Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজার আগুন, বেকারত্ব লাগামছাড়া,
শিল্পে মন্দা, সরকার মেতে হিন্দুরাষ্ট্রে
হিমাংশু সিংহ

দেশভাগ, শরণার্থীর ঢল, বার বার ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার তীব্র যন্ত্রণা আর অভিশাপের মাশুল এই বাংলা বড় কম দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, সাবেক পূর্ববঙ্গের শত শত নিরাশ্রয় মানুষকে নিজের বুকে টেনে নিতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সঙ্কট। বদলে গিয়েছে গোটা রাজ্যের জনভিত্তি। সেদিনও ভোট ছিল, খাদ্য ও বাসস্থানের অভাবও ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ফিরতে বাধ্য করা হয়নি কাউকেই। রাস্তাঘাটে সর্বত্র শিকড় হারানো মলিন মুখের মানুষের আনাগোনায় বদলে গিয়েছিল চেনা পথের চেহারাটাই। কয়েক দশক কেটে গেলেও উদ্বাস্তু সমস্যা এবং দেশভাগের সেই দগদগে ক্ষত আজও শুকোয়নি। কোনওরকমে প্রাণ বাঁচাতে শেষবার ’৭১ সালে বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় ভিটে ছেড়ে পূর্ববঙ্গ থেকে দলে দলে আসে শরণার্থী। খাদ্য নেই, পানীয় জল নেই, মাথার উপর ছাদের বদলে শুধুই খোলা আকাশ। ট্রেনে, স্টেশনে, খাল, বিল নদীর পাড়ে কোলে দুধের শিশু আর বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে একটু নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ। অন্তহীন সব হারানো মানুষের মিছিল। যাঁরাই এসেছেন তাঁদেরই বুকে ধরে আপন করে নিয়েছে বাংলার মাটি। ফেরায়নি কাউকেই। অসহায় শরণার্থীদের জাত ধর্ম সম্প্রদায় কিছুই মিলিয়েও দেখা হয়নি তখন। বিচার করা হয়নি, ওরা হিন্দু না মুসলিম। প্রাণ বাঁচানোর মরিয়া আর্তি নিয়ে আসা মানুষগুলোকে মাথা গোঁজার আশ্রয় দিতে সেদিন কোনও কার্পণ্য করেনি রবীন্দ্রনাথ-নেতাজি-বিবেকানন্দের মানবিক বাংলা। সহস্র উদ্বাস্তু প্রাণ ধীরে ধীরে বাধা পড়েছে একসূত্রে, একই মালায়। হাজারো সঙ্কট আর অভাব, কিছুই এই সঙ্কল্প থেকে টলাতে পারেনি। কিন্তু আজ এতদিন পর কোথায় যেন সেই চিরায়ত সুর কাটছে। বিভেদ ও বিচ্ছিন্নতার আবর্তে ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুমের’ আবেগকেই বিপন্ন করার চক্রান্ত চলছে। বা বলা ভালো, আইন করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পাঁচিল তোলার এক অপপ্রয়াস শুরু হয়েছে। যার জেরে নতুন করে নিজভূমে পরবাসী হওয়ার ভয় আর আতঙ্ক চেপে বসছে বাংলা তথা গোটা দেশের বুকে। এবার আর দেশভাগ নয়, দেশের মানুষকে নতুন করে শরণার্থী বানানোর এই নতুন উপদ্রবের নাম এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। ধনী দরিদ্র নয়, সৎ অসৎ নয়, এবার মানুষকে ভাগ করা হচ্ছে, শরণার্থী আর অনুপ্রবেশকারী — এই দু’ভাগে। যার প্রধান লক্ষ্য, আরও বেশি করে ধর্ম ও সম্প্রদায়ের নামে বিভাজন ঘটিয়ে, মেরুকরণ করে ভোটবাক্সে ‘পদ্ম’-র ঢেউ তোলা। সেই লক্ষ্যেই এবার ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের কাঠামোটাকেই দুমড়ে মুচড়ে শুধুমাত্র অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের এমন বিপুল আয়োজন। ফের ২০২৪-এ কেন্দ্রের ক্ষমতা দখলই যার চূড়ান্ত উদ্দেশ্য।
অতি সম্প্রতি অসমে এনআরসি কার্যকর করার সঙ্গেই গোটা প্রক্রিয়ার শুরু। আর তারপর রোজ নিয়ম করে দোর্দণ্ডপ্রতাপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘোষণা, সারা দেশেই এনআরসি হবে। অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবে ২০২৪-এর আগেই। এই একটা হুঙ্কারই সর্বত্র এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। আবার ভিটেমাটি হারানোর আতঙ্ক আর ভীতি চেপে বসেছে বাংলার মানুষের মনে। না, ভুল বললাম, গোটা দেশে। বাজারে পেঁয়াজ দেড়শো টাকা ছাড়াচ্ছে। সব্জির বাজার আগুন। ভয়ঙ্কর মন্দা আর সেইসঙ্গে বিক্রি ও চাহিদার অভাবের ত্র্যহস্পর্শে শিল্পে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। চাকরি নেই, উল্টে কাজ হারিয়ে নতুন করে বেকার বাড়ছে। ছোট ব্যবসায়ীদের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলছে, এর থেকে এখনই পরিত্রাণের কোনও উপায় নেই। জিডিপি কমতে কমতে ৪.৫-এ এসে দাঁড়িয়েছে। ব্যাঙ্কগুলো ডুবছে। অথচ, সেদিকে কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই সরকারের। তারা এখন মেতে রয়েছেন শরণার্থী আর বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে। মুসলিম-অমুসলিম বিভাজন ঘটানোর ভয়ঙ্কর খেলায়। এই সাম্প্রদায়িক আগুন নিয়ে খেলার শেষ কোথায় কে জানে! গেরুয়া শিবির বলছে, বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুদের প্রাপ্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতেই এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করাতে কেন্দ্র বদ্ধপরিকর। আর বিরোধীদের সমালোচনা, আরএসএসের পুরনো এজেন্ডা হিন্দুরাষ্ট্র গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতেই এতটা মরিয়া মোদি সরকার।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ঘটিয়েছেন মোদি ভাই-অমিত ভাই জুটি। বেআইনি হয়ে গিয়েছে তাৎক্ষণিক তিন তালাকও। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণেও দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও সুপ্রিম কোর্টের আইনি সম্মতি মিলেছে। এবার অনুপ্রবেশকারী মুসলিম হটাও অভিযান। সবমিলিয়ে দেশজুড়ে হিন্দুরাষ্ট্র গড়ার আয়োজন জোর কদমে। শেষ যেটা বাকি ছিল, আগামীকাল, সোমবারই সেই চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষায় নামছে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের সরকার। সোমবারই লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার কথা। বলা বাহুল্য, এই বিলের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। যদি দ্রুত সরকার এই বিলটিকে রাজ্যসভা ও লোকসভায়, অর্থাৎ সংসদের দুই কক্ষেই পাশ করাতে সক্ষম হয় তাহলে ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই আমূল বদলে যাবে। তখনও দেশের প্রতিটি মানুষ সমান, প্রত্যেক ধর্মের একই স্থান, আমাদের সংবিধানের এই দর্শন আর উপলব্ধির কোনও তাৎপর্য থাকবে কি?
বলা বাহুল্য এনআরসিকে ভোটের বাক্সে আরও বেশি করে ফলপ্রসূ ও কার্যকর করতে তড়িঘড়ি এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনছে বিজেপি। এনআরসির জন্য যেন সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের এবং সেইসঙ্গে শিখ, পার্সি, বৌদ্ধ, জৈন সম্প্রদায়ের মানুষকে কোনও ঝামেলা পোহাতে না হয় সেই জন্য। ইতিমধ্যেই অসমে যে ১৯ লক্ষ লোকের নাম চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে, তার মধ্যে ১২ লক্ষই হিন্দু! এতে অসমে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এই একটা তথ্যই বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির কোর ভোট ব্যাঙ্কটাকে বিপদে ফেলছে। আর সেই জন্যই মোদি-অমিত শাহের যুগলবন্দিতে চলা সরকার এবার ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদানের এই ধুরন্ধর চালটি চালতে চলেছেন।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কার্যকর হলে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে যেসব হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁদেরই শুধু নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বাকিদের নয়। এর থেকেই বোঝা যায় উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার। বিজেপি আরএসএসের প্রধান লক্ষ্যই হল, নির্দিষ্ট তিনটি প্রতিবেশী দেশে নির্যাতনের শিকার ও আশ্রয়প্রার্থী অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দিয়ে ভারতের মূল স্রোতে শামিল করা। শোনা যাচ্ছে, সংখ্যালঘু অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের জন্য অন্য বন্দোবস্ত। সেখানে লাখ টাকার প্রশ্ন, অনুপ্রবেশকারী সংখ্যালঘু মুসলিমদের অতঃপর ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে, না কি ভারত থেকে পত্রপাঠ বের করে দেওয়া হবে? আরও একটি সংগত প্রশ্ন উঠছে, ভারতের সংবিধান এবং প্রাচীন ঐতিহ্য আদর্শ মানলে ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া যুক্তিযুক্ত কি? বিরোধীরা এই যুক্তিতে সরব হয়েছেন যে, এতে সংবিধানের আত্মার অবমাননা করা হচ্ছে। সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এদেশে সবাই সমান। মানুষে মানুষে এমন বিভেদ করার কোনও সুযোগ এখানে নেই। ধর্ম এদেশে নাগরিকত্ব লাভের কোনও মাপকাঠি বা শর্ত হতে পারে না। অথচ স্বাধীনতালাভের আগে দেশভাগের সময় থেকে যে বিষ আমরা বয়ে চলেছি সেই দ্বিজাতি তত্ত্বের লক্ষ্যপূরণে এবার মরিয়া হয়ে নেমেছে শাসক বিজেপি ও তার প্রাণভোমরা আরএসএস। ভারতকে ধীরে ধীরে ১০০ কোটি হিন্দুর দেশে পরিণত করাই এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের লক্ষ্য।
তবে, উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপির সরকার বিপন্ন হতে পারে এই আশঙ্কায় অরুণাচল, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড যেখানে ইনারলাইন পারমিট বহাল আছে সেখানে এই বিল কার্যকর করা যাবে না বলে সংশোধনীতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ, নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্কের জেরে উত্তর-পূর্বে নিজের ভিত্তি দুর্বল করতে চায় না বিজেপি। অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরার মতো রাজ্যে যেসব এলাকা ষষ্ঠ তফসিলের আওতাভুক্ত সেখানেও এই বিল কার্যকর হবে না। অর্থাৎ মূলত হিন্দিবলয় এবং পূর্ব ও পশ্চিম ভারতে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে চূড়ান্ত কোণঠাসা করে ভোটবাক্সে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করাই অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদি জুটির প্রধান লক্ষ্য। তা করতে গিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ, এবং স্বাধীনতার সময়েও সংবিধান প্রণেতারা যেটা হতে দেননি, সেই হিন্দুরাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্য থেকে কোনওভাবেই বিচ্যুত হতে চায় না গেরুয়া শিবির। দেশভাগের উপর্যুপরি ক্ষত আমাদের বাংলার শরীরে এখনও দগদগে হয়েই রয়েছে। এই অবস্থায় এনআরসি যাতে বাংলায় বুকে নতুন করে কোনও ক্ষত সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে প্রতিটি মানুষকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কারণেই দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য আপামর জনসাধারণকে তৈরি হতে বলেছেন। সেই দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনই স্থির করবে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে না কি অটুট থাকবে। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে সারা দেশে এনআরসি এবং অযোধ্যায় রামমন্দির গড়া সম্পূর্ণ হলে ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার পথে আর একটাই মাত্র বাধা অবশিষ্ট থাকবে—অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও শেষ রক্ষাকবচটিও হারাতে পারে মুসলিম সমাজ। আরএসএসের স্বপ্নের সেই হিন্দুরাষ্ট্র গড়ারই পদধ্বনিই কি শোনা যাচ্ছে মোদি-শাহ জুটির কণ্ঠে? আর সেই ভয়ঙ্কর চেষ্টার সামনে আবারও মানুষের ঢাল হয়ে দাঁড়াবার সঙ্কল্পে অবিচল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনিই পারেন বাংলার মানুষের আর একবার অনৈতিকভাবে উদ্বাস্তু হওয়া ঠেকাতে।
08th  December, 2019
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

08th  May, 2024
অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

06th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
একনজরে
ন’বছর ট্রফি নেই। কখনও কখনও প্রত্যাশার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি নাইট রাইডার্স। তৃতীয় খেতাবের স্বপ্ন বার বার হয়েছে চুরমার। তবুও দলের উপর আস্থা হারাননি শাহরুখ খান। এক্ষেত্রে তিনি ব্যতিক্রমী ...

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে আমেরিকা। রাশিয়ার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় আন্তর্জাতিক মহলে। তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন। ...

লোকসভা ভোটের প্রচারে পশ্চিমবঙ্গের আনাচে কানাচে ঘুরলেও বহরমপুরে এলেন না মোদি কিংবা অমিত শাহ। হাইভোল্টেজ এই কেন্দ্রে বিজেপির তারকা প্রচারক বলতে ছিলেন একমাত্র উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ...

ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি। সারা দেশের লক্ষ লক্ষ মতুয়া সমাজের কাছে পরম বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার স্থান। কামনা সাগরে একবার ডুব দিতে ছুটে আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ভক্তরা। সেই ঠাকুরনগরে সাধারণ মানুষের থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় প্রযুক্তি দিবস 
৩৩০: কনস্টান্টিনোপল রোম সাম্রাজ্যের নতুন রাজধানী হয়
৯১২: আলেকজান্ডার বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট হন
১৮৫৭: ব্রিটিশদের থেকে দিল্লি দখল করল সিপাহী বিদ্রোহের সেনারা
১৯০৪: স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালির জন্ম
১৯১৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী বসন্তকুমার বিশ্বাসের মৃত্যু
১৯১৬: বাঙালি চিত্রশিল্পী নীরদ মজুমদারের জন্ম
১৯২১:  বিশিষ্ট হাস্যকৌতুক অভিনেতা অজিত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৫: জার্মানীর বার্লিন শহরে প্রথমবারের মত বিশ্বে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়
১৯৫৯: বিশিষ্ট কবি বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৫: অনুশীলন সমিতির সদস্য, বিপ্লবী, সাংবাদিক ও সম্পাদক  মাখনলাল সেনের মৃত্যু   
১৯৭০: বলিউড অভিনেত্রী  পূজা বেদীর জন্ম
১৯৭২: কলকাতায় রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৮৩ - নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু ধনঞ্জয়দাস কাঠিয়াবাবার মৃত্যু 
১৯৮৪: স্পেনের ফুটবলার আন্দ্রে ইনিয়েস্তার জন্ম
১৯৮৫ : বাঙালি শিক্ষাবিদ, ভাষাতত্ত্ববিদ ও খ্রিষ্টধর্মপ্রচারক কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু  
১৯৯২: অভিনেত্রী আদা শর্মার জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা ও গায়ক অ্যামি ভির্কের জন্ম
১৯৯৭: দাবাখেলুড়ে কম্পিউটার ডীপ ব্লু প্রথমবারের মতো বিশ্বজয়ী দাবাড়ু হিসেবে গ্যারি কাসপারভকে পরাজিত করে
১৯৯৮: পোখরানে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করল ভারত
২০১৬: বাগদাদে আইএসের হামলায় হত শতাধিক
২০১৮: আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল তাদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ,তবে প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় কোনোও খেলা গড়ায়নি



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৩ টাকা ১০৬.২৬ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৫ টাকা ৯১.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ১১ মে ২০২৪। চতুর্থী ৫২/৩৮ রাত্রি ২/৫। মৃগশিরা নক্ষত্র ১৩/৩ দিবা ১০/১৫। সূর্যোদয় ৫/২/৯, সূর্যাস্ত ৬/৩/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২৩ মধ্যে পুনঃ ২/৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/২৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৯ গতে উদয়াবধি।  
২৮ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ১১ মে ২০২৪। চতুর্থী শেষরাত্রি ৪/২৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১২/৩১। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/১৮ গতে ১২/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৩ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/০ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪০ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৭ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৫/২ মধ্যে।
২ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
জাতীয় প্রযুক্তি দিবস  ৩৩০: কনস্টান্টিনোপল রোম সাম্রাজ্যের নতুন রাজধানী হয় ৯১২: আলেকজান্ডার বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের ...বিশদ

08:24:49 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। বৃষ: বিদ্যার্থীদের সাফল্যের দিন। মিথুন: অফিসকর্মীদের ...বিশদ

08:21:23 AM

জোড়া স্ত্রীয়ে ২ লক্ষ!
‘কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক মহিলা ১ লক্ষ টাকা করে পাবেন। ...বিশদ

08:10:00 AM

রবিবার রাজ্যে চারটি জনসভা প্রধানমন্ত্রীর
রবিবার একদিনে চারটি জনসভা করতে বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ...বিশদ

08:00:00 AM

আইপিএল: ৩৫ রানে চেন্নাইকে হারাল গুজরাত

10-05-2024 - 11:43:51 PM

আইপিএল: শূন্য রানে আউট মিচেল স্যান্টনার, চেন্নাই ১৭০/৮ (১৮ ওভার) টার্গেট ২৩২

10-05-2024 - 11:29:20 PM