সৎসঙ্গ ও আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠে মানসিক তৃপ্তি। কাজকর্মের ক্ষেত্রে নতুন কোনও যোগাযোগ থেকে উপকৃত ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম জমানায় পানিহাটি পুরভবন লাগোয়া লোকসংস্কৃতি ভবন তৈরি হয়েছিল। তারপর ক্রমে পুর এলাকার সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে এই ভবনটি। নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের সভা ও কর্মসূচির জন্য এই হল ভাড়া দেওয়া হয়। সারা বছরই বুকিং থাকে। কিন্তু তৈরির পর গত দু’দশক ধরে ভবনটিতে পুরোপুরি সংস্কারের কাজ হয়নি। মাঝেমধ্যে সমস্যা দেখা দিলে টুকটাক মেরামতের কাজ হয়েছে শুধু। ফলে আদ্যিকালের পরিকাঠামো বেহাল হয়ে গিয়েছে। বাইরের অংশও জরাজীর্ণ। একাধিক জায়গায় গাছ গজিয়েছে। নাটকের জন্য বুক করা হলে উদ্যোক্তাদের পৃথক আলো ও সাউন্ডের ব্যবস্থা করতে হয়। কারণ হলটির সাউন্ড ব্যবস্থা নিম্নমানের বলে অভিযোগ। শ্রোতারা সংলাপ স্পষ্ট শুনতে পান না। তাই বাধ্য হয়ে আয়োজকদের অতিরিক্ত গাঁটের কড়ি খরচ করতে হয়। আলোর ক্ষেত্রেও একই সমস্যা। এছাড়া বসার ব্যবস্থাও আদ্যিকালের। কাঠের গ্যালারি চেয়ারে বসা কষ্টকর। বয়স্ক মানুষরা অসুবিধার সম্মুখীন হন। গ্রিনরুমের অবস্থাও বেহাল। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত নয়। সংস্কৃতি জগতের পাশাপাশি শহরের বিশিষ্টজনরা দীর্ঘদিন ধরে লোকসংস্কৃতি ভবন সংস্কারের দাবি জানাচ্ছিলেন। সমস্যার কথা পুরসভাও জানে। কিন্তু আর্থিক সঙ্কটে কাবু পুরসভা বিপুল খরচের ভয়ে কাজে এতদিন হাত দেয়নি।
সম্প্রতি সমস্যা বাড়ায় নগরোন্নয়ন দপ্তরের সঙ্গে প্রাথমিক কথা বলে ডিপিআর তৈরি হয়েছে। সংস্কার কাজে খরচ হবে চার কোটি ৭৩ লক্ষ ৮০ হাজার ৬৩৯ টাকা। ভবন সংস্কার ছাড়াও আধুনিক গদিযুক্ত চেয়ার, গ্রিনরুম, আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, আলো, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মতো পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হবে।
পানিহাটি পুরসভার পূর্ত বিভাগের সিআইসি সোমনাথ দে বলেন, ‘লোকসংস্কৃতি ভবনের সংস্কার ও আধুনিকীকরণের দাবি দীর্ঘদিনের। নাটক সহ নানা অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তা ও দর্শকরা সমস্যায় পড়েন। ভবনটির খোলনলচে বদলানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার ডিপিআর তৈরি করা হয়েছে। সেটি দ্রুত নগরোন্নয়ন দপ্তরে জমা দেওয়া হবে।’ - নিজস্ব চিত্র