কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিক্রমনগর এলাকার বাসিন্দা দেবনারায়ণ দত্ত ঝাড়খণ্ড সরকারের বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রাক্তন কর্মী। বছর ৭২-এর দেবনারায়ণবাবু ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জলিদেবী বাড়ির দোতলায় থাকেন। এই দম্পতির একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। একতলায় ভাড়াটিয়া থাকেন। ঘটনার সময় তাঁরা বাড়িতেই ছিলেন। পুলিস ও দত্ত পরিবার সূত্রে জানা যায়, এদিন রাত ৮টা নাগাদ কলিং বেল বেজে উঠলে ব্যালকনি থেকে মুখ বাড়ান দেবনারায়ণবাবু। এক যুবক বলে, ঘর ভাড়া নেওয়ার জন্য কথা বলতে এসেছে সে। দেবনারায়ণবাবু নীচে নেমে দরজা খুলে দিলে প্রথমে কিছুক্ষণ ওই যুবক ভাড়া নিয়ে কথাবার্তা বলে। তারপর জল খেতে চায়। তাকে জল দেওয়ার জন্য দেবনারায়ণবাবু পিছন ফিরলে তাঁর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকায় ওই যুবক। ওই অবস্থায় দেবনারায়ণবাবুকে দোতলায় আনে। দ্রুত দোতলায় উঠে আসে আরও এক যুবক। স্বামীকে ওই অবস্থায় দেখে চিৎকার করে ওঠার আগেই সেই যুবক অঞ্জলিদেবীর মুখ চেপে ধরে এবং তাঁর মাথায়ও আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকায়। সেই সময় আরও দুই যুবক উঠে আসে দোতলার ওই ঘরে। দেবনারায়ণবাবুকে পিছমোড়া করে বেঁধে মুখে সেলোটেপ লাগিয়ে দেয় তারা। তারপর দু’টি ঘরের দু’টি আলমারি, শোকেস তন্নতন্ন করে যাবতীয় সোনার গয়না ও নগদ ২০ হাজার টাকা লুট করে তারা। এরপর অঞ্জলিদেবীর পরিহিত অলঙ্কারগুলিও খুলে নিয়ে তাঁকে হাত ও মুখ বেঁধে সোফায় ফেলে কোনও বাধা ছাড়াই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তারা চলে গেলে দেবনারায়ণবাবু ওই অবস্থায় কোনওরকমে নীচে নেমে পা দিয়ে ভাড়াটিয়ার দরজায় টোকা দেন। তখন ঘটনার কথা সবাই জানতে পারে।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে আসে চুঁচুড়া থানার পুলিস। তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি তারা। ওই বাড়িতে যান স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার, পুর-প্রশাসক গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। অসিতবাবু বলেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। রাতে অপরিচিত কেউ ডাকলে দরজা খোলার আগে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি।