কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল হাওড়ায় বুস্টার ডোজ দেওয়া। প্রথম দিনেই সেই সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়। এক সপ্তাহ শেষে তা অতিক্রম করেছে দশ হাজারের গণ্ডি।
সময়ের নিরিখে এই সংখ্যা সন্তোষজনক হলেও, গতি কিছুটা শ্লথ বলেই মনে করা হচ্ছে। টিকাকরণের গতি কম হওয়ার কারণ কী? স্বাস্থ্যদপ্তরের বক্তব্য, বুস্টার দেওয়া হচ্ছে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার বা প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের। কিন্তু তাঁদের মধ্যে অনেকেই করোনার চলতি ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন দ্বিতীয়বার। এদিকে, টিকাকরণের নিয়ম অনুযায়ী সংক্রামিত হওয়ার পর ৯০ দিন না পার হলে টিকা দেওয়া যায় না। অর্থাৎ আক্রান্তদের একটা বড় অংশ এই সময় টিকা নিতে পারেননি।
এ বিষয়ে হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, জেলার সমস্ত হাসপাতাল ও বিপিএইচসি থেকে টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। অনেকেই নতুন করে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গতি কিছুটা কম, এ কথা সত্য। তবুও আমাদের টিকাকরণ বেশ ভালোই বলতে হয়। পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহের পাশাপাশি ১৫ থেকে ১৮ বছরের বয়সিদের টিকা দেওয়ার কাজও জেলায় যথেষ্ট ভালোভাবেই চলছে।
প্রসঙ্গত, হাওড়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মাঝে প্রত্যহ হাজার ছুঁইছুঁই হয়ে গেলেও, বর্তমানে তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। শেষ বুলেটিন অনুযায়ী নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের আশেপাশে। ফলে করোনা আপাতত কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেই মনে করছে স্বাস্থ্যদপ্তর। যদিও জেলাজুড়ে এখনও রয়েছে অসচেতনতার ছবি। মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরোনো, সামাজিক দূরত্ববিধি না মানার ছবির দেখা যাচ্ছে একইভাবে।