লসিত, উল্লসিত তার প্রজারা। পরের বন্দি আস্তে আস্তে হেঁটে আসছে মল্লভূমির দিকে। ধীর তার পদক্ষেপ। কোনও উত্তেজনা নেই তার চলনে। শান্ত তার চোখ। হাত মেলে একবার উপরের দিকে তাকালেন। তারপর নতজানু হয়ে বসলেন মল্লভূমির মাঝখানে। সবাই হতবাক তার এই আচরণে। মৃত্যুভয় নেই! তিনি ফাদার জোয়াও দ্য-ক্রুজ। ধ্বংস হওয়া ব্যান্ডেল চার্চের ফাদার। তিনি বসে প্রার্থনা করছেন মল্লভূমিতে। মত্ত হাতিটি আশ্চর্যজনক ভাবে অত্যন্ত শান্ত হয়ে এগিয়ে এল বন্দি ফাদারের কাছে। তারপর পরম মমতায় যেন শুঁড় বোলাতে লাগল ফাদারের সারা গায়ে। একসময় ফাদারকে পরম মমতায় শুঁড় দিয়ে তুলে নিজের পিঠে বসিয়ে নিল। সবাই হাততালি দিয়ে উঠল। সম্রাট খেলা বন্ধ করে ডেকে আনলেন বন্দিকে।
—তুমি কী করলে ওখানে বসে?
—প্রার্থনা।
—কার কাছে?
—মাতা মেরি। তিনিই আমাদের রক্ষাকারী।
শাহজাহান স্তব্ধ। মুক্তি দিলেন সমস্ত বন্দিদের। শুধু তাই নয় সঙ্গে সঙ্গে হুগলি সংলগ্ন ব্যান্ডেলে যেখানে ছিল গির্জা তার চারপাশে ৭৭৭ বিঘে জমি দিলেন নিষ্কর।
আবার জেগে উঠল ব্যান্ডেল। ‘ব্যান্ডেল অব ওগোলিম’। পর্তুগিজদের কথায়, ‘ওগোলিম’ বন্দর। অর্থাৎ হুগলি বন্দর। ব্যান্ডেল পর্তুগিজ শব্দ। যার অর্থ বন্দর। হুগলির বন্দর ব্যান্ডেল। এখন লোকমুখে একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও রেলজংশন। আবার ১৬৩২ সালের শেষ থেকে সেজেগুজে উঠতে থাকে ব্যান্ডেল। কুঠি, বসতবাড়ি, গুদামঘর, দুর্গ এবং অবশ্যই সেই গির্জা। কিন্তু মাতা মেরির সেই অনিন্দ্য সুন্দর মূর্তিটি নেই। মুঘল আক্রমণের সময় এই মূর্তিটি ছিল পাশেই সেনাছাউনিতে। ফাদার দ্য ক্রুজ এবং তাঁর এক বন্ধু তিয়োগো এই মূর্তিটিকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। মুঘল আক্রমণে এই মূর্তির সম্মান রক্ষা করতে সেই বন্ধু মূর্তিটি নিয়ে ঝাঁপ দিয়েছিলেন গঙ্গায়। উভয়ের আর কোনও হদিশ পাওয়া যায় না। সবার ধারণা তিয়োগো মারা গিয়েছে।
আজ এতদিন বাদে সেই ধ্বংসস্তূপের উপর তৈরি হল ব্যান্ডেল চার্চ। আরও সুন্দর। আরও বড়। গ্রিক জেরিক স্থাপত্যে গড়ে উঠল ব্যান্ডেল চার্চ। সেজে উঠছে ব্যান্ডেল। চারদিকে কাজের হইচই, জীবনের উচ্ছ্বাস মৃতভূমির উপর। এটাই ইতিহাসের সত্য। জীবন থেমে থাকে না সহস্র মৃত্যুর পরেও। গির্জার জানলা দিয়ে তাকিয়ে আছেন ফাদার তরঙ্গায়িত গঙ্গার দিকে। বয়ে চলে সর্বংসহা। মুছে দিচ্ছে অতীতের ক্লেদ। আজ আকাশে শরৎ শেষের ছেঁড়া মেঘ। নদীর দু’পাশ জুড়ে সাদা কাশ ফুলের পাড়। ফাদার দ্য ক্রুজ লক্ষ করেছেন, নদীর তীরে মানুষের ভিড়। কিছু একটা ভেসে এসেছে। ফাদারকে চিৎকার করে ডাকছে কয়েক জন। ফাদার দ্রুত নেমে এলেন। গেলেন গঙ্গার পাড়ে। বিস্মিত তিনি। বুকে ক্রশ আঁকলেন। চোখ দিয়ে জলের ধারা নেমে এল। জলে নেমে গেলেন। পাঁজা কোলে করে তুলে আনলেন বিহ্বল ফাদার। ভাবতেই পারছেন না মাতা মেরির সেই অনিন্দ্য মূর্তিটি এতদিন পরে ফিরে এল ঘরে। সবার মধ্যে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কথা ছড়িয়ে পড়ল দ্রুত। ছড়িয়ে পড়ল মাহাত্ম্যকথা। প্রতি বছর ফাদার দ্য ক্রুজের অলৌকিক জীবন ফিরে পাওয়াকে কেন্দ্র করে উৎসব হতো ‘ডোমিগোং দ্য ক্রুজ’ নামে। আর যেখানে ভেসে এসেছিল মাতা মেরির মূর্তি, সেখানে একটি পাথরের বেদীর উপর ক্রস প্রতিষ্ঠা করে নামকরণ হয়েছে ‘ক্রস মেমোরিয়াল অলটার’।
ফাদার যত্ন করে আবার প্রতিষ্ঠা করলেন মাতা মেরির মূর্তি। Our lady of Voyage নামে মাতা মেরির এই অনিন্দ্য মূর্তি আর কোথাও দেখা যায় না। গির্জার দক্ষিণে একটি মাস্তুল রয়েছে দাঁড়িয়ে। জাহাজের মাস্তুল। একটি পর্তুগিজ বিধ্বস্ত জাহাজ এসে বন্দরে আটকায়। ক্যাপ্টেন এবং নাবিকেরা সবাই ক্লান্ত ও মুমূর্ষু। এই ঘটনাটি ঘটে মাতা মেরির মূর্তি ভেসে আসার পরের দিন। সবাই দৌড়ে যায়। ক্যাপ্টেন জানান, বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঝড়ের মধ্যে পড়েছিল তাঁরা। কোনও উপায় ছিল না বাঁচার। তখন মাতা মেরির কাছে প্রার্থনা করেন সবাই। ক্যাপ্টেন প্রতিশ্রুতি দেন, যদি মাতা মেরি তাদের বাঁচিয়ে দেন, তবে যে চার্চ সামনে থাকবে সেখানেই একটা মাস্তুল দান করবেন। নাবিক এবং স্থানীয় সবাই মিলে মাতা মেরির মূর্তি ও মাস্তুল প্রতিষ্ঠা করলেন মহাসমারোহে।
বিভিন্ন সময়ে বাংলার এই প্রাচীনতম গির্জার বিভিন্ন সংস্কার কাজ হয়েছে। আজও এই স্থাপত্য রক্ষণাবেক্ষণের ফলে উজ্জ্বল। ১৯২৯ সালে এই গির্জার পরিচালনার দায়িত্ব গোয়া থেকে কলকাতার আর্চবিশপের অধীনে আসে। ১৯৮৮ সালে রোমের ভ্যাটিকান সিটি থেকে এই গির্জার নামকরণ করা হয়— দ্য ব্যাসিলিকা অব দ্য হোলি রোজারি। যার অর্থ ‘ঈশ্বরের প্রাসাদ’।
গল্পকথা, বিশ্বাস, অবিশ্বাস, মিথ, অতিরঞ্জন নিয়ে আমাদের জীবন এগিয়ে চলে অতীত থেকে ভবিষ্যতের আবর্তে।
আর অসংখ্য মানুষের ভিড় উপচে পড়ে বাংলার প্রাচীনতম গির্জার উঠানে। সব ধর্মের সকল মানুষের সমন্বয় তৈরি হয় এই সৌন্দর্যের কাছে এসে। মাহাত্ম্য সেখানেই যেখানে বিশ্ব মানবতার সুর বেজে ওঠে। যেখানে সেই অমোঘ রক্তাক্ত শব্দবন্ধ আজও প্রতিধ্বনি হয়— মানুষকে ভালোবাসো। গঙ্গার প্রবহমানতায় বয়ে চলে মানুষকে ভালোবাসার বেদ গান, আজান ও ক্যারল সঙ্গীত।