প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
শ্যামসুন্দর
হাওড়া সালকিয়ায় অবস্থিত এই বিপণি আভিজাত্যে ঠাসা। নানারকম শাড়ি ও পোশাকের সাজে সেজেছে এই প্রতিষ্ঠানও। কর্ণধার গোবিন্দ পাল জানালেন, পজিশনিং সিল্ক, টিস্যু, অর্গ্যাঞ্জা, কাঞ্জিভরম, আর্নি, তসর ইত্যাদির উপর নানা ধরনের কাজ ও নকশা এখানে পাবেন। পজিশনিং সিল্কের দাম শুরু ৩০০০ টাকা থেকে। আর্নির রেঞ্জ ৪০০০-১০,০০০ টাকার মধ্যে। তসরের রেঞ্জ মিলবে ৪০০০-৮০০০ টাকার আশপাশে। কাঞ্জিভরম খুঁজলে তা এখানে পাবেন ৪০০০ টাকা বাজেট থাকলে। ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত রেঞ্জে নানা ধরনের ভ্যারাইটি পাবেন। অর্গ্যাঞ্জা মিলবে ১৫০০-৩০০০ টাকায়। কলাক্ষেত্র বিশ্ববাংলা প্রিন্ট পাবেন ৩৫০০-৬০০০ টাকায়। সব ধরনের শাড়িই ব্লেন্ডেড ও পিওর দু’রকম পাবেন। তসর ও সিল্কের উপর পারশি কাজ খাঁটি হলে পাবেন ৪০০০-৫০০০ টাকায়। ব্লেন্ডেড পাবেন ১০০০-১২০০ টাকায়। তসরের উপর অ্যাপ্লিকের কাজ পাবেন ৪০০০ টাকায়। খাড্ডির রেঞ্জ মিলবে ৩৫০০-১০,০০০ টাকা। খাঁটি ইক্কতের দাম শুরু ৫০০০ টাকা থেকে। ব্লেন্ডেড প্রিন্ট ইক্কত মিলবে ১২০০ টাকা থেকে। ব্লেন্ডেড বেনারসির দাম শুরু ১৫০০ টাকা থেকে। খাঁটি ও কাতান বেনারসির দাম শুরু ৫০০০ টাকা থেকে। শাড়ি ছাড়াও এখানে মিলবে নারী-পুরুষ ও শিশুদের নানা পোশাক। এবছর এখানে সারারা, ক্রপ টপ, থ্রি পিস, কটন গাউনের চাহিদা বেশি। থ্রি পিসের রেঞ্জ ৫০০-৫০০০ টাকা। মহিলাদের বুটকাট, ন্যারো ফিটিংসের জিন্স ও কার্গোর চাহিদা বেশি। ৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে পাবেন এগুলো। ক্রপ টপ পাবেন ১০০০-১২০০ টাকা বাজেট হলেই। শিশুদের ক্ষেত্রে বাবাস্যুট, ব্লেজার স্যুট ৩০০ টাকা থেকে রেঞ্জ শুরু। ১৫০০ টাকা পর্যন্ত রেঞ্জে নানা নকশা পাবেন। পুরুষদের প্যান্ট শুরু ৫০০-১৫০০ টাকা, জামার ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রিন্টের চাহিদা বেশি। দাম ঘোরাফেরা করবে ৫০০-১৫০০ টাকার মধ্যে।
লীলাবতী
রানিগঞ্জের বুকে অন্যতম বড় বস্ত্রবিপণি লীলাবতী। প্রায় ৫০ বছরের পুরনো এই বিপণিতে সারাবছরই এখানে কেনাকাটার ভিড় থাকে। পুজো এলে একটু অন্যরকমভাবে সেজে ওঠে এই প্রতিষ্ঠান। সংস্থার কর্ণধার স্বপন কর (সপু) জানালেন, এবছর বাজেট শাড়ির মধ্যে এখানে পাবেন লিনেন বাটিক, হ্যান্ডলুম ইত্যাদি। ৫৫০-৯০০ টাকা রেঞ্জে পাবেন লিনেন বাটিক। হ্যান্ডলুমের দাম শুরু ৩৫০ টাকা থেকে। ৩০০০ টাকা পর্যন্ত রেঞ্জ অবধি এই শাড়ি পাবেন। খাঁটি মসলিন ঢাকাইয়ের দাম পড়বে ২৫০০-৫০০০ টাকা। টিস্যু, অর্গ্যাঞ্জা, বিচিত্রা ও বারবেরির একটি বিরাট সম্ভার পাবেন এখানে। ১৫০০-৫০০০ টাকার রেঞ্জের একটি বড় কালেকশন এখানে পাবেন। ভারতের সব প্রদেশের সবরকম দামি শাড়ি ও তার রেপ্লিকা এখানে পাবেন। শাড়ি কেনার বাজেট ৫০০০-৬০০০ টাকা হলে তসর, পৈঠানি, কাঞ্জিভরম, কাঞ্চিপুরম সবই পাবেন এখানে। ব্লেন্ডেড তসর পাবেন ১৫০০-২০০০ টাকায়। খাঁটি তসর হলে দাম শুরু হবে ৪৫০০ টাকা থেকে। এখানে শাড়ির পাশে কুর্তিও পাবেন। স্ট্রেট প্যান্ট ও পাতিয়ালা সেটের কো-অর্ড-এর চাহিদা এবার বেশি। ৭৯৫, ৮৯৫, ৯৯৫ টাকা ইত্যাদি নানা রেঞ্জে পাটিয়ালা পাবেন। পুরুষদের শার্টের ক্ষেত্রেও এদের কালেকশন দেখার মতো। ডিজিটাল শার্ট কাপড়ের নকশায় নানা নতুনত্ব পাবেন। দামের রেঞ্জ ৬০০-১৫০০ টাকা। ফ্যাব্রিকের মানের উপর দাম ওঠানামা করবে।
মোহন ফ্যামিলি স্টোর্স
পুজোর মরশুমে নতুন নকশা ও কারুকাজ নিয়ে প্রস্তুত আসানসোলের মোহন ফ্যামিলি স্টোর্স। এখানে শাড়ি ছাড়াও নারী-পুরুষ ও শিশুদের সবরকমের পোশাক পাবেন। সংস্থার কর্ণধার মিহারিয়া জানালেন, ‘এবার পুজো মাসের শুরুর দিকেই, তাই কেনাকাটার জন্য সময় হাতে কম। তবু পুজোর মরশুমে নারী-পুরুষ ও শিশুদের সবরকমের পোশাক নিয়ে সেজে উঠেছে মোহন ফ্যামিলি স্টোর্স। এখানে রেডিমেড পোশাকের পাশে নানা ড্রেস মেটেরিয়াল ও ফেব্রিক পাবেন। ৩০০ টাকা রেঞ্জ থেকে সুতির ছাপা শাড়ি শুরু। এছাড়া পাবেন আর্নি, ওপারা, বিষ্ণুপুরী কাতান, সোনামুখী কাতান, ভাগলপুরী সিল্ক, কোরা সিল্ক, অসম সিল্ক, ডিজাইনার কাঁথা, মালবেরি সিল্ক, জামদানি, হ্যান্ডলুম সহ নানা শাড়ির এক বিপুল সম্ভার। বাজেট একটু বাজেট বেশি হলে এখানে দেখতে পারেন তসরের হরেক প্রকার। তসরের উপর আড়ি কাজ, প্রিন্টেড, কাঁথাস্টিচ, শান্তিনিকেতনী নকশা ইত্যাদি পাবেন। ব্লেন্ডেড তসরের দাম শুরু ২০০০ টাকা থেকে। রয়েছে খাঁটি তসরও। প্রায় ১০-১২ হাজার টাকার মধ্যে তসরের নানা ভ্যারাইটি পাবেন। স্বর্ণচরী ও বালুচরীর ক্ষেত্রে ব্লেন্ডেড ফেব্রিকের দাম শুরু মাত্র ৫০০ টাকা থেকে, তবে খাঁটি ফেব্রিক চাইলে বাজেট রাখুন অন্তত ৮০০০ টাকা। বিষ্ণুপুরী সিল্কের দাম শুরু ২০০০ টাকা থেকে। আর্ট বেনারসি চাইলে ১৪০০ টাকাতেও তা পাবেন। তবে খাঁটি বেনারসি চাইলে প্লেন বডি ও হালকা কাজের উপর পাবেন ৪০০০ টাকা বাজেট হলে। ১৫০০ টাকা থেকে লেহেঙ্গা শুরু। ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেহেঙ্গার রেঞ্জ। পুরুশদের পোশাকে কটন শার্ট, প্যান্ট ও জিন্সের চাহিদা রয়েছে। ১০০০-১২০০ থেকে জিন্সের রেঞ্জ শুরু। পাঞ্জাবি-পাজামার সঙ্গে সামার জ্যাকেট এই কম্বিনেশনের খুব চাহিদা আছে এবছর। ছোটদের ক্ষেত্রে জিন্সের বিক্রি বেশি।