কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
‘আসলে আমরা বড়ই চুপচাপ হয়ে গেছি। আমাদের আরও দৃঢ়, শক্ত হতে হবে। দেশ উদ্ধার নয়, দেশ রক্ষার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। ৪৬এর দৃশ্য যেন আর ফিরে না আসে।‘ ভীষণ এক সত্যকে তুলে ধরলেন প্রবীণ নাট্য ব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত।
‘অনেকেই বলেন এমন তো আগে ছিল না, এরকম তো দেখিনি। এখন যে অরাজকতা, ব্যভিচার, হিংসা হচ্ছে, তা আমরা ৭২এর নির্বাচনে দেখেছি। আরও আগে ৪৬এর ভায়োলেন্স দেখেছি। স্বাধীনতা এল দেশভাগের যন্ত্রণা নিয়ে। পাকিস্তান হল মুসলিম রাষ্ট্র, আর আমরা মানে ভারত হল ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। কিন্তু মানুষের মন! সে কোথায় যাবে? আমাদের মনে সুপ্ত সাম্প্রদায়িকতা রয়েছে। সেটাকে উপড়াতে হবে। যদিও একদিনে নয়, আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে,’ জানালেন প্রবাদপ্রতিম নাট্য ব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী।
বক্তব্যে, কবিতায়, পাঠ্যের মধ্যে দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের হানাহানি, অস্থিরতা, ভয়ঙ্করতা, ধর্মের দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে সাহসী, বলিষ্ঠ, বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন নাটকের মানুষজন – দেবশংকর হালদার, পৌলমী চট্টোপাধ্যায়, সুরজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কৌশিক সেন। তাঁদের হতাশা, ভয়, চিন্তাকে উজাড় করে দিয়ে খানিকটা হয়ত স্বস্তি পেলেন নবনীতা দেবসেব, ওয়াসিম কাপুর, অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরি, ড বিনায়ক সেন, কবি শঙ্খ ঘোষ এবং অপর্ণা সেন।
এঁদের বক্তব্যের মূল লক্ষ্য ছিল তরুণ প্রজন্ম। তাঁদের এগিয়ে আসতে হবে, হাল ধরতে হবে। নিজের মত করে। লাল, নীল, সবুজ, গেরুয়া, কোনও রংএর তলায় থেকে নয়, একত্রিত হয়ে নিজেদের মত করে রুখে দাঁড়াতে হবে। তবেই হয়তো বদলাবে পরিস্থিতি।