সৎসঙ্গ ও আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠে মানসিক তৃপ্তি। কাজকর্মের ক্ষেত্রে নতুন কোনও যোগাযোগ থেকে উপকৃত ... বিশদ
পুলিস ও বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি থেকে বালুরঘাটগামী একটি বেসরকারি বাসে কচ্ছপগুলি আনা হয়। ডালখোলা থেকে গঙ্গারামপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল ধৃতদের। বাসের অন্য যাত্রীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে বংশীহারির জোড়দিঘি এলাকায় ধৃতদের বাস থেকে নামিয়ে দেন। বংশীহারি থানার পুলিস ধৃতদের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর থেকে কচ্ছপ আসছিল জেলায়। ধৃতরা ডালখোলা থেকে বালুরঘাটগামী বাসে ওঠে। ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করছিল ধৃতরা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হাটে বাজারে কচ্ছপের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। লুকিয়ে যেখানে-সেখানে বিক্রিও হয়। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা কচ্ছপগুলি জেলার কোনও কারবারির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আনছিল। সোমবার ধৃতদের গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তুলবে বনদপ্তর। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলি বনদপ্তরের কুশমণ্ডি রেঞ্জ অফিসে রাখা হয়েছে।
রায়গঞ্জ বনদপ্তরের আধিকারিক ভূপেন বিশ্বকর্মা বলেন, বংশীহারির জোড়দিঘি এলাকা থেকে ১০৩টি কচ্ছপ ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী পাচার মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ থেকে বাসে করেই প্রথমে বিহারের পূর্ণিয়া পর্যন্ত আনা কচ্ছপগুলি। তারপর সেখান থেকে এরাজ্যের ডালখোলায় ঢুকে যাচ্ছে। সেখান থেকে বাসে করে ক্যারিয়ারের মাধ্যমে জেলায় চলে আসছে কচ্ছপ। এই কারবারে স্থানীয় মাথা জড়িত রয়েছে বলে অনুমান বনদপ্তরের।
(পাচারের আগে এই কচ্ছপগুলিই উদ্ধার করা হয়। - নিজস্ব চিত্র।)