Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

 বিচার চাইতে এলে তাড়িয়ে দিও না​​​​

ডাইনি প্রথা থেকে শুরু নানা কুসংস্কার— দু’দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করছেন ঝাড়খণ্ডের ছুটনি মাহাতো। শহরে এসে নিজের কথা শোনালেন অন্বেষা দত্ত-কে।

বয়স শুধু থাবা বসিয়েছে মুখের চামড়ায়। তবে সতেজ গলাটা শুনে বেশ বোঝা যায় তাঁর প্রতিবাদের ঝাঁজ কেমন ছিল। সেই ঝাঁজে মিইয়ে গিয়েছিল গোটা গ্রাম। একদিন ‘ডাইনি’ বলে দেগে দেওয়া হয়েছিল যে বধূকে, ঘোমটার আড়ালে চোখের জল ফেলে বসে থাকেনি সে। ছেলেমেয়ে নিয়ে গাছের তলায় রাত্রিযাপনেও ভয় পায়নি। কারণ একটা জিনিস খুব ভালো জানত সে, ভয় পেলে বেঁচে থাকাটা সম্ভব হবে না। ছেলেদের মুখে খাবার জোগাড়ও হবে না। তাই শোক করার সময় তার হাতে ছিল না। শহরের এক পড়ন্ত বিকেলে চেয়ারে বসে অতীতের দিনগুলো ফিরে দেখছিলেন ঝাড়খণ্ডের পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত লড়াকু সমাজ-সংস্কারক ছুটনি মাহাতো। বয়স এখন ৬৫-৬৬। শরীর ঋজু। মুখে আলগা হাসি, প্রত্যয়ের। 
ছুটনি তাঁর কাজের পুরস্কার (দ্য সোশিওফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস) নিতে এসেছিলেন কলকাতা শহরে। উদ্যোক্তা সাবরি হেল্পেজ। সংস্থার তরফে আরতি সিং বলেন, ‘এ সমাজের প্রান্তিক মানুষদের জন্য ছুটনি মাহাতোর মতো অসংখ্য মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তাঁদের সম্মান জানাতে চেয়েছি আমরা।’ 
গ্রামেগঞ্জে বধূদের ডাইনি অপবাদে মেরে ফেলা অথবা সমাজচ্যুত করার খবর প্রায়শই চোখে পড়ে খবরের কাগজে। এই যুগে মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার গল্পের পাশেই এই খবরগুলোও থাকে। যা জানান দেয়, ভারতের এই বাস্তবটা এখনও জ্বলন্ত। এভাবেই একদিন ছুটনিকেও বেছে নেওয়া হয়েছিল। ডাইনি অপবাদ দিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। 
হঠাৎ করে এসে কেউ বলল, ছুটনি ডাইনি, আর সবাই মেনে নিল? দৃপ্ত গলা বলে উঠল, ‘কেন নেবে না ম্যাডাম? আমি তো ছেলেদের স্কুলে পড়াতে পাঠাচ্ছিলাম। আত্মীয়-প্রতিবেশীর ছেলেরা গোরু ছাগল চরাচ্ছে। কেন ভালো লাগবে কারও? সম্পত্তির কারণও ছিল। আমার স্বামী ছিল এক ছেলে। শ্বশুরের পরে তো সব সম্পত্তি সে পেত। সেটাও কারও ভালো লাগেনি নিশ্চয়ই। প্রথমেই বের করে দেয়নি। আগে মারধর করত। বেশ কয়েকদিন। কত দিন মার খাব? সহ্য করতে পারিনি। বেরিয়েই এসেছিলাম। এখনও সেই সংসারের বাইরে।’ বিয়ের বারো বছর পর শ্বশুরবাড়ি থেকে গলাধাক্কা। অপবাদ। শ্বশুরবাড়িতে মহিলারাই নির্যাতন চালাত। মানসিক, শারীরিক দুই-ই। টানা আট মাস গাছের তলায় দিন কাটিয়েছেন। কী কী সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন? ‘কোথায় আর যাব? খাওয়াদাওয়া দিত বড় বোন। ওর ছেলেপুলে নেই। খেতিবাড়ি করে যেটুকু চাল ডাল ঘরে থাকত, গোড়ার দিকে স্বামী এসে দিয়ে যেত। এইভাবে চলত। দুঃখ ধরে রেখে কী করব বলুন? একবছর লেগে গেল আবার ঘর বানাতে। এক ছেলে তখন তিন বছরের। সেই ছেলেকে বিএড পড়িয়েছি। জঙ্গলে গিয়ে কাঠ কুড়োতাম। বেচতাম। একটা সংস্থায় এক হাজার টাকা দিত। সেটা ১৯৯৭ সাল। ঝাড়খণ্ডে এখন আমায় সবাই জানে-মানে। ৩২ বছর হল শ্বশুরবাড়ি ছেড়েছি। আমি যা সহ্য করেছি, সে জিনিস কোনও মেয়েকে যেন করতে না হয়। কেউ কারও নয় ম্যাডাম। ওই দুঃখ আমি জানি। তাই ওই দুঃখের ভাগ নিতে চাই। ডাইনি অপবাদ, বধূ-নির্যাতন যাই ঘটুক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মেয়েদের পাশে আছি।’ সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, নিপীড়িতা মেয়েদের সমর্থনে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্যই বছর তিনেক আগে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন। গোটা দেশ ছুটনিকে চিনে নিয়েছিল তখনই। ঝাড়খণ্ড পেরিয়ে লড়াই তাহলে গোটা দেশে ছড়িয়েছে? ‘২০০১ সাল থেকে কাজ করছি। কত মেয়ে আসে। এখন তো হাইলাইটে চলে এসেছি! সব কাগজ পড়ে। আমার কথা জানায়। বলে ওর কাছে যাও, সাহায্য পাবে। কারও ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। কারও মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে...।’ তবে সব দিক খতিয়ে দেখে পা ফেলেন সতর্ক ছুটনি। নির্যাতিতা হলেও তাঁদের আধার বা ভোটার কার্ড চেয়ে নেন। কে কে আছে পরিবারে, সব তথ্য জেনে নেন। না হলে তাঁরও বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। ছুটনির কথায়, ‘আমি তো ধরুন ওই মেয়ের জন্য কেস করলাম, থানা পুলিস করলাম। তারপর শ্বশুরবাড়ির চাপে বা অন্য কিছুর জন্য সে বলে দিল আমি তো ছুটনির কাছে যাইনি! তখন আমি কী করব? আমি বিপদে পড়ব কেন?’  
একা একা কাজ করছেন বহু দিন। প্রয়োজনে মেয়েদের নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিতে দ্বিধা করেন না ছুটনি। ‘কেউ বলে মাথা ব্যথা, কেউ বলে পেট ব্যথা। ডাইনি বলে দেয় কোনও বাড়ির বউকে। তার ছেলেমেয়ের কী অবস্থা হবে ভাবুন। মা ডাইনি! এটা কেউ মানতে পারে? বীরবাস গ্রামে (ঝাড়খণ্ড) ছুটনির অফিসে ন্যায় মিলবে, পড়শি রাজ্যের অনেকেও এখন জানে এ কথা,’ একতোড়ে বলে যান ষাটোর্ধ্বা। 
যারা ডাইনি অপবাদ দিয়েছে বা নির্যাতন করছে— দু’পক্ষকেই তিনি ডেকে পাঠান অফিসে। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনেন। তারপর রেকর্ড করে রাখেন সব। ছেলেরা সাহায্য করে কাজে। প্রয়োজনে কোর্টকাছাড়ি বা থানাকেও জানান। তারপর কি পরিবার মেনে নেয় সব? ছুটনি বলেন, ‘না অত সহজে মিলমিশ হয় না। কিন্তু আমার কথা শুনে মেয়েটার উপর অত্যাচার ওরা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। কোনও পরিবার হয়তো বলে মেয়েটা ডাইনি, ওকে ছোঁব না। আমি বলি ছুঁও না, ওকে ঘাঁটাবেও না। ও ওর মতো থাকবে, তোমরা তোমাদের মতো। তবে ডাইনি আর কখনও বলবে না। আমার অফিসে নিপীড়িতা অনেক মেয়ে তিন-ছ’মাস থাকে। সাহস দেওয়ার চেষ্টা করি। আশপাশের সবাই এসব দেখে আর বলে ওই দেখো ডাইনির অফিস!’ বলতে বলতে হেসে গড়িয়ে পড়েন ছুটনি!
পেরিয়েছে ৩২টা বছর এভাবেই। এসেছে আত্মবিশ্বাস। নিজেকে যুক্ত করেছেন ‘ফ্রি লিগাল এইড কমিটি’-র সঙ্গে। ছেলে বউ মেয়ে নাতি নাতনি সবাইকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ার সাহস ও শিক্ষা এখন থেকেই দিচ্ছেন তিনি। বয়স হচ্ছে। তাঁর পরের প্রজন্মকেও তো জানতে হবে, কাজটা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ছুটনির কথায়, ‘আমি মরে গেলে কাজটা তো থেমে যাবে না। ওদের বলি শিখে নাও, নির্যাতিতা কেউ এলে কীভাবে কথা বলবে, কী বলবে, ওদের কীভাবে সম্মান করবে, সব কিছু। ওটাই ট্রেনিং। কেউ বিচার চাইতে এলে তাড়িয়ে দিও না। কাল আমিও তো অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। এখন আলো এসেছে। কিন্তু তার জন্য গর্ব কোরো না।’ শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে  যাওয়ার পর পেরিয়েছে ৩২টা বছর এভাবেই। এসেছে আত্মবিশ্বাস। ছুটনির এক ছেলে প্যারা টিচার, আর এক ছেলে চাকরি করেন। এ শহরে ২০ বছরের নাতি সুরয মাহাতো এসেছিল সঙ্গে। ছোট থেকে দাদির কাজ দেখে দেখে বড় হয়েছেন এই তরুণ। কোর্টেও গিয়েছেন। তখনও দাদির এত পরিচিতি ছিল না। এখন আবেদন কীভাবে লিখবেন নির্যাতিতা, সেখানে কী কী অভিযোগ জানাবেন ইত্যাদি সব শিখিয়ে দেন তাঁরাই। এরপর উকিল আসেন দাদির ডাকে। উকিলের পরামর্শমতো কাজ এগয়। নির্যাতিতাকে আশ্রয় দিয়ে তার প্রতি সহানুভূতি দেখানো, এসবেই এখন দড় সুরযরা। যে মহিলার উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে, তাঁর বাড়ির লোকও আদালতের নির্দেশ মানতে বাধ্য হন, জানালেন তিনি। মেয়েটি যদি এরপরেও অত্যাচারিত হয়, বা তাঁকে মেরে ফেলা হয় কিংবা তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, অভিযোগ থেকে রেহাই নেই বাড়ির লোকের। তাই বাড়ির লোক সতর্ক থাকেন। সেভাবেই ‘লিখাপড়ি’ হয়, বললেন ছুটনির নাতি। 
ওড়িশা, হাজারিবাগ, চাতরা, পশ্চিমবঙ্গের মালদহের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেছেন সুরযরা।
কাউকে ‘ডাইনি’ বলে দেগে দেওয়া হয় কীভাবে? সুরয জানালেন, ‘ধরুন কোনও বাড়ির বউয়ের অনেকদিন বাচ্চা হয়নি। এদিকে তার ননদের বাচ্চা আছে, সেই বাচ্চার হয়তো কঠিন রোগ। তখন তার জন্য সে দায়ী করবে বা‌঩ড়ির বউকে। ননদই বলবে বউদির বাচ্চা নেই, আমার বাচ্চা নেবে বলে এসেছে, ও ডাইনি। এইভাবে সবাই বলে। কারও চোখ কটা বা খয়েরি চুল থাকলে, ছ’টা আঙুল থাকলে অনেকে বলে দেয় সে ডাইনি। মূলত বাড়ির বউরাই লক্ষ্য। আর দেখুন, ডাইনি না থাকলে ওঝাদের রোজগার তো মার খাবে। তাই ভগবান যেমন আছে, ডাইনিও আছে— গ্রামের লোক এটাই 
মানে!’  
যে বাড়ি থেকে একদিন দাদিকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, সেই বাড়ির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক আছে আর? ‘অনুষ্ঠান পরবে যাওয়া-আসা আছে। এখনকার কেউ তো দায়ী নয়। জমিবাড়ি আমরা কিছু পাইনি। সব নিয়ে নিয়েছিল।’
এর মধ্যেই দাদি চলে আসেন একগাল হাসি নিয়ে। বলেন, ‘চলো চলো অনেক কথা হয়েছে। আর কাজ নেই!’ ছুটনি ছুট দিলেন পলকেই। 
18th  May, 2024
বাঁধা গতের বাইরে চাকরির সুযোগ

নতুন বাড়ি কিনেছে অনন্যা। গৃহপ্রবেশের পুজোর পর জমাটি খাওয়াদাওয়ার দাবি তুলেছে আত্মীয়, বন্ধু সকলেই। ঋষভের ছেলের জন্মদিন। দশ বছর, বড় মাইলস্টোন। ‘বিগ পার্টি’র চাহিদা তাই অফিস থেকে বন্ধু সব মহলেই। রাজন্যার বহুদিনের শখ পূর্ণ হয়েছে অবশেষে। একটা বুটিক খুলতে চলেছে সে।
বিশদ

01st  June, 2024
সন্তান দত্তকের  সাতসতেরো
 

মশ সরছে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের পর্দা। দত্তক সন্তান নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে সমাজে। অথচ একটা সময় ছিল যখন কোনও দম্পতি সন্তান দত্তক নিয়েছেন শোনা গেলে ভ্রু-কুঞ্চিত হতো। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। অনেক দম্পতিই বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় অর্থ ও সময় ব্যয়ের বদলে দত্তক নেওয়ার দিকে এগচ্ছেন।
বিশদ

01st  June, 2024
রেলগাড়ির সারথি

স্টেশনের নাম গিরি ময়দান। লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে সেদিন ট্রেনটা দিনে দুপুরে হঠাৎই স্লো হয়ে গেল। পাশের বাজার এলাকা থেকে চিৎকার করে উঠল লোকজন। গেল গেল রব। ট্রেন স্লো হতে হতে থেমেও গেল। কিন্তু তাতে কি শেষরক্ষা হল? বাঁচানো গেল আত্মহত্যা করতে আসা মানুষটিকে?
বিশদ

01st  June, 2024
রিলস দেখার অভ্যাস ধৈর্য কমাচ্ছে

এক মিনিটের একটি রিলস-এই উদ্দেশ্য সফল। তাড়াতাড়ি উদ্দেশ্য সফল হওয়ার এই প্রবণতা ধৈর্য হারানোর বড় কারণ। একটি রিলস থেকে পরবর্তী রিলস এ যেতে এক সেকেন্ডেরও কম সময় লাগে। বিশদ

25th  May, 2024
সন্তান না দেখলে বাবা মা কী করবেন

সন্তানের অবহেলা ও অত্যাচারের মুখে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধ বাবা-মা কী করবেন? পরামর্শে হাইকোর্টের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। লিখছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়। বিশদ

25th  May, 2024
মার্কিন আদালতের বিচারক অন্ধ্রপ্রদেশের ভূমিকন্যা

 অনন্য নজির গড়লেন অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়ারার ভূমিকন্যা জয়া বাদিগা। ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টো কান্ট্রি সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক নিযুক্ত হলেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও আদালতে এই প্রথম অন্ধ্রপ্রদেশের কোনও মহিলা বিচারকের স্থলাভিষিক্ত হলেন। বিশদ

25th  May, 2024
শপিং আর মিটিং একইসঙ্গে

মেয়েদের দশভুজা বলা হয়। তা কি আর এমনি? দশটা হাত না থাকতে পারে, কিন্তু একসঙ্গে দশটা কাজ সামলাতে মেয়েরা বেশ দড়। ঠিক যেমন ছবির এই মহিলা। দেখুন, তাঁর হাতে ল্যাপটপ। আর তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন জুতোর দোকানে। বিশদ

25th  May, 2024
কর্মীর দোষে সংশোধনাগারে মহিলার অতিরিক্ত দু’বছর

 কাগজে কলমে কোনও এক কর্মীর দোষ। তার মাশুল দিতে হল ৭৮ বছর বয়সি এক মহিলাকে। সূত্রের খবর, জনৈক সুমিত্রার সংশোধনাগারের ভিতরেই কেটে গেল অতিরিক্ত দুটো বছর। ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরে। জানা গিয়েছে, পণ সংক্রান্ত এক মামলায় কারাদণ্ড হয় সুমিত্রার। বিশদ

25th  May, 2024
ঘরের কাজেও হাত লাগাক খুদে

ছেলে হোক বা মেয়ে, সংসারের টুকটাক দায়িত্ব সন্তানকেও দিন। বয়স চার পেরলেই কিছু কাজ হাতে হাতে করতে শিখুক। আখেরে লাভ হবে তারই। লিখছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়। বিশদ

18th  May, 2024
এআই-এর সাহায্যে সারল প্যানিক অ্যাটাক

প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্রিটেনের মলি পেনিংটন। প্যানিক অ্যাটাক উপশম করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই-এর সাহায্য নিয়েছিলেন মলি। সম্প্রতি বিদেশি এক সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। বিশদ

18th  May, 2024
ভয় কাটিয়ে পাহাড়ে

আনন্দ হোক বা বিষাদ— পাহাড়কে সঙ্গী করে নিজেকে ভালো রাখার উপায় খোঁজেন বহু মানুষ। কেউ বা পাহাড় ভয় পান। সেই ভয় কাটানোর কথাই প্রাথমিকভাবে ভাবতেন জয়নাব জগি। বিশদ

18th  May, 2024
এই প্রজন্মের কাছে প্রথমবার ভোটদানের গুরুত্ব নেই

এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে দ্বাদশ শ্রেণিতে ওঠার পরে বা পাশ করার পরে। ভোট দিয়ে কী লাভ, তা নিয়ে তখনও হয়তো তার মনে কোনও নির্দিষ্ট ধারণা থাকে না। সে হয়তো এমনও ভাবে যে, আমি একা ভোট না দিলে কী এমন হবে! বিশদ

11th  May, 2024
একটা দিন থাক না, ক্ষতি কী?
 

মাদার্স ডে গুরুত্বপূর্ণ? মতামত জানালেন নৃত্যশিল্পী তনুশ্রী শংকর ও তাঁর কন্যা অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শংকর। লিখছেন কমলিনী চক্রবর্তী
  বিশদ

11th  May, 2024
বাচ্চার মোবাইল নির্ভরতা দূর করবেন কীভাবে?
 

আপনার শিশুর মোবাইল নির্ভরতা কি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে? বারণ করলেই কান্নাকাটি, রাগারাগি। এদিকে এই আসক্তির ফলে মনোযোগের দফারফা। কী করবেন?বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে লিখেছেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

04th  May, 2024
একনজরে
রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে না জিতলেও করিম চৌধুরী ও কানাইয়ালাল আগরওয়ালের মুখ বাঁচালেন কৃষ্ণ। রায়গঞ্জে বিজেপি জিতলেও ইসলামপুর বিধানসভায় লিড ধরে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। ...

মেদিনীপুরে নিজের হাতে কার্যত ‘পদ্মবাগান’ তৈরি করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই সাজানো বাগান তৃণমূল তছনছ করে দিয়েছে। ...

সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়। সেখানে প্রবেশের মুখেই নরেন্দ্র মোদির ছবি। পাশে লেখা, ‘মোদির গ্যারান্টি মানে, গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি’। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই কার্যালয়ের সামনে গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা নেই। ...

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরই বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য লড়াই ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল। পুরনো বিজেপি নেতারা মঙ্গলবার থেকেই সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বঙ্গ নেতাদের অপসারণ চেয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM