Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ব্রিটিশ গরাদে
বন্দি কারাসাহিত্য

সুখেন বিশ্বাস

সময়টা ছিল ১৯৩১-এর ৩০ জুন। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি রয়েছেন দীনেশ গুপ্ত। ফাঁসির কয়েক দিন আগে মাকে লিখছেন, ‘মা, যদিও ভাবিতেছি, কাল ভোরে তুমি আসিবে, তবুও তোমার কাছে না লিখিয়া পারিলাম না। তুমি হয়তো ভাবিতেছ, ভগবানের কাছে এত কাতর প্রার্থনা করিলাম, তবুও তিনি শুনিলেন না। তিনি নিশ্চয়ই পাষাণ, কাহারও বুক ভাঙ্গা আর্তনাদ তাঁহার কানে পৌঁছয় না। ভগবান কি আমি জানি না, তাঁহার স্বরূপ কল্পনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, কিন্তু তবু এ কথাটা বুঝি, তাঁহার সৃষ্টিতে কখনও অবিচার হইতে পারে না।’
ফাঁসির আগে জীবনের চরমতম মানবিকবৃত্তি— যেমন শোক, দুঃখ, ভালোবাসা ইত্যাদির প্রকাশ ঘটেছিল এই চিঠিতে। বহু বিপ্লবী কারাগারে বন্দি অবস্থায় চিঠি পাঠিয়েছেন প্রিয়জনদের কাছে। এ ছাড়াও লিখেছেন আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ইত্যাদি। নজরুল ইসলাম ‘বিষের বাঁশি’, ‘ভাঙার গান’ এইরকম অনেক কবিতা লিখেছেন জেলে বসেই। এই প্রসঙ্গে তিনি চিঠিতে লিখেছেন, ‘রাজার পিছনে ক্ষুদ্র, আমার পিছনে রুদ্র। রাজার পক্ষের যিনি, তার লক্ষ্য স্বার্থ, লাভ অর্থ; আমার পক্ষে যিনি তার লক্ষ্য সত্য, লাভ পরমানন্দ।’ অন্যদিকে সুভাষচন্দ্রের লেখা চিঠির ভাষারীতি আমাদের অবাক করে দেয়। তিনি লিখেছেন, ‘...জিজ্ঞাসা করিলেন অদ্বৈত জ্ঞান ব্রহ্ম সত্য, জগন্মিথ্যা— একটা থিয়োরি কিনা? বলিলাম, যতক্ষণ মুখে বলছি, ততক্ষণ থিয়োরি কিন্তু রিয়ালাইজ করিলে সত্য এবং রিয়ালাইজ করা যায়।’
ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সূচনা হয়েছিল ১৭৫৭ থেকে। দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে আমাদের দেশে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন হয়েছে। ইতিহাস বলছে, এইসব আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বাংলার বিপ্লবীরা। জেলবন্দি বিপ্লবীরা কী ভয়ানকভাবে দিন কাটিয়েছেন, তা তাঁদের রোজনামচা পড়লেই অনুভব করা যায়। নগ্ন করে রাখা, ডাণ্ডাবেড়ি পরানো, তালাবন্ধ করে রাখা, বিচারাধীন বন্দিদের বেত্রাঘাত, নখে সুচ বিঁধিয়ে দেওয়া, দিনরাত নির্জন কক্ষে বন্দি করে রাখা ইত্যাদি। কমলা দাশগুপ্ত ‘রক্তের অক্ষরে’ বইয়ের মধ্যে একইরকমের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। জেলখানা প্রসঙ্গে মহাত্মা গান্ধী এক জায়গায় বলেছিলেন, ‘জেলগুলি মানুষের সৃষ্ট বাস্তব নরক, কল্পিত নরক নহে।’ এই নরকে বসেই বিপ্লবীরা নিজের খেয়ালে সাহিত্যচর্চা করে গিয়েছেন। 
কারাজগৎ বন্দির দেহকে শৃঙ্খলিত করেছিল বটে, কিন্তু মনকে পারেনি। তাই তাঁদের মনে দার্শনিক জীবনজিজ্ঞাসা, সাহিত্যানুভূতি ও দিব্যদৃষ্টির উন্মোচন ঘটেছিল। চিত্তরঞ্জন দাশ তখন কারাগারে। দেশবন্ধুর সাপ্তাহিক বাংলা কাগজে ছাপানোর জন্য বাসন্তী দেবী লোক পাঠালেন নজরুলের কাছে। বিদ্রোহী কবি সেখানে বসেই লিখে দিলেন, ‘কারার ওই লৌহ কপাট...’ । এই লেখাটির অন্য একটি প্রাসঙ্গিকতাও আছে। সুভাষচন্দ্র তাঁর বন্ধু দিলীপকুমার রায়কে জেলখানায় বসে লিখেছিলেন, ‘জেলে যখন লোহার দরজা বন্ধ করে দেয়, তখন মনে যে কী আকুলি-ব্যাকুলি করে কী বলব! তখন বার বার মনে পড়ে যায় কাজীর গান। কারার ওই লৌহ কপাট ভেঙে ফেল কররে লোপাট। কাজীকে ভাগ্যিস জেলে যেতে হয়েছিল।’ 
তবে লেখার জন্যে সবসময় যে জেলখানায় কাগজ-কলম পাওয়া যেত তা কিন্তু নয়। কোনও কোনও রাজবন্দির কাছে অনেক সময় কাগজ-কলম থাকত, কিন্তু সবার কাছে থাকত না। উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নির্বাসিতের আত্মকথা’-য় দেখা যায় যে তাঁরা চুন-সুড়কি দিয়ে জেলের মেঝেতে বসে তৈরি করতেন একটা রং। সেই রং দিয়ে তাঁরা দেওয়ালের গায়ে লিখতেন। কখনও বা নখ দিয়ে কাগজের উপরে লিখতেন। বিপ্লবী ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘লিখিবার জন্য আমাদের কাগজ-কলম কিছু ছিল না— মুখে মুখেই কবিতা তৈয়ারি করিতে হইত এবং পরে চিৎকার করিয়া পরস্পরকে শুনাইতাম। কখনও সেলের দেওয়ালে সুড়কি দিয়া লেখা হইত।’ অন্যদিকে সতীনাথ ভাদুড়ী সম্পর্কে ফণীশ্বরনাথ রেণু বলেছিলেন, ‘একদিন ডিগ্রিতে বসে চা খাচ্ছিলাম, সামনে একটা খাতা ছিল। হাতে নিয়ে পাতা খুলে দেখি লেড পেন্সিল দিয়ে লেখা।’ আসলে লেড পেন্সিল আর খাতা দিয়ে সতীনাথ জেলের মধ্যেই লিখে ফেলেছিলেন ‘জাগরী’। 
চিঠিপত্র লেখার পাশাপাশি বিপ্লবীরা গল্প, কবিতাও লিখেছেন। এই ভাবনাকে সামনে রেখেই বাংলা সাহিত্যে ‘কারাসাহিত্য’ নামে একটি নতুন ধারার সৃষ্টি হয়েছে। 
জেলে বসে যাঁরা কারাসাহিত্য লিখেছেন তাঁদের সিংহভাগই সাধারণ মানুষ। তাঁদের স্বপ্ন ছিল দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা। এঁরা কেউই লেখক হতে চাননি। সাময়িক আগ্রহে দণ্ডিত জীবনের নিষ্ঠুর ও করুণ অভিজ্ঞতাকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। ব্যক্তি অভিজ্ঞতাই ছিল তাঁদের মুখ্য অবলম্বন। এর মধ্যে দিয়ে তাঁরা জীবন্ত হৃদয়ের উষ্ণতা ও অনুভূতিকে প্রকাশ করেছিলেন। দেশকে তাঁরা ‘মা’ বলে ডাকতেন। সাহিত্যের উপাদান হিসেবে তাঁরা সংগ্রহ করেছিলেন নিজেদের নিঃসঙ্গতা, একাকিত্ব, ইন্দ্রিয়পীড়ন এবং বিভীষিকাময় মানসিক অবস্থা। কারাগ্রন্থগুলিতে রয়েছে ‘লিটারারি টোন’—যাকে বলা যেতে পারে ‘বেদনাসিক্ত স্মৃতি’।
উল্লেখ্য, জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেছিলেন। আন্দামান সেলুলার জেলের বন্দিদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে তিনি কলকাতার টাউন হলে ভাষণ দিয়েছিলেন। কেবল ভাষণ বা সভাসমিতিই নয়—বিভিন্ন প্রবন্ধ, চিঠিপত্রের মাধ্যমে রাজবন্দিদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করেছেন। আমরা জানি, ৬২ দিন অনশনের পরে বিপ্লবী যতীন দাশ মারা গিয়েছিলেন। এই মৃত্যু এতটাই প্রভাব ফেলেছিল যার জন্যে জওহরলাল নেহরু তাঁর নিজের সভার কাজ মুলতবি রেখেছিলেন। শান্তিনিকেতনে ‘তপতী’ নাটকের মহলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই রাতেই তিনি এই বেদনাকে প্রকাশ করেছিলেন কবিতায়—
‘সর্ব খর্বতারে দহে তব ক্রোধদাহ,
হে ভৈরব, শক্তি দাও, ভক্ত-পানে চাহো।।
দূর করো মহারুদ্র যাহা মুগ্ধ, যাহা ক্ষুদ্র—
মৃত্যুরে করিবে তুচ্ছ প্রাণের উৎসাহ।।
দুঃখের মন্থন বেগে উঠিবে অমৃত,
শঙ্কা হ’তে রক্ষা পাবে যারা মৃত্যুভীত।।’
সেইসময় ব্রিটিশরা অত্যাচার করেছিল বিপ্লবীদের মনটাকে ভেঙে দেওয়ার জন্যে। কিন্তু অত্যাচারই বিপ্লবীদের সংকল্পকে জোরালো করে তুলেছিল অন্তরের শক্তিতে। তাই কারাগারে থেকে বা পরে কারাজীবনকে কেন্দ্র করে সাহিত্য রচনায় হাত দিয়েছিলেন। তবে এই সাহিত্যের কোনও ধারাবাহিকতা ছিল না। প্রকরণগতভাবে কারাসাহিত্য কতখানি সাহিত্য হয়ে উঠেছিল এ প্রশ্ন থেকেই যায়। উপাদান হিসেবে জেলজগৎ, জেলের শাসকবর্গ ইত্যাদি কারাসাহিত্যকে পল্লবিত করেছিল। তবুও সাহিত্যের নান্দনিকতা এর মধ্যে মাঝে মাঝে উঁকি দিয়েছে বইকি। ভূপেন্দ্রকিশোর রক্ষিত তাঁর ‘বন্দীমন’ কাহিনিতে লিখেছেন, ‘ভোরের এ আলোকোচ্ছ্বাসের সঙ্গে কথা কয়ে খুশী হয়ে উঠল বন্দীমন। ও যেন ছোট একখানি সম্পূর্ণ চিঠি। তেমন চিঠি, যার প্রত্যাশায় মন থাকে চঞ্চল।’
কারা অভিজ্ঞতাকে কোনও শিল্পমাধ্যমে প্রকাশ করবেন এ বিষয়ে কিন্তু জেলবন্দিরা সচেতন ছিলেন না। ব্যক্তিগত ঘটনা, অমানবিক নির্যাতন, রাজনৈতিক চেতনা ইত্যাদিই তাঁদের ভাবিয়েছিল। শ্রীঅরবিন্দের লেখা ‘কারাকাহিনী’ এ বিষয়ে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারাজীবনের গ্লানি ও দমনপীড়নের অভিজ্ঞতা তাঁর মননে দার্শনিক চেতনার উন্মেষ ঘটিয়েছিল। নির্জন কারাকক্ষে নিজের অভিজ্ঞতা লিখেছেন এইভাবে, ‘প্রাণের কঠিন আবরণ খুলিয়া গেল এবং সর্বজীবের উপর প্রেমের স্রোত বইতে লাগল।’ এ কথা বলার অপেক্ষা থাকে না, কারাজীবনের নির্জনতাই শ্রীঅরবিন্দকে উপলব্ধির জগতে নিয়ে গিয়েছে। একদিকে জেলখানার বস্তুগ্রাহ্য দৃশ্য জগৎ, অন্যদিকে অদৃশ্য উপলব্ধির জগৎ। তিনি লিখেছেন, ‘শিশু মাতৃক্রোড়ে যেমন আশ্বস্ত ও নির্ভীক হইয়া থাকে আমিও যেন বিশ্ব জননীর ক্রোড়ে সেইরূপ শুইয়া রহিলাম।’ বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষের কাহিনিতে রোমাঞ্চ, উত্তেজনা, বৈপ্লবিক ঘনঘটার পাশাপাশি রয়েছে চিন্তাশীলতা। তিনি লিখছেন, ‘ভগবানের পথ বড় সহজ; দুর্লভ হইয়াও, কঠিন হইয়াও, ক্ষুরের ধারের অধিক সুতীক্ষ্ণ হইয়াও বুঝি সহজ। মানুষ কিন্তু সহস্র বাসনার ফেরে, সে সহজ পথকে দীর্ঘ  ও জটিল করিয়া রাখিয়াছে।’ এই বিষয়ে বারীন্দ্রের লেখা ‘দ্বীপান্তরের কথা’, ‘বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এর পাশাপাশি উল্লাসকর দত্ত লিখেছেন ‘আমার কারাজীবনী’, বিধুভূষণ বসু ‘পুরনো জেলের কথা’ ও ‘স্মৃতিকথা’, মদনমোহন ভৌমিক ‘আন্দামানে দশ বৎসর’, অমলেন্দু দাশগুপ্ত ‘ডেটিনিউ’, ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী ‘জেলে ত্রিশ বছর’, হেমচন্দ্র কানুনগো ‘বাংলার বিপ্লব কাহিনী’, নওসের আলির লেখা ‘বন্দীর চিঠি’ ইত্যাদি। বিধুভূষণই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তিত্ব যিনি গল্প লিখে কারাবরণ করেছিলেন। গল্পটির নাম ছিল ‘শিকার’। গল্পটি ১৯০৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। পাশাপাশি জেলবন্দি জীবনই তাঁদের নিত্যনতুন শব্দ সৃষ্টি ও ব্যবহারে প্রেরণা দিয়েছিল। নাহলে আমরা জানতেই পারতাম না ‘খাণ্ডারবাণী’ শব্দের অর্থ ‘জেলখানার গানের আসর’, ‘কঞ্চি’ শব্দের অর্থ ‘ফেনা ভাত’, ‘চেড়ি’—জেলকর্মী, ‘বি কেলাস’—জেলখাটা কয়েদি, ‘এ কেলাস’—ছিঁচকে চোর ইত্যাদি।
তবে এটা ঠিক, বন্দিরা জেলে বসেই আকাশ দেখতেন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য গোপাল হালদারের ‘কয়েদীর আকাশ’-এর কথা। কয়েদিরা লিখেছেন জেলে বসে, অনেকেই আবার লিখেছেন জেল থেকে বেরনোর পর। কয়েদিদের বেশিরভাগেরই সময় কাটত আকাশের দিকে তাকিয়ে। ১৯৩৩ সালের ৮ আগস্ট কন্ডেম সেল থেকে সূর্য সেন একটা চিঠিতে তাঁর দাদাকে লিখছেন, ‘শ্রীচরণকমলেষু দাদা, মানুষের মন একা কিছুতেই থাকতে চায় না। তার নিজের সঙ্গী জুটিয়ে নেবেই। আমার মনও দু-চার দিনের মধ্যেই প্রকৃতির মধ্যে নিজের সঙ্গী জুটিয়ে নিল। সেই সঙ্গী হচ্ছে টু ট্রিস দ্য স্কাই। যেদিন চাঁদ দেখা যেত না, সেদিন তারাগুলোর দিকে চেয়ে থাকতাম। এইভাবে পনেরো দিন কেটে গেল। তখন আপনার প্রেরিত তিনখানা বই গীতা, মহাভারত এবং চয়নিকা পেলাম। আমার মোস্ট ফেভারিট এই তিনখানা বই তখন আমার অ্যাডিশনাল সঙ্গী হল। প্রকৃতির জিনিসগুলি থেকে এবং এই তিনটি বই থেকে মৃত মনের খোরাক সংগ্রহ করে মনটাকে ভরিয়ে রাখলাম।’ উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ‘নির্বাসিতের আত্মকথা’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘প্রাচীরের উপর দিয়া খানিকটা আকাশ ও একটা অশ্বত্থ গাছের মাথা দেখিতে পাওয়া যাইত। জেলখানার কবিত্ব কেবল এইটুকু লইয়াই...।’ দুঃখের বিষয়, বেশিরভাগ কারাকাহিনিরই আজও সেভাবে মূল্যায়ন হল না!
28th  November, 2021
  ১০০
শান্তনু দত্তগুপ্ত

লোকে বলে ননসেন্স স্টোরি। সন্দেশ ভরানোর জন্য এমন গল্পই লিখতেন সুকুমার রায়। কিন্তু এর অন্দরমহলে প্রবেশ করলেই বেরিয়ে আসে সমাজের ছবি। ছোটদের আনন্দ দিতে লিখেছিলেন তিনি ‘হযবরল’। সেটা ছিল ১৯২১ সাল। ফিরে গিয়েছিলেন ছেলেবেলায়। ছোট্ট তাতা হয়ে লিখে ফেলেছিলেন এই যুগান্তকারী গদ্য। কিন্তু তার ছত্রে ছত্রে লুকিয়ে ছিল সমাজ ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি শ্লেষ। শতবর্ষ পার করল হযবরল। সেই উপলক্ষেই শ্রদ্ধার্ঘ্য সুকুমার রায়কে।
বিশদ

16th  January, 2022
...গঙ্গাসাগর একবার
মৃন্ময় চন্দ

আক্ষরিক অর্থেই সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার! একদিকে গঙ্গার নয়নাভিরাম সাগরসঙ্গতি ও নারায়ণাবতার মহাজ্ঞানী কপিলমুনির রাজযোটক সহাবস্থান, অন্যদিকে সগররাজ-অংশুমান-দিলীপ-ভগীরথের অতুলনীয় আত্মত্যাগ, তিতিক্ষায় অনন্য গঙ্গাসাগর।
বিশদ

09th  January, 2022
 সুন্দরবনের বাঘের রাজা
 

সুন্দরবনে জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ। একসময় এই অঞ্চলে ব্যাঘ্র আতঙ্ক থেকে মুক্তির ভরসাস্থল ছিলেন বাবা দক্ষিণরায়। যাঁর মন্দির আজও আছে ধপধপিতে। সেই সঙ্গে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য কিংবদন্তি।
বিশদ

02nd  January, 2022
কল্পতরু দিবস:
সংহতির আবাহন
তড়িৎকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

১ জানুয়ারি ‘কল্পতরু দিবস’ হিসেবে পরিচিত। ১৮৮৬ সালের এই দিনেই ঠাকুরের ত্যাগী ও গৃহী সন্তানদের মধ্যে রচিত হয়েছিল এক অপূর্ব সংহতি, যা শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবান্দোলনকে করেছে আরও শক্তিশালী। বিশদ

26th  December, 2021
বাংলার প্রাচীনতম
গির্জাকথা
রজত চক্রবর্তী

খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটির পরিচয় দ্য ব্যাসিলিকা অব দ্য হোলি রোজারি। তবে, সকলে চেনেন ব্যান্ডেল চার্চ নামে। চারশো বছরেরও বেশি পুরনো এই গির্জার নানা অজানা কাহিনি উঠে এল বড়দিনের প্রাক্কালে।
বিশদ

19th  December, 2021
অন্নদাতাদের
দ্রোহকাল
মৃণালকান্তি দাস

৩৭৮ দিনের দীর্ঘ লড়াইয়ের অবসান হল! আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। সংসদের অধিবেশনে বাতিল হয়েছে কৃষি আইন। গত এক বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলন আরও একবার প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে তেভাগা থেকে তেলেঙ্গানার জানকবুল লড়াই।
বিশদ

12th  December, 2021
পিঠে-পিকনিকে
বাঙালির শীত

কথায় বলে, বর্ষার ছাতা আর শীতের কাঁথা সামলে রাখতে হয়। বাঙালির শীত মানেই লেপ-কাঁথার সঙ্গে সোয়েটার, মাফলার আর বাঁদর টুপি। সেই সঙ্গে পিঠেপুলি, খেজুর গুড়, পাটালি, পিকনিক তো আছেই। শব্দ দিয়ে শীতপ্রিয় বাঙালির ছবি আঁকলেন সোমনাথ বসু।
বিশদ

05th  December, 2021
গ্লাসগোয় পৌষমাস
ঘোড়ামারায় সর্বনাশ
মৃন্ময় চন্দ

হাট বসেছে, সোমবারে। চাঁদের হাট। ক্লাইডের পারে, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে। ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর। উপলক্ষ? জলবায়ু সম্মেলন। ‘সিওপি’ বা কপ ২৬’। কপ অর্থে ‘কনফারেন্স অব দি পার্টিস’। বিশদ

21st  November, 2021
ডায়াবেটিসে মালপোয়া!
শ্যামল চক্রবর্তী

বাড়ি থেকে আনা খাবার চেক করছি রোজ দু’বেলা। তবু সুগার আর কমে না। আমরা টেনশনে জেরবার। রেসকোর্সের মাঠের উল্টোদিকের গেট দিয়ে ঢুকে স্যারের কোয়ার্টার দোতলায়। রোজকার মতো সেদিনও সকাল আটটায় পৌঁছে গিয়েছি। স্যার ব্রিফকেসটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছেন প্রায় দৌড়ে। বিশদ

14th  November, 2021
আইএসএল
কতটা প্রস্তুত কলকাতার দুই প্রধান?

আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ঢাকে কাঠি পড়বে। প্রথম কয়েকটি বছর এই প্রতিযোগিতাটিকে নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল। একাধিক তারকা ফুটবলার থেকে শুরু করে জিকোর মতো কিংবদন্তি ফুটবল ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি আইএসএলকে অন্য পর্যায়ে পৌঁছে দেয়। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লিগের মানও পড়তে শুরু করে।
বিশদ

07th  November, 2021
সংগ্রাম
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আরও এক ৩১ অক্টোবর। ৩৭ বছর আগে ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধীর সংগ্রাম শেষ হয়েছিল ঠিক এই দিনটায়... তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে। ব্যক্তি হয়েও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে উঠেছিলেন তিনি। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস মুছে গিয়েছিল তাঁর রাজনৈতিক গ্ল্যামারে। অস্তিত্ব সঙ্কটে ভোগা দলকে আরও একবার শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন ইন্দিরা। আরও একবার সঙ্কটে কংগ্রেস... অস্তিত্ব রক্ষাই যে আজ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের মুখে আরও এক গান্ধী... সোনিয়া। সংগ্রামী জীবন যে তাঁরও... ঘরে-বাইরে। রাজনীতিতে।​​​
বিশদ

31st  October, 2021
স্যোশাল মিডিয়ার ফাঁদে

২০১৮। ব্রাজিল ও মার্কিন মুলুকে সাধারণ নির্বাচন। ফেসবুক নিজেই খুলে ফেলল ১ কোটি ৫ লক্ষ ফেক অ্যাকাউন্ট। ২০২০-এর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। অভিযোগ, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলটিকে জেতাতে ১ হাজার অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে অসংখ্য ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে নাকি নির্লজ্জ প্রচার চালানো হয়। বলিভিয়া-ইকুয়েডর-আজারবাইজান-ইউক্রেন-স্পেন সর্বত্র ‘অর্থের বিনিময়ে’ ভুয়ো খবরের অভিযোগ। ক’জন জানেন, ৬৪ শতাংশ উগ্রপন্থী সংগঠনের আঁতুড়ঘর ফেসবুক। এই সব হাড় হিম করা তথ্যকে লাশকাটা ঘরে পাঠাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় মার্কিন ‘আধিপত্যবাদের’ চতুর এই তল্পিবাহক। নামটা পাল্টে তাহলে ‘ফেকবুক’ রাখাই কি সমীচীন নয়? প্রশ্ন তুললেন  মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

24th  October, 2021
নানা রূপে দুর্গা
তরুণ চক্রবর্তী

সাধক গাইলেন, ‘ত্রিনয়নী দুর্গা, মা তোর রূপের সীমা পাই না খুঁজে।’ সত্যিই মায়ের রূপের যেন সীমা নেই। আর এমনটি হওয়াই স্বাভাবিক। শ্রীশ্রী চণ্ডীতে দেবী দুর্গার মাহাত্ম্য বর্ণনায় আছে,—‘নিঃশেষ দেবগণশক্তি সমূহ মূর্ত্যাঃ’, অর্থাৎ সব দেবতার সমস্ত শক্তির সম্মিলিত প্রতিমূর্তিই দেবী দুর্গা। বিশদ

10th  October, 2021
গান্ধীজির কলকাতা
রজত চক্রবর্তী

কলকাতা জুড়ে মিছিল শুরু হয়েছে— হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই। গান্ধীজি সন্ধ্যায় ফলের রস খেয়ে অনশন ভাঙলেন। গান্ধীজি আর সুরাবর্দি হায়দরি মঞ্জিলের সামনে তৈরি মঞ্চে উঠলেন। সাধারণ মানুষ আজ ভিড় করেছে প্রচুর। তারা শুনতে চায় শান্তির ক‍থা। বিশদ

03rd  October, 2021
একনজরে
হুগলির পর বোলপুরের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগের জন্য আয়োজিত সিনার্জিও পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ...

রাজ্যের হেরোইন ‘হাব’ লালগোলায় কারবারে টান চলছে। একের পর এক কারখানায় ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিগত ছ’মাসে শতাধিক হেরোইন কারবারি গ্রেপ্তার হয়েছে। ...

ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে নারীপাচার রুখতে কড়া ভূমিকা নিয়েছে বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার। ...

আফিয়া সিদ্দিকি বা লেডি আল কায়েদা। পেশায় নিউরোসায়েন্টিস্ট। তুখোড় মেধাবী। শান্ত মুখ-চোখ। ১৮ বছর বয়সে আফিয়া তার ভাইয়ের সঙ্গে আমেরিকা আসে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪১ - বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের নাম মাউন্ট এভারেস্ট রাখা হয়
১৯৪২: মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মহম্মদ আলির জন্ম
১৯৪৫: গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের জন্ম
২০১০: কমিউনিস্ট নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মৃত্যু 
২০১১ - অভিনেত্রী গীতা দের মৃত্যু
২০১৪ - অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  January, 2022
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  January, 2022

দিন পঞ্জিকা

৩ মাঘ, ১৪২৮, সোমবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২২। পূর্ণিমা ৫৭/১৮ শেষ রাত্রি ৫/১৮। পুনর্ব্বসু নক্ষত্র ৫৫/৩৫ রাত্রি ৪/৩৭। সূর্যোদয় ৬/২৩/৬, সূর্যাস্ত ৫/১০/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/১৯ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ২/২৭ গতে ৩/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৭ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। 
৩ মাঘ, ১৪২৮, সোমবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২২। পূর্ণিমা শেষরাত্রি ৪/৪৮। পুনর্ব্বসু নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৪১। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ১১/২৪ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ২/২৮ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৮ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। 
১৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
একধাক্কায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় একধাক্কায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। রাজ্যে গত ...বিশদ

08:14:13 PM

মন্ত্রী গৌতম দেব করোনা পজিটিভ

06:59:00 PM

আবুধাবিতে বিস্ফোরণ, মৃত ২ ভারতীয়
আজ, সোমবার আবুধাবিতে একটি তেলের ডিপোয় ড্রোন হামলা। এই ঘটনায় ...বিশদ

05:06:00 PM

কোচবিহারে মহিলাকে হেনস্থা, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিস-জনতা খণ্ডযুদ্ধ
কোচবিহারের ঘুঘুমারিতে মহিলাকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তেজনা। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তা ...বিশদ

03:39:53 PM

২০ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাব বিধানসভার ভোট
পিছিয়ে গেল পাঞ্জাব বিধানসভার নির্বাচন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ২০ ...বিশদ

02:41:00 PM

মাথাভাঙায় বোমা উদ্ধার, চাঞ্চল্য
মাথাভাঙা শহর সংলগ্ন ঠাকুরপাড়া এলাকায় ঝোপের মধ্যে বস্তাবন্দি বোমা উদ্ধারকে ...বিশদ

02:21:00 PM