কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
বিএসএফ জানিয়েছে, নারীপাচার রুখতে ২০২১ সালের ১৫ জানুয়ারি বিএসএফের ‘অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট’ তৈরি করা হয়। সমস্ত সীমান্তে ওই ইউনিট নারীপাচারের উপর নজরদারি শুরু করে। শনিবার, ১৫ জানুয়ারি, এই ইউনিটের এক বছর পূর্ণ হল। এক বছরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে বিএসএফ জানিয়েছে, এই সময়ে বিভিন্ন সীমান্তে নারী পাচারের মোট ২৯টি ঘটনা ধরা পড়েছে। তাতে ৩৩ জন গরিব বাংলাদেশি মহিলা উদ্ধার হয়েছে। এই ৩৩ জনের মধ্যে ২৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক, বাকি পাঁচজন নাবালিকা। এই ২৯টি ঘটনায় ৩৩ জন দালালকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএসএফ জানাচ্ছে, এই ২৯টি ঘটনার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, এ দেশের বিউটি পার্লার, বার ড্যান্সার, জিম হেল্পার, ম্যাসাজ পার্লার, ওয়েটারের কাজ, বাড়ির পরিচারিকা প্রভৃতি কাজের টোপ দিয়ে ওই গরিব বাংলাদেশি মহিলাদের নিয়ে আসা হচ্ছে। ভারতে কাজ করার জন্য অনেকেই সেই টোপ গিলে নেন। কিন্তু, এখানে নিয়ে এসে সেই কাজ না দিয়ে যৌনকর্মীর কাজে নিযুক্ত করাই উদ্দেশ্য ছিল দালালদের। দিনের পর দিন অমানবিক অত্যাচারের শিকারও হয়েছেন কয়েকজন মহিলা।
বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের সিনিয়র মুখপাত্র তথা ডিআইজি সুরজিৎ সিং গুলেরিয়া বলেন, দেখা গিয়েছে, এই মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত দালালরা ভালো চাকরি ও অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশের দরিদ্র ও অসহায় মহিলাদের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে নিয়ে আসে। কিন্তু, এখানে নিয়ে এসে যৌনকর্মীর কাজে নামিয়ে দেয়। বিএসএফ সীমান্তে মানবপাচার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেলের নেতৃত্বে সব সীমান্তে এই ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। ‘অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটে’র মূল উদ্দেশ্য হল, মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত সব সিন্ডিকেটের সদস্যকে গ্রেপ্তার করা।