সৎসঙ্গ ও আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠে মানসিক তৃপ্তি। কাজকর্মের ক্ষেত্রে নতুন কোনও যোগাযোগ থেকে উপকৃত ... বিশদ
শনিবার রাতে গোপন সূত্রে লালবাজারের নারকোটিক সেল মাদকের কথা জানতে পারে। সেই মতো প্রথমে পঞ্চসায়র থানা এলাকার নয়াবাদে একটি ফ্ল্যাটে হানা দেন গোয়েন্দারা। সুকান্ত রোডের উপর অবস্থিত ইডেন স্কাই টেরেসের ১১ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে নিষিদ্ধ মাদক সহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় মিকিকে। তার থেকে উদ্ধার হয় ১৩.৫০ গ্রাম নেশার ট্যাবলেট, প্রায় সাড়ে পাঁচ গ্রাম কোকেন ও ৮৪৫ গ্রাম গাঁজা। সূত্রের খবর, এই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই চলত ক্যুরিয়ার সার্ভিসের বুকিং। শুধু তাই নয়, অ্যাপচালিত বাইকে করে পার্সেল পাঠানোর নাম করে ‘গিফট প্যাক’-এর বাক্সে চলত মাদক পাচার। শহরে মাদক পাচারের এই অভিনব পন্থা সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে আনে ‘বর্তমান’। এরপরই গোপনে তদন্তে নামে লালবাজার। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নয়াবাদ এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে সপ্তাহে চার থেকে পাঁচবার শহরের বিভিন্ন লোকেশনে পার্সেল বুকিং হয়েছে। ক্যুরিয়ার বুকিং সংস্থার থেকে সেই ফ্ল্যাটের তথ্য নেয় পুলিস। গোপন সূত্র মারফত তদন্তকারীরা জানতে পারেন, এই ফ্ল্যাট থেকেই চলে মাদক পাচার।
অভিযুক্ত মিকি ওরফে পারভেজকে জেরা করে নারকোটিক সেলের অফিসাররা আরও এক ব্যক্তির সন্ধান পান। সার্ভে পার্ক থানা এলাকায় বাইপাসের উপর একটি শপিংমলের কাছে ওই ব্যক্তিকে বমাল গ্রেপ্তার করে পুলিস। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২ গ্রাম ওজনের নেশার ট্যাবলেট। পুলিস সূত্রের দাবি, অভিযুক্ত আসলাম পার্সেল বুকিং করাত। দুই অভিযুক্তের থেকেই নিষিদ্ধ মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। লালবাজার জানিয়েছে, প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারির আগে পানশালা, ডিস্কো থেক সহ কিছু অভিজাত পার্টির জন্য শহরে নিষিদ্ধ মাদক আসে। তা আটকাতে তৎপর পুলিস। এই দুই অভিযুক্তের কাছে কারা মাদক পাঠিয়েছে, সেই মাদক কোন কোন জায়গায় ডেলিভারি হয়েছে, সবটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।