সৎসঙ্গ ও আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠে মানসিক তৃপ্তি। কাজকর্মের ক্ষেত্রে নতুন কোনও যোগাযোগ থেকে উপকৃত ... বিশদ
শ্রীল শুকদেব গোস্বামী বলেছেন যে, পরমেশ্বর ভগবান হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ। তাই তিনি মহারাজ পরীক্ষিৎকে সর্বক্ষণ শ্রীকৃষ্ণের কথা শ্রবণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন দেব-দেবীর কথা শ্রবণ বা কীর্তন করার নির্দেশ দেননি। মায়াবাদীরা (নির্বিশেষবাদীরা) বলে যে, যে কোন দেব-দেবীর নাম কীর্তন করা যেতে পারে এবং তার ফল একই হবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা সত্য নয়। শ্রীমদ্ভাগবতের প্রামাণিক নির্দেশ হচ্ছে, কেবল পরমেশ্বর ভগবান বিষ্ণু বা কৃষ্ণেরই নাম শ্রবণ ও কীর্তন করা কর্তব্য।
তাই শুকদেব গোস্বামী পরীক্ষিৎ মহারাজকে নির্দেশ দিয়েছেন, নির্ভয়ে মৃত্যুকে বরণ করতে হলে, যে কোন উপায়ে হোক, পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম শ্রবণ, তাঁর গুণ কীর্তন এবং তাঁর লীলা স্মরণ করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, পরমেশ্বর ভগবান হচ্ছেন সর্বাত্মা। সর্বাত্মা কথাটির অর্থ হচ্ছে ‘সকলের পরম আত্মা।’ শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর বলেও বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ, তিনি হচ্ছেন সেই পরম নিয়ন্তা, যিনি সকলের হৃদয়ে বিরাজ করে সকলকে পরিচালিত করছেন। তাই, আমরা যদি কোনমতে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি অনুরক্ত হতে পারি, তা হলে তিনি আমাদের সমস্ত ভয় থেকে মুক্ত করবেন। ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে যে, ভগবানের ভক্তের কখনও বিনাশ হয় না—ন মে ভক্তঃ প্রণশ্যতি। অন্যদের কিন্তু অবশ্যই বিনাশ হয়। বিনাশ হয় অর্থাৎ এই মনুষ্য-শরীর পাওয়া সত্ত্বেও মানুষ যদি জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা না করে, তা হলে সে সুবর্ণ সুযোগ হারিয়ে ফেলে। এই ধরনের মানুষেরা জানে না যে, প্রকৃতির নিয়মে তারা কোথায় প্রক্ষিপ্ত হচ্ছে।