সৎসঙ্গ ও আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠে মানসিক তৃপ্তি। কাজকর্মের ক্ষেত্রে নতুন কোনও যোগাযোগ থেকে উপকৃত ... বিশদ
প্রায় ৩০ হাজার (২৯,৮৪০) বর্গমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে বিক্রমগড় ঝিল। তবে বাসিন্দাদের দাবি, নানা দিক থেকে দখল হতে হতে এখন ঝিল আকারে ছোট হয়ে গিয়েছে। আগে ঝিল আরও বড় ছিল। দিনের পর দিন অযত্ন ও উদাসীনতায় ঝিলের জল নোংরা হয়েছে। কচুরিপানা ভরে গিয়েছে। আশপাশে জমেছে নোংরা-আবর্জনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঝিলের বিভিন্ন দিক ভরাট করার চেষ্টা চলছে নিয়মিত। বাম আমলে একবার বিক্রমগড় ঝিল বাঁচাও আন্দোলন হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা সুকোমল ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঝিল আমাদের কাছে আবেগ। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ফুসফুসও বলা যায়। সেটাই বেহাত হয়ে যাচ্ছিল। ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তপন দাশগুপ্তও যুক্ত ছিলেন ঝিল বাঁচাও আন্দোলনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক সভা থেকে বিক্রমগড় ঝিল সংস্কারের জন্য আট কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেন। একটি কমিটিও তৈরি করা হয়েছিল। তারপর সংস্কারের কাজ শুরু হয়। শালবল্লা দিয়ে ঝিলের চারপাশ ঘেরা হয়। কচুরিপানাও পরিষ্কার করানো হয়। কিন্তু তারপর আর কাজ বিশেষ এগয়নি।’ পুরসভার পরিবেশ বিভাগ সূত্রের খবর, দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। সেই টাকায় কাজ হয়েছে। তারপর কেন কাজ আর হল না, তা জানা যায়নি।
তারপর দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এখন ঝিলের হাল খারাপ হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে পুরসভার মাসিক অধিবেশনে প্রশ্ন তুলেছিলেন তপন দাশগুপ্ত। তার প্রেক্ষিতে পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, নতুন করে সাড়ে তিন কোটি টাকা ঝিল সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। জানুয়ারি মাস থেকে কাজ শুরু করে দেওয়া যাবে। পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এই টাকায় ঝিল সংস্কারের পাশাপাশি চারপাশে ওয়াক-ওয়ে তৈরি করা হবে। গোটা জায়গাটি ঘিরে দেওয়া হবে, যাতে নোংরা-আবর্জনা না পড়ে।
স্থানীয় ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মৌসুমী দাস বলেন, বহু বছর ধরেই বিক্রমগড় অঞ্চলের বাসিন্দারা ঝিলের সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কাউন্সিলার হওয়ার পর থেকে এটার বহুবার দরবার করেছি। অবশেষে সেই কাজ শুরু হতে চলেছে। - নিজস্ব চিত্র